ট্রাফিক চিহ্নের ধরন, ট্রাফিক চিহ্নের গুরুত্ব, ট্র্যাফিক লাইটের কাজ।

29 Mar, 2023   
ট্রাফিক চিহ্নের ধরন, ট্রাফিক চিহ্নের গুরুত্ব, ট্র্যাফিক লাইটের কাজ।

বর্তমানে আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণ যায়। এসব দূর্ঘটনা বেশিরভাগই ঘটে রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক সাইন বা সিগন্যাল সঠিকভাবে না মানার কারণে। অনেকে ট্রাফিক সাইন বুঝে তবুও কোনো পরোয়া না করে গাড়ি চালায়। যার ফলশ্রুতিতে তাদের দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। 

এজন্য নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা ও গাড়ি চালানোর জন্য আমাদের অবশ্যই সঠিকভাবে ট্রাফিক সাইন ও সিগনাল সম্পর্কে জানতে হবে। 

ট্রাফিক সাইন: 

ট্রাফিক সাইন হলো এমন কিছু চিহ্ন বা সংকেত যা গাড়ি চালানোর সময় ও রাস্তা পারাপারের সময় আপনাকে তথ্য সরবরাহ করে ও সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা করে। এটিকে রোড সাইন ও বলা হয়ে থাকে। 

রাস্তায় পথচারী ও গাড়িচালকদের নিরাপত্তার জন্য এটি তৈরি করা হয়। 

সঠিকভাবে এই ট্রাফিক সাইন মেনে রাস্তায় চলাফেরা করলে দূর্ঘটনার সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসবে। 

অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ট্রাফিক সাইন মানুষ ব্যবহার করে আসছে।প্রাচীন রোমানরা তখন পথচারীদের পথের দিকনির্দেশনা প্রদান করার জন্য পাথরে খোদাই করা ট্রাফিক সাইন ব্যবহার করতো। 

পরবর্তীতে সাইকেল আবিষ্কার হওয়ার পর ট্রাফিক সাইন বর্তমান রূপ নেয়া শুরু করে। 

যারা সাইকেল চালায় তাদেরকে সামনে থাকা কোনো বিপজ্জনক বস্তু সম্পর্কে বা রাস্তার বাঁক সম্পর্কে জানাতে এই ট্রাফিক সাইন গুলো ব্যবহার করা হতো। 

ধীরে ধীরে এটি গাড়িচালকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। নিরাপদে যেন গাড়ি চালানো যায় সেই উদ্দেশ্যেই এগুলো তৈরি করা হয়। 

ট্রাফিক সাইনের প্রকারভেদ: 

ট্রাফিক সাইন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো দৃশ্যমান সাইন এবং অন্যটি হলো অদৃশ্যমান সাইন। 

দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন:  যেসব ট্রাফিক সাইন আমরা সরাসরি চোখে দেখি সেটাকেই দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন বলে। যেমন: ট্রাফিক লাইট, ট্রাফিক পুলিশের সংকেত, বিভিন্ন ব্যানারে থাকা সতর্কীকরণ চিহ্ন ইত্যাদি। 

অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন: এ ধরনের ট্রাফিক সাইন দেখা যায় না।শব্দের মাধ্যমে এটিকে প্রকাশ করা হয়। এজন্য এটিকে শব্দ সংকেতও বলা হয়। যেমন: ট্রাফিক পুলিশের বাঁশির সংকেত, মোটরগাড়ির হর্নের শব্দ ইত্যাদি। 

দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইনের প্রকারভেদ: 

বাংলাদেশে পাঁচ ধরনের দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন দেখা যায়। সেগুলো হলো: 

01. বাধ্যতামূলক ইতিবাচক ট্রাফিক সাইন 

02. বাধ্যতামূলক নেতিবাচক ট্রাফিক সাইন 

03. সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইন

04. তথ্যমূলক ট্রাফিক সাইন ও 

05. বিশেষ সতর্কীকরণ ট্রাফিক সাইন।

এসব সাইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১.বাধ্যতামূলক ইতিবাচক ট্রাফিক সাইন: 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন সাধারণ পথচারীদের ইতিবাচক নির্দেশনা প্রদান করার জন্য ব্যবহার করা হয়। 

যেমন: “সামনের দিকে চলুন” , “বাম ঘেঁষে চলুন”, “সামনে বামে মোড়”, “গোল চত্বর-এখানে ঘুরতে হবে” ইত্যাদি। 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন সাধারণত নীল রঙের ও বৃত্তাকার হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো এটি বর্গাকার বা আয়তাকার হয়ে থাকে। 

