মোটরসাইকেল রেজিস্টেশনের প্রক্রিয়া

29 Mar, 2023   
 মোটরসাইকেল রেজিস্টেশনের প্রক্রিয়া

বাইক কেনার সময় প্রায় সবাই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন – কিভাবে বাইকের রেজিস্ট্রেশন করা যায়? রেজিস্ট্রেশন নিজেরা করা কি বেশি সময় সাপেক্ষ? রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগবে? শোরুম থেকে বাইক কেনার পরে নিজে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবো?

হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন – আপনি নিজে আপনার বাইকের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং কত সিসি বাইকের জন্য কত টাকা লাগবে ও কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে, কিভাবে ব্যাংকে টাকা জমা দেবেন, সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আমরা মোটামুটি একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে।

বিআরটিএ অফিসে যেয়ে আপনার কি কি করনীয় সেটা ধারাবাহিকভাবে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি সেই অনুযায়ী আপনার বাইকের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সকল কিছুর বিস্তারিত নিচে সিরিয়াল অনুযায়ী দেয়া হয়েছে। এখানে ধাপে ধাপে মোটরসাইকেল রেজিস্টেশনের সহজ প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে মোটরযানের নিবন্ধন করুন,
  • নির্ধারিত টাকা ব্যাংকে জমা দিন,
  • এপ্লিকেশন সাবমিশন করুন,
  • ডিজিটাল ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট লিপিবদ্ধকরণ,
  • ব্লু বুক এবং আরএফআইডি নাম্বার প্লেট গ্রহন করুন,
  • সবশেষে মোটরসাইকেলটি সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য হাজির করতে হবে।

আপনি যদি নিজে রেজিস্ট্রেশন করতে চান প্রথমেই আপনি বেছে নিন আপনার নিকটবর্তি কোথায় বিআরটিএ অফিস আছে, প্রথমেই আপনি বিআরটিএ অফিসে যাবেন, যাওয়ার পরে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ (নিচে উল্লেখ করা আছে) আপনার বাইক/মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন।

মোটরযানের নিবন্ধন (সংক্ষেপে)

সেবাপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাঁর মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন। বিআরটিএ অফিস কর্তৃক  আপনার আবেদন ও সংযুক্ত ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে সঠিক পেলে আপনাকে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত ব্যাংকে জমা প্রদান করতে হবে। আপনাকে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান  করবে এবং  নির্ধারিত ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শণের জন্য উক্ত বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে। 

আপনার গাড়িটি পরিদর্শণ করার পর মালিকানা এবং গাড়ি সংক্রান্ত  সকল তথ্য বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্টি করার পর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) কর্তৃক রেজিস্টেশন অনুমোদন প্রদান করা  হবে এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি  ডকুমেন্ট/প্রাপ্তিস্বীকারপত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট  এবং ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে বিআরটিএ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের  মাধ্যমে স্বাক্ষর  করে  আপনাকে প্রদান করা হবে।

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(ডিআরসি) তৈরীর পরে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে; এজন্য গ্রাহককে তার মোবাইল ফোনে এসএমএস পাওয়ার পরে। বায়োমেট্রিক্স প্রদানের পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্যও আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে  জানানো হবে।

মোটরসাইকেল রেজিস্টেশনের প্রক্রিয়া

প্রথম ধাপ – প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ

প্রথমে আপনাকে আপনার নতুন কেনা মোটরসাইকেলটির সকল আইনসম্মত কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে হবে আপনার ডিলারের কাছে থেকে, যেমন,

  • আমদানী সম্পর্কিত কাগজপত্র (বিআরটিএ দ্বারা অনুমোদিত),
  • কাস্টমস সম্পর্কিত কাগজপত্র,
  • গেট পাস,
  • মূসক ১১ চালানপত্র (যে ডিলারের কাছে থেকে ক্রয় করেছেন এবং যে আমদানীকারকের কাছে থেকে ক্রয় করেছে উভয়ের অনুকূলে)
  • সোনালী ব্যাংকে ট্রেজারি চালান (যে আমদানীকারকের কাছে থেকে আমদানী করেছেন তার অনুকূলে)
  • ক্যাশ মেমো
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

