Hero Hunk Double Disc রিভিউ

What's on this page

ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা টপ-ক্লাস মোটরবাইক ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত হিরো। বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশের সব দেশেই তারা বাইক রপ্তানি করে থাকে। হিরো ও হোন্ডা কোম্পানি প্রথমে একসাথে হিরো হোন্ডা নামে পরিচালত হত, কিন্তু পরে তারা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৩ সালে হিরো তাদের বর্তমানের সর্বাধিক আকাঙ্ক্ষিত মডেল হাংক বাজারে নিয়ে আসে।
স্পোর্টি লুকের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ফিচার, তরুণ প্রজন্মের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হাংক হিরো ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পণ্য। এক সময় বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি বাইকের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো হাংক। বর্তমানে হাংকের বিভিন্ন ভার্সনের দাম বাংলাদেশের মোটরবাইক বাজারে ১ লাখ ৪৫ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।
শক্তিশালী ইঞ্জিন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় রাইড নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে ১৫০ সিসি সেগমেন্টের সবচেয়ে সাশ্রয়ী বাইক হচ্ছে হিরো হাংক। সেজন্যই বাইকটির জনপ্রিয়তা আমাদের দেশে এত বেশি। আজ আমাদের হাংক রিভিউ বাইকটির ডাবল ডিস্ক ভার্সন নিয়ে।
হাংক রিভিউ – ডিজাইন এবং আউটলুক
হিরো হাংক ডাবল ডিস্ক একটি প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ার মত বাইক। যেমন সুন্দর এর গড়ন, তেমনি স্পোর্টি আউটলুকের একটি প্রশংসনীয় স্ট্যান্ডার্ড বাইক। বিভিন্ন রঙের অপশনের হাংক ডাবল ডিস্ক ফিচারের মধ্যে লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে বাইকটির সাইজ। বেশ বড় ও লম্বাটে ডাবল সিট থাকার কারণে বাইকটি অন্যান্য বাইকের চেয়ে অনেক বড় মনে হয়।
এছাড়া এর জ্বালানী ট্যাংকটিও বেশ বড়; ১২.৪ লিটার জ্বালানী এবং রিজার্ভ হিসেবে ২.২ লিটার অতিরিক্ত ধারণক্ষমতা রয়েছে। তাই ঘন ঘন জ্বালানী পাম্পে গিয়ে আপনার সময় নষ্ট হবে না। জ্বালানী ট্যাংকের ডিজাইনও বেশ সুন্দর আর রাইডারকে একটা স্পোর্টি অনুভব দিবে। ট্যাংকের কিট ডিজাইন ভালো অ্যারোডাইনামিক মানের হওয়ায় হাই স্পিডে কোনও ধরণের ভাইব্রেশন ও অস্বস্তি ছাড়াই রাইড করা যায়।
Hero Hunk Double Disc– ইঞ্জিনের পারফর্ম্যান্স
হিরো হাংক ডাবল ডিস্ক দামের তুলনায় এর শক্তিশালী ইঞ্জিনের কথাও উল্লেখযোগ্য। সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক ওএইচসি, এয়ার কুলিং সিস্টেমের ইঞ্জিনটি বেশ ভালোই শক্তিশালী। ১৪৯.২ ডিসপ্লেসমেন্টের এই ইঞ্জিন থেকে 14.3 বিএইচপি @ 8500 আরপিএম সর্বোচ্চ পাওয়ার এবং 12.6 এনএম @ 6500 আরপিএম সর্বোচ্চ টর্ক পাওয়া সম্ভব। হাংক রিভিউ অনুযায়ী, এর ৫-স্পিড গিয়ারবক্স এবং ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচ ইঞ্জিনটির ট্রান্সমিশন অনেক উন্নত মানের করেছে। বাইকটির এক্সিলারেশনও বেশ উন্নত, ০ থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা গতি তুলতে সময় লাগে মাত্র ৫ সেকেন্ড। সুনিপুণ অ্যারোডাইনামিক আকৃতির কারণে এই বাইকটির সর্বোচ্চ গতি আনুমানিক ১২০ কিমি প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত তোলা যায়।
