বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বাইক রয়েছে এবং বর্তমানে কমিউটার এবং স্পোর্টস বাইক বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু ভিন্ন পছন্দের, ডিজাইনের, এক্সেপশন লুকের জন্য বাংলাদেশের বাজারে কিছু বাইক পাওয়া যায়, ক্যাফে রেসার সে রকম একটি বাইক। তরুণদের এক ধরণের ফ্যাসিনেশন হচ্ছে ক্যাফে রেসার। সামান্য কিছু গ্রাহক এই ধরণের বাইক কেনেন, তবে দেশে এর বাজার দিন দিন বাড়ছে। তাই বাংলাদেশেও ডার্ট অ্যান্ড ক্যাফে রেসারের বাজার রয়েছে। এই ধরণের মোটরসাইকেল সাধারণত অল্প রাস্তায় খুব দ্রুত যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ক্যাফে রেসার বাইকগুলোকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় যে, বাইক হবে কম ওজনের, খুব দ্রুত টপ স্পীড তুলতে পারবে এবং খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে যে কোন জায়গায় যাতায়াত করা যাবে। ক্যাফে রেসার একধরনের হালকা ও শক্তিশালী মোটরসাইকেল, যা আরামের চেয়ে বরং গতি এবং সহজে হ্যান্ডল করার জন্য এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়। ক্যাফে রেসার তাদের ভিজ্যুয়াল মিনিমালিজমের জন্য অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পায়। এতে লো-মাউন্ট হ্যান্ডল বার, কাস্টম সিট কাউলিং এবং অধিক ধারণক্ষমতার জ্বালানির ট্যাঙ্ক রয়েছে।
ক্যাফে রেসারের ইতিহাস
ক্যাফে রেসার সাব-কালচারের জন্ম হয় ইংল্যান্ডে, ৫০’ এর দশকে। এই বাইকগুলো হল স্পোর্ট মোটরসাইকেলের একটি ধরণ যা লন্ডনে ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছিলো। ১৯৬০ এর দিকে ইংল্যান্ডে এই মোটর সাইকেল আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। ঠিক এই সময়ে রক এন’ রোল কালচারের তরুণরা তাদের চিরাচরিত বাইকের ডিজাইন এবং ইঞ্জিনে পরিবর্তন নিয়ে আসে। তরুণরা এই সাব-কালচারকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। চিরাচরিত মোটর সাইকেলকে আরো দ্রুত গতিসম্পন্ন এবং একইসাথে ফ্যশনেবল করে তারা বানায় ‘ক্যাফে রেসার’।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডে বাইক বেশ সহজলভ্য হয়ে ওঠে। অধিকাংশ পরিবার চার চাকার গাড়ি যেমন কিনতে পারতো, তেমনি পরিবারের তরুণরাও সাথে একটি মোটর সাইকেলও কিনতো। মোটর সাইকেল শুধু কম উপার্জনের মানুষের বাহন হয়ে থাকেনি, এটি হয়ে উঠল সব আয়ের মানুষের কাছে গতি এবং স্ট্যাটাসের অংশ। সে সময়ে বাইকাররা তাদের বাইকগুলো ক্যাফে রেসারের মতন পরিবর্তন করে নিতেন, এবং স্বল্প দূরত্বে দ্রুত রাইডের জন্য গতি এবং পরিচালনার জন্য অপ্টিমাইজ করে ফেলতেন। এটি যেন ছিল প্রচলিত কালচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মতো।
ক্যাফে রেসার বাইক গুলো তখন থেকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, এবং কিছু নির্মাতারা কারখানায় মডেলগুলি তৈরি করে। বর্তমান সময়ে এসেও এ ধরণের বাইকের বিশ্বব্যাপী প্রচুর চাহিদা থাকায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও এ ধরণের বাইকের থেকে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বেনেল্লি, বিএমডাব্লিউ, ডার্বি, ইত্যাদি বিখ্যাত বাইক নির্মাতা কোম্পানিগুলো তাদের বাইকগুলোর নিয়মিত মডেলগুলোর পাশাপাশি সেগুলোর ক্যাফে রেসার ভার্শন বাজারে আনে, যেই প্রচলন এখনো চালু আছে।
