ঢাকায় বাইক রাইডিং – মেনে চলুন এই ৫টি টিপস

29 Mar, 2023   [wppr_avg_rating]
ঢাকায় বাইক রাইডিং – মেনে চলুন এই ৫টি টিপস

ঢাকা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি মেগা সিটি। এটি পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ শহর গুলোর একটি। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে, ঢাকা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো শোচনীয় হয়েছে। পরিকল্পিত যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি শহরের উন্নতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঢাকা শহরের অপরিকল্পিত নগরায়ন, অসহনীয় যানজট, গণপরিবহন সংকট, যাত্রী হয়রানি, ইত্যদি বিভিন্ন কারণে মানুষ বিকল্প পরিবহনের দিকে ঝুঁকছে। যানজট এড়াতে এবং দ্রুত যোগাযোগের সুবিধার্থে এখন মোটরসাইকেলের ব্যবহার অনেক বেড়েছে।

যানজট, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থা, অনিরাপদ রাস্তা এসব কারণে ঢাকায় বাইক রাইডিং খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। আপনি নিরাপদে, সুশৃঙ্খল ভাবে বাইক চালালেও, অন্যান্য পরিবহনের চালকরা ততোটা সুশৃঙ্খল ভাবে তাদের বাহন নাও চালাতে পারে। এছাড়াও ঢাকার অনেক রাস্তা-ঘাট মসৃন নয়। এসব সমস্যা আপনার যাতায়াতে প্রভাব ফেলতেই পারে। এই যানজটপূর্ণ বিশৃঙ্খল পরিবেশে আপনাকে নিরাপদে পথ চলতে কিছু বাইক রাইডিং করার নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই ব্লগে ঢাকার রাস্তায় নিরাপদে বাইক রাইডিং-এর উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সাথে ঢাকায় বাইক রাইডিং করার নিয়ম বিষয়ক কিছু  টিপস দেয়া হয়েছে।

ঢাকায় বাইক রাইডিং-এর সময় মেনে চলুন এই ৫টি টিপস

এক যুগ আগেও ঢাকা শহরে মোটরসাইকেলের গ্রাহক খুব বেশি ছিলো না। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে, মানুষ প্রয়োজনেই বাইক ব্যবহার করছে, বর্তমানে ঢাকা শহরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এতটাই বেড়েছে যে ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগ থেকে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে, বাইক চলাচলে এবং বাইকারদের জন্য বিভিন্ন নিয়ম-নীতি আরোপ করা হয়েছে।

কর্মক্ষেত্রে এবং ব্যাবসায়িক প্রয়োজনে চলাচলের জন্য আমরা যারা ঢাকার মধ্যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করি, এক্ষেত্রে প্রায় সবাই বিভিন্ন রকমের সমস্যার মুখে পরছি। তাই এই ব্লগে রাস্তায় চলাচলের সুবিধার জন্য, ঢাকায় বাইক রাইডিং-এর উপায় বিষয়ে ৫ টি টিপস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি এই টিপস গুলো আপনার উপকারে আসবে।

          (১) রাস্তায় চলাচলরত গণপরিবহন এবং বাস-ট্রাক ওভারটেক থেকে বিরত থাকুন –

ঢাকার বিশৃঙ্খল গণপরিবহন, পরিবহন সংকট, এবং অনিরাপদ রাস্তায় যোগাযোগ ব্যবস্থা এসব বিষয়ে আমরা প্রায় সবাই অবগত। বেশিরভাগ বাস-ট্রাক ব্যবহার উপযোগী নয়। অনেক গণপরিবহনের ইঞ্জিন পুরোনো, ব্যাক লাইট, অথবা ইনডিকেটর সিগন্যাল নেই। এসব গণপরিবহন হঠাৎ থামায়, যেখানে সেখানে ব্রেক করে, হঠাৎ স্পিড বাড়ায়, হঠাৎ স্পিড কমায়। তাই একজন বাইকারের গণপরিবহনের পিছনে থাকা এবং ওভারটেক করা বিপদজনক।

