বাইক ওভারটেকিং করার সঠিক ১০টি উপায়ঃ রাইডিং হোক নিরাপদ

29 Mar, 2023   
বাইক ওভারটেকিং করার সঠিক ১০টি উপায়ঃ রাইডিং হোক নিরাপদ

বাইক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এমন অনেক মানুষই রয়েছে আমাদের দেশে। এর একটি বড় কারণ হলো চালকেরা রাস্তায় ওভারটেকিং করতে প্রায় সময়ই প্রতিযোগিতা লাগায়। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নিরপরাধ যাত্রীরা। প্রতি বছর বহু মানুষের নির্মমভাবে মৃত্যু হয় এই বাইক ওভারটেকিং এর কারণে। 

তবে, ওভারটেকিং করার সঠিক নিয়ম জানা থাকলে পথে বড় কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। দৈনন্দিন যাতায়াতে বাইক যেমন আপনার জন্য প্রয়োজনীয় তেমনি বাইকটি চালানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাইকের পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে প্রয়োজন বাইকের সঠিক যত্ন। ঠিক সেভাবে, মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজন যত্নসহকারে নিরাপদে বাইক চালানো।

সুতরাং, চালানোর সময় মোটেই তাড়াহুড়ো করে স্পিড বাড়ানো যাবে না। বিশেষ করে, দ্রুতগতিতে ওভারটেকিং করা একদমই উচিত নয়। 

দুর্ঘটনার সাথে ভাগ্যের ব্যাপার তো আছেই কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক নিয়মে বাইক চালাতে জানা। একজন এক্সপার্ট জানে মোটরসাইকেল কিভাবে সাবধানে চালাতে হয়। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে থাকলেই নিরাপদ বাইক রাইডিং নিশ্চিত করা যায় না। 

এর জন্য দরকার বাইক রাইডিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা। আমাদের দেশে এমন অনেক তরুণ যুবক আছেন যাদের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে তবে বাইক চালানোর সঠিক প্রশিক্ষণ নেই। এদের ড্রাইভিং এর দক্ষতা যাচাই করার মতো সিস্টেম আমাদের দেশে এখনও এত নিখুঁত নয়। অভিজ্ঞতার অভাবে দিন শেষে দেখা যাচ্ছে এরাই রাস্তায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটায়। 

ওভারটেকিং কখন করা উচিত নয়, কিংবা স্পিড কখন বা কিভাবে ঠিক রাখতে হবে, এসমস্ত ব্যাপারে সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া আবশ্যক। ধৈর্য্য নিয়ে বাইক চালানোর ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক হতে হবে সকল বাইকারদের। একমাত্র এই ধৈর্য্য না থাকার কারণেই বেশিরভাগ চালকেরাই হুটহাট ওভারটেক করে বসে। এর ফলে নানারকম দুর্ঘটনা ঘটছে, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে আসার আগেই একজন বাইক চালককে অবশ্যই সর্বনিম্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে।

নিরাপদ বাইক রাইডিং ও ওভারটেকিং কিভাবে নিশ্চিত করবেন

রাস্তার পরিস্থিতি যেরকমই হোক না কেন, একজন দায়িত্ববান রাইডার হিসেবে আপনার উচিত সাবধানে ওভারটেক করা। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে এবং টাইমিং বুঝে নিরাপদে ওভারটেক করা। আতঙ্কিত হয়ে বাইক চালালে বা ওভারটেক করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

বাইক ওভারটেকিং করার সঠিক নিয়মকানুন সম্পর্কে সকল রাইডারদের ভালমতো জানা প্রয়োজন। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

