নতুনদের জন্য মোটরসাইকেল চালানো শেখার প্রাথমিক নিয়ম।

29 Mar, 2023   
নতুনদের জন্য মোটরসাইকেল চালানো শেখার প্রাথমিক নিয়ম।

আপনি যদি নুতন মোটরসাইকেল চালক হন, তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন জানতে হবে। আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা যদি না থাকে, এবং বাইক চালানোর নিয়ম কানুন যদি খুব ভালভাবে না জানেন তবে এটা যেকোনো মুহূর্তে আপনার জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আপনি যদি নুতন চালক হন তবে খুব নিরাপদে আগে বাইক চালানো ভালোভাবে শিখুন।

একদম নুতন বাইকারদের জন্য প্রথমে শেখার আগে কিছু উপদেশ দেওয়া উচিত, তা হলো, অবশ্যই সেইফটি গার্ড ও সার্টিফাইড হেলমেট পরিধান করতে হবে। এটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তারপর বাইকের ব্রেকিং পদ্ধতি খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। ধীরে ধীরে ইন্জিন ব্রেকিংও অভ্যস্ত হওয়া, কারণ এটা খুবই কার্যকারী। নতুনদের মধ্যে একটা সমস্যা দেখা যায় তারা অন্য বাইকের সাথে প্রতিযোগিতা করতে চায়। আমি বলব অবশ্যই এই ভয়ংকর অভ্যাসটা পরিবর্তন করে বাইক চালানোটা অনুভব ও উপভোগ করতে হবে। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জন ছাড়া অতি উৎসাহী হয়ে লং ট্যুর বা হাইওয়েতে রাইড করা যাবে না।

নতুনদের জন্য মোটরসাইকেল চালানো

প্রাথমিক ভাবে কিছু কথা মাথায় রাখবেন –

  • আস্তে চালাবেন। গতি অবশ্যই ৪০ কিমি/ঘন্টা এর মধ্যে সিমিত রাখতে হবে।
  • হেলমেট অবশ্যই পড়বেন, গন্তব্যস্থল যতই নিকটে হোক। রাইডিং গিয়ার্স ( গ্লোভস, রাইডিং জ্যাকেট, জুতা) পরিধান করবেন।
  • গিয়ার ও ক্লাচ ব্যবহার করে কিভাবে ইঞ্জিন ব্রেকিং করতে হয় তা শিখবেন।
  • বৃষ্টির দিনে এবং কর্দমাক্ত রাস্তায় বাইক চালানো থেকে বিরত থাকবেন।
  •  কলার খোসা,শিশু, বয়সি মানুষ, রাস্তার কার্ভ, বড় রাস্তার সাথে ছোট রাস্তার সংযোগ এবং কুকুরের দিকে স্পেশাল নজর রাখতে হবে।
  •  বাইলেন থাকে লেনে উঠতে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
  •  ওভারটেক করার সময় অবশ্যই দেখে নিন সামনে গাড়ি আছে কিনা।

আপনি প্রথমে বাইক চালানোর সময় সবার আগে আপনাকে যেটা করতে হবে তা হল মোটর সাইকেল চালানোর জন্য যথাযথ নিরাপত্তা সামগ্রী পড়ে নিতে হবে। প্রথমে যে মোটর সাইকেলটি চালাবেন তার সমস্ত কন্ট্রোল সম্পর্কে জেনে নিন। গিয়ার শিফ্ট কি করে করতে হয়, কি করে ব্রেক কষতে হয়, সিগন্যাল, হেড লাইট ও হর্নের সুইচ কোথায়, ইঞ্জিন কীল/কাট অফ্ সুইচ কোথায় ইত্যাদি। আপনার রিয়ার ভিউ মিরর রাস্তার সাথে অ্যাডজাস্ট করে নিন। হেলমেট ব্যতিত কখনোই মোটরসাইকেল চালাবেন না।

প্রথম দিন মোটর সাইকেল চালাতে হলে এমন জায়গা বেছে নেওয়া উচিত যা হবে নিরিবিলি অথচ পাকা রাস্তা। অনেকে মাঠে শেখার জন্য বলেন, কিন্তু মাঠের একটা মুশকিল হলো ঘাস ভেজা হলে (বিশেষ করে শীত-বর্ষাকালে) স্লিপ করে পড়ে যাওয়ার একটা সম্ভবনা থাকে। তবে অন্য কোন ভাল জায়গা না পেলে মাঠেই শেখা উচিত।

