ড্রাইভিং লাইসেন্স – কোন প্রয়োজনে কত ফি

29 Mar, 2023   
ড্রাইভিং লাইসেন্স – কোন প্রয়োজনে কত ফি

ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো একটি লিগ্যাল ডকুমেন্ট যা একজন ব্যক্তিকে মোটর গাড়ি/মোটর সাইকেল চালানোর অনুমতি প্রদান করে। মূলত লাইসেন্স হচ্ছে কোনো কিছুর মালিকানা বা ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি অনুমতি পত্র।

নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্থ, নির্দিষ্ট কোন মোটরযান চালানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অনুমতি প্রদান করে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক ইস্যুকৃত ডকুমেন্টকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে। বাংলাদেশের আইনে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো যে কোনো জায়গায় (ব্যক্তিগত এবং সংরক্ষিত স্থান বাদে) গাড়ি চালানোর অনুমতি পত্র।

যেকোনো মোটরযান চালানোর জন্য, চালকের প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়, সঠিকভাবে মোটরযান চালানোর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়। রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষসহ, আশেপাশের অন্যান্য গাড়ি ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ দরকার।

এরকম দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে আইডেন্টিফাই করার জন্য এই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং নিয়ে, বিআরটিএ তে (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

এই ব্লগে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি নিয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ কিভাবে করতে হয়, এবং অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করতে হয়, এসব বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাবেন? 

আপনি অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd) শিক্ষানবিশ বা লার্নার লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করবেন। প্রয়োজনীয় কি কি ডকুমেন্টস সংযুক্ত করতে হবে তা নিচে পয়েন্ট করে দেয়া হয়েছে। আপনি ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন। আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করলে, বিআরটিএ‘র অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স সিস্টেম থেকে আপনার লার্নার লাইসেন্স ইস্যু হবে, আপনি সাথে সাথে লাইসেন্সটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

এরপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর (সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ দিন) আপনাকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। পরীক্ষার তারিখ আগেই আপনার মোবাইলে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। নির্ধারিত স্থানে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ নিতে হবে। এসময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে যাবেন।

প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আবার একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং আরেকটি নির্ধারিত ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন। এখানে আপনার উল্লেখিত ঠিকানা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবার কিছু দিন পর (সাধারণত ৭ থেকে ৩০ দিন) মোবাইলে মেসেজ দিয়ে আপনার বায়োমেট্রিক্স নেওয়ার জন্য ডাকা হবে। এরপর আপনার ডিজিটাল ছবি, স্বাক্ষর এবং হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হবে। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে আপনাকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স – লার্নার লাইসেন্সএর জন্য প্রয়োজনীয় যা দরকার হবে:

         (১) অনলাইনে নির্ধারিত ফরমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে,

         (২) আবেদনকারীর নির্ধারিত সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে (সাইজ: ৩০০ x ৩০০ পিক্সেল; সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি),

         (৩) মেডিকেল সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি),

         (৪) ন্যাশনাল আইডি কার্ডের পরিষ্কার স্ক্যান কপি (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি),

         (৫) স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী যেকোনো ইউটিলিটি বিলের পরিষ্কার স্ক্যান কপি (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), স্থায়ী ঠিকানার বিল পেপার্স না পেলে, বর্তমান ঠিকানার বিলের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করুন।

         (৬) লাইসেন্সের নবায়ন বা কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে বর্তমান লাইসেন্সের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করুন। (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি)।

         (৭) মাঝে মাঝে লাইসেন্স এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনও লাগতে পারে, তাই আপনার স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন কপি নিয়ে নেবেন।

         (৮) নির্ধারিত ফী, প্রথম ক্যাটাগরির জন্য ৩৪৫/-টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান) ও দ্বিতীয় ক্যাটাগরির জন্য ৫১৮/-টাকা (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে) অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। (ফি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে)

স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য যেসব ডকুমেন্টসের প্রয়োজন

         (১) নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে,

         (২) মেডিকেল সার্টিফিকেট,

         (৩) সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি, এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি,

         (৪) নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমাদানের রশিদ। (পেশাদার স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফী – ১৬৭৯/-টাকা ও অপেশাদার স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য – ২৫৪২/-টাকা)

