জ্বালানি তেল দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত একটি জিনিস। পৃথিবীতে জ্বালানির অন্যতম উৎস হলো জ্বালানি তেল। জ্বালানি তেল হিসেবে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, এগুলোই বেশি ব্যবহার হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। সকল প্রাকৃতিক সম্পদ ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যাবে, তাই জ্বালানির বিকল্প কিছু বের করা খুব জরুরি। জ্বালানি তেল এখন সারা পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণ।
তাছাড়া জ্বালানি তেল ব্যবহারে যে ধোঁয়া উৎপন্ন তা পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এটি বাতাসে কার্বন মনো অক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা ওজনস্তর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্নি সরাসরি পৃথিবীতে পরে, এর বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত করে দেয়। ট্রান্সপোর্ট, যানবাহন সহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জ্বালানি তেলের উপর আমরা অতি মাত্রায় নির্ভরশীল। তাই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে, পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে আমাদের জ্বালানি তেলের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
প্রায় সকল মোটরসাইকেল এবং যানবাহনে জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। প্রযুক্তি উন্নতির সাথে সাথে সকল ক্ষেত্রে বিদ্যুত ব্যবহার বাড়ছে। বাইক সহ বিভিন্ন বাহনে ইলেকট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে ইলেকট্রিক বাইক, কার, ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল এবং কার বাজারজাত করছে। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের প্রচলন তেমন একটা না থাকলেও, আগামী দিনে যে ব্যাপক হারে বাড়বে, এমন আশা করাই যায়।
জ্বালানি তেলের মূল্য অনেক বেড়েছে, এতে যাতায়াত খরচও অনেক বেড়েছে। আমাদের দেশের মানুষ যোগাযোগের জন্য কমিউটার বাইক বেশি ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্র, ব্যবসা, সকল ক্ষেত্রে কমিউটার বাইকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় মানুষ প্রয়োজনের তাগিদেই বাইক ব্যবহার করেন। বাইকের জ্বালানি খরচ অনেক বাড়ার কারণে, খরচ বাঁচানোর জন্য মানুষ ইলেকট্রিক বাইক এর দিকে ঝুঁকছে। এসব বাইক চালানো নিরাপদ, পরিবেশের জন্যেও উপকারী। এসব বাইকে ফুল চার্জে ৬০-৮০ কিমি পথ অনায়াসে যাওয়া যায়।
ইলেক্ট্রিক বাইক কি?
ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল এবং সাধারণ বাইকের মধ্যে পার্থক্য হলো, ই-বাইক চলে বিদ্যুতে, সাধারণ বাইক চলে জ্বালানি তেলে। ই-বাইকে রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকে, এর সাথে ইলেক্ট্রিক মোটর সংযুক্ত করা হয়। ব্যাটারি চার্জ করা হলে, সুইচ অন করার পর, ব্যাটারি মোটরে বিদ্যুৎ সাপ্লাই করে। মোটর বিদ্যুৎ শক্তিকে রূপান্তর করে ইঞ্জিনে পাঠায়। এভাবে ই-বাইক কাজ করে। সাধারণ বাইকে ব্যবহার হয় পেট্রল বা অক্টেন। বাইক এই জ্বালানি তেল পুড়িয়ে ইঞ্জিনে শক্তি উৎপন্ন করে। অর্থাৎ ইলেক্ট্রিক বাইকে বিদ্যুতের সাহায্যে মোটর ঘুরিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা হয়, সেই শক্তিতে ই-বাইক চলে, এবং সাধারন বাইকে জ্বালানি পুড়িয়ে শক্তি উৎপন্ন করে, সেই শক্তি দিয়ে বাইক চলে।
জ্বালানি তেলে বাইক ভেদে, এক লিটারে ৩৫-৭০ কিমি যায়। এসব বাইকে জ্বালানি খরচ অনেক। ই-বাইক ফুল চার্জে ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। ফুল চার্জ হতে ৫-৮ ঘন্টার মতো লাগে। বিদ্যুৎ চার্জের খরচ তুলনামুলক বেশ কম। এসব বাইক কমিউটার এবং সিটি রাইড হিসেবে যথেষ্ট উপযুক্ত।
আকিজ ইলেকট্রিক বাইক
আকিজ মোটরস দীর্ঘ সময় ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। আকিজ মোটরস এর স্লোগান হচ্ছে “ট্রাস্ট এবং মিউচুয়াল বেনিফিট”, গ্রাহক সন্তুষ্টি তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য সামনে রেখে কোম্পানিটি বাংলাদেশে একটি ওয়ান স্টপ অটোমোবাইল সলিউশন তৈরী করেছে। আকিজ বিশ্বের বড় বড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যাবসায়িক ভাবে যুক্ত আছে। আকিজ মোটরসের সার্ভিস সেন্টার অত্যন্ত আধুনিক ডিজিটালাইজড এবং উন্নত প্রযুক্তির মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ সরঞ্জাম ইনস্টল করা আছে। কৃষি ও ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে কোম্পানিটি ভালো মানের মোটরযান উৎপাদন এবং বিপণন করে থাকে। প্রায় এক যুগ আগে আকিজ মোটরস, আকিজ ইলেকট্রিক বাইক বাজারে নিয়ে আসে।
আকিজের ইলেকট্রিক বাইকের অটোমোবাইল সলিউশন যথেষ্ট গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করেছে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বও পালন করছে। কোম্পানিটি ভবিষ্যতে অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটি একটি উদ্ভাবনী কোম্পানি হিসেবে বাজারে নিজেদের পরিচিতি তৈরী করেছে, এবং তাদের পণ্য ও পরিষেবার মান আরো উন্নত করার চেষ্টা করছে। আকিজ জবাবদিহিতা, সততা এবং গুণমান পরিষেবা, গ্রাহক অগ্রাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলের ভালো দিক
(১) ই-বাইকের জ্বালানি খরচ নেই বললেই চলে। শুধু মবিল বা ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হয়। বিদ্যুতে চলে, তাই ইলেকট্রিসিটি চার্জই ধর্তব্যের মধ্যে পরে।
(২) ই-বাইক সার্ভিসিং খরচ অনেক কম। ব্রেক প্যাড এবং টায়ার এর ঠিক মতো যত্ন নিলে, দীর্ঘদিন সার্ভিসিং করার প্রয়োজন পরে না।
(৩) ই-বাইক পরিবেশ বান্ধব। জ্বালানি ব্যবহার হয় না, তাই কোনো প্রকার ধোঁয়া উৎপন্ন করে না। সাধারণ বাইকের তুলনায় এই বাইক খুবই সামান্য শব্দ উৎপন্ন করে, তাই এটি শব্দ দূষণ করে না।