এছাড়া আপনি যদি নতুন মোটরসাইকেল চালক হন তবে কোনমতেই প্রথমে বড় সাইজের এবং দ্রুত গতির মোটর সাইকেল নিবেন না। দীর্ঘ দিনের অনুশীলনের মাধ্যমেই আপনার মোটর সাইকেল চালানোর প্রয়োজনীয় দক্ষতা আপনি অর্জন করতে পারবেন যার জন্য আপনাকে অনেক ধৈর্য ধরতে হবে।

আপনি যদি আপনার দক্ষতার বাইরের মোটর সাইকেল কিনলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা আপনার জন্য কঠিন, একইসাথে সেই মোটর সাইকেল চালিয়ে আপনি আরাম ও পাবেন না। তাই আপনি যখন মোটর সাইকেল কেনার কথা ভাবছেন তখন আগে এটা আগে নিশ্চিত করুন যে এটি চালানোর মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতাআপনার রয়েছে। প্রথমে ১৫০ সিসি বা ২৫০ সিসির মোটর সাইকেলের কথা না ভেবে ৮০ সিসি বা ১০০ সিসির কথা ভাবতে পারেন ।

নতুন বাইকারদের মোটরসাইকেল চালানো শেখার নিয়মঃ

(১) আপনি মোটর সাইকেল চালানোর আগে, খুঁটিনাটি জানুন আপনি টেকনিক্যাল মানুষ নাও হতে পারেন কিন্তু মোটর সাইকেলের কিছু মেকানিক্স আপনি সহজেই শিখে নিতে পারেন। প্রায় সব মোটর বাইকের গঠন প্রকৃতি এক তবে বড় মোটর বাইকের ইঞ্জিনটি বেশী বড় আর অনেক বেশীশক্তিশালী হয় ।

নতুন বা পুরাতন যাই হোক মোটর সাইকেলের খুঁটিনাটি জানলে আপনারই সুবিধা । আপনি আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন যে একটি বাইক কিভাবে কাজ করে, কিভাবে চলে আর এসব জানার ফলে আপনার মোটর বাইক সম্পর্কে ভাল ধারনা তৈরি হবে ।

জেনে নিন কোথায় কোন সুইচ আছে এবং সেগুলো কাজ করে কিনা; থ্রটল, ক্লাচ, ব্রেক, হর্ন, টার্ন সিগন্যাল, হেড লাইট সুইচ, হাই-লো বীম সুইচ, ব্রেক লাইট, টায়ার, টায়ারের এয়ার প্রেসার, ফুয়েল সাপ্লাই ভালভ, ইঞ্জিন অয়েল লেভেল, ব্রেক অয়েল লেভেল এবং ইঞ্জিন কাট অফ সুইচ (সব মোটর সাইকেলে এটি থাকেনা)। টায়ারের প্রয়োজনীয় এয়ার প্রেসার চেক করুন।

পিঠ সোজা করে বসুন। আপনার ঘাড় থাকবে সোজা। সোজা সামনে তাকান যাতে আপনি পুরো রাস্তা দেখতে পান। বাইকের সীটের এমন স্থানে বসুন যেখান থেকে সহজেই আপনি স্টিয়ারিং হ্যান্ডেল কন্ট্রোল করতে পারেন। অনেকেই সীটের শেষ মাথায় বসেন। এটাতে হ্যান্ডেল ধরতে একটু অসুবিধা হয়। হ্যান্ডেল ধরা অবস্থায় আপনার কনুই থাকবে সামান্য বাঁকা। বেশ শক্ত করে হ্যান্ডেল বার ধরে থাকবেন নইলে রাস্তা খারাপ থাকলে চট করে হ্যান্ডেল হাত থেকে ছুটে যেতে পারে। আপনার ডান হাত দিয়ে থ্রটল এমন ভাবে ধরুন যাতে আপনার তালুর নিচের অংশ সামনের টায়ারের দিক নির্দেশ করে।

