TVS Apache RTR 160 Race রিভিউ – দাম ও ফিচারসমূহ

28 Aug, 2023
TVS Apache RTR 160 Race রিভিউ – দাম ও ফিচারসমূহ

দক্ষিণ এশিয়ায় রেসিং ডিএনএ সম্বলিত বাইকের কথা বলতে গেলে যেসব ব্র্যান্ডের বাইক প্রথমেই উঠে আসে, তার মধ্যে টিভিএস অন্যতম। টিভিএস-এর প্রোডাক্টের তালিকায় রেসিং ডিএনএ-সহ অনেকগুলো বাইকই আছে, যেগুলো ১৫০ সিসি থেকে শুরু করে ২০০ সিসি পর্যন্ত হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সিসি লিমিট থাকায় শুধুমাত্র ১৫০ সিসি ও ১৬০ সিসির বাইক পাওয়া যায়। আর এগুলোই হচ্ছে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর সিরিজ। আজ আমাদের ফোকাস TVS Apache RTR 160 Race ২ ভালভ বাইকটির উপর।

আমাদের দেশে আরটিআর ১৬০ বাইককে স্পিড মেশিন বলে সবাই এক নামে চিনে; আর এই দাম-এর মধ্যে বাংলাদেশে আর কোনো বাইক এটাকে হারাতে পারবে বলে মনে হয়না। বাজাজ পালসার ১৫০ এর সাথে প্রায়ই বাইকটিকে তুলনা করা হলেও, আমাদের চোখে আরটিআর ১৬০ পালসারের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবে। ২০১৫ সালের আরটিআর বাইককে আপগ্রেড করে ২০২১ সালে দু’টি নতুন কালার অপশনসহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে, যেগুলোকে ম্যাট এডিশনও বলা হচ্ছে। কালার অপশনগুলো বাইরে থেকে দেখতে ভিন্ন হলেও বেশিরভাগ টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস ফিচার একই রকম, কিন্তু ম্যাট এডিশনের বাইকগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি। চলুন দেখে নেয়া যাক লেটেস্ট ভার্সনের টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস রিভিউ, আর কী আছে এই তুমুল আলোচিত বাইকটিতে।

ডিজাইন এবং আউটলুক

TVS Apache RTR 160 Race বাইকটির ডিজাইন ও আউটলুক অনুযায়ী একে খুব সহজেই স্পোর্টস ক্যাটাগরি বাইকের তালিকায় রাখা যায়, তবে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস ফিচার-এর দিকে ভালোভাবে খেয়াল করলে বোঝা যাবে যে, বাইকটি আসলে স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির। আর এজন্যই বাইকটির ডিজাইন এত বেশি আলোচিত। আরটিআর ১৬০ বাইকটির বহুমুখী ডিজাইনের কারণে এর আউটলুক অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে উঠেছে। রেইস এডিশন ডিক্যাল আর ডাবল ক্রেডল সিঙ্ক্রো স্টিফ টাইপ চ্যাসিস বাইকটিকে প্রিমিয়াম স্পোর্টি অনুভব এনে দিয়েছে।

সামগ্রিকভাবে বাইকটির আউটলুক অনেক বেশি কমপ্যাক্ট এবং অ্যারোডাইনামিক। বাইকটির জ্বালানি ট্যাংকের আউটলুক বেশ স্পোর্টি এবং ট্যাংকের দুই পাশে অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইনের সাইড কিট রয়েছে। আর বাইকটির লেটেস্ট ম্যাট এডিশনে এত সুন্দর আর রুচিশীল কালার কম্বিনেশন দেয়া হয়েছে, যে প্রথম দেখায় বাইকটির প্রেমে পড়ে যাবেন।

ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স

TVS Apache RTR 160 Race বাইকটির ইঞ্জিন এর অন্যতম প্রধান পার্টসগুলোর মধ্যে একটি; বলতে গেলে পুরো পারফরম্যান্স-ভিত্তিক মেশিনটির হৃদয় হচ্ছে এর ইঞ্জিনটি। যেহেতু টিভিএস-এর টপ প্রোডাক্ট এই আরটিআর ১৬০, তাই তারা বাইকটি ডিজাইন করার সময় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেছে। ১৫৯.৭ সিসি ডিসপ্লেসমেন্টের একটি ৪ স্ট্রোক, ২ ভালভ, এসআই, এবং এয়ার কুলিং ইঞ্জিন তারা ব্যবহার করেছে, যাতে রয়েছে মাত্র একটি সিলিন্ডার। রাইডারদের সেরা পারফরম্যান্স দেয়ার ক্ষেত্রে টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস রিভিউ অনুযায়ী এই ইঞ্জিন থেকে ৮৫০০ আরপিএম-এ সর্বোচ্চ ১৫.২ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৬৫০০ আরপিএম-এ সর্বোচ্চ টর্ক পাওয়া যায় ১৩.১ এনএম।

টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস দাম-এর সাপেক্ষে বাইকটির স্পেশাল দিক হচ্ছে এর স্পিড, যার অনেকটাই টর্কের উপর নির্ভরশীল। বাইকটির ‘আরটিআর’ নামের পুরো অর্থ হচ্ছে রেসিং থ্রটল রেসপন্স। অর্থাৎ এই মেশিন থেকে আপনারা পাবেন তাৎক্ষণিক স্পিড আর দুর্দান্ত ট্রান্সমিশন; আর তাই বাংলাদেশের দ্রুততম বাইকগুলোর মধ্যে অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস একটি। ইঞ্জিন পারফরম্যান্স ছাড়াও এই বাইকে রয়েছে আরো কিছু বাড়তি ফিচার, যেমন আইডিআই ডুয়াল মোড ডিজিটাল ইগনিশন সিস্টেম, ইউসিএএল বিএস – ২৬ কার্বুরেটর ইত্যাদি।

বাইকের মাপ, টায়ার এবং সিটিং পজিশন

ভালো নিয়ন্ত্রণ আর হ্যান্ডেলিং দেয়ার জন্য টিভিএস আরটিআর ১৬০ রেইস দাম-এর সাপেক্ষে বেশ ভালো সিটিং পজিশন ও বাইকের মাপ ভালোভাবে ডিজাইন করেছে। আরটিআর ১৬০-এর দৈর্ঘ্য ২০৮৫ মিমি, প্রস্থ ৭৩০ মিমি, এবং উচ্চতা ১১০৫ মিমি। স্ট্যান্ডার্ড এবং স্পোর্টস ক্যাটাগরির কম্বিনেশন হওয়ায় বাইকটির সিটিং পজিশন কিছুটা অ্যাগ্রেসিভ; লম্বা সময় রাইড করলে কোমর ব্যথা হতে পারে। ৭৯০ মিমি সিট হাইটের এই বাইকের সিটিং পজিশনটি সামগ্রিকভাবে আরামদায়ক, এবং রাইডারের সাথে একজন পিলিয়ন খুব আরামে বসতে পারবেন।

টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস ফিচার হিসেবে এর সুঠাম গড়নের জ্বালানি ট্যাংকটি ১৬ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি ধরে রাখতে পারে। বাইকটির হুইলবেইজ ১৩০০ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রাখা হয়েছে ১৬৫ মিমি। এছাড়াও টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস দাম-এর সাপেক্ষে বাইকটির ইঞ্জিনের সাথে এক জোড়া ইঞ্জিন গার্ড রয়েছে, যা দেখতে খুবই সুন্দর।

টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস রিভিউ-তে উল্লেখযোগ্য যে, বাইকটির সামনে ৯০/৯০ আর১৭ এবং পেছনে ১১০/৮০ আর১৭ সেকশনের টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির কার্ব ওজন ১৩৭ কেজি, যা এই সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকের চেয়ে একটু কম। আর তাই ১০০ কিমি প্রতি ঘন্টা স্পিড অতিক্রম করার পর বাইকটিতে কিছুটা ভাইব্রেশন অনুভব হতে পারে। তবে লেটেস্ট আপডেট হওয়া ভার্সনে এই ভাইব্রেশন আরো কমিয়ে আনা হয়েছে।