এছাড়াও, হাংক ১৫০ ফিচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরেকটি সংযোজন হচ্ছে এর সিভি টাইপের সিসিভিআই কার্বুরেটর। ইলেকট্রিক ও কিক স্টার্ট দুইরকম পদ্ধতিই এতে রাখা হয়েছে। একই সাথে হাংক ১৫০ ফিচারের মধ্যে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মধ্যে এর এএমআই টাইপের ইগনিশন সিস্টেমটিও অন্যতম।
হাংক রিভিউ – বাইকের মাপ এবং সিটিং পজিশন
নিয়মিত রাইডারদের মতে, সিটিং পজিশন বেশ ভালো হওয়ায় প্রায় ৩ জন মানুষ বেশ আরাম করে Hero Hunk Double Disc রিভিউ বাইকটিতে বসতে পারেন। কারণ এই বাইকটির সামগ্রিক মাপ হচ্ছে 1995 X 778 X 1072 মিলিমিটার। বাইকটিতে গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রাখা হছে 167 মিমি; যা অন্যান্য বাইকের তুলনায় কিছুটা কম হলেও রাস্তার স্পিড ব্রেকারগুলো খুব সহজেই অতিক্রম করে যেতে পারে।
হাংক রিভিউ অনুযায়ী বাইকটির সামনে 100/80-17, ৪৭পি সেকশনের এবং পেছনে 130/70-17, ৫৬পি সেকশনের টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সামগ্রিক ওজন 149 কেজি। এটা অন্যান্য বাইকের তুলনায় একটু বেশি হলেও রাইডারদের হাই স্পিডে বাইক ব্যালেন্স করতে বেশ কার্যকরী।
Hero Hunk Double Disc– সাসপেনশন ও ব্রেক
সাধারণ কমিউটার টাইপ মোটরসাইকেলের তুলনায় হিরো হাংক ডাবল ডিস্ক দামের বিচারে এর সাসপেনশনগুলো অনেক বেশি উন্নত। সামনের দিকে টেলিস্কপিক হাইড্রোলিক শক অ্যাবসর্বার এবং পেছনে ৫ ধাপের অ্যাডজাস্টেবল ইনভার্টেড গ্যাস রিসারভারসহ চতুষ্কোণ সুইং আর্ম সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। এই সাসপেনসনগুলো সর্বোচ্চ লোড নিয়েও রাইডিং-এ অনেক কমফোর্ট দেয়।
এছাড়াও হিরো হাংক রিভিউ অনুযায়ী বাইকটির সামনের ও পেছনের চাকায় দু’টি হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে, যার কারণে এই ভার্সনের নাম হয়ে গেছে Hero Hunk Double Disc রিভিউ। বাজারে সিঙ্গেল ডিস্ক ও পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেকসহ ভার্সনও পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলোর দাম আরো কম। পাশাপাশি সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস তো আছেই। নতুন অনভিজ্ঞ রাইডারদের ক্ষেত্রে আমরা মনে করি সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেকসহ ভার্সন দিয়ে শুরু করা উচিত। আর ডুয়াল হাইড্রোলিক ভার্সনটি অভিজ্ঞ রাইডারদের জন্যই বেশি ভালো।
Hero Hunk Double Disc– মাইলেজ
হিরো হাংক রিভিউ অনুযায়ী, ডাবল ডিস্ক বাইকটি গড়ে প্রতি লিটারে প্রায় 40 কিমি পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম। হাইওয়েতে আরো বেশি মাইলেজ তোলা সম্ভব (৫০ কিমি প্রতি লিটার), কিন্তু শহরের রাস্তায় তা কমে 40 কিমি এ নেমে আসে।
হাংক রিভিউ– ইলেকট্রিক্যাল প্যানেল ও ফিচার
Hero Hunk Double Disc রিভিউয়ের সবশেষ অংশ বাইকটির ইলেকট্রিক্যাল প্যানেল নিয়ে, যা প্রায় পুরোটাই ডিজিটাল। এনালগ ট্যাকোমিটার ও ফুয়েল গেইজ বাদে বাকি অন্যান্য সব ফিচার, যেমন- ওডোমিটার, স্পিডোমিটার এবং ঘড়ি ইত্যাদি সবকিছু ডিজিটাল।
Hero Hunk Double Disc রিভিউ– কালার অপশন
এবিএস প্রযুক্তিসম্পন্ন হিরো হাংক ডাবল ডিস্ক দামের বিচারে আমাদের দেশে মোট ছয়টি আকর্ষনীয় কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে। এই কালারগুলো হচ্ছে- Sports Red, Black, Techno Blue
Hero Hunk Double Disc– বাইকটি কাদের জন্য ভালো?