(২) এখন ইঞ্জিন কীল সুইচ অফ করে নিন। সমস্ত সিগন্যাল লাইট অফ করে নিন। বাইক নিউট্রাল আছে কিনা ইন্ডিকেটর চেক করুন। কীক স্ট্যান্ড ওঠানো আছে কিনা দেখে নিন। আপনার ইঞ্জিন ঠান্ডা থাকলে সহজে স্টার্ট নাও হতে পারে। ইঞ্জিন স্টার্টের আগে চোক অন করে নিলে ইঞ্জিন স্টার্ট করতে সহজ হয়। (এই সুইচটি সাধারনত: ক্লাচ এর কাছাকাছি থাকে অথবা, নীচে ইঞ্জিনের পিছনে থাকে।) চোকের সাধারনত: দুইটা ধাপ থাকে-প্রথমে সম্পূর্ন চোক অন করে ইঞ্জিন স্টার্ট করুন; ১ মিনিট পর চোক সুইচ মাঝ বরবার নিয়ে আসুন। ৪/৫ মিনিট ইঞ্জিনকে গরম হতে দিন। এরপর চোক অফ করে দিন। ইঞ্জিন গরম থাকলে চোক সুইচ অন না করলেও চলে। ইঞ্জিন স্টার্টের জন্য কিক স্টার্ট করাই ভালো। তাহলে আপনার ব্যাটারী খরচ কম হবে। ইঞ্জিন স্টার্ট এর সময় খেয়াল রাখুন আপনার গিয়ার পজিশন নিউট্রালে আছে। নইলে আপনার বাইক ছোট্ট লাফ দিতে পারে এবং সেইসাথে ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে।

(৩) হ্যান্ডেলের বাম পাশের লিভারটির নাম ক্লাচ। ক্লাচ এর কাজ হচ্ছে ইঞ্জিন থেকে গিয়ারের অংশকে আলাদা করা। অর্থাৎ ক্লাচ চেপে ধরলে ইঞ্জিনের কোন শক্তিই থাকেনা আর ক্লাচ ছেড়ে দিলে গিয়ার এ ইঞ্জিনের শক্তির সংযুক্তি ঘটে।

ক্লাচ লিভার সম্পূর্ন চেপে ধরে গিয়ার পরিবর্তন করুন। উল্লেখ্য যে, স্পোর্টস বাইক গুলোতে দু’ আঙ্গুল ব্যবহার করে ক্লাচ ব্যবহার করা যায়। কিন্তু আমরা সাধারনত: যে সব বাইক চালিয়ে থাকি সেগুলোতে চার আংগুল ব্যবহার করে ফুল ক্লাচ করতে হয়। গিয়ার ফাংশন এক এক মোটর সাইকেল এক এক রকম। কোনটা সামনে বা নিচে চেপে গিয়ার এনগেজ্ড করা হয়, পিছনে চেপে বা উপরে উঠিয়ে নিউট্রাল; আবার কোনটা সামনে বা নিচে চেপে নিউট্রাল, পিছনে বা উপরে উঠিয়ে গিয়ার এনগেজ্ড করা হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এক মোটরসাইকেলেই দুই নিয়মে গিয়ার শিফ্ট হয়।

(৪) আপনার মোটর সাইকেল এখন ফার্স্ট গিয়ার্ আছে। এবার ধীরে ধীরে ক্লাচ ছাড়ুন এবং ধীরে ধীরে থ্রটল/অ্যাক্সিলেটর দিন। এখন আপনার বাইক চলতে শুরু করছে। আপনার দৃষ্টি থাকবে সোজা রাস্তার দিকে। ফার্স্ট গিয়ার্ সাধারনত: উঁচু জায়গাতে ওঠার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই গিয়ারে বাইকের শক্তি বেশি থাকে কিন্তু গতি থাকে একদম কম। ক্লাচ অল্প ছেড়ে থ্রটল বাড়িয়ে কি করে আস্তে আস্তে বাইক চালানো যায় তা বার বার প্র্যাকটিস করে বুঝে নিন। আসলে ক্লাচ যতটা না ইঞ্জিন অন-অফ সুইচ তার চাইতে বেশি রেগুলেটর সুইচ । আমরা ফ্যানকে যেমন রেগুলেটর ঘুরিয়ে কন্ট্রোল করতে পারি; তেমনি ক্লাচ অল্প বা বেশি চেপে আমরা ইঞ্জিনের গতি কে কন্ট্রোল করতে পারি। এটা বেশ কয়েকদিন প্র্যাকটিস করলেই আয়ত্তে এসে যাবে।

(৫) ফার্স্ট গিয়ার্ থেকে এবার সেকেন্ড গিয়ার্ দিতে শিখবো। থ্রটল বাড়িয়ে বাইকের স্পিড তুলুন। তারপর থ্রটল সম্পূর্ন কমিয়ে দিয়ে ক্লাচ সম্পূর্ন চেপে সেকেন্ড গিয়ার্ দিন। এবারও ধীরে ধীরে ক্লাচ ছাড়ুন এবং ধীরে ধীরে থ্রটল/অ্যাক্সিলারেট করুন। সেকেন্ড গিয়ার্ এ মোটর সাইকেলের গতি খুব কম থাকে। সুতরাং এই গিয়ার ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে চালানোর জন্য ভাল। সেকেন্ড গিয়ার্ এ থার্ড গিয়ার্ নিয়ম আগের মতই। গতির সাথে সমন্বয় করে গিয়ার শিফট করুন। তবে নতুনদের জন্য টপ গিয়ার ব্যবহার করার দরকার নেই। থার্ড গিয়ার্ দিয়ে বাইকের গতি ২০/৩০ কি:মি: এর মধ্যে রেখে চালানো অভ্যেস করুন।