 নিরাপদ বাইক রাইডিং ওভারটেকিং কিভাবে নিশ্চিত করবেন আসুন তা জেনে নেওয়া যাক –

বাইক ওভারটেকিং করার সঠিক ১০টি উপায়

১. ওভারটেকিং করার সময় সতর্ক হওয়া 

ওভারটেক করার সময় অবশ্যই আপনার সামনের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। বিশেষ করে, বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িরগুলোর দিকে নজর রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনার স্পিড নিয়ন্ত্রণে আছে কি না খেয়াল রাখবেন। আপনার সামনের গাড়িটির খুব কাছে এসে হটাৎ জোরে টার্ন নিয়ে ওভারটেক করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটবে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া, আপনার আশেপাশে থাকা রিকশা, গাড়ি বা বাসের সাথে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সাবধানে ওভারটেক করতে হবে। 

২. ওভারটেকিং করতে হর্ণ বা পাস লাইট ব্যবহার করুন

বাইক চালানোর সময় যদি দেখেন আপনার সামনে থাকা রিকশা বা গাড়িটিকে ওভারটেক করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, তবে হর্ণ দিয়ে তাকে সিগনাল দিন। হর্ন দেবার পাশাপাশি পাস লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে সামনের গাড়ি চালক সতর্ক হয়ে যাবে। এছাড়াও, ইন্ডিকেটর লাইট ব্যবহার করা উত্তম। খেয়াল রাখবেন, আপনার সামনে সেই চালক যদি তার চালানোর গতি কিছুটা কমিয়ে দেয়, ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে সাবধানে ওভারটেকিং করতে পারেন। 

৩. সুযোগ বুঝে ঠিক সময়ে ওভারটেকিং করুন 

সুযোগ বুঝে এবং বাইকের গতি ঠিক রেখে ওভারটেকিং করা ভালো। এক্ষেত্রে বাইকের গিয়ার কমিয়ে নেওয়া উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন, ওভারটেক করতে বেশি সময় নেওয়া যাবে না। বেশি সময় নিলে আবার দেখা যাবে অন্য কোন গাড়ি এসে জায়গাটি ব্লক করে দিয়েছে।

এর ফলে ধাক্কা লেগে যেকোন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সুযোগ বুঝে এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত ওভারটেক করা নিরাপদ। 

৪. যানবাহন বেশি থাকলে ওভারটেক যেভাবে করবেন 

অনেক যানবাহন চলাচল করছে এমন অবস্থায় ওভারটেকিং বেশি না করাই উত্তম। এত যানবাহন থাকার ফলে ওভারটেক করার যথেষ্ট পরিমান জায়গা ও সময় থাকে না। ফলে দুর্ঘটনা হতে পারে। যেখানে যানবাহন বেশি চলাচল হচ্ছে এমন জায়গায় নিজের বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। এমতাবস্থায়, নিরাপদে বাইক ওভারটেক করতে সাবধান থাকতে হবে। তবে সামনে চলার প্রতিযোগিতা করতে জোর করে ওভারটেক করার চেষ্টা কখনই করা যাবে না। 

৫. বাইক ওভারটেকিং এর সময় রিয়ার ভিউ গ্লাসে নজর দিন 

আপনি ওভারটেক করতে যাচ্ছেন এমন সময় অন্য কোন বাইকও পিছন থেকে আপনাকে ওভারটেক করার চেষ্টা করতে পারে। তাই অবশ্যই, রিয়ার ভিউ গ্লাসে বিশেষ নজর রাখবেন যখনই ওভারটেক করতে যাবেন। খেয়াল রাখবেন, যে গাড়িকে ওভারটেক করছেন তার ড্রাইভার যেন আপনার উপস্থিতি টের পায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি বেশ জরুরি। 

৬. বেশি ওজন বহনে ওভারটেকিং এ প্রভাব পরে

বাইক চালকের সাথে কোন সহযাত্রী থাকলে বা অতিরিক্ত ওজন বহন করলে এর প্রভাব বাইকের পারফরম্যান্সের উপর এসে পরে। এক্ষেত্রে, বাইকের স্পিড কমে যায়।