সাসপেনশন ও ব্রেক

TVS TVS Apache RTR 160 Race বাইকটির সাসপেনশনগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। সামনের চাকায় টেলিস্কপিক ফোর্কস এবং পেছনের চাকায় টুইন শকস সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। পেছনের সাসপেনশনটিকে মনোটিউব ইনভার্টেড গ্যাস-ফিলড (এমআইজি) শকসও বলা হয়, যার সাথে রয়েছে স্প্রিং এইড। সাসপেনশন উন্নত হওয়ায় বিভিন্ন রোড কন্ডিশনে আর লং রাইডে বাইক চালানোর সময় বেশ আরাম পাওয়া যাবে।

আরটিআর ১৬০ রেইস বাইকটির দু’টি ভ্যারিয়ান্ট রয়েছে, একটি রোটো পেটাল ডুয়াল ডিস্ক আর একটি সিঙ্গেল ডিস্ক–ড্রাম সেটআপ। সামনের ডিস্কটির ব্যাস ২৭০ মিমি এবং পেছনে একটি ২০০ মিমি ডিস্ক অথবা ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক থাকবে। আগে বাইকটিতে এবিএস ছিলো না; সম্প্রতি টিভিএস তাদের নতুন সুপার মোটো এবিএস সংযুক্ত করায় বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম বেশ উন্নত হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এই ব্রেকগুলো নিয়ে অনেক রাইডারই অভিযোগ তুলেছেন যে এগুলোর রেসপন্স ভালো পাচ্ছেন না।

আমরা টেস্ট রাইডের মাধ্যমে এই অভিযোগগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর দেখেছি, ব্রেকগুলো থেকে ভালো রেসপন্স পাওয়ার জন্য একজন রাইডারকে বাইকটির টায়ার প্রেশার ঠিক রাখতে হবে। আবার এটাও সত্যি যে, এরকম শক্তিশালী একটা বাইক অভিজ্ঞ রাইডার ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে। ক্লাচ ছেড়ে দিলে বাইকটি লাফ দেয়ার চেষ্টা করে, আর তাই এই দানবীয় মেশিনটি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া খুব জরুরি। এছাড়াও টায়ার প্রেশার বেশি থাকলে বাইকটির হাইড্রোলিক ব্রেক চেপে রাখা হলে সামনের চাকা পিছলে যেতে পারে। অতএব, এতটুকু ব্যাপার স্পষ্ট যে, আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ রাইডার হন তাহলে TVS Apache RTR 160 Race আপনার জন্য পারফেক্ট অপশন। নতুন কিংবা অনভিজ্ঞ রাইডারদের আপাতত এই বাইকটি এড়িয়ে চলা উচিত।

মাইলেজ

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের রাইডাররা ভালো স্পিডের মোটরসাইকেলের সাথে ভালো মাইলেজ পেয়ে অভ্যস্ত, এবং দু’টোই একটা বাইকে থাকা খুবই জরুরি। টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস ফিচার হিসেবে গড়ে এই বাইকটি প্রতি লিটারে ৪০-৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম। স্পোর্টস ক্যাটাগরির মোটরসাইকেলের জন্য এই মাইলেজ যথেষ্ট ভালো। এছাড়াও হাইওয়েতে আরটিআর ১৬০ বাইকটি দিয়ে আরো বেশি মাইলেজ তোলা সম্ভব। 

বেশ ভালো জ্বালানি দক্ষতার বাইক হওয়া সত্ত্বেও এটি দিয়ে ঘন্টায় প্রায় ১২০ কিমি টপ স্পিড তোলা যায় বলে রাইডাররা দাবি করেছেন। ম্যাট এডিশন ব্যবহারকারী কিছু রাইডারের দাবি যে তারা ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিমি পর্যন্ত টপ স্পিডও তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