বর্তমান ডিজাইন
সাধারণত কোম্পানি গুলোকে এ ধরণের বাইকের ডিজাইন করার সময় ১৯৬০ সালের প্রথমদিকে গ্রান্ড প্রী (GRAND PRIX) মোটোরসাইকেল রোড রেসের বাইকগুলোর মডেল অনুকরন করতে দেখা যায়, যেগুলোর কিছু সাধারন বৈশিষ্ট্য হলোঃ ভিজুয়াল মিনিমালিজম (যত কম বডিপার্ট ততই ভালো); লো মাউন্টেড হ্যান্ডেলবার; সিটে কাউলিং এর ব্যবহার; লম্বা ও ফ্ল্যাট টাইপের ফুয়েল ট্যাংক; ফুয়েল ট্যাংকে হাটু ফিট হবার জন্য নি গ্রিপ (KNEE GRIP); ইত্যাদি।
বর্তমান সময়ের ক্যাফে রেসার বাইক গুলোতেও এধরণের বৈশিষ্ট্য গুলো দেখা যায়। আলাদা ধরণের ডিজাইন হবার পাশাপাশি এ ধরণের বাইকের ইঞ্জিনগুলো এমন ভাবে টিউন করা থাকে যেন অল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি অর্জন করা যায় এবং উচ্চ গতিতে কন্ট্রোল ভালো থাকে।
ক্যাফে রেসার গুলোর জন্মই হয়েছে মডিফাইড শর্ট ডিস্টেন্স রেসিং মেশিন হিসেবে। ৭০ এর দশকে ইউরোপে বাইকারদের মধ্যে মডিফিকেশন এর হিড়িক পড়ে যায়। এসময়কার টিন এজার ও তরুন বাইকাররা তাদের লো ডিসপ্লেসমেন্ট (কম সিসির) বাইকগুলোকে নতুন শেপের সিট, নিচু হ্যান্ডেলবার, হেডলাইটের চারিদিকে ছোট ফেয়ারিং ব্যাবহার করে CAFÉ RACER স্টাইলের বাইক তৈরি করতে থাকে।
বাংলাদেশে ক্যাফে রেসার ধারনাটি এখনো সম্পূর্ণ মডিফাইড স্টেজেই রয়ে গেছে। রাস্তায় যেসব এই রকম স্টাইলের বাইকগুলো দেখা যায় সেগুলো বেশিরভাগই YAMAHA RX-100, SUZUKI AX 100, HONDA CG 125 ও এই ধরণের ১০০ ও ১২৫ সিসির বাইক মডিফাই করে তৈরি করা। যেহেতু বাংলাদেশে বাইকের সিসি লিমিট মাত্র ১৬০ সিসি তাই হাইয়ার সিসির অরিজিনাল বাইক বাংলাদেশে নেই। ১৬০ সিসি এর উর্ধে গতি সম্পন্ন বাইক আমাদের দেশে ইম্পোর্ট করা বা মোডিফাই করা অবৈধ এনং বেআইনি।
বাংলাদেশে ক্যাফে রেসার বাইকের বর্তমান বাজার অবস্থা
সম্প্রতি, কয়েকটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড বাংলাদেশে কয়েকটি ক্যাফে রেসার বাইক লঞ্চ করেছে, যেগুলো হল জেনেরিক ক্যাফে রেসার ১৬৫ এবং ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫, জোন্তেস, এপ্রিলইয়া কাফে, স্পিডার কান্ট্রিম্যান, লিফান। যদিও ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫ অনেকটা ক্যাফে রেসারের মতো নয়, তবে ডিজাইন এবং কিছু বৈশিষ্ট্য একটি ক্যাফের মতো। তাছাড়াও বাইকাররা নিজেদের পছন্দ মতো মোডিফাই করে নিতে পারে।
ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫, ইয়ামাহা এফজেড-এক্স, স্পিডার কান্ট্রিম্যান বাংলাদেশের শীর্ষ তিনটি ক্যাফে রেসার বাইক। বাংলাদেশে এ ধরণের বাইকের বাজার ছোট হলেও, দিনে দিনে তা জনপ্রিয় হচ্ছে। মোটর বাইক কোম্পানিগুলো এ ধরণের বাইকের বাজার তৈরিতে জোর দিচ্ছে। বাজারের সুনাম, জনপ্রিয়তা, নির্ভরযোগ্যতা, ব্র্যান্ড ইমেজ, বিক্রয়োত্তর সেবা ইত্যাদি বিবেচনায় আমরা কিছু টপ কোয়ালিটির ক্যাফে রেসার বাইকের দাম সহ স্পেসিফিকেশন তালিকা তৈরী করেছি, যেগুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায়।
দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে যেসব ক্যাফে রেসার বাইক –
১. Yamaha XSR 155
