বাংলাদেশের ৫ টি সেরা ১০০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
ইয়ামাহা মোটরবাইক
ইয়ামাহা মোটরবাইক কোম্পানি একটি বিখ্যাত জাপানি মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক যা ১৯৫৩ সালে তার সূচনা থেকে টু-হুইলারের জগতে একটি অমার্জনীয় চিহ্ন রেখে গেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রতি অঙ্গীকারের সাথে, ইয়ামাহা মোটরসাইকেল ভালো অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং পারফরম্যান্স ও আবেগের সংমিশ্রণে মোটরসাইকেল চালানোর ভবিষ্যতকে আরও সুন্দর রূপ দিয়ে চলেছে।
বাংলাদেশের সেরা ১০০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল
ইয়ামাহা মোটরবাইক-এর অন্যতম সুবিধা হলো কর্মক্ষমতা, ইঞ্জিন প্রযুক্তি। তাছাড়া এর নজরকাড়া ডিজাইন ও স্টাইল বাজারে থাকা অন্যান্য বাইকের তুলনায় একে আরো আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করে। এছাড়াও বাইকটিতে আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে। ইয়ামাহা বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু বাইক উপহার দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ১০০ সিসি ইয়ামাহা মোটরবাইক-গুলো, যা নিয়মিত বাইক রাইডিং-এর জন্য খুবই কার্যকরী। আশা করি, BikesGuide এর আজকের ব্লগ পড়ে জেনে নিতে পারবেন বাংলাদেশের সেরা ৫ টি ১০০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল-গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা।
ইয়ামাহা আরএক্স ১০০
ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ বিশ্বনন্দিত জাপানী ব্র্যান্ড ইয়ামহার একটি কমিউটার মোটরসাইকেল। বাইকটি পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে খুব ভালো বলা যায়।
বাইকটিত রয়েছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড, ২ স্ট্রোক, রীড ভালভ ইঞ্জিন। বাইকটিতে রয়েছে ৯৮ সিসি ইঞ্জিন যা ১১ বিএইচপি শক্তি ও ১০.৩৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। ট্রান্সমিশন সিস্টেমে রয়েছে ৪ স্পিড গিয়ার বক্স। বাইকটির সামনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক ও পিছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক দেওয়া আছে। সামনের সাসপেনশন হিসেবে আছে কায়াবা টেলিস্কোপিক ফরক ও পিছনের সাসপেনশন হিসেবে দেওয়া আছে সুইংআর্ম, টুইন কয়েল-স্প্রিংস উইথ অয়েল-ডেম্পিং।
ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ বাইকের দাম জানতে চাইলে ভিজিট করুন Bikroy-এ।
ইয়ামাহা আলফা
এই ধরণের স্কুটারগুলো একদিকে যেমন বাস্তবধর্মী, অন্যদিকে এগুলোর ডিজাইনও এখন অনেক বেশি আকর্ষণীয়। এই স্কুটারটি ডিজাইন করার সময় ইয়ামাহা ফাসিনো এবং ইয়ামাহা রে জেডআর স্কুটার দুটির কথা মাথায় রাখা হয়েছে।
এই স্কুটারটিতে রয়েছে ১১৩ সিসি ডিসপ্লেসমেন্টের একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক, ২ ভালভ, এসওএইচসি ইঞ্জিন। এয়ার কুলিং সিস্টেম দেয়া এই ইঞ্জিনটিতে ড্রাই সেন্ট্রিফিউগাল টাইপের ক্লাচ দেয়া হয়েছে। ইয়ামাহা আলফা দাম-এর সাপেক্ষে এই ইঞ্জিন থেকে ৭৫০০ আরপিএম-এ সর্বোচ্চ ৭.১ বিএইচপি শক্তি এবং ৫০০০ আরপিএম-এ সর্বোচ্চ ৮.১ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। স্কুটারটির সামনের চাকায় সাধারণ টেলিস্কোপিক ফোর্কস সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। আর পেছনে মনোশক অ্যাবসর্ব করতে সক্ষম ইউনিট সুইং আর্ম দেয়া হয়েছে। স্কুটারটির ব্রেকিং সিস্টেম হিসেবে বেসিক ডিস্ক–ড্রাম সেটআপ দেয়া হয়েছে।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ইয়ামাহা আলফা রিভিউ
ইয়ামাহা ওয়াইবিআর ১১০
