Yamaha R15 V3 Indonesia vs Yamaha R15 V3 Monster Edition
বাইক রাইডিং এর জগতে ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের নাম জানে না এমন খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে। ইয়ামাহা তাদের বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করে ২০০৮ সাল থেকে এবং তখন থেকেই ইয়ামাহার যে একটি নাম সর্বাধিক জনপ্রিয়তা লাভ করে তা হল R15। বিভিন্ন সময় ইয়ামাহা এই সিরিজের বেশ কিছু বাইক বাজারে লঞ্চ করে যাদের মধ্যে মোস্ট রিসেন্ট দুটি মডেল হল Yamaha R15 V3 Indonesia এবং Yamaha R15 V3 Monster Edition.
Yamaha R15 Indonesia Vs Yamaha R15 Monster রাইডিং ডাইনামিক্স(Riding Dynamics)
ইয়ামাহার V3 Indonesia এবং V3 Monster Edition এই দুইটি বাইকই ইয়াং রাইডারদের কাছে বেশ সুপরিচিত। বিশেষ করে এই বাইক দুটির স্পোর্টি লুক রাইডারদের কাছে এদের বেশি আকর্ষনীয় করে তোলে।
Yamaha R15 V3 Indonesia এই বাইকটি মূলত তার পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের জন্য সুখ্যাত। এই বাইকটি ফুয়েল এফিশিয়েন্ট এবং এর বিল্ড কোয়ালিটি বেশ ভালো।
এছাড়া এই বাইকের আরো একটি বিশেষ আকর্ষন হল VVA (Variable Valve Actuation) টেকনোলোজি।
অপর দিকে Yamaha R15 V3 Monster এ শুরুতেই নতুন যে বিষয়টি লক্ষ করা যায় তা হলো এর লিভারি ডিজাইন। রেসিং বাইক ইন্সপায়ার্ড এই মডেলটির লুকটি একটি পারফেক্ট স্পোর্টস বাইকের ভাইব দেয়।
ইন্দোনেশিয়ান ভার্শনের মত ইয়ামাহার মনসটার এডিশনেও রয়েছে নিজস্ব VVA (Variable Valve Actuation) টেকনোলোজি এবং ক্লাচপুলকে লাইট করার জন্য রয়েছে অ্যাসিস্ট এবং স্লিপার ক্লাচ
Yamaha R15 Indonesia Vs Yamaha R15 Monster ইঞ্জিন
Yamaha R15 V3 Indonesia এবং Yamaha R15 V3 Monster Edition এই দুইটি বাইকের ইঞ্জিন একেবারেই সেইম বললেই চলে।
কারণ, ইঞ্জিন এবং ইঞ্জিনের পার্ফরমেন্সের দিক থেকে এই দুই বাইকের তেমন কোনো পার্থক্য নেই।
ইন্দোনেশিয়া ও মন্সটার দুই এডিশনেই দেওয়া হয়েছে ১৫৫সিসি লিকুইড কুল্ড ৪ স্ট্রোক (4 stroke), ৪ভাল্ভস (4 valves), সিঙ্গেল সিলিন্ডারের (single cylinder) ইঞ্জিন।
যা 19.1 BHP @ 10,000 RPM এবং 14.7 NM টর্ক @ 8500 RPM উৎপন্ন করতে সক্ষম।
দ্রুত গিয়ার শিফটের জন্য দুই বাইকেই রয়েছে অ্যাসিস্ট এবং স্লিপার ক্লাচ এবং ইঞ্জিনে যুক্ত করা হয়েছে VVA (Variable Valve Actuation) ।
যা হাইআরপিএম এবং হাইওয়েতে স্মুথলি চলার জন্য বেশ জরুরী।
Yamaha R15 Indonesia Vs Yamaha R15 Monster রাইডার কম্ফোর্টেবলিটি
ইয়ামাহা তাদের রিসেন্ট বাইকগুলো মূলত ইয়াং স্পোর্টস লাভারদের টার্গেট করে ডিজাইন করছে। শুধু ডিজাইন নয় রাইডার যেন বাইকটি কম্ফোর্টেবলি মুভ করতে পারে তার জন্য এর ওয়েট ও হাইট দুটোই স্ট্যান্ডার্ড রাখা হয়েছে।
Yamaha R15 V3 Indonesia এবং Yamaha R15 V3 Monster Edition এই দুই বাইকের ওজন ১৩৭ কেজি এবং সিটের হাইট রাখা হয়েছে ৮১৫মিমি। তাই স্ট্যান্ডার্ড হাইটের মানুষেরা এই দুইটি বাইক অনায়াসেই চালাতে পারবে।
আমাদের দেশের গতিরোধক গুলোর কথা চিন্তা করে মন্সটার এডিশনের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স আগের চেয়ে বেটার করা হয়েছে তাই ইন্দোনেশিয়ান ভার্সনটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স মনসটার এডিশনের তুলোনায় কম হওয়াই এদিক থেকে মন্সটার এডিশন এগিয়ে রয়েছে।