মূল্য: ৫২০,০০০ – ৫৪৫,০০০
জাপানি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড ইয়ামাহা বাংলাদেশে তাদের বহরে যুক্ত করেছে আরেকটি নতুন বাইক। বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের একমাত্র পরিবেশক এসিআই মোটরস লিমিটেড, তাদের অন্যতম প্রিমিয়াম পণ্য ইয়ামাহা এক্সএসআর ১৫৫ লঞ্চ করেছে। এই মোটরসাইকেলটি রাজকীয় ডিজাইন এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন পারফরম্যান্সের একটি দুর্দান্ত প্যাকেজ। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী ব্লু-কোর ইঞ্জিন। এটি একটি ক্যাফে রেসার মোটরসাইকেল। দেশে এ ধরনের মোটরসাইকেল খুবই বিরল। এই মোটরসাইকেলটি সরাসরি থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়েছে।
১. ইঞ্জিন: ১৫৫.১ সিসি
২. শক্তি: ১৯ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১৪.৭ NM, ৮৫০০ আরপিএম
৪. মাইলেজ: ৪০ কিমি/লি
৫. ব্রেক: ডাবল ডিস্ক
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৭. গতি: ১৪৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা
২. Yamaha FZ-X
মূল্য: ৩৫০,০০০/-
ইয়ামাহা এফজেড-এক্স হল একটি প্রিমিয়াম ক্যাফে রেসার বাইক যা বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের একমাত্র পরিবেশক এসিআই মোটরস লিমিটেড লঞ্চ করেছে। এই মডেলটি একটি রেট্রো ক্লাসিক স্টাইল অফার করে যা আপনার রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স চেঞ্জ করে দেবে। একইসাথে, এই মোটরসাইকেলের পাওয়ার, ডিজাইন, কমফোর্ট এবং সেফটি আপনার প্রতিটি রাইডকে স্বাধীন ভাবে অনুভব করতে সাহায্য করবে।
১. ইঞ্জিন ক্ষমতা: ১৪৯ সিসি
২. মাইলেজ: ৪৮ কিমি/লিঃ
৩. ট্রান্সমিশন: ৫ স্পিড ম্যানুয়াল
৪. জ্বালানী ট্যাঙ্ক ক্ষমতা: 10 লিটার
৫. টর্ক: ১৩.৩ Nm, ১২.২ বিএইচপি
৩. ZONTES ZT155-GK
মূল্য: ৩৯৯,০০০
ZONTES ZT155-GK একটি গর্জিয়াস লুকিং বাইক। আধুনিক ডিজাইন, কালার এবং রাজকীয় লুকের সমন্বয়ে এটি একটি আলাদা ফ্যাসিনেশন তৈরী করেছে। এই স্ক্র্যাম্বলার বাইকটিতে একটি এলসিডি ড্যাশ এবং লেড লাইটিং সহ সর্বশেষ প্রযুক্তি সংযুক্ত করা আছে।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. শক্তি: ১৮.৮ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১৬ NM @ ৭৫০০ আরপিএম
৪. মাইলেজ: ৪০ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: বোশ ডুয়াল চ্যানেল (এবিএস)
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৭. গিয়ারস: ৬
৮. ক্লাচ: স্লিপার ক্লাচ
৪. Zontes ZT155-G1
মূল্য: ৩৭৯,০০০ – ৩৮৯,০০০
Zontes ZT155 G1 হল চীনা ব্র্যান্ড Zontes তৈরী, বাংলাদেশে একটি নতুন স্ক্র্যাম্বলার মোটরসাইকেল। এই মোটরসাইকেলটির একটি চোখ ধাঁধানো রেট্রো ডিজাইন রয়েছে যা যে কেউ এক নজরে প্রেমে পড়তে পারে। বৃত্তাকার আকৃতির হেডলাইট, আয়না লাগানো প্রশস্ত একক হ্যান্ডেলবার, মসৃণ ভারী জ্বালানী ট্যাঙ্ক এটিকে একটি ক্লাসিক চেহারা দেয়। বাইকটি ১৫৫ সিসি দ্বারা চালিত যা সর্বোচ্চ শক্তি ১৮.৮ এইচপি @ ৯২৫০ আরপিএম উৎপন্ন করে এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক হল ১৬ N.m @ ৭৫০০ আরপিএম।
১. ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট: ১৫৫ সিসি