(৪) ই-বাইক ব্যবহার খুবই সহজ। বৃদ্ধ এবং নারীরাও সহজেই এই বাইক কন্ট্রোল করতে পারেন। ব্রেক ধরা অনেক সহজ তাই দুর্ঘটনার সম্ভবনাও অনেক কম।
(৫) ই-বাইক যখন তখন বন্ধ হয় না (চার্জে সমস্যা না থাকলে), জ্বালানি নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না, চালু অবস্থায় ক্লাস ধরে রাখা, বার বার গিয়ার পরিবর্তন করা, এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
(৬) জ্বালানি চালিত বাইকের সাথে তুলনা করলে ই-বাইকের দাম বেশ কম।
ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেলের খারাপ দিক
(১) জ্বালানি চালিত বাইকের মতো শক্ত-পোক্ত নয়। তাই সাবধানে থাকতে হয়।
(২) নির্দিষ্ট সময় পর পর ব্যাটারী পরিবর্তন করতে হয়।
(৩) ই-বাইকের গতি কম, চার্জের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে, বেশি রাস্তা অতিক্রম করা যায় না।
(৪) জ্বালানি চালিত বাইকে পেট্রোল/অক্টেন ঢেলেই স্টার্ট করা যায়, যখন তখন স্টার্ট করা যায়। ই-বাইক ফুল চার্জ করে স্টার্ট করা লাগে। বেশ কিছুটা সময় ব্যায় হয়।
(৫) এখনো বাংলাদেশে এই বাইকের লাইসেন্স দেয়া হয়নি, তাই হাইওয়েতে চলার অনুমতি নাই।
আকিজ ইলেকট্রিক বাইক সেগমেন্ট
(১) আকিজ দুর্দান্ত (Akij Durdanto)
আকিজ দুর্দান্ত হচ্ছে একটি অসাধারণ ডিজাইনের ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল। এটি দেখতে স্পোর্টস বাইকের মতোই। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৫০০ ওয়াট পাওয়ারের মোটর। বাইকটির সর্বোচ্চ স্পীড ৭০ কিমি পার আওয়ার। এটি ফুল চার্জে ৬০-৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এই বাইকের সামনে পিছনে উভয় পাশে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য – ১১০,০০০ টাকা।
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ২৫০০ ওয়াট মোটর
(২) সর্বোচ্চ গতি: ৭০-৭৫ কিমি/ঘন্টা
(৩) ব্যাটারির ধরন: মেইনটেন্যান্স ফ্রি ব্যাটারি
(৪) ব্যাটারি পাওয়ার: ৭২ভি ২০ এএইচ
(৫) চার্জ সময়: ৭-৮ ঘন্টা
(৬) ইনপুট ভোল্টেজ: এসি ১১০/২২০ ভোল্ট
(৭) ব্রেক ফ্রন্ট: ডিস্ক, রিয়ার: ডিস্ক
(৮) ওজন: ১০৫ কেজি
(৯) মাইলেজ: ৫৫-৬৫ কিমি
(১০) টায়ারের ধরন: টিউবলেস এফ ২.৭৫-১৮; আর১২০/৭০-১২
শর্তাবলী: ব্যাটারি, মোটর এবং কন্ট্রোলারের জন্য ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
(২) আকিজ দুর্জয় (Akij Durjoy)
আকিজ দুর্জয় একটি দুর্দান্ত ইলেকট্রিক স্কুটার। এটি একটি ইলেক্ট্রিক ক্যাটাগরির স্কুটার ধরণের মোটরসাইকেল। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১০০০-১২০০ ওয়াট পাওয়ারের মোটর। এটির সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এটি ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্পীডে যেতে পারে। ফুল চার্জে বাইকটি ৬০-৭০ কিমি পথ অতিক্রম করতে পারে। বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য – ৮৫,০০০ টাকা
