বাইকে লং রাইডঃ প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ

29 Mar, 2023   
বাইকে লং রাইডঃ প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ

বাইকে লং রাইড, কে না পছন্দ করে? তবে দূর গন্তব্যে বাইকে করে ঘুরতে যাওয়ার যেমন সুবিধা রয়েছে, আবার তেমন অসুবিধাও রয়েছে। লং রাইড – এ যাওয়ার আগে নিতে হয় নানান প্রস্তুতি। কারণ, রাইডিং এর সময় অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন, ট্রিপের মাঝখানে বাইকের ইঞ্জিন খারাপ হতে পারে বা আপনি রাস্তা হারিয়ে ফেলতে পারেন, ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যেকোনো লং রাইডে যাওয়ার আগে সর্ব প্রথম আপনার প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতি। আতঙ্কে বা কোনো মানসিক কষ্টে ভুগছেন কিংবা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আছেন এমন পরিস্থিতিতে হুটহাট লং রাইড এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন না। কারণ, মানসিক অবস্থা খারাপ থাকলে বাইক চলাকালীন সময়ে আপনি যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন। শুধু তাই নয়, লং রাইডে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র রাখতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাইকের ফুয়েল চেক করা, বাইক সার্ভিসিং করা এবং সেফটি গিয়ার্স ব্যবহার করা। আপনার ট্রিপের মাঝখানে হঠাৎ বাইকের তেল শেষ হয়ে যেতে পারে কিংবা স্পার্ক প্লাগ বা ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরণের সমস্যা আপনার ট্রিপে যাওয়ার মজাটাই নষ্ট করে দিতে পারে। সুতরাং, আগে থেকেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বাইকে লং রাইড এ যাওয়ার সময় গতি ঠিক রেখে চললে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন না। দূর পথের যাত্রায় অনেকসময় চালকেরা দুর্বলতায় বা ডিহাইড্রেশনে ভুগে। এ সমস্যা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং খাবারের ডায়েট ঠিক রাখতে হবে।

নিজের নিরাপত্তার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন ফোনে সেট করে নিন এবং পরিবারকে আপনার লোকেশন সম্পর্কে আগে থেকে জানিয়ে রাখুন। অবশ্যই, ভ্রমণের দিন ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে সকাল বা ভোর বেলা যাত্রা শুরু করা উত্তম।

লং রাইড এ যাবার আগে আরও অনেক বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আজকে আমাদের আলোচনার করব বাইকে লং রাইড এর বিশেষ কিছু টিপস নিয়ে। আপনার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করার আগে এই টিপসগুলো কাজে আসবে আশা করি।

চালকদের সুবিধার্তে বিশেষ কয়েকটি লং রাইডে যাওয়ার টিপস:

  •  লং রাইডে যাওয়ার পূর্বে রাইডিং গিয়ার ব্যবহার করা প্রয়োজন

বন্ধুকে নিয়ে বাইকে লং রাইড এ যাবার পরিকল্পনা বেশ আনন্দের বিষয়। তবে নিজের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কিছু প্রস্তুতি নেওয়া আপনার জন্য দরকার। যেমন রাইডিং গিয়ার্স ব্যবহার করা খুবই জরুরি। একটি লম্বা বাইক জার্নি প্ল্যান করেছেন ঠিকই, কিন্তু এই জার্নিতে কি ধরণের সমস্যা হতে পারে তা আপনি নিশ্চিত না।

অতএব, লং রাইডে বের হবার আগে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে প্রোটেক্টিভ রাইডিং গিয়ার্স। রাইডিং গিয়ার এর মধ্যে থাকবে হেলমেট, সেফটি গার্ড, হ্যান্ড গ্লাভস, হাই-বুটস, রাইডিং এর জন্য উপযুক্ত জ্যাকেট ও প্যান্টস ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। এগুলো ব্যবহারে আপনি এবং আপনার পার্টনার নিরাপদ থাকবেন। রাস্তায় কখন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তা আগে থেকে বোঝার উপায় নেই। রাইডিং গিয়ার ব্যবহারে আপনি বেশি সুরক্ষিত অনুভব করবেন এবং নিশ্চিন্তে লং রাইডে যেতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

  • আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে রাখুন

বাইকে লং রাইড এ যাওয়ার আগে আপনার প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন।

বাইকের অফিসিয়াল কাগজপত্র, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ফার্স্ট এইড বক্স, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আপনার ব্যবহারের জিনিসপত্র, খাবার এবং পানির বোতল ইত্যাদি এ সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে নিতে ভুলবেন না। তবে খেয়াল রাখুন আপনার ব্যাগের ওজন যাতে বেশি না হয়। এতে বাইক রাইডিং এ প্রভাব ফেলবে।

  • লং রাইডে যাবার আগে বাইকের সার্ভিসিং করানো জরুরি

অবশ্যই লং রাইডে যাওয়ার আগে আপনার নিকটস্থ অভিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা বাইক সার্ভিসিং করিয়ে নিন। আপনার নিরাপত্তা নির্ভর করবে বাইক সার্ভিসিং করার উপরে। দীর্ঘ একটি বাইক জার্নিতে হঠাৎ আপনার বাইকের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তেল শেষ হয়ে যেতে পারে, স্পার্ক প্লাগ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে কিংবা টায়ার পাংচার হতে পারে। ইত্যাদি এরকম নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন রাস্তার মধ্যে। বাইকে আগে থেকে সমস্যা থাকলে লং রাইডে যাওয়ার সময় এরকম বিপদে পড়তে হয়। বাইকের প্রতিটি অটো পার্টস সচল আছে কি না তা লং রাইডে যাবার আগে পরীক্ষা করা উচিত। এতে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

সুতরাং, অনুমোদিত সার্ভিসিং সেন্টার থেকে একজন অভিজ্ঞ মেকানিক দিয়ে বাইক সার্ভিসিং করানো উচিত। লং রাইডে যাওয়ার আগে নিজের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাই বাইক সার্ভিসিং করানো আবশ্যক।

  •  মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন রাখতে ভুলবেন না

কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যদি লং রাইডে যেতে চান তাহলে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ আপনার মোবাইলে রাখতে ভুলবেন না। বাইকে মোবাইল হোল্ডার লাগিয়ে নিলে আপনার জন্য আরও সুবিধা হবে সহজেই দিক-নির্দেশনা পেতে। আপনার মোবাইলে চব্বিশ ঘন্টা ইন্টারনেট থাকবে এমন পরিমাণে ডাটা প্যাকেজ কিনে নিন।

ইন্টারনেটে থাকা গুগল ম্যাপের সাহায্যে আপনি সহজেই লোকেশন ট্রেস করতে পারবেন। এতে আপনার জার্নি সহজ হবে। অন্যদিকে, ইমার্জেন্সি যোগাযোগের জন্য ভিডিও কল করা যেতে পারে অ্যাপসের মাধ্যমে। আপনার লং জার্নিতে যোগাযোগ সুস্পষ্ট রাখতে ইন্টারনেট কানেকশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  •  নিরাপদ গতিতে বাইক চালান

বাইকের লম্বা জার্নিতে শরীর যেন ক্লান্ত না হয়ে যায় সেজন্যই একটি নির্দিষ্ট গতিতে এগিয়ে যেতে হবে। নিরাপদে নিজের গৌন্তব্যে পৌঁছাতে সাধারণ গতিতে বাইক চালান। এতে করে যাত্রা করার সময় অতিরিক্ত ক্লান্ত অনুভব হবে না।