২. ইঞ্জিনের ধরন: ৪-স্ট্রোক, ৪-ভালভ
৩. সর্বোচ্চ শক্তি: ১৮.৮ বিএইচপি @ ৯২৫০ আরপিএম
৪. সর্বোচ্চ টর্ক: ১৬ Nm @ ৭৫০০ আরপিএম
৫. সর্বোচ্চ গতি (অফিসিয়াল): ১৩৫ কিমি/ঘ
৬. ক্লাচ: স্লিপার ক্লাচ
৭. ব্রেক: ডাবল ডিস্ক
৮. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৫. Zontes ZT155-U1
মূল্য: ৩৭৯,০০০
Zontes ZT155-U1 হল একটি অফ-রোড মোটরসাইকেল। সামনের ফেন্ডার এবং স্পোক হুইল ছাড়াও এই মোটরসাইকেলের ডিজাইন প্রায় Zontes ZT155-G1এর মতই। বাইকটি ১৫৫ সিসি দ্বারা চালিত যা সর্বোচ্চ শক্তি ১৮.৮ বিএইচপি @ ৯২৫০ আরপিএম এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক হল ১৬ Nm @ ৭৫০০ আরপিএম। শক্তিশালী ইঞ্জিন এটিকে বাংলাদেশের শক্তিশালী অফ-রোড মোটরসাইকেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো – এটি একটি ডুয়াল-চ্যানেল Bosch ABS, ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম, আন্ডারবেলি এক্সহস্ট, TFT ডিজিটাল কনসোল, ইত্যাদি। মাইলেজ ৫৫ কিমি প্রতি লিটার (প্রায়)।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. টর্ক: ১৬ NM
৩. মাইলেজ: ৩৫ কিমি/লিঃ
৪. সর্বোচ্চ শক্তি: ১৮.৮ বিএইচপি @ ৯২৫০ আরপিএম
৫. সর্বোচ্চ গতি: ১২০ কিমি/এইচ
৬. ব্রেক: ডুয়াল চ্যানেল এবিএস
৭. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৬. Aprilia Cafe 150
মূল্য: ২৮৯,৫০০ – ৩,০৪,৫০০
Aprilia Café 150-এ রয়েছে একটি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক এবং ১৫০ সিসি ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি ফুয়েল ইনজেক্টেড এবং ওয়াটার-কুলড, যা এই বাইকারদের দারুণ সুবিধা দেয়। ইঞ্জিনটি ৯৭৫০ আরপিএম-এ প্রায় ১৮ বিপিএইচ এবং ৭৫০০ আরপিএম-এ ১৪Nm টর্ক পাম্প করে ৷ মাইলেজ ৪৫ কিমি প্রতি লিটার (প্রায়)।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. সর্বোচ্চ শক্তি: ১৮ hp@৯৭৫০ আরপিএম
৩. টর্ক: ১৪ NM
৪. মাইলেজ: ৪০ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: সাধারণ ব্রেকিং সিস্টেম
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলে
৭. GPX Legend 150S
মূল্য: ১৬০,০০০
GPX Legend 150S মোটরসাইকেলে ১৫.০৯ পিএস @ ৮৫০০ আরপিএম সর্বোচ্চ শক্তি এবং ১৪.৫ Nm @ ৬৫০০ আরপিএম সর্বোচ্চ টর্ক সহ ১৪৯ সিসি পাওয়ারফুল ইঞ্জিন রয়েছে যার মধ্যে ৫২ কিমি/লিঃ মাইলেজ এবং 110 কিমি/এইচ সর্বোচ্চ গতি রয়েছে৷ বাইকটির ব্রেক স্টাইল হল ফ্রন্ট ডিস্ক এবং রিয়ার ড্রাম ব্রেক। এর ইঞ্জিনের ধরন ফোর স্ট্রোক, একক সিলিন্ডার, এবং এয়ার কুলড। ট্রান্সমিশন ডিউটি ৬ টি স্পিড গিয়ারবক্স দ্বারা নেওয়া হয়। এর ফ্রন্ট সাসপেনশন হল টেলিস্কোপিক এবং রিয়ার সাসপেনশন হল ডাবল স্প্রিং সাসপেনশন।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. মাইলেজ: ৪০ কিমি/লি
৩. ব্রেক: সাধারণ ব্রেকিং সিস্টেম
৪. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৫. সর্বোচ্চ গতি: ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা
৮. Speeder Countryman
মূল্য: ২১৯,৫০০ – ২৫৪,০০০