২.বাধ্যতামূলক নেতিবাচক ট্রাফিক সাইন: 

যেসব ট্রাফিক সাইন দ্বারা পথচারী বা গাড়ি চালকদের কোনো কিছু করতে বাধা প্রদান করা হয় তাকে বাধ্যতামূলক নেতিবাচক ট্রাফিক সাইন বলে। 

যেমন: “পার্কিং নিষেধ”,”প্রবেশ নিষেধ”,”ডানে মোড় নিষেধ”, “বামে মোড় নিষেধ” ইত্যাদি। 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন মূলত লাল রঙের ও বৃত্তাকার হয়ে থাকে। অনেক সময় এটি বর্গাকার বা আয়তাকার ও থাকতে পারে।

৩.সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইন: 

পথচারী বা গাড়ি চালকদের রাস্তার সামনে থাকা কোনো সমস্যা বা সতর্কতামূলক কথা জানানোর জন্য যে ট্রাফিক সাইন ব্যবহার করা হয় তাকে সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইন বলে। 

একে ওয়ার্নিং সাইন (Warning Sign) ও বলা হয়। 

উদাহরণস্বরূপ, “ডানে বাঁক”, “বামে বাঁক”, “পথচারী পারাপার” ইত্যাদি। 

এসব ট্রাফিক সাইন সাধারণত লাল রঙের ত্রিভুজ আকৃতির হয়ে থাকে। 

৪.তথ্যমূলক ট্রাফিক সাইন: 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন খুব বেশি জরুরী না হলেও পথচারী ও গাড়িচালকদের কোনো নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়। 

এধরনের সাইনগুলোতে কোনো স্থানের নাম ও যাওয়ার দিকনির্দেশনা দেয়া থাকে। 

আমাদের দেশে তথ্যমূলক ট্রাফিক সাইন সাধারণত নীল অথবা সবুজ রঙের আয়তাকার হয়ে থাকে।

৫.বিশেষ সতর্কীকরণ ট্রাফিক সাইন: 

এই ধরনের ট্রাফিক সাইনগুলো সবসময় ও সবজায়গায় ব্যবহার করা হয় না। 

বিশেষ কিছু জায়গায় ও নির্দিষ্ট সময়ে এধরনের সাইনগুলো ব্যবহার করতে হয়।

এটি মূলত সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইনের আরেকটি রূপ। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, “আচমকা বামে মোড়”,”সাময়িক বিকল্প সড়কের নির্দেশনা”,”রাস্তা বন্ধ” ইত্যাদি। 

ট্রাফিক লাইট: 

দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইনগুলোর মধ্যে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হলো ট্রাফিক লাইট। ট্রাফিক লাইট দুই ধরনের হয়ে থাকে। 

একটি হলো গাড়ি চালকদের জন্য এবং আরেকটি হলো পথচারীদের জন্য। 

গাড়ি চালকদের জন্য ট্রাফিক লাইটে তিনটি রঙের বাতি ব্যবহার করা হয়। যথা: লাল, সবুজ ও হলুদ। 

এ তিনটি রঙ তিনটি আলাদা নির্দেশ দেয়। এখানে

লাল রং গাড়ি চালানোতে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে নির্দেশ করে। অর্থাৎ এখন এখানে গাড়ি চালানো যাবে না। 

লাল রঙের বিপরীত রং সবুজ রং নির্দেশ করে গাড়ি চালানোর অনুমতি সম্পর্কে। অর্থাৎ এখানে গাড়ি চালানো যাবে। 

এরপর হলুদ রং হলো লাল ও সবুজের মাঝামাঝি অবস্থানে । এর অর্থ হলো শীঘ্রই গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হবে বা শীঘ্রই গাড়ি চালানো থামাতে হবে। 

পথচারীদের ট্রাফিক লাইটে মাত্র দুটি আলোর সংকেত ব্যবহার করা হয়। এগুলো হলো লাল ও সবুজ। এই দুই লাইট পথচারীদের চিত্রিত করে । 

এখানে লাল রঙের মানুষটি দাড়িয়ে আছে এবং সবুজ রঙের মানুষটি হাঁটছে। 

এটি পথচারীদের জন্য স্পষ্ট হয়ে যায় যে তাদের কখন হাঁটতে হবে আর কখন থামতে হবে। 

এক্ষেত্রে লাল রঙের পথচারী আলোকিত হলে আপনি রাস্তা দিয়ে যেতে পারবেন না, আপনাকে থামতে হবে। 