(৬) ব্রেকিং:-

ব্রেকিং-টা খুব সহজ বিষয় নয়; বহুবার প্র্যাকটিস ছাড়া এটি আয়ত্ত্ব করা সত্যিই কঠিন। মোটরসাইকেল থামাতে চাইলে আপনার গতি যদি ঘন্টায় ৪৮ কি:মি: গতিতে থাকে; তাহলে যেখানে থামতে চান সেখান থেকে ৩০ ফুট দূরত্ব বাকি থাকতে ব্রেক চাপতে হবে। আপনার গতি যদি ঘন্টায় ৯৬ কি:মি: গতিতে থাকে; তাহলে যেখানে থামতে চান সেখান থেকে ১২০ ফুট দূরত্ব বাকি থাকতে ব্রেক চাপতে হবে।

হিসাবটা হচ্ছে এই- আপনার বাইক যত জোরে চলবে বস্ত্ত থেকে তত দুরে থাকতে ব্রেক কষতে হবে। মোটর সাইকেলের গতি মাপা গেলেও বস্ত্তর দূরত্ব নির্ণয় করা কঠিন। সে’জন্য ফাঁকা রাস্তায় কোন কিছুকে টার্গেট করে বাইক থামানো প্র্যাকটিস করুন। কেননা আপনার মোটরসাইকেল ডিস্ক ব্রেক না ড্রাম ব্রেক তার উপরও থামানোর নিয়ম নির্ভর করে। আপনার মোটর সাইকেল ম্যানুয়ালে লেখা আছে সঠিক ব্রেকিং টাইম। বাইকের গতি কমাতে চাইলে অনেক সময় থ্রটল কমিয়ে দিলেই কাজ হয় অর্থাৎ ইঞ্জিনই ব্রেকের কাজ করে। তবে যদি ব্রেক করতেই চান তাহলে সম্পূর্ন ক্লাচ চেপে সামনের ব্রেক ও পিছনের ব্রেক ধীরে ধীরে চাপতে হবে। এই পদ্ধতি সাধারণ অবস্থার জন্য প্রযোজ্য। মোটর সাইকেল থামানোর জন্য সামনের ব্রেকই বেশী কার্যকর। কারন ব্রেকিং এর সময় আপনার ওজন সামনের দিকে ট্রান্সফার হয়। সামনেরটা চেপে ধরার পরপরই পিছনেরটা চাপতে হবে। তাহলে বাইকের ব্যালান্স ঠিক থাকবে।

(৭) ইমারজেন্সি ব্রেকিং:

মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি আসে যেখানে আপনার সাথে সাথে থেমে যাওয়া প্রয়োজন হয়। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো।

  • একসাথে দুটো ব্রেক যথেষ্ঠ জোরে চাপুন। হ্যান্ডেল সোজা ও শক্ত করে ধরে রাখুন-নইলে বাইক স্কিড করতে পারে। সোজা স্কিড করলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকবেনা।
  • আপনার দৃষ্টি থাকবে সোজা সামনের দিকে। টায়ারের দিকে তাকিয়ে থাকবেননা।
  • সামনের ব্রেক একবার ধরে তখনই ছেড়ে আবার ধরুন। এতে আপনার শরীরের সাথে বাইকের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। তবে পিছনের ব্রেক মোটরসাইকেল না থামা পর্যন্ত একবার কষলে তা ধরেই রাখবেন। সামনের ব্রেকের মত করবেননা।
  • বাঁক নেওয়ার সময় ব্রেক করা মোটেই উচিত নয়। এতে পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। কিন্তু যদি পরিস্থিতি এমন যে আপনাকে ব্রেক করতেই হবে তাহলে হার্ড ব্রেক করবেননা। ধীরে ধীরে দুটো ব্রেক কষবেন।

নতুন চালকদের সতর্ক ভাবে চালানোর বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে:

