জেনুইন মোটরসাইকেল পার্টস চিনে নেওয়ার ৭টি উপায়

29 Mar, 2023   [wppr_avg_rating]
জেনুইন মোটরসাইকেল পার্টস চিনে নেওয়ার ৭টি উপায়

এই আর্টিকেল টি মূলত কিভাবে জেনুইন মোটরসাইকেল পার্টস আইডেন্টিফাই করা যায় সে বিষয়ক। মার্কেট এ সাধারণত দুই রকম ক্রেতা দেখা যায়।এক হলো যারা কম খরচে ডুব্লিকেট স্পেয়ার পার্টস কিনতে পছন্দ করেন।আরেক রকম হলো যারা একটু বেশি দাম হলেও নিজের মোটরসাইকেল এর জন্য জেনুইন স্পেয়ার পার্টস কিনতে চান। যদিও অনেক সময় দেখা যায় তাদের ঠকিয়ে জেনুইন পার্টস এর পরিবর্তে ডুব্লিকেট পার্টস দিয়ে দেয়া হয়।আবার অনেক সময় কিছু সেলার (seller) নিজেও বুঝতে পারে না যে তাদের কে সাপ্লাইয়াররা ডুপ্লিকেট পার্টস সাপ্লাই করছে।সুতরাং আপনি যদি স্পেয়ার পার্ট সেলার হন অথবা একজন বাইকার (biker) হন,আপনার জন্য এটা বুঝতে পাড়া জরুরি যে কোনটা ডুপ্লিকেট আর কোনটা জেনুইন।এই আর্টিকেল এ সে সম্পর্কে কিছু টিপস দেয়া হবে যা আপনাদেরকে সহায়তা করবে জেনুইন পার্টস চিনতে।

জেনুইন মোটরসাইকেল পার্টস চিনে নেওয়ার ৭টি উপায়

যদি কখনো আপনি আপনার বাইক সেল করতে চান সে ক্ষেত্রে ভালো দামে সেল করতে পারবেন। জেনুইন স্পেয়ার পার্ট (genuine spare part) যেভাবে চিনবেনঃ

১. কেনার সময় প্যাকেজিং ভালো করে খেয়াল করা। কারণ ডুপ্লিকেট হলে সেখানে অবশ্যই জেনুইন প্যাকেজ এর সাথে কোনো না কোনো পার্থক্য থাকবে। সেটা হতে পারে রং, ডিজাইন অথবা স্পেলিং।

২. প্যাকেজিং এর ভাষাগুলো এপ্রোপ্রিয়েট হয়না, অনেক ভুল থাকে।

৩. সাধারণত ম্যানুফ্যাকচারিং স্মল লেটার এ লিখা হয়। সেটা খেয়াল করতে হবে।

৪. পার্টস গুলোর ফিনিশিং ভালো হয়না। জেনুইন পার্টস এর সাথে মিলিয়ে দেখলে কিছু পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়।

৫. জেনুইন পার্ট এর সাথে ডিজাইন এবং রঙে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।

৬. স্পেয়ার পার্ট গুলোতে সাধারণত ডেট আমেরিকান নিয়ম অনুযায়ী লিখা হয়। অর্থাৎ প্রথমে মাস তারপর দিন এবং তারপর সাল লিখা হয়। কিন্তু ডুপ্লিকেট হলে ডেট ফরমেট ভিন্ন হয়ে থাকে।

৭. অভাবনীয় ছারে বিক্রি করা হয়। যা জেনুইন পার্টস এর ক্ষেত্রে অসম্ভব।

কীভাবে চিনবেন আসল বাইক পার্টস?

এখন আসি জেনুইন পার্টস কেনো কেনা উচিত এবং কোনগুলো জেনুইন পার্টস, সেটা আমরা কিভাবে আইডেন্টিফাই করতে পারবো।

ডুপ্লিকেট পার্টস ব্যবহারের ফলে বাইকের অন্যান্য পার্টস এ সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। পার্টস নকল হলে খুব বেশি দিন ব্যবহার ও করা যায় না। অল্পতেই নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে দেখা যায় খরচ কমাতে গিয়ে উল্টো খরচ আরো বেড়ে যায়।

ডুপ্লিকেট পার্টস ব্যাবহারে বাইকের পারফরম্যান্স আর আগের মতো থাকে না। মন মতো পারফরমেন্স পাওয়া যায়না। যে কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