আর সবুজ রঙের পথচারী আলোকিত হলে আপনি রাস্তা পার হতে পারবেন। 

অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন: 

অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন বা শব্দ সংকেত এর মূলত কোনো প্রকারভেদ নেই। 

শব্দের মাধ্যমে ট্রাফিকের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হলেই তাকে অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন বলা যায়।

এ ধরনের সাইন রাস্তাঘাটে চলাচল ও গাড়ি চালানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।যেমন:পথচারী রাস্তায় পাড় হওয়ার সময় গাড়ি তার হর্ণ বাজানোর মাধ্যমে পথচারীকে সতর্ক করে দেয়। 

এটি রোডে গাড়ি চালকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এজন্য তাদের বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করে ট্রাফিক পুলিশ। 

রাস্তায় নিরাপদে চলাচলে ট্রাফিক সাইন এর গুরুত্ব: 

রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের জন্য ট্রাফিক সাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাফিক সাইন না মেনে রাস্তায় চলাফেরা করলে নিজের সাথে সাথে অন্যের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়া মোটেও ঠিক নয়। 

অনেকে ট্রাফিক সাইন সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার কারণে রাস্তায় দূর্ঘটনার শিকার হন। এজন্য এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবশ্যই সবাইকে অবগত থাকতে হবে। 

নিরাপদ সড়কের জন্য ট্রাফিক সাইনের গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:– 

১.এটি সমস্ত ড্রাইভারদের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নিয়ম প্রদান করে: 

সমগ্র দেশজুড়ে আমরা একই ধরনের ট্রাফিক সাইন দেখতে পাই। এর কারণ হলো পথচারী ও গাড়িচালকরা যেন সহজেই সবজায়গার এসব সাইন  বুঝতে পারে এবং এক্ষেত্রে যেন তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। 

কোনো লেখা বোঝার চেয়ে চিত্র বা সাংকেতিক চিহ্ন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। 

আর এজন্য ট্রাফিক সাইন গুলো বেশিরভাগ চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যেনো যেকোনো মানুষ তা বুঝতে পারে। 

এজন্য এসব চিত্রগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হয় যেনো সবাই ভালো ভাবে বুঝতে পারে।

২.গাড়িচালক ও পথচারীদের নিরাপদ রাখে: 

ট্রাফিক সাইন এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি গাড়িচালক ও পথচারীদের নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। 

ট্রাফিক সাইন ছাড়া রাস্তাঘাট খুবই বিপজ্জনক হতো। তখন কেউ বুঝতে পারতো না কখন কোথায় থামতে হবে, কতটুকু স্পিডে গাড়ি চালাতে হবে, আগে কোন রাস্তা কেমন ইত্যাদি। 

তাদের কোনো ধারণা থাকতো না সামনে কেমন রাস্তা আসতে চলেছে বা কোনো বিপজ্জনক কিছু কি সেখানে আছে কি না। 

ট্রাফিক সাইন বেপরোয়া গাড়িচালকদের নিয়ন্ত্রণে রাখে যেন তারা যেভাবে ইচ্ছা গাড়ি চালিয়ে অন্যের ক্ষতি না করতে পারে। 

৩.পথচারী ও সাইকেল চালকদের ও নিরাপত্তা প্রদান করে: 

ট্রাফিক সাইন যে শুধু গাড়িচালকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা কিন্তু নয়। এটি একই সাথে পথচারী ও সাইকেল চালকদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। 

এর মাধ্যমে পথচারীরা জানতে পারে কখন তারা 

রাস্তা পার হতে পারবে, কোন রাস্তা দিয়ে যাওয়া নিষেধ, কোন রাস্তা বিপজ্জনক ইত্যাদি। 

সাইকেল চালকরাও বুঝতে পারবে কোন রাস্তায় তারা সাইকেল চালিয়ে যেতে পারবে, কোন রাস্তা তাদের জন্য বিপজ্জনক, কখন তাদের থামতে হবে ইত্যাদি। 

এভাবে ট্রাফিক সাইন এর নিয়মগুলো মেনে চললে সকলেই নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে। 

৪.ট্রাফিক সাইন রাস্তায় অতিরিক্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে: 

অনেক সময় রাস্তায় অনেক বেশি গাড়ি চলাচল শুরু করে, এর ফলে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। 