ইলেকট্রিক্যাল প্যানেল ও ফিচার

টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস রিভিউ-এর সবশেষ অংশ বাইকটির ইলেকট্রিক্যাল প্যানেল নিয়ে, যেখানে বিভিন্ন লেটেস্ট এবং প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস ফিচার হিসেবে বাইকটির ইলেকট্রিক্যাল কনসোলের প্রায় পুরোটাই ডিজিটাল। এতে রয়েছে ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ট্রিপ মিটার, ওডোমিটার, ক্লক এবং ডিজিটাল ফুয়েল গেইজ, বলতে পারেন এই কনসোলের একমাত্র এনালগ অংশ হচ্ছে ট্যাকোমিটারটি। এছাড়াও এতে রয়েছে একটি ইঞ্জিন কিল সুইচ, লো ব্যাটারি ইনডিকেটর, পাস লাইটসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ফিচার। শুধুমাত্র একটা জিনিস এই বাইকে নেই, তা হলো গিয়ার পজিশন ইনডিকেটর।

TVS TVS Apache RTR 160 Race বাইকটির হেডলাইটটি বেশ বেসিক। সামনের হেডলাইটটি হ্যালোজেন টাইপ এবং পেছনে রয়েছে এলইডি টেইল-লাইট। বাইকটির অন্য ইনডিকেটরগুলোও এলইডি টাইপের। টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস দাম-এর সাপেক্ষে বাইকটির অনন্য একটা ফিচার হচ্ছে সামনে হেডলাইটের সাথে থাকা এলইডি ডিআরএল। অন্ধকারে এই ডিআরএলগুলো দানবের চোখের মত প্রখর মনে হয়।

কালার অপশন

রোটো পেটাল ডিস্ক ব্রেক, সুপার মোটো এবিএস এবং রেমোরা টায়ারের মত উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস দাম-এর মধ্যে বাইকটি আমাদের দেশের মোটরসাইকেল বাজারে তিনটি আকর্ষণীয় কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে। এই কালারগুলো হচ্ছে- ম্যাট ব্লু, গ্লস ব্ল্যাক, ম্যাট রেড। 

বাইকটি কাদের জন্য ভালো?

টিভিএস-এর একটি উন্নত এবং সতর্ক ডিজাইনের পারফরম্যান্স-ভিত্তিক বাইক হচ্ছে অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস বাইকটি। এই মোটরসাইকেলটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিশেষভাবে অভিজ্ঞ স্পোর্টস বাইকপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। তরুণ-হৃদয়ের যেকোনো বয়সী স্পোর্টস বাইকারদের সাথে মানানসই এই বাইকটি যেকোনো অ্যাগ্রেসিভ বাইকার ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন রাইডারদের জন্য এই বাইকের পাওয়ার আর স্পিড সব মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণ বেশ জটিল মনে হতে পারে। তাই অনভিজ্ঞ রাইডারদের আমরা এই বাইকটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিবো।

TVS Apache RTR 160 Race Pros সুবিধা

  • শক্তিশালী ইঞ্জিন
  • জ্বালানি দক্ষতা
  • সামনের সাসপেনশন মসৃণ
  • ভালো হ্যান্ডেলিং ও নিয়ন্ত্রণ
  • ওজনে হালকা

TVS Apache RTR 160 Race Cons অসুবিধা

  • ব্রেকিং সিস্টেম
  • হ্যালোজেন হেডলাইট
  • পেছনের চাকা

এক্সপার্ট অপিনিয়ন

8

Out of 10

আমাদের দেশের মোটরসাইকেল বাজারে টিভিএস-এর যতগুলো বাইক রয়েছে তার মধ্যে অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ মডেলটি তাদের সেরা প্রোডাক্ট। TVS Apache RTR 160 Race এডিশন দারুণ সব ফিচার আর উন্নত প্রযুক্তিতে ভরা একটি বাইক, যেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। বাংলাদেশে বাইকটির প্রতিদ্বন্দ্বীরা হচ্ছেঃ হিরো থ্রিলার ১৬০আর রিফ্রেশ, লিফান কেপি ১৬৫, হোন্ডা এক্স-ব্লেড ১৬০ এবিএস, বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ ইত্যাদি। বাংলাদেশে টিভিএস বাইকের দাম জানতে হলে চোখ রাখুন দেশের সেরা মোটরবাইক মার্কেটপ্লেস Bikroy-এ।