তাছাড়া এসব গণপরিবহন একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে কে আগে যাবে, এতে সাধারণ মানুষ অনেক ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাই আপনি যখন ঢাকায় বাইক রাইডিং করবেন তখন গণপরিবহন থেকে নিরাপদ একটা দূরত্বে বজায় রাখবেন। হাইওয়ে রাস্তাতেও সাবধানে চালাবেন, চোখ-কান খোলা রাখবেন। কারণ হাইওয়ে রাস্তাতেও দুরপাল্লার বাস এবং ট্রাক গুলো বিপদজনক ভাবে ওভারটেক করে। তাই বাস এবং ট্রাক ওভারটেক করার সময় সামনে-পিছনে দেখে, হর্ণ দিয়ে, ইন্ডিকেটর সিগন্যাল দিয়ে তারপর পাশ দিয়ে ওভারটেক করুন।

রাতের বেলা বা অন্ধকারে বাইকের লাইট এবং ইনডিকেটর অন করে রাখুন, যাতে অন্য গাড়ির চালক আপনাকে দেখতে পারে। রাস্তার মোড় বা বাক ঘোরার সময় কোনোভাবেই ওভারটেক করবেন না, স্পিড বাড়াবেন না। কারণ বাক ঘোরার সময় আপনি অপর পাশ থেকে অন্য কোনো গাড়ি আসছে কিনা দেখতে পান না।

           (২) বাইকের স্পীড কন্ট্রোলে রাখুন –

ঢাকায় বাইক রাইডিংয়ে অবশ্যই বাইকের গতির উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার রাস্তায় মানুষজন যখন-তখন, হঠাৎ করে রাস্তা পার হতে চায়, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করে না। এরকম একটা অবস্থায় আপনি যদি বাইকের স্পীড কন্ট্রোলে না রাখেন, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এতে আপনিই বেশি বিপদে পরবেন। যানজটপূর্ণ রাস্তায়, বিশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থায় আপনাকেই সতর্ক ভাবে বাইক চালাতে হবে এবং নির্দিষ্ট গতি মেইনটেইন করতে হবে।

ঢাকার রাস্তায় বাইক চালানোর সময় শুধু সামনে পিছনে নজর রাখলেই হয় না, আশেপাশের বিভিন্ন বাহন, আশেপাশের মানুষজন, স্পিড ব্রেকার, রাস্তার খানা-খন্দ, সব দিকেই নজর রাখতে হয়। এরকম সিচুয়েশনে বাইকের স্পিড যদি কন্ট্রোলে না থাকে তাহলে নানা ধরণের বিপত্তি হতে পারে। তাই ঢাকায় বাইক রাইডিংয়ে এসব ছোট খাটো ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অপরিচিত রাস্তায় বাইক নির্দিষ্ট গতিতে চালান, তাহলে অপ্রীতিকর সিচুয়েশনেও সব কিছু আপনার কন্ট্রোলেই থাকবে।

          (৩) ব্যাটারি চালিত রিকশা, মোডিফাই বাহন (নাভানা) এবং সিএনজি থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন –

ঢাকার রাস্তায় এখন বাইকারদের অন্যতম আতঙ্কের নাম ব্যাটারি চালিত রিকশা, নাভানা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিএনজি। অটো রিকশা এবং নাভানা গুলোর ব্রেকিং সিস্টেম ভালো না, এগুলো হাইওয়ে রাস্তায় চলার উপযোগী নয়। গণপরিবহণ সমস্যার কারণে এসব বাহন ঢাকায় টিকে আছে। মানুষ বাধ্য হয়ে এসব বিপদজনক বাহন যাতায়াতের প্রয়োজনে ব্যবহার করেন। এসব বাহনের স্পিড সব সময় কন্ট্রোল করা যায় না, যেখানে সেখানে ব্রেক করে যানজট সৃষ্টি করে। তাই এসব বাহনের পাশে দিয়ে যাবার সময়, এবং ওভারটেক করার সময় সতর্ক থাকুন।