অতিরিক্ত গাড়ির কারণে দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয় যা সকলকে ভোগান্তিতে ফেলে। 

এক্ষেত্রে ট্রাফিক সাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কোথায় চৌরাস্তার মোড়, কোথায় গোলচত্বর,কোন রাস্তা কোন দিকে যায় ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ট্রাফিক সাইনের কারনে গাড়িচালকরা বুঝতে পারে তাদের কোথায় যেতে হবে। 

এতে খুব সহজেই রাস্তায় অতিরিক্ত ট্রাফিক দূর হয়।

৫.ট্রাফিক সাইন আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: 

ট্রাফিক সাইন একটি রাস্তা বা সেখানের এলাকা সম্পর্কে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে থাকে। 

আপনি যেখানে যেতে চান সেখানে যেতে আপনাকে আর কতটা দুরত্ব এগুতে হবে , কোন দিকে মোড় নিতে হবে, রাস্তার নাম ও কোন দিকে গেলে সেখানে পৌঁছানো যাবে এইধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ট্রাফিক সাইন আপনাকে প্রদান করে থাকে।

এসব সাইন যদি না থাকতো তবে পথচারী বা গাড়িচালকদের জন্য তা এক বিরাট অসুবিধার সৃষ্টি করতো । বিশেষ করে যারা সেই জায়গায় নতুন এসেছে তাদের জন্য সেটি আরো কষ্টকর হয়ে যেতো। 

এভাবে ট্রাফিক সাইন আমাদের ভ্রমনকে সহজ ও নিরাপদ করে। 

৬.নতুন গাড়িচালকদের জন্য এটি ভালো দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে: 

যারা নতুন গাড়ি চালানো শুরু করেছেন তাদের জন্য ট্রাফিক সাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

তারা নতুন বিধায় তাদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

এ জন্য ট্রাফিক সাইন মেনে গাড়ি চালানোর কোনো বিকল্প নেই। এর ফলে চালকসহ সবাই নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে। 

৭.সড়ক দূর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করে: 

সঠিকভাবে ট্রাফিক সাইন মেনে চললে নিরাপদে রাস্তা পারাপার ও গাড়ি চালানো যায়। 

আর ট্রাফিক সাইন না মেনে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে বা রাস্তায় চলাফেরা করলে নিজের জীবনের ঝুঁকি যেমন রয়েছে তেমনি অন্যের জীবনও ঝুঁকিতে পড়বে। 

তাই সঠিক নিয়মে ট্রাফিক সাইন সম্পর্কে জেনে সেই অনুযায়ী রাস্তায় চলাফেরা করলে সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেকাংশেই কমে আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

শেষ কথা: 

নিরাপদ সড়কে চলাচল করার জন্য ট্রাফিক সাইন মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। সেই সাথে ট্রাফিক আইন সম্পর্কেও সকলকে অবগত থাকতে হবে।

রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য অনেক ধরনের ট্রাফিক সাইন ও সিগনালের সম্মুখীন হতে হয়। এসব সাইন গাড়িচালকদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।

তাই এসব সাইন সম্পর্কে জেনে তারপর গাড়ি চালানো রপ্ত  করতে হবে যেন পরবর্তীতে কোনো দূর্ঘটনার শিকার হতে না হয়। 

Meta Description: ট্র্যাফিক সাইনের আদ্যোপান্ত, ট্র্যাফিক সাইনের প্রকারভেদ, ট্র্যাফিক সাইনের গুরুত্ব, ট্র্যাফিক লাইটের কাজ ।

বর্তমানে আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণ যায়। এসব দূর্ঘটনা বেশিরভাগই ঘটে রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ট্রাফিক সাইন বা সিগন্যাল সঠিকভাবে না মানার কারণে। অনেকে ট্রাফিক সাইন বুঝে তবুও কোনো পরোয়া না করে গাড়ি চালায়। যার ফলশ্রুতিতে তাদের দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। 

এজন্য নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা ও গাড়ি চালানোর জন্য আমাদের অবশ্যই সঠিকভাবে ট্রাফিক সাইন ও সিগনাল সম্পর্কে জানতে হবে। 

ট্রাফিক সাইন: 

ট্রাফিক সাইন হলো এমন কিছু চিহ্ন বা সংকেত যা গাড়ি চালানোর সময় ও রাস্তা পারাপারের সময় আপনাকে তথ্য সরবরাহ করে ও সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা করে। এটিকে রোড সাইন ও বলা হয়ে থাকে। 