[আপনাকে এই সব সকল কাগজপত্রের ফাইল ডিলারের কাছে থেকে সংগ্রহ করতে হবে যার কাছে থেকে আপনি বাইকটি কিনেছেন৷]

আপনি যদি নিজেই মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে চান, তাহলে এই সকল ধরণের কাগজপত্র ডিলার কাছে থেকে নিয়েছেন কিনা নিশ্চিত হন। কাস্টোমারের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে প্রায়ই ডিলাররা সব কাগজপত্র না দিয়ে দুয়েকটা রেখে দেয় নিজেদের কাছেই, যাতে আপনি রেজিষ্ট্রেশন করতে গিয়ে ঝামেলা ও হয়রানির শিকার হন, এবং শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত কিছু টাকা দিয়ে ডিলারকেই রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেন।

উপরের সবধরণের কাগজপত্র সংগ্রহের পর বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকে কিংবা সরাসরি অফিসে এসেও রেজিষ্ট্রেশন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।

C:\Users\Razu\Desktop\Pic 2.jpg

মালিক এবং যানবাহনের তথ্য দিতে হবে ফরমটিতে৷ এই ফরমটিই মূলত আপনার মোটরসাইকেলের রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদনপত্র। ফরমের সাথে উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি কাগজ এটাচ করে দিতে হবে। কাজটি সতর্কতার সাথে করতে হবে যে কোন কাগজ বাদ না পড়ে৷

সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করার পর এপ্লিকেশন সেটটি বিআরটিএ অফিসে নিয়ে যাচাই করিয়ে নিন।

যদি তারা অনুমোদন দেয়, তাহলে বিআরটিএ অফিস থেকেই রেজিষ্ট্রেশন ফিশ পরিশোধ করতে বলে একটি এসেসমেন্ট স্লিপ (মানি ডিপোজিট স্লিপ) দেয়া হবে যাতে আপনার যানবাহন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং মোটরসাইকেল কেনার খরচের বিশদও তাতে উল্লেখ করতে হবে। যথাযথভাবে এসেসমেন্ট স্লিপটি পূরণের পর অফিশিয়াল সাক্ষর এবং সিল নিতে ভুলবেন না।

দ্বিতীয় ধাপ – নির্ধারিত টাকা ব্যাংকে জমা দিন

এখানে থেকে বলা যেতে পারে রেজিষ্ট্রেশনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু। বিআরটিএ কতৃক সুপারিশকৃত নির্ধারিত ব্যাংক অথবা বুথে এসেসমেন্ট স্লিপটির সাথে নির্ধারিত অর্থ জমা দিতে পারবেন। ব্যাংক কতৃক ছাপাকৃত টাকা জমাদানের রশিদটি আপনার এপ্লিকেশন সেটে সংযুক্ত করুন।

নতুন বাইক রেজিষ্ট্রেশনে বিআরটিএ কতৃক ধার্যকৃত মূল্য

  • ৫০-১০০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির নীচে, তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১২৩৯০ টাকা (এখানে, রেজিঃ ফি ৪২০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ৫০০০ টাকা)
  • ৫০-১০০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির উপরে,  তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১৭,৩৯০ টাকা (এখানে, রেজিঃ ফি ৪২০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ১০,০০০ টাকা)
  • ১০১-১৫০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির নীচে, তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১৩,৭৯০ টাকা ( এখানে, রেজিঃ ফি ৫৬০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ৫০০০ টাকা)।
  • ১০১-১৫০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির উপরে, তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১৮,৭৯০ টাকা (এখানে, রেজিঃ ফি ৫৬০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ১০,০০০ টাকা)।

সকল ফিশ এবং চার্জের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ হবে। তাই আপনাকে ব্যাংকে ডিপোজিট করার সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ জমা দিতে হবে৷ আপনার কত খরচ হবে তা আপনি খুব সহজেই বিআরটিএ ওয়েবসাইটে গিয়ে বিশেষ ক্যালকুলেটরে শুধু বাইকের তথ্য দিয়েই হিসেব করে নিতে পারেন। আর না করলেও ক্ষতি নেই, আপনাকে দেয়া এসেসমেন্ট স্লিপে কত টাকা খরচ করতে হবে, তা উল্লেখ করাই থাকবে।