মনে রাখবেন আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ হতে হবে। এবং ফিজিক্যালি – মেন্টালি ফিট হতে হবে। অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং পেশাদার লাইসেন্সের জন্য বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে। এবং কোনো ভাবেই মিথ্যা তথ্য দেবেননা, এতে লাইসেন্স বাতিল সহ, আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হবেন।

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিভিন্ন নির্ধারিত ফি

প্রত্যেক চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে। যাদের লাইসেন্স এবং স্মার্টকার্ড আছে, তাদের মেয়াদ শেষ হবার পর আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে হয়। নতুন লাইসেন্স করতে অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে নির্ধারিত পরিমান টাকা পরিশোধ করতে হয়।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ফী: –

         (১) এক ক্যাটাগরি- ৩৪৫টাকা (শুধু এক ধরণের হালকা মোটরযান, যেমন, শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান)

         (২) দুই ক্যাটাগরি- ৫১৮ টাকা (মোটরসাইকেলের সাথে হালকা যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)

স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফী –

         (১) পেশাদার স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফী – ১৬৮০ টাকা (০৫ বছরের নবায়ন ফী সহ)

         (২) অপেশাদার স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফী – ২৫৪২ টাকা (১০ বছরের নবায়ন ফী সহ)

 ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ প্রক্রিয়া

যে কোনো চালকদের জন্য এই লাইসেন্স থাকা গুরুত্বপুর্ন । লাইসেন্স না থাকা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। লাইসেন্স একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এই লাইসেন্স ৫ এবং ১০ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। এই সময় পার হয়ে গেলে, লাইসেন্সটি আবার নবায়ন করতে হয়।

নবায়ন ফী –

         (ক) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ ফী – মেয়াদ পার হবার ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭ টাকা; জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

         (খ) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ ফী – মেয়াদ পার হবার ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫ টাকা; জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

         (গ) পেশাদার ও অপেশাদার উভয় লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে মেয়াদ পার হবার ১৫ দিন পার হলে প্রতি বছরের জন্য ২৩০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে।

হাই সিকিউরিউটি লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে প্রতিলিপি ফী – ৮৭৫ টাকা।

ডুপ্লিকেট বা প্রতিলিপি লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস –

         (১) নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে,

         (২) জিডি কপি নিয়ে আসতে হবে,

         (৩) ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স কপি সঙ্গে আনতে হবে,

         (৪) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমাদানের রশিদ।

         (৫) সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

আবেদনপত্রের তথ্য সহ অন্যান্য ডকুমেন্টস সব ঠিক থাকলে, সময় থাকলে একই দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ছবি, স্বাক্ষর এবং আঙুলের ছাপ) নেয়া হবে। সময় না থাকলে আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করে দেবে বায়োমেট্রিক্স নেয়ার জন্য। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং প্রসেস হলে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

লাইসেন্স এর আপডেট জানতে আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে DL <স্পেস> রেফারেন্স নং-xxxxxxxxxxx লিখে ২৬৯৬৯ নম্বরে সেন্ড করুন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস –

প্রথম ধাপ –

         (১) প্রথমে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে,

         (২) লাইসেন্স এর ফটোকপি এবং আসল লাইসেন্স কার্ড সাথে হবে,

         (৩) ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি আনতে হবে,

         (৪) নাগরিক সনদ পত্রের কপি আনতে হবে,

         (৫) মেডিকেল সার্টিফিকেট,

         (৬) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ;

         (৭) পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইজের ছবি (একাধিক কপি রাখবেন প্রয়োজন পড়তে পারে)

         (৮) ফী জমাদানের রশিদ,

         (৯) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

ব্যাংকে টাকা জমা দেবার সময় লাইসেন্স এর ফটোকপি নিয়ে যাবেন।

ফটোকপিটি বিআরটিএ অফিসের নবায়ন অফিসার এর কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। সত্যায়িত ফটোকপিটি ব্যাংক ডিপোজিট ফরম এর সাথে জমা দিতে হবে। ২৪২৭ টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিয়ে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য রেখে দেবেন।