রাস্তায় পথচারী ও গাড়িচালকদের নিরাপত্তার জন্য এটি তৈরি করা হয়। 

সঠিকভাবে এই ট্রাফিক সাইন মেনে রাস্তায় চলাফেরা করলে দূর্ঘটনার সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসবে। 

অনেক প্রাচীনকাল থেকেই ট্রাফিক সাইন মানুষ ব্যবহার করে আসছে।প্রাচীন রোমানরা তখন পথচারীদের পথের দিকনির্দেশনা প্রদান করার জন্য পাথরে খোদাই করা ট্রাফিক সাইন ব্যবহার করতো। 

পরবর্তীতে সাইকেল আবিষ্কার হওয়ার পর ট্রাফিক সাইন বর্তমান রূপ নেয়া শুরু করে। 

যারা সাইকেল চালায় তাদেরকে সামনে থাকা কোনো বিপজ্জনক বস্তু সম্পর্কে বা রাস্তার বাঁক সম্পর্কে জানাতে এই ট্রাফিক সাইন গুলো ব্যবহার করা হতো। 

ধীরে ধীরে এটি গাড়িচালকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। নিরাপদে যেন গাড়ি চালানো যায় সেই উদ্দেশ্যেই এগুলো তৈরি করা হয়। 

ট্রাফিক সাইনের প্রকারভেদ: 

ট্রাফিক সাইন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হলো দৃশ্যমান সাইন এবং অন্যটি হলো অদৃশ্যমান সাইন। 

দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন:  যেসব ট্রাফিক সাইন আমরা সরাসরি চোখে দেখি সেটাকেই দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন বলে। যেমন: ট্রাফিক লাইট, ট্রাফিক পুলিশের সংকেত, বিভিন্ন ব্যানারে থাকা সতর্কীকরণ চিহ্ন ইত্যাদি। 

অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন: এ ধরনের ট্রাফিক সাইন দেখা যায় না।শব্দের মাধ্যমে এটিকে প্রকাশ করা হয়। এজন্য এটিকে শব্দ সংকেতও বলা হয়। যেমন: ট্রাফিক পুলিশের বাঁশির সংকেত, মোটরগাড়ির হর্নের শব্দ ইত্যাদি। 

দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইনের প্রকারভেদ: 

বাংলাদেশে পাঁচ ধরনের দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন দেখা যায়। সেগুলো হলো: 

01. বাধ্যতামূলক ইতিবাচক ট্রাফিক সাইন 

02. বাধ্যতামূলক নেতিবাচক ট্রাফিক সাইন 

03. সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইন

04. তথ্যমূলক ট্রাফিক সাইন ও 

05. বিশেষ সতর্কীকরণ ট্রাফিক সাইন।

এসব সাইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১.বাধ্যতামূলক ইতিবাচক ট্রাফিক সাইন: 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন সাধারণ পথচারীদের ইতিবাচক নির্দেশনা প্রদান করার জন্য ব্যবহার করা হয়। 

যেমন: “সামনের দিকে চলুন” , “বাম ঘেঁষে চলুন”, “সামনে বামে মোড়”, “গোল চত্বর-এখানে ঘুরতে হবে” ইত্যাদি। 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন সাধারণত নীল রঙের ও বৃত্তাকার হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো এটি বর্গাকার বা আয়তাকার হয়ে থাকে। 

২.বাধ্যতামূলক নেতিবাচক ট্রাফিক সাইন: 

যেসব ট্রাফিক সাইন দ্বারা পথচারী বা গাড়ি চালকদের কোনো কিছু করতে বাধা প্রদান করা হয় তাকে বাধ্যতামূলক নেতিবাচক ট্রাফিক সাইন বলে। 

যেমন: “পার্কিং নিষেধ”,”প্রবেশ নিষেধ”,”ডানে মোড় নিষেধ”, “বামে মোড় নিষেধ” ইত্যাদি। 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন মূলত লাল রঙের ও বৃত্তাকার হয়ে থাকে। অনেক সময় এটি বর্গাকার বা আয়তাকার ও থাকতে পারে।

৩.সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইন: 

পথচারী বা গাড়ি চালকদের রাস্তার সামনে থাকা কোনো সমস্যা বা সতর্কতামূলক কথা জানানোর জন্য যে ট্রাফিক সাইন ব্যবহার করা হয় তাকে সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইন বলে। 