বাইকে লং রাইড করার সময় হাইওয়েতে সাবধানে বাইক চালাতে হবে। কারণ, হাইওয়েতে রাইড করার সময় বাস অথবা ট্রাক বেশ দ্রুত গতিতে চলাচল করে। অতএব, হাইওয়েতে ওভারটেক করার সময় বাস ও ট্রাক থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। রাত হোক কিংবা দিন হোক, লং রাইডে চলাকালীন প্রতিটা মুহূর্তে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

মোটরসাইকেল মার্কেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন Bikroy.com এর ব্লগ সাইটে

  • বাইকে লং রাইড করার সময় মানসিক সুস্থতার প্রয়োজন

অভিজ্ঞ চালকেরা প্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে নতুন চালকদের সচেতন করেন। আর তা হলো, মেজাজ ঠান্ডা রেখে বাইক চালানোর পরামর্শ। এটা খুবই জরুরি একটা বিষয়

আপনি কোনো দুঃসংবাদ পেয়ে আতঙ্কে আছেন এমন পরিস্থিতিতে বাইক চালাতে গেলে রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন। ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আতঙ্কে বা মানসিক কষ্টে ভুগছেন এমন সময় বাইক রাইডিং এড়ানো উচিত। এভাবে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

অন্যদিকে, মাতাল অবস্থায় লং রাইডে বের হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মানুষ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মানসিক নিয়ন্ত্রণ খুব দ্রুত হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায়, লং রাইডে যাওয়ার মতো উপযুক্ত মানসিক অবস্থা থাকে না। তাই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এভাবে অনেক মাতাল চালকের মৃত্যুও হয়েছে। সুস্থ মনে ভ্রমণ করলে লং রাইড স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করা যায়।

  • বাইকে লং রাইড করতে খুব সকালে রওনা দিন

আমাদের দেশে ট্রাফিক জ্যামের সমস্যা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। যখন দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হবে তখন অবশ্যই কিছুটা সকালে রওনা দিলে আপনার জন্যই সুবিধা হবে। তখন ট্রাফিক জ্যাম তেমন একটা থাকে না। এতে করে রাত হবার আগেই আপনি আপনার গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছে যেতে পারবেন।

  • আপনার লোকেশন সম্পর্কে পরিবারকে জানিয়ে রাখুন

বাইকে লং রাইডে যাবার আগে পরিবার বা আত্মীয়স্বজনদের আপনার লোকেশন সম্পর্কে জানিয়ে রাখবেন। এতে করে হঠাৎ কোনো বিপদ আসলে তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।

যদি লোকেশন পরিবর্তন করেন তাহলে সেই ব্যাপারে পরিবারকে আপডেট জানাতে হবে। এতে করে আপনি রিল্যাক্স হয়ে আপনার লং রাইড উপভোগ করতে পারবেন এবং আপনার পরিবারও চিন্তামুক্ত থাকবে।

  • লং রাইড এ যাবার আগে বাইকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেট্রোল মজুদ রাখুন

লং ট্রিপ শুরু করার আগে আপনার বাইকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেট্রোল মজুদ রাখুন। এতে করে দীর্ঘ পথে চলতে গিয়ে বাইকে ফুয়েল শেষ হবার ঝামেলা থাকবে না।

  • লং ট্রিপে ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন

বেশ লম্বা দূরত্বের ট্রিপে যাওয়া এত সহজ নয়। অনেকেই লং ট্রিপে অসুস্থ হয়ে পড়ে কেউবা দুর্বল হয়ে যায় ভ্রমণের সময়। লম্বা যাত্রায় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সাধারণত বেশি দেখা দেয়। লং রাইডে পানির অভাবে আপনি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে। বিশেষ করে দিনের বেলা কড়া রোদে দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রা করলে আপনি সিভিয়ার ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারেন।

 সুতরাং, ভ্রমণের সময় যথেষ্ট হাইড্রেটেড থাকা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এবং নিরাপত্তার জন্য জরুরি)। এরকম পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