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ১০০০-১২০০ ওয়াট মোটর
(২) ব্রেক: ডাবল ডিস্ক, রিয়ার: ড্রাম
(৩) সর্বোচ্চ গতি: ৫০ কিমি/ঘণ্টা
(৪) ব্যাটারির ধরন: মেইনটেন্যান্স ফ্রি ব্যাটারি
(৫) ব্যাটারি ক্ষমতা: ৬০ভি ২০ এএইচ
(৬) চার্জ সময়: ৭-৮ ঘন্টা
(৭) ইনপুট ভোল্টেজ: এসি ১১০-২২০ ভোল্ট/৫০ হার্টজ
(৮) ওজন: ৯৫ কেজি
(৯) মাইলেজ: ৭০ কিমি
(১০) টায়ারের আকার: ৩.০-১০, ৮০/৮০-১২ টিউবলেস
শর্তাবলী: ব্যাটারি, মোটর এবং কন্ট্রোলারের জন্য ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
(৩) আকিজ পংখিরাজ (Akij Ponkhiraj)
আকিজ পংখিরাজ একটি দুর্দান্ত ইলেকট্রিক স্কুটার। এর ডিজাইন আপনাকে এমিউজ করবে। এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮০০ ওয়াট মোটর। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতি ৫০ কিমি (প্রায়) পার আওয়ার। এটি ফুল চার্জে ৬০-৭০ কিমি পর্যন্ত যেতে পারে। এই বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। ইলেকট্রিক স্কুটারটির বর্তমান বাজার মূল্য – ৮০,০০০ টাকা।
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ৮০০ ওয়াট মোটর
(২) সর্বোচ্চ গতি: ৬০-৬৫ কিমি/ঘন্টা
(৩) ব্যাটারির ধরন: মেইনটেন্যান্স ফ্রী ব্যাটারি
(৪) ব্যাটারি ক্ষমতা: ৬০ ভোল্ট ২০ এএইচ
(৫) চার্জিং সময়: ৭-৮ ঘন্টা
(৬) ইনপুট ভোল্টেজ: এসি ১১০-২২০ ভোল্ট /৫০ হার্টজ
(৭) ব্রেক: ফ্রন্ট- ডিস্ক, রিয়ার- ড্রাম
(৮) ওজন: ৯২ কেজি
(৯) মাইলেজ: ৬৫-৭০ কিমি
(১০) টায়ারের আকার: ৩.০-১০ টিউবলেস
শর্তাবলী: ব্যাটারি, মোটর এবং কন্ট্রোলারের জন্য ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
(৪) আকিজ সাম্রাট (Akij Samrat)
আকিজ সাম্রাট একটি চমৎকার ইলেকট্রিক বাইক। এটি একটি প্রপার কমিউটার বাইক। এই বাইকে ১৫০০ ওয়াট মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। এটির সর্বোচ্চ গতি ৫০ কিমি (প্রায়) পার আওয়ার। এটি ফুল চার্জে ৬০-৬৫ কিমি পর্যন্ত যেতে পারে। এই বাইকটির সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ডিস্ক ব্রেক দেয়া হয়েছে। এটির বর্তমার বাজার মূল্য: ৯২,০০০ টাকা।
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ১৫০০ ওয়াট মোটর
(২) ব্যাটারির ধরন: মেইনটেন্যান্স ফ্রি ব্যাটারি
(৩) সর্বোচ্চ গতি: ৫০ কিমি/এইচ
(৪) ব্যাটারি পাওয়ার: ৬০ ভোল্ট ২০ এএইচ
(৫) চার্জিং টাইম: ৬-৮ আওয়ার
(৬) ইনপুট ভোল্টেজ: এসি ১১০-২২০ ভোল্ট/৫০ হার্টজ
(৭) উভয় ব্রেক: ডিস্ক
(৮) ওজন: ৯৫ কেজি
(৯) মাইলেজ: ৫৫-৬০ কিমি
(১০) টায়ারের আকার: ২.৭৫-১৮, ৩.০০-১৭
শর্তাবলী: ব্যাটারি, মোটর এবং কন্ট্রোলারের জন্য ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
(৫) আকিজ সাথী (Akij Sathi)