TVS Motor Company has launched the 2022 TVS Apache RTR 160 Race in the Bangladesh market. The latest iteration of the motorcycle is available in two variants: Drum-Disc and Dual Disc, and three color options: Gloss Black, Matte Red, and Matte Blue. The drum-disc variant is priced at BDT 200,990 and the Dual Disc with ABS version is priced at BDT 210,900. 

The TVS Apache RTR 160 is powered by a 159.7 cc BS6 engine which develops a power of 15.2 bhp and a torque of 13.1 Nm. With front disc and rear drum brakes, TVS Apache RTR 160 comes up with an anti-locking braking system. This Apache RTR 160 bike weighs 137 kg and has a fuel tank capacity of 16 liters.

The base model of TVS Apache RTR 160 Race uses a drum brake setup at the rear wheel and a single-channel supermoto ABS. The top version gets disc brakes on both ends along with single channel supermoto ABS. The top-of-the-line version further benefits from SmartXonnect technology with the voice assist function. The prices vary depending on the variant selected.

TVS Apache RTR 160 Race feature list now comprises of an LED headlight with LED DRL at the front instead of a halogen headlight on the old model. At the back, it gets a redesigned LED taillight. It has an X-ring chain and a wider 120mm rear tire, and is 2 kg lighter than its predecessor. The hardware includes telescopic front forks and twin springs to handle suspension tasks. Other features include a Bluetooth-enabled fully-digital instrument cluster with revised user interface, slipper clutch, dual-channel ABS, and three ride modes – Rain, Urban, and Sport.

The TVS TVS Apache RTR 160 Race rivals the Bajaj Pulsar NS160, Hero Thriller 160R Refresh, Lifan KP 165, Honda X-Blade 160 ABS etc.

TVS Apache RTR 160 Race Video Review


28 Aug, 2023 - রোটো পেটাল ডিস্ক ব্রেক, সুপার মোটো এবিএস এবং রেমোরা টায়ারের মত উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন TVS Apache RTR 160 Race রিভিউ। জানুন টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ রেইস দাম ও আকর্ষণীয় সব ফিচার সম্পর্কে।

Buy TVS Apache RTR 160 Racebikroy
TVS Apache RTR DD 2016 for Sale

TVS Apache RTR DD 2016

32,000 km
verified MEMBER
Tk 93,000
1 week ago
TVS Apache RTR DD TEN YEARS PAPERS 2019 for Sale

TVS Apache RTR DD TEN YEARS PAPERS 2019

15,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 138,000
2 weeks ago
TVS Apache RTR . 2012 for Sale

TVS Apache RTR . 2012

45,000 km
MEMBER
Tk 75,000
1 day ago
TVS Apache RTR D 2019 for Sale

TVS Apache RTR D 2019

25,000 km
verified MEMBER
Tk 105,000
1 month ago
TVS Apache RTR D 2016 for Sale

TVS Apache RTR D 2016

35,000 km
verified MEMBER
Tk 83,500
2 weeks ago
Buy Other Bikesbikroy
Yamaha FZS Brand New Condition 2022 for Sale

Yamaha FZS Brand New Condition 2022

8,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 208,000
4 days ago
TVS Raider 125 ফ্রেশ কন্ডিশন 2023 for Sale

TVS Raider 125 ফ্রেশ কন্ডিশন 2023

7,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 150,000
2 days ago
Bajaj Pulsar NS ABS Carburetor 2020 for Sale

Bajaj Pulsar NS ABS Carburetor 2020

16,400 km
MEMBER
Tk 148,000
1 month ago
+ Post an ad on Bikroy