দ্বিতীয় ধাপ – এখানে দুই ধরনের ফরম পূরণ করতে হবে: নবায়ন ফরম এবং মেডিকেল ফরম।

             (১) নবায়ন ফরম – বিআরটিএ এর আশেপাশে দোকান গুলোতে আপনি এই ফরম পাবেন। এই ফরম অনলাইনেও পূরণ করা যায়। এখানে মূলত পারিবারিক তথ্য প্রদান করতে হয়।

             (২) মেডিকেল ফরম – মেডিকেল ফরমের সকল তথ্য পূরণ করে ফরমটি একজন এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সত্যায়িত করে নিয়ে জমা দিতে হবে। এই ফরমটিও অনলাইন পাওয়া যায়, বিআরটিএ এর আশেপাশে দোকান গুলোতেও পাবেন।

এরপর ফরম দুটিতে সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হবে। সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি, ব্যাংক রশিদের কপি, নাগরিক সনদ পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, লাইসেন্স এর ফটোকপি সব কিছু একত্রে করে জমা দিতে হবে। 

ওভারঅল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতি এবং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম –

             (১) হালকা মোটরযানের জন্য, অর্থাৎ যেসব বাহনের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে, সেসব বাহনের পেশাদার লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে,

             (২) মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি এর বেশি হলে পেশাদার মধ্যম লাইসেন্স নিতে হবে। বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে। এক্ষেত্রে পেশাদার হালকা লাইসেন্সের এক্সপেরিয়েন্স কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

             (৩) মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী হলে পেশাদার ভারী লাইসেন্স নিতে হবে। বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে। এক্ষেত্রে পেশাদার মধ্যম লাইসেন্সের এক্সপেরিয়েন্স কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

অর্থাৎ, আপনি যদি পেশাদার ভারী লাইসেন্স চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে হালকা বাহনের লাইসেন্স নিতে হবে। কমপক্ষে ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স হবার পর মধ্যম বাহনের লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স হবার পর ভারী বাহনের লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

সংক্ষেপে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন ফি

সেবার নাম ফি ভ্যাট
লার্নার লাইসেন্স এক ধরনের মোটরযানের জন্য ৩০০/- ১৫%
লার্নার লাইসেন্স দুই ধরনের মোটরযানের জন্য ৪৫০/- ১৫%
মেয়াদ উত্তীর্ণ লার্নার লাইসেন্স নবায়ন ফি (৩ মাসের জন্য) ৭৫/- ১৫%
মেয়াদ উত্তীর্ণ লার্নার লাইসেন্স নবায়ন ফি (৬ মাসের জন্য) ১৫০/- ১৫%
অপেশাদার লাইসেন্স ইস্যু (ফিল্ড টেস্ট পাসের পর) ২২১০/- ১৫%
পেশাদার লাইসেন্স ইস্যু (ফিল্ড টেস্ট পাসের পর) ১৪৬০/- ১৫%
অপেশাদার (লাইসেন্স নবায়ন) ২১১০/- ১৫%
পেশাদার (লাইসেন্স নবায়ন) ১৩৬০/- ১৫%
পেশাদার লাইসেন্স নবায়ন পরীক্ষার ফি ১৫০/- ১৫%
মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে মূল ফী’র সাথে জরিমানা (প্রতিবছর) ২০০/- ১৫%
লাইসেন্স প্রতিলিপি ফী ৭৬০/- ১৫%
লাইসেন্স সংশোধনী ফী ৮১০/- ১৫%
শুধু লাইসেন্স অন্তর্ভুক্তি ফী ২০০/- ১৫%
লাইসেন্স অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিলিপি সহ ফী ৯৬০/- ১৫%
লাইসেন্স সত্যায়িত ফী ১২০/- ১৫%

 

বাইক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভিজিট করুন বাইকস গাইডে। এটি একটি দুর্দান্ত মোটরবাইক পোর্টাল যেখানে আপনি বিভিন্ন বাইক, বাইকের পার্টস, স্পেসিফিকেশন, কম্পারিজন, বিভিন্ন নিরপেক্ষ পর্যালোচনা সোহো আরও অনেক কিছু।

ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন

মেয়াদ পার হলে লাইসেন্স নবায়ন না করলে কী হবে?