  •  শরীর সতেজ রাখতে লং ট্রিপের মাঝে বিরতি নিন

এক টানা বাইকে লং রাইড করলে আপনি দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। তাই খাবার ও পানির পাশাপাশি শরীরকে সতেজ রাখতে ট্রিপের মাঝখানে বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। আপনার বিশ্রাম হতে পারে আধা ঘন্টা বা দশ মিনিট। এর মধ্যে হালকা কিছু নাস্তা খেয়ে নিতে পারেন। তবে কিছু সময় বিরতি নিয়ে আবার বাইক রাইডিং শুরু করলে বেশ সতেজ অনুভব হয়। শরীর থেকে আগের ক্লান্তি ভাবটা দূর হয়ে যায়।

পরিশেষে

বাইকে লং রাইডে যাওয়া এক আনন্দের ব্যাপার। তবে আনন্দের এই যাত্রায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। লং রাইডে যাওয়ার আগে সঠিক পরিকল্পনা খুবই জরুরি। তবে সবচেয়ে জরুরি আপনার বাইকের ব্যাপারে সচেতন হওয়া। গন্তব্যের দিকে যাবার পথে আপনার বাইক হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেলে আপনার ট্রিপের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আপনার বাইক মেরামত করার মতো সাহায্য এভেইলেবেল নাও থাকতে পারে। সুতরাং, ট্রিপে যাওয়ার আগে বাইক সার্ভিসিং যথাযথভাবে সঠিক নিয়মে করিয়ে রাখুন ।

সেইফটি গিয়ার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এতে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। অবশ্যই, ধীর গতিতে বাইক চালাতে হবে লং ট্রিপে যাওয়ার সময়। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। লম্বা দূরত্বে ভ্রমণের আগে আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না। এবং যাত্রায় নিজেকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করুন।

এই ব্লগে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাইডে যাওয়ার টিপস নিয়ে আলোচনা করেছি। সঠিকভাবে এগুলো মেনে চললে আপনার যাত্রা শুভ হবে আশা করা যায়।

এই ব্লগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা

১. বাইকে লং ট্রিপে যেতে প্রয়োজনীয় কি কি জিনিস দরকার?

বাইকের অফিসিয়াল কাগজপত্র, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ফার্স্ট এইড বক্স, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আপনার ব্যবহারের জিনিসপত্র, খাবার এবং পানির বোতল ইত্যাদি এ সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস লং ট্রিপের জন্য দরকার।

২. বাইকে লং রাইড এর সময় স্বাস্থ্যের উপর কি ধরণের প্রভাব পরতে পারে?

লং ট্রিপের মাঝে হঠাৎ শরীর বেশি দুর্বল কিংবা বেশি ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে। আবার দিনের বেলা কড়া রোদে হিট স্ট্রোক হবার সম্ভাবনাও থাকে। এমন সময় নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা স্বাস্থ্যের জন্য খুব জরুরি। সুতরাং, লং ট্রিপের সময় ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করা প্রয়োজন।

৩. প্রোটেক্টিভ রাইডিং গিয়ার্সে কি কি থাকে এবং কেন এটা ব্যবহার করা জরুরি?

প্রোটেক্টিভ রাইডিং গিয়ার্স এর মধ্যে থাকে হেলমেট, সেফটি গার্ড, হ্যান্ড গ্লাভস, হাই-বুটস, রাইডিং এর জন্য উপযুক্ত জ্যাকেট ও প্যান্টস ইত্যাদি। রাইডিং গিয়ার্স ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

৪. লং ট্রিপে ইন্টারনেট কানেকশনের ভূমিকা কি ?

কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যদি লং রাইডে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন সেট করে নিন। গুগল ম্যাপের সাহায্যে আপনি সহজেই নতুন লোকেশন ট্রেস করতে পারবেন। এতে আপনার জার্নি সহজ হবে। অন্যদিকে, ইমার্জেন্সি যোগাযোগের জন্য ভিডিও কল করা যেতে পারে অ্যাপসের মাধ্যমে। আপনার লং জার্নিতে যোগাযোগ সুস্পষ্ট রাখতে ইন্টারনেট কানেকশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাইকে লং রাইড, কে না পছন্দ করে? তবে দূর গন্তব্যে বাইকে করে ঘুরতে যাওয়ার যেমন সুবিধা রয়েছে, আবার তেমন অসুবিধাও রয়েছে। লং রাইড – এ যাওয়ার আগে নিতে হয় নানান প্রস্তুতি। কারণ, রাইডিং এর সময় অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন, ট্রিপের মাঝখানে বাইকের ইঞ্জিন খারাপ হতে পারে বা আপনি রাস্তা হারিয়ে ফেলতে পারেন, ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যেকোনো লং রাইডে যাওয়ার আগে সর্ব প্রথম আপনার প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতি। আতঙ্কে বা কোনো মানসিক কষ্টে ভুগছেন কিংবা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আছেন এমন পরিস্থিতিতে হুটহাট লং রাইড এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিবেন না। কারণ, মানসিক অবস্থা খারাপ থাকলে বাইক চলাকালীন সময়ে আপনি যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন। শুধু তাই নয়, লং রাইডে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র রাখতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাইকের ফুয়েল চেক করা, বাইক সার্ভিসিং করা এবং সেফটি গিয়ার্স ব্যবহার করা। আপনার ট্রিপের মাঝখানে হঠাৎ বাইকের তেল শেষ হয়ে যেতে পারে কিংবা স্পার্ক প্লাগ বা ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই ধরণের সমস্যা আপনার ট্রিপে যাওয়ার মজাটাই নষ্ট করে দিতে পারে। সুতরাং, আগে থেকেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

বাইকে লং রাইড এ যাওয়ার সময় গতি ঠিক রেখে চললে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন না। দূর পথের যাত্রায় অনেকসময় চালকেরা দুর্বলতায় বা ডিহাইড্রেশনে ভুগে। এ সমস্যা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং খাবারের ডায়েট ঠিক রাখতে হবে।

নিজের নিরাপত্তার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন ফোনে সেট করে নিন এবং পরিবারকে আপনার লোকেশন সম্পর্কে আগে থেকে জানিয়ে রাখুন। অবশ্যই, ভ্রমণের দিন ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে সকাল বা ভোর বেলা যাত্রা শুরু করা উত্তম।

লং রাইড এ যাবার আগে আরও অনেক বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আজকে আমাদের আলোচনার করব বাইকে লং রাইড এর বিশেষ কিছু টিপস নিয়ে। আপনার গন্তব্যে যাত্রা শুরু করার আগে এই টিপসগুলো কাজে আসবে আশা করি।

চালকদের সুবিধার্তে বিশেষ কয়েকটি লং রাইডে যাওয়ার টিপস:

  •  লং রাইডে যাওয়ার পূর্বে রাইডিং গিয়ার ব্যবহার করা প্রয়োজন

বন্ধুকে নিয়ে বাইকে লং রাইড এ যাবার পরিকল্পনা বেশ আনন্দের বিষয়। তবে নিজের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ কিছু প্রস্তুতি নেওয়া আপনার জন্য দরকার। যেমন রাইডিং গিয়ার্স ব্যবহার করা খুবই জরুরি। একটি লম্বা বাইক জার্নি প্ল্যান করেছেন ঠিকই, কিন্তু এই জার্নিতে কি ধরণের সমস্যা হতে পারে তা আপনি নিশ্চিত না।