তৃতীয় ধাপ – এপ্লিকেশন সাবমিশন

ব্যাংকে ডিপোজিট করার পর আপনার সকল কাগজপত্রের যে সেটটি তৈরী হয়েছে এপ্লিকেশনের সাথে, তা বিআরটিএ’র যানবাহন রেজিষ্ট্রেশন ডেস্কে জমা দিন।

এপ্লিকেশনটি জমা দেয়ার পর যানবাহন পরিদর্শক আপনার সকল কাগজপত্রের সাথে সাথে আপনার মোটরসাইকেলটিও পরিদর্শন এবং যাচাই করবে। যানবাহন পরিদর্শক কর্তৃক আপনার কাগজপত্র এবং যান যাচাইয়ের পর আপনাকে একটি একোনলেজমেন্ট স্লিপ দেয়া হবে যাতে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার, ফিটনেস এবং ট্যাক্স টোকেন দেয়া থাকবে৷

রেজিষ্ট্রেশনের এই পর্যায়ে এলেই আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে দেশের যে কোন জায়গায় বেরিয়ে পড়ার জন্য অনুমোদিত হয়ে গেছেন। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা এবং আরো কিছু ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।

চতুর্থ ধাপ – ডিজিটাল ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট লিপিবদ্ধকরণ

রেজিষ্ট্রেশন ডেস্ক থেকে একোনলেজমেন্ট স্লিপ পাওয়ার পর আপনাকে বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ডাকা হবে যেখানে আপনার ছবি, আঙ্গুলের ছাপ, সাক্ষর ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে নিয়ে ডাটা সংরক্ষণ করা হবে বিআরটিএ’র ডাটাবেসে৷

বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে এ সংক্রান্ত তথ্য বিআরটিএ থেকে আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজ করে জানানো হবে৷ এ ধাপ সম্পন্ন হওয়া মানে আপনার পক্ষ থেকে যে সকল কার্যক্রম করার, তার সবগুলো করা হয়ে গেছে।

পঞ্চম ধাপ – ব্লু বুক এবং আরএফআইডি নাম্বার প্লেট গ্রহন

বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশনে আপনার ছবি, আঙ্গুলের ছাপ এবং সাক্ষর দিয়ে আসার পর আপনার মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে বিআরটিএ থেকে যোগাযোগ করা হবে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক মাসের মধ্যেই বিআরটিএ থেকে যোগাযোগ করে মেসেজের মাধ্যমে ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট দেয়ার তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়। মেসেজটি পাওয়ার পরে আপনি বিআরটিএ অফিসে গিয়ে ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট সংগ্রহ করতে পারেন।

[আপাতদৃষ্টিতে ধাপগুলো একটু জটিল মনে হলেও সঠিকভাবে কাগজপত্র সংগ্রহ এবং সতর্কতার সাথে তথ্য প্রদান করলে তেমন কোন ঝুট ঝামেলা ছাড়া নিজে নিজেই করে ফেলতে পারেন মোটরসাইকেল অথবা যে কোন যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন।]

C:\Users\Razu\Desktop\motorcycle-digital-number-plate.jpg

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি যদি কোম্পানির বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে অবশ্যই কোম্পানির প্যাড  আপনার নামের অথরাইজেশন লেটার নিয়ে যেতে হবে,সকল কাজের জন্য অবশ্যই নিয়ে যাবেন (বাধ্যতামূলক)। 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিষয়ে আরো কিছু তথ্য সংক্ষেপে নোট করা হলো

(নিচের সকল সিরিয়ালের ডকুমেন্ট আপনার জন্য প্রযোজ্য নয় আপনার জন্য যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন আপনি সেই ডকুমেন্টগুলো বিআরটিএ নিয়ে যাবেন বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।)

(১) মালিক ও আমদানিকারক/ডিলার কর্তৃক (বাইকের শোরুম থেকে) যথাযথভাবে পূরণ করা ও স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদনপত্র, আপনি এই আবেদন ফরম বিআরটিএ অফিস হতে সরাসরি সংগ্রহ  করতে পারবেন। এমনকি বিআরটিএর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