গাড়ি বা বাইক চালানোর জন্য লাইসেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়াদ শেষে যদি নবায়ন না করা হয় তাহলে প্রতি বছর ২৩০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

লাইসেন্স কেন প্রয়োজন?

বাংলাদেশের মোটরযান আইন ১৯৮৩ এর ধারা ৩ অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া যেকোনো মোটরবাহন চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ। রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষসহ, আশেপাশের অন্যান্য গাড়ি ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার দক্ষতাসম্পন্ন চালক দরকার। এরকম দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে আইডেন্টিফাই করার জন্য এই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।

লাইসেন্স পাওয়ার জন ন্যূনতম বয়সসীমা কত ?

পেশাদার লাইসেন্স-এর জন্য ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।

শিক্ষানবীশ লাইসেন্স দিয়ে কি রাস্তায় বাইক চালানো যাবে?

শিক্ষানবীশ লাইসেন্স দিয়ে হাইওয়ে এবং পাবলিক প্লেসে বাইক চালানো / শেখা যাবে না।

বাইকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা অবস্থায়, প্রাইভেটকার/জীপ/মাইক্রোবাস এসবের লাইসেন্স পেতে কি করতে হবে?

এক্ষেত্রে ফরমে পূর্বের লাইসেন্সের সাথে নতুন মোটরযান সংযোজন করতে হবে। এরপর ডিসিটিবি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় আগের লাইসেন্স জমা দিতে হবে এবং ফরমের “এডিশন টু ডিএল” ঘরে মার্ক করবেন। এরপর নির্দিষ্ট তারিখে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক দিয়ে আসবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো একটি লিগ্যাল ডকুমেন্ট যা একজন ব্যক্তিকে মোটর গাড়ি/মোটর সাইকেল চালানোর অনুমতি প্রদান করে। মূলত লাইসেন্স হচ্ছে কোনো কিছুর মালিকানা বা ব্যবহার করার জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি অনুমতি পত্র।

নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে, ড্রাইভিং লাইসেন্স অর্থ, নির্দিষ্ট কোন মোটরযান চালানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অনুমতি প্রদান করে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কর্তৃক ইস্যুকৃত ডকুমেন্টকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে। বাংলাদেশের আইনে মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো যে কোনো জায়গায় (ব্যক্তিগত এবং সংরক্ষিত স্থান বাদে) গাড়ি চালানোর অনুমতি পত্র।

যেকোনো মোটরযান চালানোর জন্য, চালকের প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়, সঠিকভাবে মোটরযান চালানোর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তিকে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়। রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষসহ, আশেপাশের অন্যান্য গাড়ি ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করার দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ দরকার।

এরকম দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে আইডেন্টিফাই করার জন্য এই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং নিয়ে, বিআরটিএ তে (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

এই ব্লগে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি নিয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ কিভাবে করতে হয়, এবং অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করতে হয়, এসব বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে পাবেন? 

আপনি অনলাইনে (bsp.brta.gov.bd) শিক্ষানবিশ বা লার্নার লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করবেন। প্রয়োজনীয় কি কি ডকুমেন্টস সংযুক্ত করতে হবে তা নিচে পয়েন্ট করে দেয়া হয়েছে। আপনি ডকুমেন্টস গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন। আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করলে, বিআরটিএ‘র অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স সিস্টেম থেকে আপনার লার্নার লাইসেন্স ইস্যু হবে, আপনি সাথে সাথে লাইসেন্সটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

এরপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর (সাধারণত ৩০ থেকে ৯০ দিন) আপনাকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। পরীক্ষার তারিখ আগেই আপনার মোবাইলে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। নির্ধারিত স্থানে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ নিতে হবে। এসময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে যাবেন।

প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আবার একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং আরেকটি নির্ধারিত ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করবেন। এখানে আপনার উল্লেখিত ঠিকানা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবার কিছু দিন পর (সাধারণত ৭ থেকে ৩০ দিন) মোবাইলে মেসেজ দিয়ে আপনার বায়োমেট্রিক্স নেওয়ার জন্য ডাকা হবে। এরপর আপনার ডিজিটাল ছবি, স্বাক্ষর এবং হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হবে। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে আপনাকে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স – লার্নার লাইসেন্সএর জন্য প্রয়োজনীয় যা দরকার হবে:

         (১) অনলাইনে নির্ধারিত ফরমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে,

         (২) আবেদনকারীর নির্ধারিত সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে (সাইজ: ৩০০ x ৩০০ পিক্সেল; সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি),

         (৩) মেডিকেল সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি),

         (৪) ন্যাশনাল আইডি কার্ডের পরিষ্কার স্ক্যান কপি (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি),

         (৫) স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী যেকোনো ইউটিলিটি বিলের পরিষ্কার স্ক্যান কপি (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), স্থায়ী ঠিকানার বিল পেপার্স না পেলে, বর্তমান ঠিকানার বিলের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করুন।

         (৬) লাইসেন্সের নবায়ন বা কোনো পরিবর্তন করতে চাইলে বর্তমান লাইসেন্সের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করুন। (সাইজ: সর্বোচ্চ ৬০০ কে.বি)।

         (৭) মাঝে মাঝে লাইসেন্স এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদনও লাগতে পারে, তাই আপনার স্থায়ী বা বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন কপি নিয়ে নেবেন।

         (৮) নির্ধারিত ফী, প্রথম ক্যাটাগরির জন্য ৩৪৫/-টাকা (শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান) ও দ্বিতীয় ক্যাটাগরির জন্য ৫১৮/-টাকা (মোটরসাইকেল এবং হালকা মোটরযান একসাথে) অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। (ফি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিচে আলোচনা করা হয়েছে)

স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য যেসব ডকুমেন্টসের প্রয়োজন

         (১) নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে,

         (২) মেডিকেল সার্টিফিকেট,

         (৩) সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি, এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি,

         (৪) নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমাদানের রশিদ। (পেশাদার স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফী – ১৬৭৯/-টাকা ও অপেশাদার স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য – ২৫৪২/-টাকা)

মনে রাখবেন আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণী পাশ হতে হবে। এবং ফিজিক্যালি – মেন্টালি ফিট হতে হবে। অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং পেশাদার লাইসেন্সের জন্য বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে। এবং কোনো ভাবেই মিথ্যা তথ্য দেবেননা, এতে লাইসেন্স বাতিল সহ, আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হবেন।

মোটর সাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিভিন্ন নির্ধারিত ফি

প্রত্যেক চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে। যাদের লাইসেন্স এবং স্মার্টকার্ড আছে, তাদের মেয়াদ শেষ হবার পর আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে হয়। নতুন লাইসেন্স করতে অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করতে নির্ধারিত পরিমান টাকা পরিশোধ করতে হয়।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ লাইসেন্স ফী: –

         (১) এক ক্যাটাগরি- ৩৪৫টাকা (শুধু এক ধরণের হালকা মোটরযান, যেমন, শুধু মোটরসাইকেল অথবা শুধু হালকা মোটরযান)

         (২) দুই ক্যাটাগরি- ৫১৮ টাকা (মোটরসাইকেলের সাথে হালকা যে কোনো এক ধরণের মোটরযান)

স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফী –

         (১) পেশাদার স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফী – ১৬৮০ টাকা (০৫ বছরের নবায়ন ফী সহ)

         (২) অপেশাদার স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফী – ২৫৪২ টাকা (১০ বছরের নবায়ন ফী সহ)

 ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ প্রক্রিয়া

যে কোনো চালকদের জন্য এই লাইসেন্স থাকা গুরুত্বপুর্ন । লাইসেন্স না থাকা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। লাইসেন্স একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী এই লাইসেন্স ৫ এবং ১০ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। এই সময় পার হয়ে গেলে, লাইসেন্সটি আবার নবায়ন করতে হয়।

নবায়ন ফী –

         (ক) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ ফী – মেয়াদ পার হবার ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭ টাকা; জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

         (খ) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ ফী – মেয়াদ পার হবার ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫ টাকা; জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।