অতএব, লং রাইডে বের হবার আগে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে প্রোটেক্টিভ রাইডিং গিয়ার্স। রাইডিং গিয়ার এর মধ্যে থাকবে হেলমেট, সেফটি গার্ড, হ্যান্ড গ্লাভস, হাই-বুটস, রাইডিং এর জন্য উপযুক্ত জ্যাকেট ও প্যান্টস ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। এগুলো ব্যবহারে আপনি এবং আপনার পার্টনার নিরাপদ থাকবেন। রাস্তায় কখন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তা আগে থেকে বোঝার উপায় নেই। রাইডিং গিয়ার ব্যবহারে আপনি বেশি সুরক্ষিত অনুভব করবেন এবং নিশ্চিন্তে লং রাইডে যেতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

  • আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে রাখুন

বাইকে লং রাইড এ যাওয়ার আগে আপনার প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র গুছিয়ে নিন।

বাইকের অফিসিয়াল কাগজপত্র, পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ফার্স্ট এইড বক্স, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আপনার ব্যবহারের জিনিসপত্র, খাবার এবং পানির বোতল ইত্যাদি এ সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে নিতে ভুলবেন না। তবে খেয়াল রাখুন আপনার ব্যাগের ওজন যাতে বেশি না হয়। এতে বাইক রাইডিং এ প্রভাব ফেলবে।

  • লং রাইডে যাবার আগে বাইকের সার্ভিসিং করানো জরুরি

অবশ্যই লং রাইডে যাওয়ার আগে আপনার নিকটস্থ অভিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা বাইক সার্ভিসিং করিয়ে নিন। আপনার নিরাপত্তা নির্ভর করবে বাইক সার্ভিসিং করার উপরে। দীর্ঘ একটি বাইক জার্নিতে হঠাৎ আপনার বাইকের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তেল শেষ হয়ে যেতে পারে, স্পার্ক প্লাগ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে কিংবা টায়ার পাংচার হতে পারে। ইত্যাদি এরকম নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন রাস্তার মধ্যে। বাইকে আগে থেকে সমস্যা থাকলে লং রাইডে যাওয়ার সময় এরকম বিপদে পড়তে হয়। বাইকের প্রতিটি অটো পার্টস সচল আছে কি না তা লং রাইডে যাবার আগে পরীক্ষা করা উচিত। এতে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

সুতরাং, অনুমোদিত সার্ভিসিং সেন্টার থেকে একজন অভিজ্ঞ মেকানিক দিয়ে বাইক সার্ভিসিং করানো উচিত। লং রাইডে যাওয়ার আগে নিজের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাই বাইক সার্ভিসিং করানো আবশ্যক।

  •  মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন রাখতে ভুলবেন না

কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যদি লং রাইডে যেতে চান তাহলে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ আপনার মোবাইলে রাখতে ভুলবেন না। বাইকে মোবাইল হোল্ডার লাগিয়ে নিলে আপনার জন্য আরও সুবিধা হবে সহজেই দিক-নির্দেশনা পেতে। আপনার মোবাইলে চব্বিশ ঘন্টা ইন্টারনেট থাকবে এমন পরিমাণে ডাটা প্যাকেজ কিনে নিন।

ইন্টারনেটে থাকা গুগল ম্যাপের সাহায্যে আপনি সহজেই লোকেশন ট্রেস করতে পারবেন। এতে আপনার জার্নি সহজ হবে। অন্যদিকে, ইমার্জেন্সি যোগাযোগের জন্য ভিডিও কল করা যেতে পারে অ্যাপসের মাধ্যমে। আপনার লং জার্নিতে যোগাযোগ সুস্পষ্ট রাখতে ইন্টারনেট কানেকশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  •  নিরাপদ গতিতে বাইক চালান

বাইকের লম্বা জার্নিতে শরীর যেন ক্লান্ত না হয়ে যায় সেজন্যই একটি নির্দিষ্ট গতিতে এগিয়ে যেতে হবে। নিরাপদে নিজের গৌন্তব্যে পৌঁছাতে সাধারণ গতিতে বাইক চালান। এতে করে যাত্রা করার সময় অতিরিক্ত ক্লান্ত অনুভব হবে না।