  • বাইক অথবা মোটরযানের একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে গাড়ির মালিক হলে সে-ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজনের নামে রেজিস্ট্রেশনের করার জন্য সকলের  অনুমতি সাপেক্ষে হলফনামা প্রদান করতে হবে;
  • কোম্পানির/প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে স্বাক্ষর এবং সিল;
  • ব্যাংক অথবা অর্থপ্রদান প্রতিষ্ঠানের সাথে বাইক অথবা মোটরযানের মালিকানার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্যাডে  ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন।

(২) ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র/টেলিফোন বিল/পাসপোর্ট/বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির যে-কোনটির প্রথম শ্রেণীর অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি।

(৩) মালিকের ৩ কপি সদ্য তোলা স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন ছবি ( কেবল ব্যাক্তি মালিকানার ক্ষেত্রে)

(৪) বিল অব এন্ট্রি,বিল অব লেডিং, ইনভয়েস ও এলসিএ কপি (নিজস্ব ভাবে বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশ ইমপোর্ট করলে প্রযোজ্য হবে,বাইকের শোরুম থেকে কিনলে বাইকের শোরুম এই পেপারস গুলো দিতে বাধ্য থাকবে)।

(৫) সেল সার্টিফিকেট/বিক্রয় প্রমাণপত্র/সেল ইন্টিমেশন (আমদানিকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত)।

(৬) ডেলিভারী চালান, প্যাকিং লিস্ট ও গেইট পাশ।

(৭) টিন সার্টিফিকেট এবং আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র।

(৮) বিদেশি নাগরিকের নামে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলি করা হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট  ও ভিসার মেয়াদের কপি।

(৯) (ক) মূসক-১ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); (খ) মূসক-১১(ক)/ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); (গ) ভ্যাট পরিশোধের চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

(১০) ভ্যাট চালান এবং ভ্যাট পরিশোধের  প্রাপ্ত রসিদ, রেজিস্ট্রেশন ফি জমাদানের রসিদ।

(১১) কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

(১২) রিকন্ডিশন মোটরযান/ বাইক রেজিস্ট্রেশনের  জন্য নিম্নোক্ত অতিরিক্ত  ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে

  • ‘টিও’ফরম (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে), ‘টিটিও’ ফরম  এবং বিক্রয় রসিদ (আমদানিকারক/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বাক্ষরিত)।
  • পুনরায়-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং  পুনরায়-রেজিস্ট্রেশনের ইংরেজি অনুবাদের  জন্য সত্যায়িত কপি ।

(১৩) মোটরযান/বাইক পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শন প্রতিবেদন।(১৪) ১২৫ তদুর্ধ্ব সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ৫০ (পঞ্চাশ) টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গিকারনামা (অঙ্গিকারনামার নমুনা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে)।

বাইক কেনার সময় প্রায় সবাই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন – কিভাবে বাইকের রেজিস্ট্রেশন করা যায়? রেজিস্ট্রেশন নিজেরা করা কি বেশি সময় সাপেক্ষ? রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগবে? শোরুম থেকে বাইক কেনার পরে নিজে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবো?

হ্যাঁ অবশ্যই পারবেন – আপনি নিজে আপনার বাইকের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং কত সিসি বাইকের জন্য কত টাকা লাগবে ও কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে, কিভাবে ব্যাংকে টাকা জমা দেবেন, সকল সমস্যার সমাধান নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আমরা মোটামুটি একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে।

বিআরটিএ অফিসে যেয়ে আপনার কি কি করনীয় সেটা ধারাবাহিকভাবে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি সেই অনুযায়ী আপনার বাইকের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন সকল কিছুর বিস্তারিত নিচে সিরিয়াল অনুযায়ী দেয়া হয়েছে। এখানে ধাপে ধাপে মোটরসাইকেল রেজিস্টেশনের সহজ প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে মোটরযানের নিবন্ধন করুন,
  • নির্ধারিত টাকা ব্যাংকে জমা দিন,
  • এপ্লিকেশন সাবমিশন করুন,
  • ডিজিটাল ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট লিপিবদ্ধকরণ,
  • ব্লু বুক এবং আরএফআইডি নাম্বার প্লেট গ্রহন করুন,
  • সবশেষে মোটরসাইকেলটি সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য হাজির করতে হবে।