ওয়াইবিআর হলো ইয়ামাহার একটি টেকসই বাইক, যা রক্ষণাবেক্ষণ করতেও তেমন কোনো কষ্ট করতে হয় না। আধুনিক ফিট এবং ফিনিশিং সহ বাইকটিতে একটি মাল্টি-রিফ্লেক্টর হেডলাইট রয়েছে, একটি সুন্দরভাবে ডিজাইন করা তীক্ষ্ণ কাউলের সাথে ক্রিজ লাইন যা বাতাসের প্রবাহকে নির্দেশ করে।
ওয়াইবিআর ১১০ একটি এয়ার কুলড ফোর-স্ট্রোক ১০৬ সিসি এসওএইচসি ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা ৭.৬ বিএইচপি শক্তি @ ৭৫০০ আরপিএম এবং ৭.৯ এনএম @ ৬০০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটির সামনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক ও পিছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক দেওয়া আছে। সামনের সাসপেনশন হিসেবে আছে কায়াবা টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক ও পিছনের সাসপেনশন হিসেবে দেওয়া আছে এডজাস্টেবল হাইড্রোলিক এবজরবার। বাইকটির মাইলেজ প্রায় ৫৫ কিমি/লিটার।
ইয়ামাহা স্যালুটো আরএক্স
এটি একটি অসাধারণ কমিউটার বাইক, যা শহুরে রাস্তায় বাইক চালিয়ে নিজের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য খুবই পছন্দনীয় একটা মাধ্যম হিসেবে সুপরিচিত।
এই বাইকটিতে রয়েছে ১১০ সিসি ডিসপ্লেসমেন্টের একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক, ২ ভালভ, এয়ার কুল্ড এসওএইচসি ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন ৭.৫ পিএস শক্তি @ ৭০০০ আরপিএম ও ৮.৫ এনএম @ ৪৫০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটির সামনে ও পিছনে উভয় চাকায় ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটি ওজনেও বেশ হালকা, তাই কর্ণারিং-এর সময় তেমন ঝামেলা নিতে হয় না। বাইকটির আরও একটা সুবিধা হলো, এতে কিক ও সেলফ উভয় স্টার্টিং মেথড রাখা হয়েছে।
ইয়ামাহা আরএক্সএস ১০০
ইয়ামাহা আরএক্সএস ১০০ সর্বোচ্চ ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৌঁছতে সক্ষম। সাধারণত আরএক্সএস ১০০ বাইকে ৬৮ কিমি প্রতি ঘন্টা গতি স্বাভাবিকভাবেই তোলা যায়, তবে ইঞ্জিন অত্যন্ত গরম হলে এই বাইকটি ঘণ্টায় ৮০ মাইল পর্যন্ত গতিতে পৌঁছাতে সক্ষম। এই মোটরসাইকেলটি প্রতি লিটারে ৩২-৩৫ (প্রায়) কিলোমিটার যেতে পারে।
এই বাইকটিতে রয়েছে ৯৮ সিসি ডিসপ্লেসমেন্টের একটি , ২ স্ট্রোক, ২ ভালভ, এয়ার কুল্ড, টর্ক ইনডাকশন সিঙ্গেল ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন ১২.২ পিএস শক্তি @ ৮৫০০ আরপিএম ও ৮.৫ এনএম @ ৮০০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটির সামনে ও পিছনে উভয় চাকায় ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সামনে টেলিস্কোপিক ও পিছনে সুইন আর্ম সাসপেনশন দেওয়া আছে। বাইকটির ইলেক্ট্রনিক ফিচারসগুলোতে অ্যানালগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
পরিশেষে
বাংলাদেশে ইয়ামাহা-র হাই সিসি বাইকগুলোর ডিম্যান্ড যতোটা বেশি, লো-সিসি বাইকের ডিম্যান্ড ততো তেই। কারণ ১০০ সিসি বাইকগুলোর ক্ষেত্রে অন্য কোম্পানি যেমন রানার, কিওয়ে, ওয়ালটন ইত্যাদি কোম্পানির বাইক বেশি পছন্দ করেন বাইকাররা। তবে একেবারেই নেই সেটা বলা যাবে না। আমরা চেষ্টা করেছি ইয়ামাহার সেসব ১০০ সিসি-র বাইকগুলোর ইনফরমেশন তুলে ধরার যেগুলো তুলনামূলক ভালো ও পারফরম্যান্সেও এগিয়ে। আশা করি, ব্লগটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের দাম জানতে Bikroy-এর সাথেই থাকুন।
Best 100cc Yamaha motorcycle in Bangladesh
One of the advantages of Yamaha motorcycles is performance engine technology. Moreover, its eye-catching design and style make it more attractive than other bikes. Hopefully, by reading BikesGuide’s blog today, you can know the detailed description of Bangladesh’s best 100cc Yamaha motorcycles.