আকিজ সাথী, আকিজ মোটরস এর একটি অসাধারণ ইলেকট্রিক স্কুটার। ৮০ সিসি পাওয়ার ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন সম্মৃদ্ধ বাইকটি একটি ৩ চাকার স্কুটার। এই ইলেকট্রিক স্কুটারে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০০ ওয়াট মোটর। এটির টোটাল ওজন ১০৫ কেজি। এটির ক্লাচ ওয়েট মাল্টিপ্লেট। বাইকটির স্টার্টিং মেথড কিক এবং ইলেকট্রিক। এটির সর্বোচ্চ স্পিড ৩০-৩৫ কিমি/এইচ। এটির ফ্রন্টে ডিস্ক ব্রেক, পিছনে ড্রাম ব্রেক। ইলেকট্রিক স্কুটারটির বর্তমান বাজার মূল্য – ১০৫,০০০ টাকা।
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ৫০০ ওয়াট মোটর
(২) ব্রেক টাইপ: সামনে – ডিস্ক, পিছন – ড্রাম ব্রেক
(৩) ডিসপ্লেসমেন্ট: ৮০ সিসি (প্রায়)
(৪) ক্লাচ: ওয়েট মাল্টিপ্লেট
(৫) স্টার্ট করার পদ্ধতি: কিক এবং ইলেকট্রিক
(৬) গিয়ারের সংখ্যা: স্বয়ংক্রিয়
শর্তাবলী: ব্যাটারি, মোটর এবং কন্ট্রোলারের জন্য ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
(৬) আকিজ ঈগল (Akij Eagle)
এটি আকিজ মোটরস এর একটি ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল। এটি একটি ভিন্নধর্মী ইলেক্ট্রিক বাইক, দেখতে অনেকটাই বাইসাইকেলের মতো। এটির ইঞ্জিন পাওয়ার ৩৫০ ওয়াট। এটির সর্বোচ্চ গতি ৩৮ কিলোমিটার পার আওয়ার। বাইকটি ফুল চার্জে ৪৫-৫০ কিমি পথ যেতে পারে। এই বাইকের ব্রেক নরমাল, সামনে এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য – ৬৫,০০০ টাকা।
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ৩৫০ ওয়াট মোটর
(২) সর্বোচ্চ গতি: ৪০-৪৫ কিমি/আওয়ার
(৩) ব্যাটারির ধরন: মেইনটেন্যান্স ফ্রী
(৪) ব্যাটারি পাওয়ার: ৬০ ভোল্ট ১২ এএইচ
(৫) চার্জিং টাইম: ৫-৬ ঘন্টা
(৬) ইনপুট ভোল্টেজ: এসি ১১০-২২০ ভোল্ট/৫০ হার্টজ
(৭) ব্রেক: ফ্রন্ট -ড্রাম, রিয়ার – ড্রাম
(৮) ওজন: ৭০ কেজি
(৯) মাইলেজ: ৩৫-৪০ কিমি
(১০) টায়ারের আকার: এফ ২.২৫ – ১৭, আর ২.৫০ – ১৭
(৭) আকিজ দুর্বার (Akij Durbar)
আকিজ দুর্বার একটি উচ্চ কর্মক্ষমতা সম্পন্ন ইলেকট্রিক বাইক। বাইকটি দেখতে স্ট্যান্ডার্ড বাইকের মতোই। এই বাইকের ইঞ্জিন পাওয়ার ২৫০০ ওয়াট। এটির সর্বোচ্চ স্পীড ৫৫-৬০ কিমি পার আওয়ার। ফুল চার্জে এটি ৫৫-৬০ কিমি পর্যন্ত পথ চলতে পারে। এই বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম নরমাল, এটির সামনে এবং পেছনে উভয় দিকেই ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য – ১১০,০০০ টাকা
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ২৫০০ ওয়াট
(২) ব্যাটারি টাইপ: মেইনটেন্যান্স ফ্রি ব্যাটারি
(৩) ব্যাটারি পাওয়ার: ৭২ ভোল্ট ২০ এএইচ
(৪) সর্বোচ্চ গতি: ৫৫-৬০ কিমি/এইচ
(৫) চার্জিং টাইম: ৭-৮ ঘন্টা
(৬) ইনপুট ভোল্টেজ: এসি ১১০-২২০ ভোল্ট
(৭) ব্রেক সিস্টেম: ফ্রন্ট – ডিস্ক, রিয়ার -ডিস্ক
(৮) ওজন: ১১০ কেজি
(৯) মাইলেজ: ৫৫-৬০ কিমি
(১০) টায়ারের আকার: এফ ২.৭৫ – ১৮ আর ১১০/৯০-১৬ টিউবলেস
শর্তাবলী: ব্যাটারি, মোটর এবং কন্ট্রোলারের জন্য ৬-মাসের ওয়ারেন্টি।