এমতাবস্থায়, ওভারটেকিং করতে বা ব্রেক করতে খানিকটা বেশি সময় লাগে। সুতরাং, অতিরিক্ত ওজন বহন করলে সেই হিসেবে সাবধানে বাইক ওভারটেক করবেন।

৭. বড় ট্রাক বা বাস ওভারটেকিং করতে সাবধান 

সাধারণত ট্রাক বা বাস বেশ দ্রুত গতিতে রাস্তায় চলাচল করে। তাই ছোট যানবাহনগুলো এদের ওভারটেক করার তেমন একটা সুযোগ পায় না। তবে বেশ কিছু বাইকাররা, রিকশা বা গাড়ি চালকেরা আছেন যারা স্পিড বাড়িয়ে বড় ট্রাক বা বাসকে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন। এতে অনেক ক্ষেত্রে তারা দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা আবশ্যক। বড় যানবাহনগুলোর সাথে ওভারটেকিং বিপজ্জনক হতে পারে। এতে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। 

৮. গলিপথে ওভারটেকিং আপনার জন্য বিপজ্জনক

গলিপথে জায়গা কম থাকার বাইক ওভারটেকিং আপনার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। গলিপথগুলো সাধারণত উঁচু নিচু হয়ে থাকে, তাই এমন সময় বাইকের গতি বাড়িয়ে ওভারটেক করার চেষ্টা করলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। উঁচু নিচু পথ থাকার কারণে আপনার বাইকেরও ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, গলিপথগুলোতে জায়গা সীমিত থাকে, তাই এমন অবস্থায় ওভারটেক করলে সেটি আপনার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। 

৯. উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির দিকে খেয়াল রাখতে হবে

ওভারটেকিং করার সময় উল্টো পাশ থেকে কোন গাড়ি দ্রুত আসছে কি না সে ব্যাপারে নজর দিন। যখন দুটো বা তিনটি বাইক বা গাড়ি একই সাথে ওভারটেকিং এর চেষ্টা করে, তখন মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক। 

বাইক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং বাইকের দাম সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন বাইকস গাইডএ।

১০. মানসিক অস্থিরতা, মাদক সেবন বা মদ্যপান করা অবস্থায় বাইক চালানো আইনগত অপরাধ

যারা নিয়মিত মাদক সেবন বা মদ্যপান করে থাকে তাদের জন্য বাইক চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ। তারা যেন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কোনভাবেই বাইক চালানোর চেষ্টা না করে। মাতাল অবস্থায় মানুষ স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ফলে বাইক চালানোর সময় অধৈর্য্য হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মাতাল অবস্থায় কিছু বাইক চালকেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং করে বসে। এভাবে বহু মাতাল চালকের অকালে মৃত্যু ঘটেছে এবং ঘটছে। অন্যদিকে, মানসিক অস্থিরতা নিয়ে বাইক চালানো একদমই উচিত নয়।

কোন কারণে রেগে আছেন বা মানসিক কষ্টে ভুগছেন এমতাবস্থায় হুটহাট ওভারটেকিং করলে ভয়াবহ রকমের মৃত্যু ঘটতে পারে। অতএব, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বা মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকাকালীন বাইক চালানো বা ওভারটেকিং করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে এই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখুন। 

ওভারটেকিং করুন সাবধানে ও রাইডিং হোক নিরাপদে

আমাদের দেশে এমন চালকেরাও আছে যারা বাইক ওভারটেকিং কে এক প্রকার প্রতিযোগিতা মনে করে। বিশেষ করে সেসব যুবকেরা, যারা নতুন নতুন বাইক চালানো শিখেছে। আবার এমনও চালকেরা আছে যাদের ধৈর্য্য অনেক কম। এরাই বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত স্পিড বাড়িয়ে বাইক ওভারটেকিং করে।

সাবধানে বাইক চালানো একটি বড় দায়িত্ব, কোন প্রতিযোগিতা নয়। একটি রাইডারকে অবশ্যই দায়িত্বশীল ও ধৈর্য্যশীল হতে হবে ওভারটেক করার সময়। 