আপনি যদি নিজে রেজিস্ট্রেশন করতে চান প্রথমেই আপনি বেছে নিন আপনার নিকটবর্তি কোথায় বিআরটিএ অফিস আছে, প্রথমেই আপনি বিআরটিএ অফিসে যাবেন, যাওয়ার পরে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ (নিচে উল্লেখ করা আছে) আপনার বাইক/মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন।

মোটরযানের নিবন্ধন (সংক্ষেপে)

সেবাপ্রত্যাশী সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তাঁর মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন। বিআরটিএ অফিস কর্তৃক  আপনার আবেদন ও সংযুক্ত ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে সঠিক পেলে আপনাকে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারিত ব্যাংকে জমা প্রদান করতে হবে। আপনাকে একটি এ্যাসেসমেন্ট স্লিপ প্রদান  করবে এবং  নির্ধারিত ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শণের জন্য উক্ত বিআরটিএ অফিসে হাজির করতে হবে। 

আপনার গাড়িটি পরিদর্শণ করার পর মালিকানা এবং গাড়ি সংক্রান্ত  সকল তথ্য বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্টি করার পর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) কর্তৃক রেজিস্টেশন অনুমোদন প্রদান করা  হবে এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখপূর্বক একটি  ডকুমেন্ট/প্রাপ্তিস্বীকারপত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট  এবং ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে বিআরটিএ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের  মাধ্যমে স্বাক্ষর  করে  আপনাকে প্রদান করা হবে।

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট(ডিআরসি) তৈরীর পরে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) প্রদানের জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে; এজন্য গ্রাহককে তার মোবাইল ফোনে এসএমএস পাওয়ার পরে। বায়োমেট্রিক্স প্রদানের পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট গ্রহণের জন্যও আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে  জানানো হবে।

মোটরসাইকেল রেজিস্টেশনের প্রক্রিয়া

প্রথম ধাপ – প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ

প্রথমে আপনাকে আপনার নতুন কেনা মোটরসাইকেলটির সকল আইনসম্মত কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে হবে আপনার ডিলারের কাছে থেকে, যেমন,

  • আমদানী সম্পর্কিত কাগজপত্র (বিআরটিএ দ্বারা অনুমোদিত),
  • কাস্টমস সম্পর্কিত কাগজপত্র,
  • গেট পাস,
  • মূসক ১১ চালানপত্র (যে ডিলারের কাছে থেকে ক্রয় করেছেন এবং যে আমদানীকারকের কাছে থেকে ক্রয় করেছে উভয়ের অনুকূলে)
  • সোনালী ব্যাংকে ট্রেজারি চালান (যে আমদানীকারকের কাছে থেকে আমদানী করেছেন তার অনুকূলে)
  • ক্যাশ মেমো
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি

[আপনাকে এই সব সকল কাগজপত্রের ফাইল ডিলারের কাছে থেকে সংগ্রহ করতে হবে যার কাছে থেকে আপনি বাইকটি কিনেছেন৷]

আপনি যদি নিজেই মোটরসাইকেল রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে চান, তাহলে এই সকল ধরণের কাগজপত্র ডিলার কাছে থেকে নিয়েছেন কিনা নিশ্চিত হন। কাস্টোমারের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে প্রায়ই ডিলাররা সব কাগজপত্র না দিয়ে দুয়েকটা রেখে দেয় নিজেদের কাছেই, যাতে আপনি রেজিষ্ট্রেশন করতে গিয়ে ঝামেলা ও হয়রানির শিকার হন, এবং শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত কিছু টাকা দিয়ে ডিলারকেই রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেন।

উপরের সবধরণের কাগজপত্র সংগ্রহের পর বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকে কিংবা সরাসরি অফিসে এসেও রেজিষ্ট্রেশন ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।