একে ওয়ার্নিং সাইন (Warning Sign) ও বলা হয়। 

উদাহরণস্বরূপ, “ডানে বাঁক”, “বামে বাঁক”, “পথচারী পারাপার” ইত্যাদি। 

এসব ট্রাফিক সাইন সাধারণত লাল রঙের ত্রিভুজ আকৃতির হয়ে থাকে। 

৪.তথ্যমূলক ট্রাফিক সাইন: 

এ ধরনের ট্রাফিক সাইন খুব বেশি জরুরী না হলেও পথচারী ও গাড়িচালকদের কোনো নির্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয়। 

এধরনের সাইনগুলোতে কোনো স্থানের নাম ও যাওয়ার দিকনির্দেশনা দেয়া থাকে। 

আমাদের দেশে তথ্যমূলক ট্রাফিক সাইন সাধারণত নীল অথবা সবুজ রঙের আয়তাকার হয়ে থাকে।

৫.বিশেষ সতর্কীকরণ ট্রাফিক সাইন: 

এই ধরনের ট্রাফিক সাইনগুলো সবসময় ও সবজায়গায় ব্যবহার করা হয় না। 

বিশেষ কিছু জায়গায় ও নির্দিষ্ট সময়ে এধরনের সাইনগুলো ব্যবহার করতে হয়।

এটি মূলত সতর্কতামূলক ট্রাফিক সাইনের আরেকটি রূপ। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, “আচমকা বামে মোড়”,”সাময়িক বিকল্প সড়কের নির্দেশনা”,”রাস্তা বন্ধ” ইত্যাদি। 

ট্রাফিক লাইট: 

দৃশ্যমান ট্রাফিক সাইনগুলোর মধ্যে আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হলো ট্রাফিক লাইট। ট্রাফিক লাইট দুই ধরনের হয়ে থাকে। 

একটি হলো গাড়ি চালকদের জন্য এবং আরেকটি হলো পথচারীদের জন্য। 

গাড়ি চালকদের জন্য ট্রাফিক লাইটে তিনটি রঙের বাতি ব্যবহার করা হয়। যথা: লাল, সবুজ ও হলুদ। 

এ তিনটি রঙ তিনটি আলাদা নির্দেশ দেয়। এখানে

লাল রং গাড়ি চালানোতে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে নির্দেশ করে। অর্থাৎ এখন এখানে গাড়ি চালানো যাবে না। 

লাল রঙের বিপরীত রং সবুজ রং নির্দেশ করে গাড়ি চালানোর অনুমতি সম্পর্কে। অর্থাৎ এখানে গাড়ি চালানো যাবে। 

এরপর হলুদ রং হলো লাল ও সবুজের মাঝামাঝি অবস্থানে । এর অর্থ হলো শীঘ্রই গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হবে বা শীঘ্রই গাড়ি চালানো থামাতে হবে। 

পথচারীদের ট্রাফিক লাইটে মাত্র দুটি আলোর সংকেত ব্যবহার করা হয়। এগুলো হলো লাল ও সবুজ। এই দুই লাইট পথচারীদের চিত্রিত করে । 

এখানে লাল রঙের মানুষটি দাড়িয়ে আছে এবং সবুজ রঙের মানুষটি হাঁটছে। 

এটি পথচারীদের জন্য স্পষ্ট হয়ে যায় যে তাদের কখন হাঁটতে হবে আর কখন থামতে হবে। 

এক্ষেত্রে লাল রঙের পথচারী আলোকিত হলে আপনি রাস্তা দিয়ে যেতে পারবেন না, আপনাকে থামতে হবে। 

আর সবুজ রঙের পথচারী আলোকিত হলে আপনি রাস্তা পার হতে পারবেন। 

অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন: 

অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন বা শব্দ সংকেত এর মূলত কোনো প্রকারভেদ নেই। 

শব্দের মাধ্যমে ট্রাফিকের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হলেই তাকে অদৃশ্যমান ট্রাফিক সাইন বলা যায়।

এ ধরনের সাইন রাস্তাঘাটে চলাচল ও গাড়ি চালানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।যেমন:পথচারী রাস্তায় পাড় হওয়ার সময় গাড়ি তার হর্ণ বাজানোর মাধ্যমে পথচারীকে সতর্ক করে দেয়। 

এটি রোডে গাড়ি চালকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এজন্য তাদের বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করে ট্রাফিক পুলিশ। 