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ভালো বাইক রাইডিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করা। নিরাপদে মোটরসাইকেল চালাতে হলে আপনার প্রয়োজন বেশি করে প্র্যাক্টিস করা। বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা আপনার যত বেশি হবে, আপনার ওভারটেকিং স্টাইল ততই ভাল হতে থাকবে। এরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করা শুধু সময়ের ব্যাপার। 

আমাদের দেশের বাজারে বাইকের দরদাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে Bikroy.com এ একবার ঘুরে আসুন। এখানে বাইক প্রেমীদের জন্যে প্রচুর অপশনস। 

বাইক ওভারটেকিং সম্পর্কে জিজ্ঞাসা

১. বাইক ওভারটেকিং এর ক্ষেত্রে মানসিক প্রস্তুতি কতটা জরুরি?

আতঙ্কিত হয়ে বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালানো বা ওভারটেক করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নিরাপদ বাইক রাইডিং নিশ্চিত করতে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা জরুরি। 

২. ওভারটেকিং এর সময় রিয়ার ভিউ মিরর ব্যবহার করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাইক ওভারটেকিং করার আগে লক্ষ্য রাখবেন আপনার পিছন থেকে কোনো যানবাহন আসছে কি না। আপনার পিছনে থাকা যানবাহনটি কত দ্রুত আপনাকে ওভারটেক করতে আসছে সেটা বুঝতে লুকিং গ্লাস বা রিয়ার ভিউ মিরর ব্যবহার করুন। 

৩. ওভারটেকিং এর সময় সাধারণত কি রকম সিগন্যাল ব্যবহার করা হয় ?

ওভারটেকিং করার সময় ঠিক মতো সিগন্যাল না দিলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্যে, সিগন্যাল দিতে সাধারণত বাইকারেরা ব্যবহার করে ইন্ডিকেটর, পাস লাইট এবং হর্ণ। 

৪. ওভারটেকিং করার সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে হয় কেন ?

হুটহাট ওভারটেকিং করলে যেকোনো সময় বিপজ্জনক পরিস্থিতি আসতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে ওভারটেক করার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে আপনার আশেপাশে থাকা বাস, ট্রাক অথবা গাড়ির সাথে যথাযথ দূরত্ব রেখে নিরাপদে ওভারটেক করুন। 

৫. অতিরিক্ত ওজন বহন করলে বাইক ওভারটেকিং এ কেমন প্রভাব পড়ে ?

আপনার বাইকের পিছনে সহযাত্রী বসলে বা বেশি ওজনের মাল বহন করলে, বাইকের গতি কমে যায়। ফলে ওভারটেক করতে বেশি সময় লাগে। সঠিক সময়ে এবং ঠিক গতিতে ওভারটেক না করতে পারলে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। তাই বেশি ওজন বহন করে ওভারটেক করা নিরাপদ নয়। 

বাইক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন এমন অনেক মানুষই রয়েছে আমাদের দেশে। এর একটি বড় কারণ হলো চালকেরা রাস্তায় ওভারটেকিং করতে প্রায় সময়ই প্রতিযোগিতা লাগায়। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে নিরপরাধ যাত্রীরা। প্রতি বছর বহু মানুষের নির্মমভাবে মৃত্যু হয় এই বাইক ওভারটেকিং এর কারণে। 

তবে, ওভারটেকিং করার সঠিক নিয়ম জানা থাকলে পথে বড় কোনো দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। দৈনন্দিন যাতায়াতে বাইক যেমন আপনার জন্য প্রয়োজনীয় তেমনি বাইকটি চালানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাইকের পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে প্রয়োজন বাইকের সঠিক যত্ন। ঠিক সেভাবে, মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজন যত্নসহকারে নিরাপদে বাইক চালানো।