বাইকে লং রাইড করার সময় হাইওয়েতে সাবধানে বাইক চালাতে হবে। কারণ, হাইওয়েতে রাইড করার সময় বাস অথবা ট্রাক বেশ দ্রুত গতিতে চলাচল করে। অতএব, হাইওয়েতে ওভারটেক করার সময় বাস ও ট্রাক থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। রাত হোক কিংবা দিন হোক, লং রাইডে চলাকালীন প্রতিটা মুহূর্তে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

মোটরসাইকেল মার্কেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন Bikroy.com এর ব্লগ সাইটে

  • বাইকে লং রাইড করার সময় মানসিক সুস্থতার প্রয়োজন

অভিজ্ঞ চালকেরা প্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে নতুন চালকদের সচেতন করেন। আর তা হলো, মেজাজ ঠান্ডা রেখে বাইক চালানোর পরামর্শ। এটা খুবই জরুরি একটা বিষয়

আপনি কোনো দুঃসংবাদ পেয়ে আতঙ্কে আছেন এমন পরিস্থিতিতে বাইক চালাতে গেলে রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন। ফলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আতঙ্কে বা মানসিক কষ্টে ভুগছেন এমন সময় বাইক রাইডিং এড়ানো উচিত। এভাবে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

অন্যদিকে, মাতাল অবস্থায় লং রাইডে বের হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মানুষ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মানসিক নিয়ন্ত্রণ খুব দ্রুত হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায়, লং রাইডে যাওয়ার মতো উপযুক্ত মানসিক অবস্থা থাকে না। তাই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এভাবে অনেক মাতাল চালকের মৃত্যুও হয়েছে। সুস্থ মনে ভ্রমণ করলে লং রাইড স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করা যায়।

  • বাইকে লং রাইড করতে খুব সকালে রওনা দিন

আমাদের দেশে ট্রাফিক জ্যামের সমস্যা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। যখন দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হবে তখন অবশ্যই কিছুটা সকালে রওনা দিলে আপনার জন্যই সুবিধা হবে। তখন ট্রাফিক জ্যাম তেমন একটা থাকে না। এতে করে রাত হবার আগেই আপনি আপনার গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছে যেতে পারবেন।

  • আপনার লোকেশন সম্পর্কে পরিবারকে জানিয়ে রাখুন

বাইকে লং রাইডে যাবার আগে পরিবার বা আত্মীয়স্বজনদের আপনার লোকেশন সম্পর্কে জানিয়ে রাখবেন। এতে করে হঠাৎ কোনো বিপদ আসলে তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।

যদি লোকেশন পরিবর্তন করেন তাহলে সেই ব্যাপারে পরিবারকে আপডেট জানাতে হবে। এতে করে আপনি রিল্যাক্স হয়ে আপনার লং রাইড উপভোগ করতে পারবেন এবং আপনার পরিবারও চিন্তামুক্ত থাকবে।

  • লং রাইড এ যাবার আগে বাইকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেট্রোল মজুদ রাখুন

লং ট্রিপ শুরু করার আগে আপনার বাইকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেট্রোল মজুদ রাখুন। এতে করে দীর্ঘ পথে চলতে গিয়ে বাইকে ফুয়েল শেষ হবার ঝামেলা থাকবে না।

  • লং ট্রিপে ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন

বেশ লম্বা দূরত্বের ট্রিপে যাওয়া এত সহজ নয়। অনেকেই লং ট্রিপে অসুস্থ হয়ে পড়ে কেউবা দুর্বল হয়ে যায় ভ্রমণের সময়। লম্বা যাত্রায় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা সাধারণত বেশি দেখা দেয়। লং রাইডে পানির অভাবে আপনি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে। বিশেষ করে দিনের বেলা কড়া রোদে দীর্ঘ সময় ধরে যাত্রা করলে আপনি সিভিয়ার ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারেন।