রাস্তায় নিরাপদে চলাচলে ট্রাফিক সাইন এর গুরুত্ব: 

রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের জন্য ট্রাফিক সাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাফিক সাইন না মেনে রাস্তায় চলাফেরা করলে নিজের সাথে সাথে অন্যের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়া মোটেও ঠিক নয়। 

অনেকে ট্রাফিক সাইন সম্পর্কে ভালোভাবে না জানার কারণে রাস্তায় দূর্ঘটনার শিকার হন। এজন্য এর গুরুত্ব সম্পর্কে অবশ্যই সবাইকে অবগত থাকতে হবে। 

নিরাপদ সড়কের জন্য ট্রাফিক সাইনের গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:– 

১.এটি সমস্ত ড্রাইভারদের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নিয়ম প্রদান করে: 

সমগ্র দেশজুড়ে আমরা একই ধরনের ট্রাফিক সাইন দেখতে পাই। এর কারণ হলো পথচারী ও গাড়িচালকরা যেন সহজেই সবজায়গার এসব সাইন  বুঝতে পারে এবং এক্ষেত্রে যেন তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। 

কোনো লেখা বোঝার চেয়ে চিত্র বা সাংকেতিক চিহ্ন মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। 

আর এজন্য ট্রাফিক সাইন গুলো বেশিরভাগ চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যেনো যেকোনো মানুষ তা বুঝতে পারে। 

এজন্য এসব চিত্রগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হয় যেনো সবাই ভালো ভাবে বুঝতে পারে।

২.গাড়িচালক ও পথচারীদের নিরাপদ রাখে: 

ট্রাফিক সাইন এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি গাড়িচালক ও পথচারীদের নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। 

ট্রাফিক সাইন ছাড়া রাস্তাঘাট খুবই বিপজ্জনক হতো। তখন কেউ বুঝতে পারতো না কখন কোথায় থামতে হবে, কতটুকু স্পিডে গাড়ি চালাতে হবে, আগে কোন রাস্তা কেমন ইত্যাদি। 

তাদের কোনো ধারণা থাকতো না সামনে কেমন রাস্তা আসতে চলেছে বা কোনো বিপজ্জনক কিছু কি সেখানে আছে কি না। 

ট্রাফিক সাইন বেপরোয়া গাড়িচালকদের নিয়ন্ত্রণে রাখে যেন তারা যেভাবে ইচ্ছা গাড়ি চালিয়ে অন্যের ক্ষতি না করতে পারে। 

৩.পথচারী ও সাইকেল চালকদের ও নিরাপত্তা প্রদান করে: 

ট্রাফিক সাইন যে শুধু গাড়িচালকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা কিন্তু নয়। এটি একই সাথে পথচারী ও সাইকেল চালকদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। 

এর মাধ্যমে পথচারীরা জানতে পারে কখন তারা 

রাস্তা পার হতে পারবে, কোন রাস্তা দিয়ে যাওয়া নিষেধ, কোন রাস্তা বিপজ্জনক ইত্যাদি। 

সাইকেল চালকরাও বুঝতে পারবে কোন রাস্তায় তারা সাইকেল চালিয়ে যেতে পারবে, কোন রাস্তা তাদের জন্য বিপজ্জনক, কখন তাদের থামতে হবে ইত্যাদি। 

এভাবে ট্রাফিক সাইন এর নিয়মগুলো মেনে চললে সকলেই নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে। 

৪.ট্রাফিক সাইন রাস্তায় অতিরিক্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে: 

অনেক সময় রাস্তায় অনেক বেশি গাড়ি চলাচল শুরু করে, এর ফলে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। 

অতিরিক্ত গাড়ির কারণে দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয় যা সকলকে ভোগান্তিতে ফেলে। 

এক্ষেত্রে ট্রাফিক সাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কোথায় চৌরাস্তার মোড়, কোথায় গোলচত্বর,কোন রাস্তা কোন দিকে যায় ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ট্রাফিক সাইনের কারনে গাড়িচালকরা বুঝতে পারে তাদের কোথায় যেতে হবে। 

এতে খুব সহজেই রাস্তায় অতিরিক্ত ট্রাফিক দূর হয়।

৫.ট্রাফিক সাইন আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: 

ট্রাফিক সাইন একটি রাস্তা বা সেখানের এলাকা সম্পর্কে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে থাকে। 