সুতরাং, চালানোর সময় মোটেই তাড়াহুড়ো করে স্পিড বাড়ানো যাবে না। বিশেষ করে, দ্রুতগতিতে ওভারটেকিং করা একদমই উচিত নয়। 

দুর্ঘটনার সাথে ভাগ্যের ব্যাপার তো আছেই কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিক নিয়মে বাইক চালাতে জানা। একজন এক্সপার্ট জানে মোটরসাইকেল কিভাবে সাবধানে চালাতে হয়। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে থাকলেই নিরাপদ বাইক রাইডিং নিশ্চিত করা যায় না। 

এর জন্য দরকার বাইক রাইডিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা। আমাদের দেশে এমন অনেক তরুণ যুবক আছেন যাদের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে তবে বাইক চালানোর সঠিক প্রশিক্ষণ নেই। এদের ড্রাইভিং এর দক্ষতা যাচাই করার মতো সিস্টেম আমাদের দেশে এখনও এত নিখুঁত নয়। অভিজ্ঞতার অভাবে দিন শেষে দেখা যাচ্ছে এরাই রাস্তায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটায়। 

ওভারটেকিং কখন করা উচিত নয়, কিংবা স্পিড কখন বা কিভাবে ঠিক রাখতে হবে, এসমস্ত ব্যাপারে সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া আবশ্যক। ধৈর্য্য নিয়ে বাইক চালানোর ব্যাপারে একটু বেশি সতর্ক হতে হবে সকল বাইকারদের। একমাত্র এই ধৈর্য্য না থাকার কারণেই বেশিরভাগ চালকেরাই হুটহাট ওভারটেক করে বসে। এর ফলে নানারকম দুর্ঘটনা ঘটছে, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে আসার আগেই একজন বাইক চালককে অবশ্যই সর্বনিম্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে।

নিরাপদ বাইক রাইডিং ও ওভারটেকিং কিভাবে নিশ্চিত করবেন

রাস্তার পরিস্থিতি যেরকমই হোক না কেন, একজন দায়িত্ববান রাইডার হিসেবে আপনার উচিত সাবধানে ওভারটেক করা। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে এবং টাইমিং বুঝে নিরাপদে ওভারটেক করা। আতঙ্কিত হয়ে বাইক চালালে বা ওভারটেক করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

বাইক ওভারটেকিং করার সঠিক নিয়মকানুন সম্পর্কে সকল রাইডারদের ভালমতো জানা প্রয়োজন। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

 নিরাপদ বাইক রাইডিং ওভারটেকিং কিভাবে নিশ্চিত করবেন আসুন তা জেনে নেওয়া যাক –

বাইক ওভারটেকিং করার সঠিক ১০টি উপায়

১. ওভারটেকিং করার সময় সতর্ক হওয়া 

ওভারটেক করার সময় অবশ্যই আপনার সামনের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। বিশেষ করে, বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িরগুলোর দিকে নজর রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনার স্পিড নিয়ন্ত্রণে আছে কি না খেয়াল রাখবেন। আপনার সামনের গাড়িটির খুব কাছে এসে হটাৎ জোরে টার্ন নিয়ে ওভারটেক করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটবে। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া, আপনার আশেপাশে থাকা রিকশা, গাড়ি বা বাসের সাথে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সাবধানে ওভারটেক করতে হবে। 

২. ওভারটেকিং করতে হর্ণ বা পাস লাইট ব্যবহার করুন

বাইক চালানোর সময় যদি দেখেন আপনার সামনে থাকা রিকশা বা গাড়িটিকে ওভারটেক করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, তবে হর্ণ দিয়ে তাকে সিগনাল দিন। হর্ন দেবার পাশাপাশি পাস লাইটও ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে সামনের গাড়ি চালক সতর্ক হয়ে যাবে। এছাড়াও, ইন্ডিকেটর লাইট ব্যবহার করা উত্তম। খেয়াল রাখবেন, আপনার সামনে সেই চালক যদি তার চালানোর গতি কিছুটা কমিয়ে দেয়, ঠিক তখনই সুযোগ বুঝে সাবধানে ওভারটেকিং করতে পারেন। 