স্পিডার কান্ট্রিম্যান চীনে তৈরি ক্যাফে রেসার বাইক এবং এটি বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় বাইক। স্পিডার মোটরসাইকেল বাংলাদেশ এই বাইকটির পরিবেশক। বিশ্বব্যাপী এই বাইকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। এতে রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক এবং ডিসপ্লেসমেন্ট ১৬৩.৭ সিসি। স্পিডার কান্ট্রিম্যানের একটি ১৬.০৮ বিএইচপি @ ৮০০০ আরপিএম ইঞ্জিন রয়েছে যা ১৭.০ Nm টর্ক জেনারেট করতে পারে। এই বাইকটির শক্তশালী ইঞ্জিন ১২৫+ কিমি/ঘন্টা সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছাতে পারে।আমরা এর মাইলেজ ৩৫ কিমি/লিঃ পেয়েছি এবং এর সামনের ব্রেক একটি ডুয়াল ডিস্ক এবং পিছনের ব্রেকটি একটি সিঙ্গেল ডিস্ক।
১. ইঞ্জিন: ১৬০ সিসি
২. শক্তি: ১৫.৯ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১৭ NM
৪. মাইলেজ: ৪০ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: ডাবল ডিস্ক
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৯. Lifan KPT150 4V
মূল্য: ৩১০,০০০
Lifan KPT150 4V একটি গর্জিয়াস লুকিং কাফে রেসার বাইক। বাইকটি ১৫০ সিসি দ্বারা চালিত যা সর্বোচ্চ শক্তি ২০.৪ পিএস @ ৯০০০ আরপিএম উৎপন্ন করে এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক হল ১৭.৫ NM@ ৭৫০০ আরপিএম । এর ইঞ্জিনের ধরন একক সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক, লিকুইড কুলড। ট্রান্সমিশন ডিউটি একটি ৬ স্পিড গিয়ারবক্স দ্বারা নেওয়া হয়। এর ফ্রন্ট সাসপেনশন হল টেলিস্কোপিক ইউএসডি এবং রিয়ার সাসপেনশন হল মনোশক। এর মাইলেজ প্রতি লিটার ৪৫ কিমি (প্রায়)।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. শক্তি: ২০.৫ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১৭ NM
৪. মাইলেজ: ৩৫ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: ডুয়াল চ্যানেল এবিএস
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৭. ইঞ্জিনের ধরন: ৪-স্ট্রোক, একক সিলিন্ডার
৮. সর্বোচ্চ শক্তি: ১৩.৫৩ কিলোওয়াট@ ৮৫০০ আরপিএম
১০. Lifan KPT 150
মূল্য: ২৬০,০০০
লিফান কেপিটি ১৫০, এই বাইকটি লিফান ব্র্যান্ডের। এটি একটি চাইনিজ ব্র্যান্ড। আসলে, এই বাইকটি বাংলাদেশে অ্যাসেম্বল করা হচ্ছে । দিনে দিনে এটি বাংলাদেশের অপেশাদার বাইকারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাইকটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি একটি ফুল-ফিল ট্যুরিং মোটরসাইকেল, যেটি অনেক লম্বা ভ্রমণ আরামদায়ক করে। তবে, এই ধরনের বাইক বাংলাদেশে খুবই বিরল।
বাইকটিতে একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে যাতে একটি এলইডি হেডলাইট রয়েছে, রয়েছে ডিজিটাল ফুয়েল গেজ, ডিজিটাল স্পিডোমিটার এবং ডিজিটাল ট্রিপ মিটার রয়েছে। বাইকটিতে ১৫ সিসি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা লিকুইড-কুলড, ৪-স্ট্রোক এবং একক-সিলিন্ডার। বাইকের সর্বোচ্চ শক্তি ১৪.৮ বিএইচপি @ ৮৫০০ আরপিএম এবং সর্বাধিক টর্ক ১৪ Nm @ ৬৫০০ আরপিএম জেনারেট করতে সক্ষম। এর সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘন্টায় ১২০+ কিলোমিটার। এর ওজন ১৫৩ কিলোগ্রাম এবং এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ক্ষমতা ১৪ লিটার। এক লিটার জ্বালানি দিয়ে এটি ৩৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এর সামনের এবং পিছনের ব্রেকগুলি হল ডিস্ক। এই ক্যাফে রেসার বাইকের দাম ২৬০,০০০ টাকা।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. শক্তি: ১৪.৮ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১৪ NM