 সুতরাং, ভ্রমণের সময় যথেষ্ট হাইড্রেটেড থাকা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এবং নিরাপত্তার জন্য জরুরি)। এরকম পরিস্থিতি এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।

  •  শরীর সতেজ রাখতে লং ট্রিপের মাঝে বিরতি নিন

এক টানা বাইকে লং রাইড করলে আপনি দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। তাই খাবার ও পানির পাশাপাশি শরীরকে সতেজ রাখতে ট্রিপের মাঝখানে বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। আপনার বিশ্রাম হতে পারে আধা ঘন্টা বা দশ মিনিট। এর মধ্যে হালকা কিছু নাস্তা খেয়ে নিতে পারেন। তবে কিছু সময় বিরতি নিয়ে আবার বাইক রাইডিং শুরু করলে বেশ সতেজ অনুভব হয়। শরীর থেকে আগের ক্লান্তি ভাবটা দূর হয়ে যায়।

পরিশেষে

বাইকে লং রাইডে যাওয়া এক আনন্দের ব্যাপার। তবে আনন্দের এই যাত্রায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। লং রাইডে যাওয়ার আগে সঠিক পরিকল্পনা খুবই জরুরি। তবে সবচেয়ে জরুরি আপনার বাইকের ব্যাপারে সচেতন হওয়া। গন্তব্যের দিকে যাবার পথে আপনার বাইক হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেলে আপনার ট্রিপের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আপনার বাইক মেরামত করার মতো সাহায্য এভেইলেবেল নাও থাকতে পারে। সুতরাং, ট্রিপে যাওয়ার আগে বাইক সার্ভিসিং যথাযথভাবে সঠিক নিয়মে করিয়ে রাখুন ।

সেইফটি গিয়ার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এতে আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। অবশ্যই, ধীর গতিতে বাইক চালাতে হবে লং ট্রিপে যাওয়ার সময়। এতে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। লম্বা দূরত্বে ভ্রমণের আগে আপনার ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না। এবং যাত্রায় নিজেকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করুন।

এই ব্লগে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাইডে যাওয়ার টিপস নিয়ে আলোচনা করেছি। সঠিকভাবে এগুলো মেনে চললে আপনার যাত্রা শুভ হবে আশা করা যায়।

Similar Advices



Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Buy New Bikesbikroy
Suzuki Gixxer SF V4 Fi Abs 2024 for Sale

Suzuki Gixxer SF V4 Fi Abs 2024

3,100 km
verified MEMBER
verified
Tk 323,000
12 hours ago
Yamaha FZS . 2022 for Sale

Yamaha FZS . 2022

17,900 km
verified MEMBER
Tk 185,000
14 hours ago
TVS Stryker ২০২০ 2020 for Sale

TVS Stryker ২০২০ 2020

14,000 km
verified MEMBER
Tk 86,000
15 hours ago
GB-Padma-Gold (Blue) 2023 for Sale

GB-Padma-Gold (Blue) 2023

0 km
verified MEMBER
Tk 70,000
1 day ago
Buy Used Bikesbikroy
Honda Livo 2019 for Sale

Honda Livo 2019

65,000 km
MEMBER
Tk 84,500
7 minutes ago
Zongshen ZS 2003 for Sale

Zongshen ZS 2003

30,000 km
MEMBER
Tk 24,000
21 minutes ago
Walton Fusion . 2011 for Sale

Walton Fusion . 2011

50,000 km
MEMBER
Tk 25,000
1 hour ago
TVS Apache RTR Red 2019 for Sale

TVS Apache RTR Red 2019

45,000 km
MEMBER
Tk 120,000
3 hours ago
Bajaj Discover 125 Black- Red 2021 for Sale

Bajaj Discover 125 Black- Red 2021

22,565 km
verified MEMBER
verified
Tk 85,000
5 hours ago
+ Post an ad on Bikroy