         (গ) পেশাদার ও অপেশাদার উভয় লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে মেয়াদ পার হবার ১৫ দিন পার হলে প্রতি বছরের জন্য ২৩০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে।

হাই সিকিউরিউটি লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে প্রতিলিপি ফী – ৮৭৫ টাকা।

ডুপ্লিকেট বা প্রতিলিপি লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস –

         (১) নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে,

         (২) জিডি কপি নিয়ে আসতে হবে,

         (৩) ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স কপি সঙ্গে আনতে হবে,

         (৪) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমাদানের রশিদ।

         (৫) সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

আবেদনপত্রের তথ্য সহ অন্যান্য ডকুমেন্টস সব ঠিক থাকলে, সময় থাকলে একই দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ছবি, স্বাক্ষর এবং আঙুলের ছাপ) নেয়া হবে। সময় না থাকলে আরেকটি তারিখ নির্ধারণ করে দেবে বায়োমেট্রিক্স নেয়ার জন্য। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং প্রসেস হলে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।

লাইসেন্স এর আপডেট জানতে আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে DL <স্পেস> রেফারেন্স নং-xxxxxxxxxxx লিখে ২৬৯৬৯ নম্বরে সেন্ড করুন। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস –

প্রথম ধাপ –

         (১) প্রথমে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে,

         (২) লাইসেন্স এর ফটোকপি এবং আসল লাইসেন্স কার্ড সাথে হবে,

         (৩) ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি আনতে হবে,

         (৪) নাগরিক সনদ পত্রের কপি আনতে হবে,

         (৫) মেডিকেল সার্টিফিকেট,

         (৬) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ;

         (৭) পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইজের ছবি (একাধিক কপি রাখবেন প্রয়োজন পড়তে পারে)

         (৮) ফী জমাদানের রশিদ,

         (৯) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

ব্যাংকে টাকা জমা দেবার সময় লাইসেন্স এর ফটোকপি নিয়ে যাবেন।

ফটোকপিটি বিআরটিএ অফিসের নবায়ন অফিসার এর কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। সত্যায়িত ফটোকপিটি ব্যাংক ডিপোজিট ফরম এর সাথে জমা দিতে হবে। ২৪২৭ টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিয়ে পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য রেখে দেবেন।

দ্বিতীয় ধাপ – এখানে দুই ধরনের ফরম পূরণ করতে হবে: নবায়ন ফরম এবং মেডিকেল ফরম।

             (১) নবায়ন ফরম – বিআরটিএ এর আশেপাশে দোকান গুলোতে আপনি এই ফরম পাবেন। এই ফরম অনলাইনেও পূরণ করা যায়। এখানে মূলত পারিবারিক তথ্য প্রদান করতে হয়।

             (২) মেডিকেল ফরম – মেডিকেল ফরমের সকল তথ্য পূরণ করে ফরমটি একজন এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সত্যায়িত করে নিয়ে জমা দিতে হবে। এই ফরমটিও অনলাইন পাওয়া যায়, বিআরটিএ এর আশেপাশে দোকান গুলোতেও পাবেন।

এরপর ফরম দুটিতে সত্যায়িত ছবি সংযুক্ত করতে হবে। সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি, ব্যাংক রশিদের কপি, নাগরিক সনদ পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, লাইসেন্স এর ফটোকপি সব কিছু একত্রে করে জমা দিতে হবে। 

ওভারঅল পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতি এবং লাইসেন্স পাওয়ার নিয়ম –

             (১) হালকা মোটরযানের জন্য, অর্থাৎ যেসব বাহনের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে, সেসব বাহনের পেশাদার লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে,

             (২) মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি এর বেশি হলে পেশাদার মধ্যম লাইসেন্স নিতে হবে। বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে। এক্ষেত্রে পেশাদার হালকা লাইসেন্সের এক্সপেরিয়েন্স কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

             (৩) মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী হলে পেশাদার ভারী লাইসেন্স নিতে হবে। বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে। এক্ষেত্রে পেশাদার মধ্যম লাইসেন্সের এক্সপেরিয়েন্স কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।