৪. মাইলেজ: ৩৮-৪০ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: ডাবল ডিস্ক
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
১১. Lifan KP 165
মূল্য: ১৫০,০০০
Lifan KP 165 হল Lifan এর একটি পণ্য। লিফান চীনের ব্র্যান্ড। এটি বাংলাদেশে এসেম্বল করা হয়। এই বাইকটি ১৬৫ ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা সর্বোচ্চ ১৭ বিএইচপি শক্তি এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক ১৭ Nm উৎপন্ন করে। এর ইঞ্জিন সর্বোচ্চ শক্তি ১৪ এইচপি @ ৭০০০ আরপিএম উৎপন্ন করে এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক হল ১৩ Nm@৬৫০০ আইপিএম। এর মাইলেজ ৪৫ কিমি প্রতি লিটার (প্রায়)।
১. ইঞ্জিন: ১৬০ সিসি
২. শক্তি: ১৪ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১৩ NM
৪. মাইলেজ: ৪০ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: ডাবল ডিস্ক
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৭. সর্বোচ্চ গতি: ১২০
১২. Generic Cafe Racer 165
মূল্য: ১৮৭,৯০০ – ১৯৯,৯৯০
জেনেরিক ক্যাফে রেসার বাইকটিকে বাংলাদেশের সবচে গর্জিয়াস এবং ড্যাশিং ক্যাফে রেসার বাইক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি মূলত থাই ব্র্যান্ড জিপিএক্স থেকে ডিজাইনের ধারণা নিয়েছে। এটি দেখতে প্রায় GPX জেন্টলম্যান ২০০ এর মতো। এই বাইকের পুরো বডি মেটাল ফিনিশিং। গোলাকার হেডল্যাম্প এবং ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল এর ক্লাসিক লুক দিয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম পাইপের হ্যান্ডেলবার এবং সামনের সাসপেনশনে রূপালী রঙ রয়েছে। এই মোটরসাইকেলটিতে একটি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, ২-ভালভ, ১৬৪ সিসি ইঞ্জিন রয়েছে যা ৮০০০ আরপিএম -এ ১৫ বিএইচপি সর্বোচ্চ শক্তি এবং ৬৫০০ আরপিএম-এ ১৪ Nm সর্বোচ্চ টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।
১. ইঞ্জিন: ১৬০ সিসি
২. শক্তি: ১৫ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১৪ NM
৪. মাইলেজ: ৩৫ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: ডুয়াল ডিস্ক
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
১৩. Victor-R Cafe Racer 125
মূল্য: ১১০,০০০ – ১১৫,০০০
এই নেকেড বাইকটিতে রয়েছে ১২৫ সিসি ইঞ্জিনের সাথে ৭.৮Kw @ ৮৫০০ আরপিএম সর্বোচ্চ শক্তি এবং ৮.৮Nm @ ৭৫০০ আরপিএম সর্বোচ্চ টর্ক। ইঞ্জিনের ধরন হল একক সিলিন্ডার, 4-ভালভ ইঞ্জিন। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য ৫০ কিমি/লিঃ মাইলেজ এবং ১০২ কিমি/এইচ টপ স্পীড। এই বাইকের ব্রেকিং স্টাইল হল সামনে: ডিস্ক, রিয়ার: ড্রাম।
১. ইঞ্জিন: ১২৫ সিসি
২. শক্তি: ১৪.৪ বিএইচপি
৩. টর্ক: ৮.৮ NM
৪. মাইলেজ: ৫০ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: সামনে: ডিস্ক, পিছন: ড্রাম