  • আপনি রাস্তায় যখন চলবেন তখন আপনার পাশের চালকের বিষয়ে সতর্ক থাকুন রাস্তার সব চালক একরকম নয়। আপনার নিরাপত্তা আপনাকেই বজায় রাখতে হবে।
  • নতুন চালক, মোটর সাইকেল চালানোর সময় অবশ্যই আপনি রক্ষণাত্মক ভাবে আপনার মোটর সাইকেল চালাবেন। রাস্তায় ছোট বড় অনেক যানবাহন আছে সেগুলোর ব্যপারে বা আপনার আশেপাশের সব চালকদের ব্যাপারে সজাগ হলে আপনি নিরাপদ থাকবেন আরও বেশী।
  • আপনি যখন বাইক চালাবেন তখন মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রন জানা খুবই জুরুরী। যখন বাইক চালানোর সকল কলাকৌশল আয়ত্ত করুন ভাল ও সুচারুরূপে মোটর সাইকেল চালাতে হলে আপনাকে প্রচুর অনুশীলন করতে হবে। এজন্য খোলা জায়গায় বা খালি মাঠে প্রচুর পরিমানে অনুশীলন করবেন।
  • আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে আপনার বাইক চালানোতে পরিবর্তন আনুন। আপনি যদি ঝড় বৃষ্টিতে মোটর বাইক চালাতে স্বাচ্ছন্দ্য না পান তবে তা থামিয়ে রাখুন আর অপেক্ষা করুন ঝড় বৃষ্টি থামা পর্যন্ত।
  • নতুন মোটর সাইকেল চালানোর পাশা পাশি মোটর সাইকেল এর কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার ও জানা থাকা ভালো । যেমন কি ভাবে স্পারকিং প্লাগ খুলতে হয় , পরিস্কার করতে হয় । চাকার প্রেয়াশার কখন কতো রাখতে হয় । হটাৎ শার্ট বন্ধ হয়ে গেলে কি করতে হয় । আরও বেশ কিছু জিনিস। যেগুলো আপনাকে সাময়িক ভগান্তি থেকে রক্ষা করতে পারে ।

আপনি যখন রাস্তায় চলবেন তখন সব সময় ট্রাফিক আইন মেনে চলবেন। দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না। নিজের এবং রাস্তায় থাকা অন্যান্য মানুষদের নিরাপত্তার জন্যও আপনাকে সতর্কতার সাথে বাইক চালাতে হবে। যে কোন টার্নিংয়ে খুব সাবধানতার সঙ্গে এদিক সেদিক দেখে বা লুকিং গ্লাসে ঠিকমত খেয়াল রেখে চলতে হবে। বেঁচে থাকলে, আপনার মোটর সাইকেল চালানোর দক্ষতা যেমন মানুষকে দেখাতে পারবেন ঠিক তেমনি আপনার অভিজ্ঞতা ও মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারবেন । তাই আপনার মোটরসাইকেল যাতায়াত যাতে নিরাপদ হয় তাই এই সহজ কিন্তু জরুরী বিষয়গুলি মাথায় রাখুন আর অনুশীলন করুন।

Similar Advices

New Bikes for Salebikroy
ZNEN RX 150 2017 2019 for Sale

ZNEN RX 150 2017 2019

16,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 65,000
7 minutes ago
Hero Splendor New 2022 for Sale

Hero Splendor New 2022

0 km
MEMBER
Tk 102,990
1 month ago
Honda Shine Tip top conditions 2023 for Sale

Honda Shine Tip top conditions 2023

15,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 128,000
9 hours ago
Suzuki Gixxer Fi Abs V4 2024 for Sale

Suzuki Gixxer Fi Abs V4 2024

1,900 km
verified MEMBER
verified
Tk 255,000
2 days ago
Bajaj Pulsar 150 . 2022 for Sale

Bajaj Pulsar 150 . 2022

11,739 km
verified MEMBER
Tk 132,500
2 days ago
Used Bikes for Salebikroy
Hero Passion pro 2010 for Sale

Hero Passion pro 2010

50,000 km
MEMBER
Tk 30,000
58 minutes ago
TVS Apache RTR 4b exconnect abs 2023 for Sale

TVS Apache RTR 4b exconnect abs 2023

17,200 km
MEMBER
Tk 173,000
3 days ago
Honda X Blade , 2020 for Sale

Honda X Blade , 2020

35,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 132,000
3 hours ago
TVS Metro Plus Disk Break fxed pric 2021 for Sale

TVS Metro Plus Disk Break fxed pric 2021

40,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 77,000
3 hours ago
Suzuki Gixxer Classic Monotone SD 2023 for Sale

Suzuki Gixxer Classic Monotone SD 2023

8,500 km
verified MEMBER
verified
Tk 188,000
1 week ago
+ Post an ad on Bikroy