অর্থাৎ, আপনি যদি পেশাদার ভারী লাইসেন্স চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে হালকা বাহনের লাইসেন্স নিতে হবে। কমপক্ষে ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স হবার পর মধ্যম বাহনের লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার ৩ বছরের এক্সপেরিয়েন্স হবার পর ভারী বাহনের লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

সংক্ষেপে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন ফি

সেবার নাম ফি ভ্যাট
লার্নার লাইসেন্স এক ধরনের মোটরযানের জন্য ৩০০/- ১৫%
লার্নার লাইসেন্স দুই ধরনের মোটরযানের জন্য ৪৫০/- ১৫%
মেয়াদ উত্তীর্ণ লার্নার লাইসেন্স নবায়ন ফি (৩ মাসের জন্য) ৭৫/- ১৫%
মেয়াদ উত্তীর্ণ লার্নার লাইসেন্স নবায়ন ফি (৬ মাসের জন্য) ১৫০/- ১৫%
অপেশাদার লাইসেন্স ইস্যু (ফিল্ড টেস্ট পাসের পর) ২২১০/- ১৫%
পেশাদার লাইসেন্স ইস্যু (ফিল্ড টেস্ট পাসের পর) ১৪৬০/- ১৫%
অপেশাদার (লাইসেন্স নবায়ন) ২১১০/- ১৫%
পেশাদার (লাইসেন্স নবায়ন) ১৩৬০/- ১৫%
পেশাদার লাইসেন্স নবায়ন পরীক্ষার ফি ১৫০/- ১৫%
মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে মূল ফী’র সাথে জরিমানা (প্রতিবছর) ২০০/- ১৫%
লাইসেন্স প্রতিলিপি ফী ৭৬০/- ১৫%
লাইসেন্স সংশোধনী ফী ৮১০/- ১৫%
শুধু লাইসেন্স অন্তর্ভুক্তি ফী ২০০/- ১৫%
লাইসেন্স অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিলিপি সহ ফী ৯৬০/- ১৫%
লাইসেন্স সত্যায়িত ফী ১২০/- ১৫%

 

বাইক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ভিজিট করুন বাইকস গাইডে। এটি একটি দুর্দান্ত মোটরবাইক পোর্টাল যেখানে আপনি বিভিন্ন বাইক, বাইকের পার্টস, স্পেসিফিকেশন, কম্পারিজন, বিভিন্ন নিরপেক্ষ পর্যালোচনা সোহো আরও অনেক কিছু।

Similar Advices



Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Buy New Bikesbikroy
GB-Padma-Gold (Blue) 2023 for Sale

GB-Padma-Gold (Blue) 2023

0 km
verified MEMBER
Tk 70,000
15 hours ago
atv Quad বাইক 2024 for Sale

atv Quad বাইক 2024

0 km
verified MEMBER
Tk 295,000
17 hours ago
golf kart 4 seater 2024 for Sale

golf kart 4 seater 2024

0 km
verified MEMBER
Tk 645,000
17 hours ago
E bike brand new 2023 for Sale

E bike brand new 2023

0 km
verified MEMBER
Tk 70,000
20 hours ago
TVS Metro এ 2017 for Sale

TVS Metro এ 2017

2,000 km
MEMBER
Tk 55,000
23 hours ago
Buy Used Bikesbikroy
Yamaha R15 M INDO ALMOST NEW 2023 for Sale

Yamaha R15 M INDO ALMOST NEW 2023

4,000 km
verified MEMBER
Tk 565,000
3 seconds ago
Yamaha R15 M V4 INDIAN BS7 2024 for Sale

Yamaha R15 M V4 INDIAN BS7 2024

2,000 km
verified MEMBER
Tk 522,000
14 seconds ago
Bajaj Pulsar NS DD ABS FRESH BIKE 2023 for Sale

Bajaj Pulsar NS DD ABS FRESH BIKE 2023

15,000 km
verified MEMBER
Tk 170,000
32 seconds ago
Bajaj Pulsar 150 cc 2024 for Sale

Bajaj Pulsar 150 cc 2024

48,238 km
MEMBER
Tk 90,000
2 minutes ago
Bajaj Discover 110 . 2020 for Sale

Bajaj Discover 110 . 2020

14,706 km
MEMBER
Tk 105,000
3 minutes ago
+ Post an ad on Bikroy