(৮) আকিজ দুরন্ত (Akij Duronto)
আকিজ দুরন্ত, আকিজ মোটরস এর একটি পাওয়ারফুল ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। এটির ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট ১২০০ ওয়াট। এটি একটি স্কুটার টাইপ বাইক। এটির সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিমি পার আওয়ার। এটি ফুল চার্জে ৬০-৭০ কিমি পথ চলতে পারে। এটির ব্যাটারি লেড -এসিড টাইপ। বাইকটির সামনের ব্রেক ডিস্ক, পিছনের ব্রেক ড্রাম টাইপ। বাইকটির বর্তমান বাজার মূল্য – ৬৮,৫০০ টাকা।
(১) ইঞ্জিন পাওয়ার: ১২০০ ওয়াট
(২) ব্যাটারি টাইপ: লিড-অ্যাসিড ব্যাটারি
(৩) ব্যাটারি পাওয়ার: ৬০ ভোল্ট ২০ এএইচ
(৪) সর্বোচ্চ গতি: ৪০ কিমি/আওয়ার
(৫) চার্জিং টাইম: ৭-৮ ঘন্টা
(৬) ইনপুট ভোল্টেজ: ২২০ ভোল্ট/৫০ হার্টজ
(৭) ব্রেক: ফ্রন্ট- ডিস্ক, রিয়ার- ড্রাম
(৮) ওজন: ৯৫ কেজি
(৯) মাইলেজ: ৬০-৭০ কিমি
(১০) টায়ার টাইপ: ৩.০ – ১০, ৮০/৮০-১২ – টিউবলেস
বর্তমানে আকিজ ইলেকট্রিক বাইকের দাম এবং লাইনআপ
মডেল নাম | ব্যাটারি পাওয়ার | সর্বোচ্চ গতি | মাইলেজ | দাম |
আকিজ দুর্দান্ত
(Akij Durdanto) |
২৫০০ ওয়াট | ৭০-৭৫ কিমি | ৫৫-৬৫ কিমি | ১১০,০০০ টাকা |
আকিজ দুর্জয়
(Akij Durjoy) |
১২০০ ওয়াট | ৫০ কিমি | ৭০ কিমি | ৮৫,০০০ টাকা |
আকিজ পংখিরাজ (Akij Ponkhiraj) | ৮০০ ওয়াট | ৬০-৬৫ কিমি | ৬৫-৭০ কিমি | ৮০,০০০ টাকা |
আকিজ সাম্রাট
(Akij Samrat) |
১৫০০ ওয়াট | ৫০ কিমি | ৫৫-৬০ কিমি | ৯২,০০০ টাকা |
আকিজ সাথী
(Akij Sathi) |
৫০০ ওয়াট | ৪০ কিমি | ৬৫ কিমি | ১০৫,০০০ টাকা |
আকিজ ঈগল
(Akij Eagle) |
৩৫০ ওয়াট | ৪০-৪৫ কিমি | ৩৫-৪০ কিমি | ৬৫,০০০ টাকা |
আকিজ দুর্বার
(Akij Durbar) |
২৫০০ ওয়াট | ৪০ কিমি | ৫৫-৬০ কিমি | ১১০,০০০ টাকা |
আকিজ দুরন্ত
(Akij Duronto) |
১২০০ ওয়াট | ৪০ কিমি | ৬০-৭০ কিমি | ৬৮,৫০০ টাকা |
N.B: The mentioned price information may not be 100% accurate. We collect information from manufacturer website and other reputed sources. Please inform us if you have found any mistake or wrong information.
বাংলাদেশে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল এখনো খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও, এই বাইকের ব্যবহার এবং ব্যবসার সম্ভবনা অনেক। কারণ এই যানজট পূর্ণ রাস্তায়, এবং স্বল্প দূরত্বে ই-বাইক একটি ভালো সমাধান। তাছাড়াও খরচের ব্যাপারে চিন্তা করলে, এটি ব্যবহার লাভজনক। আকিজ ইলেকট্রিক বাইক আমাদের দেশে বেশ পরিচিত একটা নাম। এই কোম্পানিটি ভালো মানের ই-বাইক বাজারে নিয়ে এসেছে। তবে রুট – পারমিট না থাকার কারণে অনেকেই বাইক গুলো ব্যবহারে আগ্রহ কম। তবে আশা করা যায় বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও ইলেক্ট্রিক মোটরসাইকেল জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
48v20mh battery price