মোটরসাইকেলের চুরি ঠেকাতে যা যা করণীয়

29 Mar, 2023   
মোটরসাইকেলের চুরি ঠেকাতে যা যা করণীয়

বাইকের সংখ্যা যত বাড়ছে দেশে সেই সাথে বাইক চুরি হবার ঝুঁকিও বেড়ে গিয়েছে। শুধু বাসা কিংবা পার্কিং জোন নয়, এখন যেকোনো জায়গা থেকে মোটরসাইকেল খুব সহজেই চুরি হয়ে যাচ্ছে। এরকম অনেক বাইকাররা আছে যারা যত্মবান না হবার ফলে চুরি ঠেকাতে পারছে না। তবে বিশেষ কিছু কৌশলে বিষয়ে সাবধান থাকা সম্ভব।  

আমাদের ট্রাফিক জ্যামের সমস্যার কারণে মোটরসাইকেলের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এবং সেই সাথে, বাইক চুরির হারও বেড়ে গিয়েছে। তবে বাইক চুরি হতে সাবধান থাকার ব্যাপারে এখনো অনেকে ঢিলেঢালা আচরণ দেখাচ্ছে। আমাদের এই অসাবধানতার কারণে প্রতিবার কারো না কারো মূল্যবান বাইকটি চোখের আড়াল থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে  

সুতরাং, যেখানেই যান না কেন আপনার মূল্যবান বাইকটি একটি নিরাপদ স্থানে পার্ক করুন। চোখের সামনে থাকবে এমন জায়গায় পার্ক করার সুযোগ থাকলে সেই সুবিধা নিন। যেখানে কোন বিশেষ নিরাপত্তা নেই এমন নির্জনে গাড়ি রাখা উচিত হবে না। এতে করে চুরির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সিসি ক্যামেরার আশেপাশে আপনার বাইক পার্কিং করা সবচেয়ে নিরাপদ। 

আধুনিক লক সিস্টেম, মজবুত তালা বা জিপিএস ট্র্যাকার এর মতন নিরাপত্তার সাহায্য নিলে  

আপনার বাইককে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। নতুন প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি এমন বেশ কিছু বাইকের লক সিস্টেম বর্তমান বাজারে পাওয়া যায়।

মোটরসাইকেলের চুরি ঠেকাতে যা যা করণীয়

আপনার বাইকের জন্য এমন সব লক সিকিউরিটি সিস্টেম এখন বাজারে এসেছে যা বাইক চুরি ঠেকাতে বেশ কার্যকর। আধুনিক এসমস্ত লক সিস্টেম এমনভাবে ডিজাইন করা যা আগের তুলনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বাইকের সুরুক্ষার জন্য অবশ্যই এগুলো সকল বাইকারদের ব্যবহার করা উচিত এবং প্রয়োজন। বাইকের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে উপযুক্ত কিছু পদ্ধতি নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা।  

অথেন্টিক ব্র্যান্ডের এক্সট্রা লক ব্যবহার করুন

সকল বাইকারদের উচিত মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের মজবুত তালা ব্যবহার করা। তবে নিম্নমানের সস্তা তালা চাবি ব্যবহার করলে বিপদে পড়তেন পারেন,কারন এতে কোয়ালিটি কম থাকায় সহজেই ভেঙে ফেলা যায়। 

বাইকের জন্য শুধু মাত্র একটি লক ব্যবহার করা আপনার মোটরসাইকেলের জন্য নিরাপদ নয়। দুটি বা তিনটি তালাও একসাথে ব্যবহার করতে পারেন। বাইক চুরি ঠেকাতে এটি একটি মজার কৌশল যা আপনার কাজে আসতে পারে। বেশি তালা ব্যবহারের ফলে লক ভাঙতে সময় লাগবে। তাই এক্সট্রা লক সবসময় ব্যবহার করা জরুরি।  

তবে বুদ্ধি করে এমনভাবে তালাগুলো ব্যবহার করবেন যেন চোরের কাছে লক ভেঙে চুরি করা বেশি জটিল লাগে। সেই ক্ষেত্রে দামি মোটরসাইকেলের জন্যে বেস্ট কোয়ালিটি এবং দামি লক ব্যবহার করা সবচেয়ে লাভজনক। বাইক চুরি থেকে রক্ষা পেতে ভালো ব্র্যান্ডের গ্রিপ লক এবং চেইন ব্যবহার করা নিরাপদ। অবশ্যই অরিজিনাল কোয়ালিটির মজবুত লোহার শিকল ব্যবহার করবেন চুরি ঠেকাতে। এতে করে কোন চোরের জন্য শিকল কাটা বেশ কষ্টকর হবে। 