রিকশা এবং মোডিফাই বাহন গুলো ত্রুটিপূর্ণ স্ট্রাকচারের হয়ে থাকে, সামান্য আঘাত লাগলেই, এগুলোর ব্রেক ব্যালান্স করতে পারে না। এগুলোর পাশে দিয়ে বাইক চালানোর সময় সতর্ক থাকুন। বাইকের মতো সিএনজি গুলোও রাস্তার মাঝে দিয়ে না চলে রাস্তার যে কোনো একপাশ দিয়ে চলে। সিএনজি চালক সতর্ক ভাবে না চালালে, আপনিও বিপদে পড়বেন। তাই কিছুটা ডিসটেন্স বজায় রেখে ফাঁকা জায়গা দেখে বাইক চালানোর চেষ্টা করুন।

           (৪) রাস্তার চলাচলরত মানুষজন এবং স্পীড ব্রেকার এর দিকে নজর রাখুন –

রাস্তায় চলাচলরত অনেক বেখিয়ালি মানুষজন আপনার চোখে পরবে। তারা উদাসীন ভাবে রাস্তা পার হয় বা তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হয়। রাস্তা পারাপারের নির্দিষ্ট নিয়ম মানে না, ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করে না। অনেকেই হুট করে হাত দেখিয়ে বাইকের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করবে। এরকম সিচুয়েশনে আপনার বাইকের স্পীড কন্ট্রোলে না থাকলে, বিপদ ঘটতে পারে। তাই ঢাকার রাস্তা ফাকা দেখলে, হুট করে বাইকে স্পীড বাড়াবেন না, আগে আশেপাশের পথচারীদের দিকে নজর রাখুন।

তাছাড়া ঢাকায় বাইক রাইডিং করার সময় অন্য গাড়ির গতির দিকেও নজর রাখুন। অন্যান্য গাড়ির ইনডিকেটর লক্ষ্য করুন, আপনার আশে-পাশে, সামনে পিছনে কি ধরণের যানবাহন চলছে, কেমন গতিতে চালাচ্ছে এসব বিবেচনা করে বাইক চালান।

          (৫) ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলবেন –

রাস্তায় যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে, দুর্ঘটনা রোধ করতে ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিগনালে সময় নষ্ট এড়াতে, ট্রাফিক সিগন্যাল না মেনে, অনেক বাইকার দ্রুত রাস্তা পার হবার চেষ্টা করেন। এতে অন্য পাশ থেকে কোনো বাহন এসে সংঘর্ষ হতে পারে। দুর্ঘটনা সব সময় হয় না, এক বার দুর্ঘটনায় কোনো ক্ষতি হলে, দীর্ঘদিন ভুগতে হতে পারে। তাই ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলুন, নিজে নিরাপদে থাকুন, অন্যকেও নিরাপদে রাখুন। ট্রাফিক পুলিশ থামার নির্দেশ দিলে, আস্তে ধীরে স্পীড কমিয়ে বাইক থামাবেন,  তাড়াহুড়া করবেন না। মনে রাখবেন সিগন্যাল অমান্য করা দন্ডনীয় অপরাধ। 

রাস্তার মাঝে আরো অনেক সিগন্যাল পাবেন, যেমন স্পীড ব্রেকার, স্কুল, হাসপাতাল, পথচারী পারাপার, ইত্যাদি। এসব নির্দেশক মেনে চলবেন। সতর্ক ভাবে স্পীড ব্রেকার লক্ষ্য করে বাইক স্লো করে চালাবেন। কখনো বাইক দুটি গাড়ির মাঝে রাখবেন না, রাস্তার যেকোনো এক পাশে থাকুন।

ঢাকার রাস্তায় চলতে কিছু বাইক রাইডিং করার নিয়ম এবং সতর্কতা অবলন্বন করতেই হবে। কারণ ঢাকার রাস্তা-ঘাট, যানজট পরিস্থিতি, গণপরিবহন বিশৃঙ্খলা, উদাসীন পথচারী সব কিছু বিবেচনা করে বাইক রাইড করতে হয়। ঢাকার রাস্তায় আপনাকে কিছু ব্যাপার মেনে নিয়েই চলতে হবে, যেমন হুট করে লেন পরিবর্তন করা যাবে না, লুকিং গ্লাস না দেখে ডানে বামে যাওয়া যাবে না, হুট করে গতি বাড়ানো যাবে না ইত্যাদি কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন। উপরে উল্লেখিত বাইক রাইডিং করার নিয়ম গুলো মেনে চলুন। সব সময় মাথা ঠান্ডা রেখে বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং আপনার জন্য সুইটেবল হেলমেট ব্যবহার করুন।