Yamaha RX 100
The bike has a single-cylinder, air-cooled, 2-stroke, reed valve engine. The bike is powered by a 98 cc engine that produces 11 bhp of power and 10.39 Nm of torque. The transmission system consists of a 4-speed gearbox. The bike has a 130 mm drum brake at the front and a 130 mm drum brake at the rear. The front suspension is a Kayaba telescopic fork, and the rear suspension is a swingarm, with twin coil springs with oil damping.
Yamaha Alpha
This scooter has a single-cylinder, 4-stroke, 2-valve, SOHC engine of 113 cc displacement. This engine has a dry centrifugal-type clutch and an air cooling system. Compared to the Yamaha Alpha Damm, this engine produces a maximum power of 7.1 bhp at 7500 rpm and a maximum torque of 8.1 Nm at 5000 rpm. The front wheel of the scooter uses conventional telescopic fork suspension. And the unit swing arm capable of absorbing monoshock has been given at the back. The scooter has a basic disc-drum setup as the braking system.
Yamaha YBR 110
The YBR 110 is powered by an air-cooled four-stroke 106 cc SOHC engine that produces 7.6 bhp of power @ 7500 rpm and 7.9 Nm of torque @ 6000 rpm. The bike has a 130 mm drum brake at the front and a 130 mm drum brake at the rear. The front suspension is Kayaba telescopic hydraulic, and the rear suspension has adjustable hydraulic shock absorbers. The mileage of the bike is around 55 km/litre.
Yamaha Saluto RX
This bike has a single-cylinder, 4-stroke, 2-valve, air-cooled SOHC engine of 110 cc displacement. This engine produces 7.5 PS of power @ 7000 rpm and 8.5 Nm @ 4500 rpm of torque. The bike uses drum brakes on both the front and rear wheels. The bike is also relatively light in weight, so it does not take much trouble during cornering. Another advantage of the bike is its kick and self-starting methods.
Yamaha RXS 100
This bike has a 98 cc displacement, 2 strokes, 2 valves, and an air-cooled, torque-induction single engine. This engine produces 12.2 PS of power @ 8500 rpm and 8.5 Nm @ 8000 rpm of torque. The bike uses drum brakes on both the front and rear wheels. The bike has telescopic front and rear swing arm suspension. Analog technology has been used in the bike’s electronic features.
The higher demand for high cc bikes of Yamaha in Bangladesh can’t be comparable to that of low cc bikes. Regarding 100 cc bikes, bikers prefer the bikes of other companies like Runner, Keyway, Walton, etc. But it cannot be said that there is absolutely no demand for 100 cc Yamaha bikes. We have tried highlighting the information of those 100 cc bikes of Yamaha, which are comparatively good and ahead in performance. I hope you have benefited from reading the blog.
বাংলাদেশের সেরা ১০০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল নিয়ে সচরাচর কিছু প্রশ্ন
ইয়ামাহা আরএক্সএস ১০০ বাইকের টায়ার সাইজ কত?
ফ্রন্টঃ ২.৭৫ – ১৮ (৪ পিআর)
রিয়ারঃ ৩.০০ – ১৮ (৪ পিআর)
ইয়ামাহা স্যালুটো আরএক্স- এর মাইলেজ কত?
৮২ কিমি/লিটার (প্রায়)।
ওয়াইবিআর ১১০ বাইকের সবচেয়ে ভালো দিক কি?
ওয়াইবিআর হলো ইয়ামাহার একটি টেকসই বাইক, যা রক্ষণাবেক্ষণ করতেও তেমন কোনো কষ্ট করতে হয় না। এছাড়াও অনেক বছর পরও মাইলেজ আগের মতোই পাওয়া যায়।
ইয়ামাহা আলফা কাদের জন্য সবচেয়ে ভালো?
যেসব কমিউটার শ্রেনীর মানুষ নিত্যদিনের চলাফেরা জন্য একটি শান্তিপ্রিয়, নীরব ও রিল্যাক্সিং বাহন ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্কুটার হতে পারে।