Yamaha R15 Indonesia Vs Yamaha R15 Monster ব্রেকিং, টায়ার
বাইক রাইডিং এর ক্ষেত্রে রাইডারের কম্ফোর্টেবলিটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি তার বাইকের ব্রেকিং সিস্টেমও আপডেটেড এবং আপগ্রেটেড হওয়া অত্যন্ত জরুরী।
ইন্দোনেশিয়া ও মন্সটার দুই এডিশনে ব্রেকিং এর জন্য ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম দেওয়া হয়েছে।
ফ্রন্টে উভয় বাইকে রয়েছে ২৮২ মিমি ডিস্ক প্লেট এবং রেয়ারে ২২০ মিমি রেয়ার প্লেট।
তবে Yamaha R15 V3 Monster Edition-এ রয়েছে অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS) যা ইয়ামাহার ইন্দোনেশিয়ান এডিশনে নেই।
তাই বাকি সব ফিচার্সে দুটি বাইক সেইম হলেও এবিএস সিস্টেমের না থাকার জন্য Yamaha R15 V3 Indonesia কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।
Yamaha R15 Indonesia Vs Yamaha R15 Monster সাসপেনশন
সাসপেনশনের দিক থেকে ইয়ামাহার মন্সটার, ইন্দোনেশিয়া এডিশনের থেকে এগিয়ে রয়েছে। কারণ, Yamaha R15 V3 Monster Edition-এ সামনের দিকে ১৩০মিমিঃ হুইল ট্রাভেল সহ একটি ডুয়েল টেলিস্কোপিক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
পিছনের চাকায় যুক্ত করা হয়েছে ৯৭মিমিঃ এর একটি লিঙ্ক সাসপেনশন সুইংআর্ম। তাই যেকোনো ভাঙা রাস্তায় বাইকটি বেশ স্মুথলি চলতে সক্ষম।
অপরদিকে, Yamaha R15 V3 Indonesia বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে সোনালি রঙের আপসাইড ডাউন (USD) সাসপেনশন যা এর লুককে আকর্ষনীয় করার পাশাপাশি ভাঙা রাস্তায় ভালো সাপোর্টও দেয়। পেছনে রয়েছে মনো-শক(mono shock) সাসপেনশন, যা বন্ধ রাস্তায় বাইকটিকে স্থিতিশীল রাখে।
মূল্য
স্পোর্টস বাইক লাভারদের জন্য ডিজাইন করা ইয়ামাহা ইন্দোনেশিয়া ও মন্সটার এডিশন এই দুইটি বাইকের মূল্যই ৪৫০,০০০ টাকা। মুল্যের দিক থেকে এই দুই বাইকের কোনো তারতম্য নেই।
বাজেট ৪৫০,০০০ হলে এবং ভালো ও আপডেটেড ফিচার্স সহ একটি আধুনিক বাইক কিনতে চাইলে আপনি যেকোনো একটি মডেলই নিতে পারেন।
পরিশেষে
ইয়ামাহার ইন্দোনেশিয়ান ও মনসটার এডিশন এই দুইটি ভার্সন একসাথে দেখলে খুব একটা পার্থক্য নজরে পড়ে না। কারণ, এদের ইঞ্জিন এবং ইঞ্জিনের পার্ফরমেন্স সেইম।
তবে বাইক দুটির মূল পার্থক্য এদের গ্রাফিকাল ডিজাইনে। Yamaha R15 V3 Monster Edition-এর গ্রাফিক্স ডিজাইন যেকোনো রাইডারকেই নিমিষেই আকৃষ্ট করতে সক্ষম।
এছাড়াও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, সাসপেনশন, ব্রেকিং ইত্যাদি ছোট খাটো কিছু পার্থক্যও রয়েছে এই দুই বাইকের যা আমরা উপরেই আলোচনা করেছি।
তাই আশা করি আপনি যদি ইয়ামাহা ইন্দোনেশিয়া ও মন্সটার এডিশন এই দুই বাইকের যেকোনো একটি কিনবেন বলে মন স্থির করেন কিন্তু এদের ফিচার্স নিয়ে কনফিউজড হয়ে পরেন।
তবে এই আরটিকেলটি আপনাকে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
FAQ
১.Yamaha R15 Indonesia কি ABS আছে ?
না Yamaha R15 Indonesia তে ABS নেই।
২.R15 Monster edition কি ABS আছে?
জি ইন্ডিয়ান R15 Monster edition তে ABS আছে।
৩.দুই বাইক এর মধ্যে কোন বাইকটির পাওয়ার বেশি।
ইন্দোনেশিয়ান R15 এর পাওয়ার বেশি।
৪.লিভারি ছাড়া আর কি কোনো চেঞ্জেস আছে?
না লিভারি ছাড়া দুই বাইক এর মধ্যে তেমন কোনো চেঞ্জ নেই।
৫.কোন বাইক এর সাসপেনশন ভালো?
ইন্ডিয়ান R15 Monster এডিশন এর সাসপেনশন আমাদের কন্ডিশনস এর জন্য ভালো।