জেনুইন স্পেয়ার পার্টস ব্যবহার করলে বাইক দীর্ঘায়ু হয়।ভালো স্পেয়ার পার্ট এর সাথে আপনি ওয়ারেন্টিও পাবেন। সেফ রাইড এর জন্য স্পেয়ার পার্ট জেনুইন হওয়া জরুরি।

জেনুইন স্পেয়ার পার্টস বাইক এ পারফেক্টলি সেট হয়ে যায়। যেকোনো শহরেই সহজে পাওয়া সম্ভব।

How can we Identify Genuine Motorcycle Spare Parts

এছাড়াও আরো কিছু বিষয় মাথায় রেখে আমরা জেনুইন স্পেয়ার পার্ট (genuine alternative part কিনতে পারি যেমনঃ

১. বিশ্বাসযোগ্য ডিলার (dealer) এর থেকে কেনা। কোনো ডিলার চাইবে না তার বিজনেস (business) এর নাম নষ্ট হোক। তাই সে চেষ্টা করবে আপনাকে জেনুইন পার্টস

দিতে।

২. কোম্পানির স্ট্যাম্প ( stamp) অথবা হলোগ্রাম (hologram) দেখে কেনা।

৩.প্যাকেজিং করা নেই এমন খোলা কোনো স্পেয়ার পার্ট কি কেনা উচিত ?না প্যাকেজিং করা নেই এমন খোলা কোনো স্পেয়ার পার্ট কিনা উচিত না না কেনা।

৪. পার্টস চেঞ্জ করার পর টেস্ট ড্রাইভ নেয়া। কারণ ডুপ্লিকেট স্পেয়ার পার্ট হলে বাইক চালানোর সময় পূর্বের সাথে পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন যা পূর্বে ছিলো না।

৫. লোকাল দোকান এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ বেশির ভাগ লোকাল দোকান গুলোতেই ডুপ্লিকেট স্পেয়ার পার্ট গুলো সেল করা হয়ে থাকে।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছি মোটরসাইকেল এ জেনুইন স্পেয়ার পার্টস ব্যবহার করা কতটা জরুরি। কারণ এর ফলে আমাদের সাময়িক খরচ কমলেও পরবর্তীতে দ্বিগুন খরচের সম্ভাবনা থাকে।

শুধু তাই নয় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে। তাই আমাদের স্পেয়ার পার্টস কেনার সময় সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। আর সেক্ষেত্রে আমরা উপরের টিপস গুলো মাথায় রাখতে পারি।

FAQ

১. জেনুইন পার্টস কোথায় পাবো?

বিশ্বাসযোগ্য ডিলার (dealer) থেকে আপনি জেনুইন স্পেয়ার কিনতে পারে।

২. প্যাকেজিং (packaging) করা নেই এমন খোলা কোনো স্পেয়ার পার্ট কি কেনা উচিত ?

না প্যাকেজিং (packaging) করা নেই এমন খোলা কোনো স্পেয়ার পার্ট কিনা উচিত না।

৩. লোকাল (local) দোকান থেকে স্পেয়ার পার্টস কি কেনা উচিত ?

লোকাল (local) দোকান এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ বেশির ভাগ লোকাল দোকান গুলোতেই ডুপ্লিকেট স্পেয়ার পার্ট গুলো সেল করা হয়ে থাকে।

৪. পার্টস চেঞ্জ করার পরে কি টেস্ট রাইড করা উচিত ?

পার্টস চেঞ্জ করার পরে টেস্ট রাইড অবশ্যই করবেন।

৫. ডুপ্লিকেট পার্টস ব্যাবহারে বাইকের পারফরমেন্স কি আর আগের মতো থাকে ?

প্লিকেট পার্টস ব্যাবহারে বাইকের পারফরমেন্স আর আগের মতো থাকে না

Similar Advices

Used Auto partsbikroy
100% Japanese recondition engine for Sale

100% Japanese recondition engine

verified MEMBER
Tk 495,000
1 month ago
ইলেকট্রিক ব্রেক for Sale

ইলেকট্রিক ব্রেক

MEMBER
Tk 2,000
1 hour ago
R15 V3 R Series Visor for Sale

R15 V3 R Series Visor

MEMBER
Tk 1,700
2 hours ago
Helmet for sale for Sale

Helmet for sale

MEMBER
Tk 1,150
2 hours ago
Tasslock Combo V3.0 for Sale

Tasslock Combo V3.0

MEMBER
Tk 4,000
2 hours ago
+ Post an ad on Bikroy