C:\Users\Razu\Desktop\Pic 2.jpg

মালিক এবং যানবাহনের তথ্য দিতে হবে ফরমটিতে৷ এই ফরমটিই মূলত আপনার মোটরসাইকেলের রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদনপত্র। ফরমের সাথে উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি কাগজ এটাচ করে দিতে হবে। কাজটি সতর্কতার সাথে করতে হবে যে কোন কাগজ বাদ না পড়ে৷

সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করার পর এপ্লিকেশন সেটটি বিআরটিএ অফিসে নিয়ে যাচাই করিয়ে নিন।

যদি তারা অনুমোদন দেয়, তাহলে বিআরটিএ অফিস থেকেই রেজিষ্ট্রেশন ফিশ পরিশোধ করতে বলে একটি এসেসমেন্ট স্লিপ (মানি ডিপোজিট স্লিপ) দেয়া হবে যাতে আপনার যানবাহন এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি দিয়ে পূরণ করতে হবে এবং মোটরসাইকেল কেনার খরচের বিশদও তাতে উল্লেখ করতে হবে। যথাযথভাবে এসেসমেন্ট স্লিপটি পূরণের পর অফিশিয়াল সাক্ষর এবং সিল নিতে ভুলবেন না।

দ্বিতীয় ধাপ – নির্ধারিত টাকা ব্যাংকে জমা দিন

এখানে থেকে বলা যেতে পারে রেজিষ্ট্রেশনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু। বিআরটিএ কতৃক সুপারিশকৃত নির্ধারিত ব্যাংক অথবা বুথে এসেসমেন্ট স্লিপটির সাথে নির্ধারিত অর্থ জমা দিতে পারবেন। ব্যাংক কতৃক ছাপাকৃত টাকা জমাদানের রশিদটি আপনার এপ্লিকেশন সেটে সংযুক্ত করুন।

নতুন বাইক রেজিষ্ট্রেশনে বিআরটিএ কতৃক ধার্যকৃত মূল্য

  • ৫০-১০০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির নীচে, তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১২৩৯০ টাকা (এখানে, রেজিঃ ফি ৪২০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ৫০০০ টাকা)
  • ৫০-১০০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির উপরে,  তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১৭,৩৯০ টাকা (এখানে, রেজিঃ ফি ৪২০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ১০,০০০ টাকা)
  • ১০১-১৫০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির নীচে, তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১৩,৭৯০ টাকা ( এখানে, রেজিঃ ফি ৫৬০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ৫০০০ টাকা)।
  • ১০১-১৫০ সিসি বাইক, ওজন ৯০ কেজির উপরে, তাদের জন্য মোট জমা দিতে হবে ১৮,৭৯০ টাকা (এখানে, রেজিঃ ফি ৫৬০০ টাকা, ডিজিটাল রেজি সার্টিফিকেট ৫৪০ টাকা, আরএফআইডি ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ২২০০ টাকা, ইন্সপেকশন ফি ৪৫০ টাকা, রোড ট্যাক্স ১০,০০০ টাকা)।

সকল ফিশ এবং চার্জের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ হবে। তাই আপনাকে ব্যাংকে ডিপোজিট করার সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ জমা দিতে হবে৷ আপনার কত খরচ হবে তা আপনি খুব সহজেই বিআরটিএ ওয়েবসাইটে গিয়ে বিশেষ ক্যালকুলেটরে শুধু বাইকের তথ্য দিয়েই হিসেব করে নিতে পারেন। আর না করলেও ক্ষতি নেই, আপনাকে দেয়া এসেসমেন্ট স্লিপে কত টাকা খরচ করতে হবে, তা উল্লেখ করাই থাকবে।

তৃতীয় ধাপ – এপ্লিকেশন সাবমিশন

ব্যাংকে ডিপোজিট করার পর আপনার সকল কাগজপত্রের যে সেটটি তৈরী হয়েছে এপ্লিকেশনের সাথে, তা বিআরটিএ’র যানবাহন রেজিষ্ট্রেশন ডেস্কে জমা দিন।