আপনি যেখানে যেতে চান সেখানে যেতে আপনাকে আর কতটা দুরত্ব এগুতে হবে , কোন দিকে মোড় নিতে হবে, রাস্তার নাম ও কোন দিকে গেলে সেখানে পৌঁছানো যাবে এইধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ট্রাফিক সাইন আপনাকে প্রদান করে থাকে।

এসব সাইন যদি না থাকতো তবে পথচারী বা গাড়িচালকদের জন্য তা এক বিরাট অসুবিধার সৃষ্টি করতো । বিশেষ করে যারা সেই জায়গায় নতুন এসেছে তাদের জন্য সেটি আরো কষ্টকর হয়ে যেতো। 

এভাবে ট্রাফিক সাইন আমাদের ভ্রমনকে সহজ ও নিরাপদ করে। 

৬.নতুন গাড়িচালকদের জন্য এটি ভালো দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে: 

যারা নতুন গাড়ি চালানো শুরু করেছেন তাদের জন্য ট্রাফিক সাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

তারা নতুন বিধায় তাদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

এ জন্য ট্রাফিক সাইন মেনে গাড়ি চালানোর কোনো বিকল্প নেই। এর ফলে চালকসহ সবাই নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবে। 

৭.সড়ক দূর্ঘটনা কমাতে সাহায্য করে: 

সঠিকভাবে ট্রাফিক সাইন মেনে চললে নিরাপদে রাস্তা পারাপার ও গাড়ি চালানো যায়। 

আর ট্রাফিক সাইন না মেনে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে বা রাস্তায় চলাফেরা করলে নিজের জীবনের ঝুঁকি যেমন রয়েছে তেমনি অন্যের জীবনও ঝুঁকিতে পড়বে। 

তাই সঠিক নিয়মে ট্রাফিক সাইন সম্পর্কে জেনে সেই অনুযায়ী রাস্তায় চলাফেরা করলে সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেকাংশেই কমে আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

শেষ কথা: 

নিরাপদ সড়কে চলাচল করার জন্য ট্রাফিক সাইন মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। সেই সাথে ট্রাফিক আইন সম্পর্কেও সকলকে অবগত থাকতে হবে।

রাস্তায় গাড়ি চালানোর জন্য অনেক ধরনের ট্রাফিক সাইন ও সিগনালের সম্মুখীন হতে হয়। এসব সাইন গাড়িচালকদের জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করে।

তাই এসব সাইন সম্পর্কে জেনে তারপর গাড়ি চালানো রপ্ত  করতে হবে যেন পরবর্তীতে কোনো দূর্ঘটনার শিকার হতে না হয়। 

Meta Description: ট্র্যাফিক সাইনের আদ্যোপান্ত, ট্র্যাফিক সাইনের প্রকারভেদ, ট্র্যাফিক সাইনের গুরুত্ব, ট্র্যাফিক লাইটের কাজ ।

Similar Advices

Buy New Bikesbikroy
Bajaj Pulsar ug3 2012 for Sale

Bajaj Pulsar ug3 2012

35,000 km
MEMBER
Tk 55,000
7 hours ago
TVS Apache RTR 2V 2022 model for Sale

TVS Apache RTR 2V 2022 model

7,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 145,000
1 day ago
Hero CD ভালো 2003 for Sale

Hero CD ভালো 2003

30,000 km
MEMBER
Tk 48,000
1 day ago
Suzuki Access 2024 for Sale

Suzuki Access 2024

60 km
MEMBER
Tk 30,000
2 days ago
Bajaj V15 2022 for Sale

Bajaj V15 2022

16,000 km
MEMBER
Tk 115,000
2 days ago
Buy Used Bikesbikroy
Yamaha Deluxe RX 100 CDI AX Bike 1999 for Sale

Yamaha Deluxe RX 100 CDI AX Bike 1999

20,000 km
MEMBER
Tk 22,000
39 minutes ago
Hero Hunk 2018 for Sale

Hero Hunk 2018

17,200 km
MEMBER
Tk 99,000
48 minutes ago
Suzuki GSX R150 ABS 2024 for Sale

Suzuki GSX R150 ABS 2024

14,000 km
MEMBER
Tk 300,000
51 minutes ago
Runner F-100 6A . 2018 for Sale

Runner F-100 6A . 2018

2,500 km
MEMBER
Tk 17,000
59 minutes ago
TVS Metro ES self Start 2024 for Sale

TVS Metro ES self Start 2024

2,100 km
verified MEMBER
verified
Tk 100,000
1 hour ago
+ Post an ad on Bikroy