ডিস্ক লক

ডিস্ক লক পুরোপুরি নিরাপদ নয় বাইক চুরি ঠেকাতে। কারন, বাইক স্টার্ট দিয়ে জোরে টান দিলেই ডিস্ক লক সহজেই ভেঙে যায়। এই কৌশলে বাইক চুরি করা যেকোন চোরের পক্ষে সম্ভব। অতএব, কোন ভালো ব্র্যান্ডের শক্তিশালী ডিস্ক লক ব্যবহার করা দরকার।।

বাইক চুরি ঠেকাতে গোপন বা কিল সুইচের ব্যবহার

গোপন সুইচ ব্যবহার করে আপনার মোটরসাইকেল চুরি হওয়া থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। বাইকের গোপন একটি স্থানে এই সুইচ সেট করে নিবেন আপনার সুবিধার জন্যে। এটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সাথে লিংক দিয়েও গোপন জায়গায় বসাতে পারেন। কিল সুইচ দিলেই বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে এবং এটি বাইক চুরি ঠেকাতে বেশ কার্যকর। এই সুইচ সেট করতে আপনার কাছাকাছি যেকোন মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার এর সাহায্য নিতে পারবেন। বাইকের এমন একটি গোপন স্থানে এই সুইচটি লাগান যেন চোরের নজরে সহজেই না আসে। সম্ভব হলে ছোট সুইচ ব্যবহার করতে পারেন।

জিপিএস ট্র্যাকার সিকিউরিটি এলার্ম লক ব্যবহার করা উত্তম

বাজারে বেস্ট ব্র্যান্ডের জিপিএস ট্র্যাকার এলার্ম লক এখন বেশ সাশ্রয় মূল্যে পাওয়া যায় যেকোন মোটরসাইকেলের জন্য। বাইকের নিরাপত্তা দিতে এগুলো বেশ উপযোগী।   

এলার্ম লক সিস্টেম বাইকে থাকলে আপনার জন্য সুবিধা। এটি আপনাকে বাইক চুরি ঠেকাতে সর্তক করবে। সিকিউরিটি এলার্ম সর্বোচ্চ রেঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছায় এমন একটি বাইকে লাগানো উচিত হবে। জিপিএস ট্র্যাকার দিয়ে চুরি করা বাইকের সন্ধান করতে পারবেন খুব সহজেই। তবে ট্র্যাকার পছন্দ করবেন বেস্ট ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি দেখে যাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। 

সেন্সর সিস্টেম

সেন্সর সিস্টেম সেট করলে আপনার বাইকের নিরাপত্তা বেড়ে যাবে। এই সিস্টেম থাকলে চোর আপনার মোটরসাইকেল স্টার্ট করতে পারবে না। ফলে মোটরসাইকেল চুরি ঠেকানো সম্বভ হবে। 

প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান  

আপনার বাসায় মোটরসাইকেল যেখানে পার্ক করবেন সেখানে বাইকের নিরাপত্তার জন্য একটি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে পারেন। বাসার পার্কিং সিসি ক্যামেরা থাকার সুবিধা হলো আপনি যখন তখন বাইকের উপর নজর রাখতে পারবেন। বাইক চুরি ঠেকাতে এই উপায় কাজে লাগতে পারে। 

নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করা

বাইরে কোথাও যখন বাইক পার্কিং করবেন তখন অবশ্যই এমন একটা জায়গা বেঁছে নিবেন যেখানে আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা উপস্থিত রয়েছে। পরবর্তিতে বাইক চুরি হলেও চোরকে শনাক্ত করা যাবে। এছাড়া, সিসি ক্যামেরার আশেপাশে আপনার মোটরসাইকেল পার্ক করা থাকলে চোর কোনরকম চুরি করার সুবিধা করতে পারবে না। বেশিরভাগ এটিএম বুথের সামনে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো থাকে। তাই এটিএম বুথের আশেপাশে বাইক পার্কিং করা নিরাপদ। 

ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইস

সম্প্রতি মোটরসাইকেল চুরি হওয়া থেকে আরও নিরাপত্তা বাড়াতে এখন বাজারে এসেছে ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইস। এই ডিভাইসটি ট্যাসলক কার্বন এডিশনের চতুর্থ ভার্সন যার ৩৭টি ফিচারস রয়েছে। কোন চাবির সাহায্য ছাড়াই শুধু কার্বন এডিশনের রিমোট দিয়ে বাইক চালানো যাবে। ডিভাইসটির সাথে দুইটি রিমোট রয়েছে। একটি সেন্সর রিমোট অন্যটি ব্যাকআপ রিমোট। 

ডিভাইসে আধুনিক সিস্টেম যুক্ত রয়েছে যা ব্যবহার করে মোটরসাইকেলকে লক করা যাবে। চাবি দিয়ে লক করার তিন সেকেন্ড পর আপনার মোটরসাইকেল অটোমেটিক লক হয়ে যাবে। আবার রিমোট ব্যবহার করে অটোমেটিক লক খুলে যাবে। 

এই ডিভাইস ডিজিটালি প্রোটেক্টেড, তাই হ্যাক করা মোটেই সম্ভব নয়। সোজাসুজি ৩০০৫০০ মিটার দূর থেকেও এই ডিভাইসটি দিয়ে মোটরসাইকেল লক বা আনলক করা যাবে। এটি একটি সিকিউরিটি ডিভাইস হিসাবে চুরি ঠেকাতে বেশ কার্যকর। এই সিস্টেম আপনার বাইকে ইনস্টল থাকলে সুবিধা দিবে। বিশেষ করে ছিনতাইকারীর হাতে পড়লেও হারাবে না। বাইক যদি সন্দেহজনক কোন স্পর্শে আসে তখন এলার্ম বেজে ভাইব্রেশন হবে এবং আপনাকে সতর্ক করে দিবে। এমন একটি ডিজিটেল লক সকল বাইকারদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন আছে।

মোটরসাইকেল চুরি হলে করণীয়

আপনার বাইক কোন দুর্ঘটনায় হারিয়ে যেতে পারে কিংবা চুরি বা ছিনতাইও হতে পারে।  সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। হারানো মোটরসাইকেল ফিরে পেতে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়রি করতে হবে। মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমনক্রয়ের রশিদ, লাইসেন্স নম্বর,জাতীয় পরিচয়পত্র, বাইকের বাকি ডকুমেন্টস থানায় জমা দিতে হবে। 

অফিসার আপনার অভিযোগ গ্রহণ করে একটি জিডি নম্বর দিবে এবং মোটরসাইকেল উদ্ধারের কাজ শুরু করে দিবে। এছাড়াও, বাইকে আগের থেকে যদি জিপিএস ট্র্যাকার যুক্ত থাকে তাহলে  হারানো বাইকের খোঁজ করা সহজ হয়ে যাবে। শেষ কোন জায়গা থেকে বাইক চুরি হয়েছে বা হারিয়েছে সেখানে আশেপাশে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কিনা চেক করুন এবং সত্যটা যাচাই করুন। 

পরিশেষে

একজন চালক কতটা ভয়ে থাকে যখন তার মূল্যবান মোটরসাইকেলটি হটাৎ করে চুরি হয়ে যায়।  নতুন পুরাতন মোটরসাইকেল যেটাই ব্যবহার করেন না কেন, বাইক চুরি ঠেকাতে  সকল চালকদের সতর্ক হতে হবে। বর্তমানে বাইক চুরি ঠেকানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ আজকাল চোরেরা অনেক কৌশল জানে কিভাবে বাইক চুরি করতে হয়। সুতরাং ব্যাপারে একটু বেশি সচেতন থাকা সকলের প্রয়োজন।  

প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় মোটরসাইকেল চুরি, হারানো বা ছিনতাইয়ের কারণে। অন্যদিকে, হারানো মোটরসাইকেলটি কোন না কোন অবৈধ কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি, কিছু মোটরসাইকেল মালিকরা কোন ষড়যন্ত্রের শিকারও হচ্ছে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে। 

তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে মোটরসাইকেল হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে সরাসরি পুলিশকে জানাতে হবে। এছাড়াও, আপনি চিনেন না এমন কাউকে বাইকের চাবি দিবেন না। 

আপনার বাইকের চাবির ছাপ কেউ নিচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন। পরবর্তীতে সেই ছাপ থেকে ডুপ্লিকেট চাবি বানানো একটা চোরের জন্য বেশ সহজ হবে। 

আপনার বাইকের এক্সট্রা যেসব লক ব্যবহার করা হয় সেগুলোর চাবি কাউকে দিবেন না। বাইকের গোপন ইঞ্জিন লকের সুইচ কোথায় আছে তা কাউকে দেখাবেন না। বাইক চুরি ঠেকাতে অবশ্যই ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইস, সেন্সর সিস্টেম,জিপিএস ট্র্যাকার কিংবা সিকিউরিটি এলার্ম লক এসব ব্যবহার করা আপনার বাইকের জন্য উত্তম এবং নিরাপদ।  

সচরাচর জিজ্ঞাসা

১. কি করে বাইক চুরি ঠেকানো সম্ভব?

সকল বাইকারদের উচিত মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের মজবুত তালা ব্যবহার করা। এছাড়া আরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারেন যা সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনার প্রিয় বাইকের চুরি ঠেকাতে এই ব্লগে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

২. কম দামি লক কি ব্যাবহার করা উচিত?

-নিম্নমানের সস্তা তালা চাবি ব্যবহার করলে বিপদে পড়তেন পারেন,কারন এতে কোয়ালিটি কম থাকায় সহজেই ভেঙে ফেলা যায়।

৩. ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইস কি ব্যবহার করা নিরাপদ?

-ডিজিটাল লক সিকিউরিটি ডিভাইস ডিজিটালি প্রোটেক্টেড, তাই হ্যাক করা মোটেই সম্ভব নয়। সোজাসুজি ৩০০৫০০ মিটার দূর থেকেও এই ডিভাইসটি দিয়ে মোটরসাইকেল লক বা আনলক করা যাবে। এটি একটি সিকিউরিটি ডিভাইস হিসাবে চুরি ঠেকাতে বেশ কার্যকর।

৪. বাইক চুরি হয়ে গেলে কি করণীয় ?

– হারানো মোটরসাইকেল ফিরে পেতে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়রি করতে হবে। মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমনক্রয়ের রশিদ, লাইসেন্স নম্বর,জাতীয় পরিচয়পত্র, বাইকের বাকি ডকুমেন্টস থানায় জমা দিতে হবে। 

Similar Advices



1 comment

Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Buy New Bikesbikroy
ZNEN RX 150 2017 2019 for Sale

ZNEN RX 150 2017 2019

16,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 65,000
9 hours ago
Hero Splendor New 2022 for Sale

Hero Splendor New 2022

0 km
MEMBER
Tk 102,990
1 month ago
Honda Shine Tip top conditions 2023 for Sale

Honda Shine Tip top conditions 2023

15,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 128,000
19 hours ago
Suzuki Gixxer Fi Abs V4 2024 for Sale

Suzuki Gixxer Fi Abs V4 2024

1,900 km
verified MEMBER
verified
Tk 255,000
2 days ago
Bajaj Pulsar 150 . 2022 for Sale

Bajaj Pulsar 150 . 2022

11,739 km
verified MEMBER
Tk 132,500
3 days ago
Buy Used Bikesbikroy
Hero Thriller 2022 for Sale

Hero Thriller 2022

28,000 km
MEMBER
Tk 125,000
1 hour ago
TVS Apache RTR 4V 2020 for Sale

TVS Apache RTR 4V 2020

32,000 km
MEMBER
Tk 135,000
2 days ago
Bajaj Pulsar 150 2018 for Sale

Bajaj Pulsar 150 2018

33,000 km
MEMBER
Tk 130,000
1 week ago
Suzuki Gixxer Special Edition 2021 for Sale

Suzuki Gixxer Special Edition 2021

16,400 km
MEMBER
Tk 255,000
3 days ago
Yamaha FZS 2022 2021 for Sale

Yamaha FZS 2022 2021

23,800 km
MEMBER
Tk 195,000
1 day ago
+ Post an ad on Bikroy