স্ট্যান্ডার্ড টাইপের হিরো হাংক ডাবল ডিস্ক দামের তুলনায় স্বয়ংসম্পূর্ণ এক বাইক। তরুণ প্রজন্মের পছন্দের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা এই বাইকটি নতুন থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ, সব ধরণের রাইডারই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে হ্যান্ডেল করতে পারবেন, তবে নতুনদের জন্য একটু প্র্যাকটিস লাগবে। তবে বয়সে বড় গ্রাহকদের জন্যও বাইকটি বেশ ব্যবহার উপযোগী।
শহুরে রাস্তায় রাইড করার জন্য নিত্যদিনের পথচলা, আবার হাইওয়েতে হাই স্পিডে রাইড করার জন্যও এই বাইকটি ব্যবহার করা যাবে। হাংক রিভিউ অনুযায়ী প্রশস্ত আর অনেক বড় সিট হওয়ায় পরিবার ও ছোট শিশু নিয়ে বাইক চালাতে যারা ভয় পান, তাদের জন্যও এটি একটি দারুণ অপশন। বাইকটি দেখে যত ভারী মনে হয়, চালানোর সময় সেটার দারুণ ব্যালেন্সের কারণে ওজন আর ততটা বেশি মনে হয় না।
Hero Honda launched the Hunk, a 150cc motorcycle, in 2007. In 2011, Hero MotoCorp gave the Hunk a minor update, making it available with the option of a rear disc brake. Hence the name Hero Hunk Double Disc.
Apart from the exciting new colors, this motorcycle comes with an array of new features such as an altered visor, digital console, new styling for side panels, body coloured mirrors, tubeless tyres, LED tail lamps, an exhaust cover and darker coloured grab rails.
The Hero Hunk is powered by a 150cc, single-cylinder, air-cooled engine to develop a maximum of 14.3 bhp power @8500 rpm and 12.6 Nm torque @6500 rpm. This motor comes with a five-speed gearbox. The bike weighs 145 kg with a fuel tank having a capacity of holding 12.4 liters of fuel. The company claims that the bike delivers a fuel economy of 40 kmpl.
This new Hunk that boasts of this additional features goes up against the segment leader Bajaj Pulsar 150 and the recent entries in the 150cc space.
Hero Hunk Double Disc comes with 6 attractive color options: Sports Red, Black, Techno Blue. Meanwhile, in terms of competition, the motorcycle goes up against theApache RTR 150, Pulsar 150 DTsi, Honda CB Trigger 150, and Hero Xtreme Sports 150 in Bangladesh.
সুবিধা
- এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস)
- প্রায় ৩জন বসার মত বিশাল সিট
- দ্রুততম এয়ার কুলিং
- ডাবল ডিস্ক ব্রেক
অসুবিধা
- পেছনের টায়ার অনেক সরু
- ব্রেক-ইন পিরিয়ড অনেক লম্বা
- কিল সুইচ নেই
- আরপিএম-নির্ভর হেডলাইট
Hero Hunk Double Disc রিভিউ- নতুন বৈশিষ্ট্য
- সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এএমআই ইগনিশন
- সিভি টাইপ সিসিভিআই কার্বুরেটর
- ডুয়াল ডিস্ক ব্রেক
Hero Hunk 150R Dual Disc Images
Hero Hunk 150R Dual Disc Video Review

Hero Hunk 150R Dual Disc-সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
হিরো হাংক বাইকটি কি লং ট্যুরের জন্য ভালো?