ঢাকায় বাইক রাইডিংয়ে আরো কিছু ছোট খাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় 

আপনি যখন ঢাকার মতো জনবহুল শহরে, যানজটপূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং ব্যস্ত রাস্তায় রাস্তায় বাইক চালাবেন, তখন কিছু ছোট খাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বাইক রাইডিং-এর উপায়ও চিন্তা করতে হয়। এই নিয়মগুলো যদি সঠিক ভাবে মেনে চলেন তাহলে রাস্তায় আপনি সহ আশেপাশের সবাই নিরাপদ থাকবে। রাস্তায় চলাচলে ধৈর্যশীল, ট্রাফিক রুলস মেনে চলবেন।

(১) লুকিং গ্লাস সঠিক পজিশনে রাখবেন – ঢাকা শহরে যানজট এবং যানবাহন অনেক বেশি, তাই লুকিং গ্লাসের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তায় মোড় বা বাক ঘোরার সময়, লেন পরিবর্তনের সময় লুকিং গ্লাস দরকার হয়। তাছাড়া পিছনে না তাকিয়ে, পিছনের গাড়ির অবস্থান বোঝার জন্য লুকিং গ্লাস দরকার। লুকিং গ্লাস সঠিক পজিশনে না থাকলে আপনি পিছনের গাড়ির সঠিক অবস্থান মেজার করতে পারবেন না। এতে বাক বা লেন পরিবর্তনের সময় দুর্ঘটনায় পরবেন। অনেকেই লুকিং গ্লাস সঠিক পজিশনে রাখেন না, বিষয়টি হেলা-ফেলা করেন। এই সামান্য কারণে দূঘটনা ঘটতে পারে, তাই লুকিং গ্লাস নিয়ে কোন অবহেলা করবেন না।

(২) রাস্তার টার্নিং পয়েন্ট গুলোতে সতর্ক ভাবে চালাবেন – ঢাকার রাস্তায় বাক বা টার্নিং গুলোতে আপনি অপর পাশ দিয়ে আসা কোন গাড়ি দেখতে পারবেন না। কারণ উঁচু উঁচু দালান, বড় বাস-ট্রাক, এসবের কারণে টার্নিং সাইডের গাড়ি দেখা যায় না। তাই টার্নিং পয়েন্ট মানে বাঁক গুলো দেখে চালান এবং গতি কন্ট্রোলে রাখুন। রাস্তার যানবাহন, সম্পূর্ণ অবস্থা বুঝে, হর্ন দিয়ে, ইনডিকেটর দিয়ে, কর্নারিং করে টার্নিং পয়েন্ট পার হয়ে যান। এরকম পরিস্থিতিতে যা যা মাথায় রাখবেন: রাস্তায় ভাঙ্গাচোরা আছে কিনা, রাস্তা পিচ্ছিল বা ভেজা কিনা, রাস্তার প্রশস্ত কতটুকু তা মেজারমেন্ট করে কর্নারিং করবেন।

(৩) হেলমেট ব্যবহার করুন – হেলমেট ছাড়া বাইক রাইড করবেন না। দুর্ঘটনা বলে-কয়ে আসে না। আপনি যত দক্ষ চালকই হোন না কেন রাইডিংয়ের সময় হেলমেট ছাড়া বের হবেন না। বাইক রাইডিংয়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেলমেট একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যে কোনো বাইক দুর্ঘটনা থেকে প্রাথমিক ভাবে বাঁচতে হেলমেট ব্যবহার করুন।