৩. সুযোগ বুঝে ঠিক সময়ে ওভারটেকিং করুন 

সুযোগ বুঝে এবং বাইকের গতি ঠিক রেখে ওভারটেকিং করা ভালো। এক্ষেত্রে বাইকের গিয়ার কমিয়ে নেওয়া উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন, ওভারটেক করতে বেশি সময় নেওয়া যাবে না। বেশি সময় নিলে আবার দেখা যাবে অন্য কোন গাড়ি এসে জায়গাটি ব্লক করে দিয়েছে।

এর ফলে ধাক্কা লেগে যেকোন মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সুযোগ বুঝে এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দ্রুত ওভারটেক করা নিরাপদ। 

৪. যানবাহন বেশি থাকলে ওভারটেক যেভাবে করবেন 

অনেক যানবাহন চলাচল করছে এমন অবস্থায় ওভারটেকিং বেশি না করাই উত্তম। এত যানবাহন থাকার ফলে ওভারটেক করার যথেষ্ট পরিমান জায়গা ও সময় থাকে না। ফলে দুর্ঘটনা হতে পারে। যেখানে যানবাহন বেশি চলাচল হচ্ছে এমন জায়গায় নিজের বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। এমতাবস্থায়, নিরাপদে বাইক ওভারটেক করতে সাবধান থাকতে হবে। তবে সামনে চলার প্রতিযোগিতা করতে জোর করে ওভারটেক করার চেষ্টা কখনই করা যাবে না। 

৫. বাইক ওভারটেকিং এর সময় রিয়ার ভিউ গ্লাসে নজর দিন 

আপনি ওভারটেক করতে যাচ্ছেন এমন সময় অন্য কোন বাইকও পিছন থেকে আপনাকে ওভারটেক করার চেষ্টা করতে পারে। তাই অবশ্যই, রিয়ার ভিউ গ্লাসে বিশেষ নজর রাখবেন যখনই ওভারটেক করতে যাবেন। খেয়াল রাখবেন, যে গাড়িকে ওভারটেক করছেন তার ড্রাইভার যেন আপনার উপস্থিতি টের পায়। দুর্ঘটনা এড়াতে এটি বেশ জরুরি। 

৬. বেশি ওজন বহনে ওভারটেকিং এ প্রভাব পরে

বাইক চালকের সাথে কোন সহযাত্রী থাকলে বা অতিরিক্ত ওজন বহন করলে এর প্রভাব বাইকের পারফরম্যান্সের উপর এসে পরে। এক্ষেত্রে, বাইকের স্পিড কমে যায়।

এমতাবস্থায়, ওভারটেকিং করতে বা ব্রেক করতে খানিকটা বেশি সময় লাগে। সুতরাং, অতিরিক্ত ওজন বহন করলে সেই হিসেবে সাবধানে বাইক ওভারটেক করবেন।

৭. বড় ট্রাক বা বাস ওভারটেকিং করতে সাবধান 

সাধারণত ট্রাক বা বাস বেশ দ্রুত গতিতে রাস্তায় চলাচল করে। তাই ছোট যানবাহনগুলো এদের ওভারটেক করার তেমন একটা সুযোগ পায় না। তবে বেশ কিছু বাইকাররা, রিকশা বা গাড়ি চালকেরা আছেন যারা স্পিড বাড়িয়ে বড় ট্রাক বা বাসকে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন। এতে অনেক ক্ষেত্রে তারা দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছেন। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা আবশ্যক। বড় যানবাহনগুলোর সাথে ওভারটেকিং বিপজ্জনক হতে পারে। এতে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। 