৬. টায়ারের ধরন: টিউব টায়ার
১৪. FB Mondial HPS 150
মূল্য: ৩০০,০০০
এই ক্রুজার বাইকে রয়েছে একটি শক্তিশালী ১৫০ সিসি ইঞ্জিন যা ৯৭৫০ আরপিএম সর্বোচ্চ শক্তিতে ১৪.৭৫ এইচপি এবং ৮০০০ আরপিএম সর্বাধিক টর্কে ১০.৫ NM উৎপন্ন করে। এটি বাইকটি ১৪৫ কিমি/এইচ সর্বোচ্চ গতিতে যেতে পারে। এটি প্রতি লিটারে ৪৫ কিমি পর্যন্ত যায়। উচ্চ গতিতে সেফটি নিশ্চিত করতে FB Mondial HPS 150 ফ্রন্ট ডিস্ক এবং রিয়ার ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. শক্তি: ১৪.৫ বিএইচপি
৩. টর্ক: ১০.৫ NM
৪. মাইলেজ: ৪৫ কিমি/লিঃ
৫. ব্রেক: ডুয়াল ডিস্ক
৬. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
১৫. Php Commando 150
মূল্য: ১৬৫,০০০
ইঞ্জিনের ধরন একক সিলিন্ডার, এয়ার কুলড, ৪ স্ট্রোক। এই বাইকটি ১৪৯.৪০ সিসি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। এর সর্বোচ্চ শক্তি ৮.৩ kw @ ৮৫০০ আরপিএম জেনারেট করে। এটির সর্বোচ্চ টর্ক হল ১০.৫ Nm@ ৭৫০০ আরপিএম। ট্রান্সমিশন ডিউটিতে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স আছে । বাইকটি ৪০-৪২ কিমি/লিঃ (প্রায়) মাইলেজ দেয়।
১. ইঞ্জিন: ১৫০ সিসি
২. মাইলেজ: ৩৫ কিমি/লিঃ
৩. টায়ারের ধরন: টিউবলেস
৪. সর্বোচ্চ গতি: ১২০ কিমি/এইচ
১৬. Speeder Force 110
মূল্য: ১১৪,৫০০
স্পিডার ফোর্স ১১০ বাইকটি ১০৯.৫ সিসি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা সর্বোচ্চ শক্তি ৭.৬ বিএইচপি/৭৫০০ আরপিএম এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক ৮.০/৬০০ nm উৎপন্ন করে। স্পিডার ফোর্স ১১০ মাইলেজ কিমি প্রতি আওয়ার (প্রায়)। বাইকটি ৪০ কিমি/লিঃ (প্রায়) মাইলেজ দেয়। এর সাসপেনশন হল টেলিস্কোপিক এবং রিয়ার সাসপেনশন হল সুইং আর্ম।
১. ইঞ্জিন: ১০৯.৫ সিসি
২. ইঞ্জিনের ধরন: ৪ – স্ট্রোক একক সিলিন্ডার
৩. সর্বোচ্চ শক্তি: ৭.৬ বিএইচপি @ ৭৫০০ আরপিএম
৪. সর্বোচ্চ টর্ক: ৮.১NM @ ৬০০০ আরপিএম
৫. মাইলেজ: ৪০ কিমি/লিঃ
৬. সর্বোচ্চ গতি: ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা
সংক্ষেপে বাংলাদেশে ক্যাফে রেসার বাইকের দাম বর্তমান বাজার তালিকা আকারে দেয়া হলো –
Bike Name | Engine (CC) | Mileage | Price |
Yamaha XSR 155 | 155.1 CC | 40-45 Kmpl | 520,000-545,000 |
Yamaha FZ-X | 149 cc | 45-48 Kmpl | 350,000 |
Zontes ZT155 GK | 155 cc | 40 Kmpl | 3,99,000 |
Zontes ZT155-G1 | 155 cc | 35 Kmpl | 379,000-389,000 |
Zontes ZT155-U1 | 150 CC | 35 Kmpl | 379,000 |
Aprilia Cafe 150 | 150 Cc | 40 Kmpl | 289,500-304,500 |
GPX Legend 150S | 149 cc | 45 Kmpl | 1,60,000 |
Speeder Countryman | 160 CC | 40 Kmpl | 219,500-254,000 |
Lifan KPT150 4V | 150 cc | 35 Kmpl | 310,000 |
Lifan KPT 150 | 150 cc | 38-40 Kmpl | 260,000 |
Lifan KP 165 | 160 cc | 40 Kmpl | 160,000 |
Generic Cafe Racer 165 | 164 cc | 35 Kmpl | 187,900-199,990 |
Victor-R Cafe Racer 125 | 124.87 cc | 60 Kmpl | 110,000 – 115,000 |
FB Mondial HPS 150 | 150 cc | 45 Kmpl | 300,000 |
Php Commando 150 | 149.4 cc | 40 Kmpl | 1,65,000 |
Speeder Force 110 | 109.5 cc | 40 Kmpl | 1,14,500 |