এপ্লিকেশনটি জমা দেয়ার পর যানবাহন পরিদর্শক আপনার সকল কাগজপত্রের সাথে সাথে আপনার মোটরসাইকেলটিও পরিদর্শন এবং যাচাই করবে। যানবাহন পরিদর্শক কর্তৃক আপনার কাগজপত্র এবং যান যাচাইয়ের পর আপনাকে একটি একোনলেজমেন্ট স্লিপ দেয়া হবে যাতে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার, ফিটনেস এবং ট্যাক্স টোকেন দেয়া থাকবে৷

রেজিষ্ট্রেশনের এই পর্যায়ে এলেই আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে দেশের যে কোন জায়গায় বেরিয়ে পড়ার জন্য অনুমোদিত হয়ে গেছেন। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা এবং আরো কিছু ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।

চতুর্থ ধাপ – ডিজিটাল ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট লিপিবদ্ধকরণ

রেজিষ্ট্রেশন ডেস্ক থেকে একোনলেজমেন্ট স্লিপ পাওয়ার পর আপনাকে বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ডাকা হবে যেখানে আপনার ছবি, আঙ্গুলের ছাপ, সাক্ষর ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে নিয়ে ডাটা সংরক্ষণ করা হবে বিআরটিএ’র ডাটাবেসে৷

বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হলে এ সংক্রান্ত তথ্য বিআরটিএ থেকে আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজ করে জানানো হবে৷ এ ধাপ সম্পন্ন হওয়া মানে আপনার পক্ষ থেকে যে সকল কার্যক্রম করার, তার সবগুলো করা হয়ে গেছে।

পঞ্চম ধাপ – ব্লু বুক এবং আরএফআইডি নাম্বার প্লেট গ্রহন

বায়োমেট্রিক রেজিষ্ট্রেশনে আপনার ছবি, আঙ্গুলের ছাপ এবং সাক্ষর দিয়ে আসার পর আপনার মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে বিআরটিএ থেকে যোগাযোগ করা হবে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক মাসের মধ্যেই বিআরটিএ থেকে যোগাযোগ করে মেসেজের মাধ্যমে ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট দেয়ার তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়। মেসেজটি পাওয়ার পরে আপনি বিআরটিএ অফিসে গিয়ে ব্লু বুক এবং নাম্বার প্লেট সংগ্রহ করতে পারেন।

[আপাতদৃষ্টিতে ধাপগুলো একটু জটিল মনে হলেও সঠিকভাবে কাগজপত্র সংগ্রহ এবং সতর্কতার সাথে তথ্য প্রদান করলে তেমন কোন ঝুট ঝামেলা ছাড়া নিজে নিজেই করে ফেলতে পারেন মোটরসাইকেল অথবা যে কোন যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন।]

C:\Users\Razu\Desktop\motorcycle-digital-number-plate.jpg

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনি যদি কোম্পানির বাইক রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে অবশ্যই কোম্পানির প্যাড  আপনার নামের অথরাইজেশন লেটার নিয়ে যেতে হবে,সকল কাজের জন্য অবশ্যই নিয়ে যাবেন (বাধ্যতামূলক)। 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিষয়ে আরো কিছু তথ্য সংক্ষেপে নোট করা হলো

(নিচের সকল সিরিয়ালের ডকুমেন্ট আপনার জন্য প্রযোজ্য নয় আপনার জন্য যে ডকুমেন্ট প্রয়োজন আপনি সেই ডকুমেন্টগুলো বিআরটিএ নিয়ে যাবেন বাইক রেজিস্ট্রেশন করার জন্য।)

(১) মালিক ও আমদানিকারক/ডিলার কর্তৃক (বাইকের শোরুম থেকে) যথাযথভাবে পূরণ করা ও স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদনপত্র, আপনি এই আবেদন ফরম বিআরটিএ অফিস হতে সরাসরি সংগ্রহ  করতে পারবেন। এমনকি বিআরটিএর ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

  • বাইক অথবা মোটরযানের একাধিক ব্যক্তি যৌথভাবে গাড়ির মালিক হলে সে-ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একজনের নামে রেজিস্ট্রেশনের করার জন্য সকলের  অনুমতি সাপেক্ষে হলফনামা প্রদান করতে হবে;
  • কোম্পানির/প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রে স্বাক্ষর এবং সিল;
  • ব্যাংক অথবা অর্থপ্রদান প্রতিষ্ঠানের সাথে বাইক অথবা মোটরযানের মালিকানার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্যাডে  ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন।