৮. গলিপথে ওভারটেকিং আপনার জন্য বিপজ্জনক

গলিপথে জায়গা কম থাকার বাইক ওভারটেকিং আপনার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। গলিপথগুলো সাধারণত উঁচু নিচু হয়ে থাকে, তাই এমন সময় বাইকের গতি বাড়িয়ে ওভারটেক করার চেষ্টা করলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। উঁচু নিচু পথ থাকার কারণে আপনার বাইকেরও ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও, গলিপথগুলোতে জায়গা সীমিত থাকে, তাই এমন অবস্থায় ওভারটেক করলে সেটি আপনার জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। 

৯. উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির দিকে খেয়াল রাখতে হবে

ওভারটেকিং করার সময় উল্টো পাশ থেকে কোন গাড়ি দ্রুত আসছে কি না সে ব্যাপারে নজর দিন। যখন দুটো বা তিনটি বাইক বা গাড়ি একই সাথে ওভারটেকিং এর চেষ্টা করে, তখন মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক। 

বাইক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং বাইকের দাম সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন বাইকস গাইডএ।

১০. মানসিক অস্থিরতা, মাদক সেবন বা মদ্যপান করা অবস্থায় বাইক চালানো আইনগত অপরাধ

যারা নিয়মিত মাদক সেবন বা মদ্যপান করে থাকে তাদের জন্য বাইক চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ। তারা যেন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কোনভাবেই বাইক চালানোর চেষ্টা না করে। মাতাল অবস্থায় মানুষ স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ফলে বাইক চালানোর সময় অধৈর্য্য হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে মাতাল অবস্থায় কিছু বাইক চালকেরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং করে বসে। এভাবে বহু মাতাল চালকের অকালে মৃত্যু ঘটেছে এবং ঘটছে। অন্যদিকে, মানসিক অস্থিরতা নিয়ে বাইক চালানো একদমই উচিত নয়।

কোন কারণে রেগে আছেন বা মানসিক কষ্টে ভুগছেন এমতাবস্থায় হুটহাট ওভারটেকিং করলে ভয়াবহ রকমের মৃত্যু ঘটতে পারে। অতএব, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বা মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকাকালীন বাইক চালানো বা ওভারটেকিং করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন। আপনার মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে এই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখুন। 

ওভারটেকিং করুন সাবধানে ও রাইডিং হোক নিরাপদে

আমাদের দেশে এমন চালকেরাও আছে যারা বাইক ওভারটেকিং কে এক প্রকার প্রতিযোগিতা মনে করে। বিশেষ করে সেসব যুবকেরা, যারা নতুন নতুন বাইক চালানো শিখেছে। আবার এমনও চালকেরা আছে যাদের ধৈর্য্য অনেক কম। এরাই বেশিরভাগ সময় অতিরিক্ত স্পিড বাড়িয়ে বাইক ওভারটেকিং করে।

সাবধানে বাইক চালানো একটি বড় দায়িত্ব, কোন প্রতিযোগিতা নয়। একটি রাইডারকে অবশ্যই দায়িত্বশীল ও ধৈর্য্যশীল হতে হবে ওভারটেক করার সময়। 

সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, ভালো বাইক রাইডিং এর অভিজ্ঞতা অর্জন করা। নিরাপদে মোটরসাইকেল চালাতে হলে আপনার প্রয়োজন বেশি করে প্র্যাক্টিস করা। বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা আপনার যত বেশি হবে, আপনার ওভারটেকিং স্টাইল ততই ভাল হতে থাকবে। এরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করা শুধু সময়ের ব্যাপার। 

আমাদের দেশের বাজারে বাইকের দরদাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে Bikroy.com এ একবার ঘুরে আসুন। এখানে বাইক প্রেমীদের জন্যে প্রচুর অপশনস। 

বাইক ওভারটেকিং সম্পর্কে জিজ্ঞাসা

১. বাইক ওভারটেকিং এর ক্ষেত্রে মানসিক প্রস্তুতি কতটা জরুরি?