মধ্যম সারির বাইকের মধ্যে হিরো হাংক নিঃসন্দেহে একটি ভালো বাইক। এই বাইকের পিক-আপ, মাইলেজ এবং চালানোর স্বাচ্ছন্দ্য এক কথায় অসাধারণ। তাই মোটরবাইকে লং ট্যুরের জন্য প্রশংসনীয় পারফর্ম্যান্সের হাংক ১৫০ ফিচার বাইকটি বেশ দারুণ একটি অপশন।
হিরো হাংক কি একটি স্পোর্টস বাইক?
ঠিক তেমনটাই মনে হয়, তাইনা? কিন্তু দারুণ সুন্দর স্পোর্টি ডিজাইন এবং সুগঠিত বডি-বিশিষ্ট এই বিশাল বাইকটি আসলে একটি স্ট্যান্ডার্ড টাইপ বাইক। তার মানে হচ্ছে শহরের রাস্তায়, কিংবা হাইওয়ে, যেখানেই নিয়ে যান না কেনো, শক্তিশালী পারফর্ম্যান্স ও স্টাইলের দারুণ সমন্বয় আপনাকে সেরা অনুভব এনে দিবে।
হিরো কি এখনও হোন্ডার ইঞ্জিন ব্যবহার করে?
জনপ্রিয় ইন্দো-জাপানিজ যানবাহন কোম্পানি হিরো হোন্ডা তাদের সিডি১০০ বাইকটিতে হোন্ডা গ্রুপের ডিজাইন করা ইঞ্জিন ব্যবহার করেছিলো। আলাদা হয়ে যাওয়ার পরেও আরো অনেক মডেলের বাইকে হোন্ডা কোম্পানির ইঞ্জিনই তারা ব্যবহার করে এসেছে। কেননা হোন্ডা কোম্পানি তাদের ইঞ্জিন ব্যবহারের স্বত্বাধিকার হিরো কোম্পানির কাছে দিয়েছে, আর হিরো বৈধভাবেই হোন্ডার ইঞ্জিন ব্যবহার করে আসছে।
Hero Hunk 150R স্পেসিফিকেশন
বাইকের নাম
Hero Hunk 150R
বাইকের ধরন
স্ট্যান্ডার্ড
ইঞ্জিনের ধরন
4 – Stroke Single Cylinder
ইঞ্জিন ক্ষমতা (সিসি)
149.2
ইঞ্জিন কুলিং
Air Cooled
সর্বোচ্চ শক্তি (হর্স পাওয়ার)
14.3 PS @ 8500 RPM
সর্বোচ্চ টর্ক
12.6 NM @ 6500 RPM
স্টার্ট
Kick & Electric
গিয়ারের সংখ্যা
5
মাইলেজ
40 কিলোমিটার/লিটার (আনুমানিক)
টপ স্পিড
110 কিলোমিটার/ঘন্টা (আনুমানিক)
সামনের সাসপেনশন
Telescopic Hydraulic Shock Absorbers
পেছনের সাসপেনশন
7 Step Adjustable Mono Shock
সামনের ব্রেক টাইপ
Disc Brake with ABS
ফ্রন্ট ব্রেক ডায়ামিটার
276 মিলিমিটার
অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস)
Yes
পেছনের ব্রেক টাইপ
Disc Brake
পেছনের ব্রেক ডায়ামিটার
220 মিলিমিটার
ব্রেকিং সিস্টেম
Single Channel ABS
সামনের টায়ারের সাইজ
100/80-R17
টায়ারের ধরন
Tubeless
পিছনের টায়ারের সাইজ
130/70 -R17
সামগ্রিক দৈর্ঘ্য
1995 মিলিমিটার
উচ্চতা
1072 মিলিমিটার
ওজন
149 কেজি
হুইলবেস
1338 মিলিমিটার
সামগ্রিক প্রস্থ
778 মিলিমিটার
গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স
167 মিলিমিটার
জ্বালানী ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা
12.4 লিটার
আসন উচ্চতা
790 মিলিমিটার
হেড লাইট
Halogen
ইন্ডিকেটরস
Halogen
পেছনের লাইট
Led
স্পিডোমিটার
Digital
আরপিএম মিটার
Analog
ওডোমিটার
Digital
আসনের ধরন
Single-Seat
ইঞ্জিন কিল সুইচ
Yes