(৪) বৃষ্টি হলে এবং কুয়াশায় সতর্কতার সাথে চালাবেন – বৃষ্টি হলে রাস্তা ভিজে যায় এবং পিচ্ছিল হয়ে যায়। এই অবস্থায় বাইক চালানো বিপদজনক। বৃষ্টির মধ্যে বা ভেজা রাস্তায় বাইক স্লো চালাবেন, না হলে চাকা স্কীড করার সম্ভবনা থাকে। ভেজা রাস্তায় বাইকের টায়ার ঠিক মতো গ্রিপ করতে পারে না। আপনি যদি অনভিজ্ঞ হন, তাহলে বৃষ্টির মধ্যে বা ভেজা রাস্তায় বাইক না চালানোই ভালো হবে। কারণ সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কুয়াশার সময়ে হেড লাইট অন করে, গতি কমিয়ে বাইক চালাবেন। প্রয়োজনে হর্ন দিতে দিতে সামনে আগাবেন। ভালো মানের হেড লাইট ব্যবহার করবেন।

(৫) ব্রেক ঠিক রাখবেন – বাইকের ব্রেকিং সিস্টেমের সাথে মানিয়ে নেবেন। ঢাকার রাস্তার চলাচলে ব্রেক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার মতো যানজট পূর্ণ, বিশৃঙ্খল এবং ব্যস্ত রাস্তায় বাইক চালালে, যে কোনো পরিস্থিতির সাথে আপনার দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। সব সময় ব্রেক লিভারের উপর একটা আঙ্গুল দিয়ে রাখবেন, এবং ডান পা দিয়ে পিছনের ব্রেক কন্ট্রোল করবেন। অযথা বেক করবেন না, ইনডিকেটর লাইট অন করে ব্রেক করবেন। না হলে পিছনের চালক আপনার বাইকে ধাক্কা দিতে পারে।

শেষ কথা 

পরিশেষে, ঢাকায় বাইক রাইডিং করার নিয়ম একটু ভিন্ন। যাইহোক যেখানেই মোটরসাইকেল চালান সাবধানে চালাবেন, নিজের জীবনের কথা চিন্তা করে বাইক চালান। ট্রাফিক নিয়ম মেনে বাইক চালাবেন। বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাবেন না। ভালোভাবে বাইক রাইডিং করার নিয়ম মেনে চলবেন। আশা করি উপরে যে বাইক রাইডিং-এর উপায় এবং সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা আপনাদের কাজে লাগবে। মনে রাখবেন, একটি দুর্ঘটনার কারণে সারা জীবন দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে।

বাইক সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের তথ্যের জন্য ভিজিট করুন বাইকস গাইডে। এখানে আপনি বিভিন্ন বাইকের রিভিউ, স্পেসিফিকেশন, কম্পারিজন, এক্সপার্ট রিভিউ, আরো অনেক দরকারি তথ্য পাবেন।

Similar Advices



Leave a comment

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Buy New Bikesbikroy
Zontes U1 200 bike 2025 for Sale

Zontes U1 200 bike 2025

0 km
verified MEMBER
Tk 320,000
6 days ago
Zongshen ebike 2025 for Sale

Zongshen ebike 2025

0 km
verified MEMBER
Tk 46,000
6 days ago
Suzuki Gixxer SF BLACK 2025 for Sale

Suzuki Gixxer SF BLACK 2025

3,300 km
MEMBER
Tk 369,000
1 week ago
Lifan victor R 2025 for Sale

Lifan victor R 2025

0 km
verified MEMBER
Tk 125,000
5 days ago
Zontes ZT 125 scooter 2025 for Sale

Zontes ZT 125 scooter 2025

8 km
verified MEMBER
Tk 356,000
1 month ago
Buy Used Bikesbikroy
Hero CBZ Xtrem . 2016 for Sale

Hero CBZ Xtrem . 2016

50,000 km
MEMBER
Tk 68,000
1 month ago
Suzuki Gixxer FI Disc ABS 2024 for Sale

Suzuki Gixxer FI Disc ABS 2024

5,000 km
MEMBER
Tk 310,000
1 day ago
Suzuki Gixxer SF BLACK 2025 for Sale

Suzuki Gixxer SF BLACK 2025

3,300 km
MEMBER
Tk 369,000
1 week ago
Royal Enfield Classic 350 . 2025 for Sale

Royal Enfield Classic 350 . 2025

1,755 km
MEMBER
Tk 390,000
2 weeks ago
Suzuki Gixxer ABS FI DD 2024 for Sale

Suzuki Gixxer ABS FI DD 2024

12,000 km
MEMBER
Tk 255,000
4 weeks ago
+ Post an ad on Bikroy