(২) ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র/টেলিফোন বিল/পাসপোর্ট/বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদির যে-কোনটির প্রথম শ্রেণীর অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি।

(৩) মালিকের ৩ কপি সদ্য তোলা স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন ছবি ( কেবল ব্যাক্তি মালিকানার ক্ষেত্রে)

(৪) বিল অব এন্ট্রি,বিল অব লেডিং, ইনভয়েস ও এলসিএ কপি (নিজস্ব ভাবে বাইরের দেশ থেকে বাংলাদেশ ইমপোর্ট করলে প্রযোজ্য হবে,বাইকের শোরুম থেকে কিনলে বাইকের শোরুম এই পেপারস গুলো দিতে বাধ্য থাকবে)।

(৫) সেল সার্টিফিকেট/বিক্রয় প্রমাণপত্র/সেল ইন্টিমেশন (আমদানিকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত)।

(৬) ডেলিভারী চালান, প্যাকিং লিস্ট ও গেইট পাশ।

(৭) টিন সার্টিফিকেট এবং আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র।

(৮) বিদেশি নাগরিকের নামে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন/মালিকানা বদলি করা হলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট  ও ভিসার মেয়াদের কপি।

(৯) (ক) মূসক-১ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); (খ) মূসক-১১(ক)/ভ্যাট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে); (গ) ভ্যাট পরিশোধের চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

(১০) ভ্যাট চালান এবং ভ্যাট পরিশোধের  প্রাপ্ত রসিদ, রেজিস্ট্রেশন ফি জমাদানের রসিদ।

(১১) কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

(১২) রিকন্ডিশন মোটরযান/ বাইক রেজিস্ট্রেশনের  জন্য নিম্নোক্ত অতিরিক্ত  ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে

  • ‘টিও’ফরম (ক্রেতা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে), ‘টিটিও’ ফরম  এবং বিক্রয় রসিদ (আমদানিকারক/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্বাক্ষরিত)।
  • পুনরায়-রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের মূল কপি এবং  পুনরায়-রেজিস্ট্রেশনের ইংরেজি অনুবাদের  জন্য সত্যায়িত কপি ।

(১৩) মোটরযান/বাইক পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শন প্রতিবেদন।(১৪) ১২৫ তদুর্ধ্ব সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ৫০ (পঞ্চাশ) টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গিকারনামা (অঙ্গিকারনামার নমুনা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে)।

Similar Advices

New Bikes for Salebikroy
GB-Padma-Gold (Blue) 2023 for Sale

GB-Padma-Gold (Blue) 2023

0 km
verified MEMBER
Tk 70,000
15 hours ago
atv Quad বাইক 2024 for Sale

atv Quad বাইক 2024

0 km
verified MEMBER
Tk 295,000
18 hours ago
golf kart 4 seater 2024 for Sale

golf kart 4 seater 2024

0 km
verified MEMBER
Tk 645,000
18 hours ago
E bike brand new 2023 for Sale

E bike brand new 2023

0 km
verified MEMBER
Tk 70,000
21 hours ago
TVS Metro এ 2017 for Sale

TVS Metro এ 2017

2,000 km
MEMBER
Tk 55,000
1 day ago
Used Bikes for Salebikroy
Runner Bullet 2021 for Sale

Runner Bullet 2021

15,800 km
MEMBER
Tk 48,000
3 minutes ago
Freedom 125 2014 for Sale

Freedom 125 2014

25,000 km
MEMBER
Tk 35,000
6 minutes ago
Suzuki Gixxer Naked Carborator 2022 for Sale

Suzuki Gixxer Naked Carborator 2022

19,141 km
verified MEMBER
Tk 195,500
11 minutes ago
Hero Glamour 2 years papers 2022 for Sale

Hero Glamour 2 years papers 2022

9,000 km
verified MEMBER
Tk 125,000
12 minutes ago
Hero Thriller 2023 2021 for Sale

Hero Thriller 2023 2021

9,000 km
MEMBER
Tk 193,500
1 month ago
+ Post an ad on Bikroy