আতঙ্কিত হয়ে বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালানো বা ওভারটেক করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নিরাপদ বাইক রাইডিং নিশ্চিত করতে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা জরুরি। 

২. ওভারটেকিং এর সময় রিয়ার ভিউ মিরর ব্যবহার করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বাইক ওভারটেকিং করার আগে লক্ষ্য রাখবেন আপনার পিছন থেকে কোনো যানবাহন আসছে কি না। আপনার পিছনে থাকা যানবাহনটি কত দ্রুত আপনাকে ওভারটেক করতে আসছে সেটা বুঝতে লুকিং গ্লাস বা রিয়ার ভিউ মিরর ব্যবহার করুন। 

৩. ওভারটেকিং এর সময় সাধারণত কি রকম সিগন্যাল ব্যবহার করা হয় ?

ওভারটেকিং করার সময় ঠিক মতো সিগন্যাল না দিলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্যে, সিগন্যাল দিতে সাধারণত বাইকারেরা ব্যবহার করে ইন্ডিকেটর, পাস লাইট এবং হর্ণ। 

৪. ওভারটেকিং করার সময় যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখতে হয় কেন ?

হুটহাট ওভারটেকিং করলে যেকোনো সময় বিপজ্জনক পরিস্থিতি আসতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে ওভারটেক করার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। বিশেষ করে আপনার আশেপাশে থাকা বাস, ট্রাক অথবা গাড়ির সাথে যথাযথ দূরত্ব রেখে নিরাপদে ওভারটেক করুন। 

৫. অতিরিক্ত ওজন বহন করলে বাইক ওভারটেকিং এ কেমন প্রভাব পড়ে ?

আপনার বাইকের পিছনে সহযাত্রী বসলে বা বেশি ওজনের মাল বহন করলে, বাইকের গতি কমে যায়। ফলে ওভারটেক করতে বেশি সময় লাগে। সঠিক সময়ে এবং ঠিক গতিতে ওভারটেক না করতে পারলে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। তাই বেশি ওজন বহন করে ওভারটেক করা নিরাপদ নয়। 

Similar Advices



2 comments

  1. For 2-lane 2-Way highways, often bus/truck from opposite side presses for overtaking (their drivers think that a narrow strip might be enough to pass a bike), which becomes very dangerous for high-speed riders. How can a rider tackle such situation? Thank you.

Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Buy New Bikesbikroy
Bajaj Pulsar ug3 2012 for Sale

Bajaj Pulsar ug3 2012

35,000 km
MEMBER
Tk 55,000
6 hours ago
TVS Apache RTR 2V 2022 model for Sale

TVS Apache RTR 2V 2022 model

7,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 145,000
1 day ago
Hero CD ভালো 2003 for Sale

Hero CD ভালো 2003

30,000 km
MEMBER
Tk 48,000
1 day ago
Suzuki Access 2024 for Sale

Suzuki Access 2024

60 km
MEMBER
Tk 30,000
2 days ago
Bajaj V15 2022 for Sale

Bajaj V15 2022

16,000 km
MEMBER
Tk 115,000
2 days ago
Buy Used Bikesbikroy
Hero Hunk . 2010 for Sale

Hero Hunk . 2010

50,000 km
MEMBER
Tk 42,000
1 minute ago
Hero Hunk 2018 for Sale

Hero Hunk 2018

17,200 km
MEMBER
Tk 99,000
6 minutes ago
Suzuki GSX R150 ABS 2024 for Sale

Suzuki GSX R150 ABS 2024

14,000 km
MEMBER
Tk 300,000
10 minutes ago
Runner F-100 6A . 2018 for Sale

Runner F-100 6A . 2018

2,500 km
MEMBER
Tk 17,000
17 minutes ago
TVS Metro ES self Start 2024 for Sale

TVS Metro ES self Start 2024

2,100 km
verified MEMBER
verified
Tk 100,000
19 minutes ago
+ Post an ad on Bikroy