হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানোর সঠিক নিয়ম

29 Mar, 2023   
হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানোর সঠিক নিয়ম

বাইকের মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলো বেশিরেভাগ ক্ষেত্রে হাইওয়েতেই ঘটে থাকে। অনেকেই শহুরে রাস্তায়, ট্রাফিকে কম গতিতে বাইক রাইডিং করে অভ্যস্ত হয়ে যান। হাইওয়েতে মোটরসাইকেল রাইডিং এর অভিজ্ঞতা না থাকায় কিংবা অসাবধানতায় অনেকসময় বেশ কিছু ভুল হয়ে যেতে পারে। যার পরিণাম এসব দূর্ঘটনা। ট্রাফিকের মাঝে কম স্পিডে চালিয়ে পরে খোলা রাস্তায় পরিস্থিতি না বুঝে স্পিডিং করে ফেলেন অনেকে, যা দুর্ঘটনায় রূপ নিতে পারে। তাই হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরী।

হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানোর সঠিক নিয়ম 

হাইওয়েতে বাইক রাইডিং নিরাপদ করার জন্য হাইওয়ে পুলিশ ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন । এগুলোতে বলা আছে যা তা হলঃ হেলমেট ব্যবহার করা, গতি নিয়ন্ত্রণ করা, ব্রীজে সাবধানে চালানো, ওভারটেকিং ও কর্‌নারিং সাবধানে করা, এবং স্পিড ব্রেকার দেখে চলা। এর সাথেও আনুসাঙ্গিক কিছু বিষয় রয়েছে যা অভিজ্ঞ বাইক রাইডাররা জেনে থাকেন। সে বিষয়গুলোও আপনাদের সামনে তুলে ধরা খুবই জরুরী। চলুন জেনে নেয়া যাক হাইওয়েতে মোটরসাইকেল রাইডিং এর নিয়মগুলোঃ

হাইওয়েতে রাইডিং এর সময় যেসকল বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

১) মানসিক প্রস্তুতি 

হাইওয়ে রোডে যাত্রা শুরুর আগে প্রথমেই যেটি মাথায় রাখা প্রয়োজন, শহুরে রাস্তায় বাইক রাইডিং এবং হাইওয়েতে মোটরসাইকেল রাইডিং দুটি সম্পুর্ণ ভিন্ন বিষয়। হাইওয়ে রাস্তার প্রস্তুতি নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে বাইক করতে হবে। 

২) বাইক সার্ভিসিং এবং টিউনিং 

হাইওয়ে রাস্তার মাঝে যেনো বাইকের কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা না দেয়, সেজন্য আগে থেকেই বাইকটি সার্ভিসিং বা টিউনিং করিয়ে রাস্তায় নামানো সবচেয়ে ভালো অপশন। নিজেই নিজের বাইক টিউনিং করিয়ে নিতে পারলে সবচেয়ে ভালো। সেটি না পারলেও কোনো ভালো সার্ভিসিং সেন্টারে বাইকটি একটু চেকাপ করিয়ে তারপরেই রাস্তায় নামুন।

৩) সেফটি গিয়ারস 

সাবধানে বাইক রাইডিং এর কোনোই বিকল্প নেই। কিন্তু তার আগে নিজের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে নেয়া অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই অবশ্যই ভালো মানের একটি হেলমেট ব্যবহার করুন। এছাড়া বডি আরমর বা বাইক রাইডিং জ্যাকেটও ব্যবহার করতে পারেন। এই এক্সেসরিগুলো দেখতেও বেশ চমৎকার হয়, আবার এক্সট্রা নিরাপত্তাও দেয়। হাত ও পায়ের গার্ড সাথে রাখাটা বেশ ভালো হবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেও আপনি সিরিয়াস ইঞ্জুরি থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন। ভালো মানের রাইডিং জুতা বা বুটস এবং হ্যান্ড গ্লাভস আপনাকে ভালো গ্রিপ দিবে। সবমিলিয়ে এসব বেসিক সেফটি গিয়ার সাথে থাকলে আপনি কনফিডেন্স পাবেন এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে হাইওয়েতে বাইক রাইড করতে পারবেন। তবে বাকিগুলো সম্ভব না হলেও হেলমেট অবশ্যই পরে হাইওয়েতে বাইক রাইড করবেন। হেলমেট ছাড়া বাইক রাইডিং করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ, এবং হাইওয়েতে হেলমেট ছাড়া রাইড করার তো প্রশ্নই আসে না। 

হাইওয়েতে হেলমেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু এক্সপার্ট অপিনিয়ন 

  • অনেকেই বলে থাকেন হেলমেট পরে থাকলে শ্বাস নিতে সমস্যা হয় বা হাইওয়েতে রোড সাইন ঠিকমতো দেখা যায় না। এটি আসলে অভ্যাসের বিষয়। খেয়াল রাখবেন আপনার হেলমেটের ফিটিং যেনো ঠিক থাকে, রাইডিং এর মাঝখানে সরে গিয়ে সমস্যা না করে। প্রথম প্রথম হাইওয়েতে অবশ্যই আস্তে ধীরে বাইক চালিয়ে অভ্যস্ত হবেন। অভ্যাস হয়ে গেলে হেলমেট পরা আপনার কাছে দৈনন্দিন কাজের মতো স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
  • হেলমেট পরা অবস্থায় চোখে মুখে বাতাসের ঝাপটা তেমন লাগে না। তাই বাইক হাই স্পিডে থাকলেও মনে হতে পারে বাইকের স্পিড অতোটা নেই এবং স্পিড অপ্রয়োজনে বাড়ানোর প্রবণতা জাগতে পারে। এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। 
  • হেলমেট পরিহিত অবস্থায় শব্দও কানে কম যায় তবে এতে বিচলিত হবার কিছুনেই। আশা করা যায় অন্যান্য বাইকের হর্নের সাউন্ড এবং নিজের বাইকের আওয়াজ আপনি রেগুলার বাইক রাইডিং করতে থাকলে ধীরে ধীরে সহজেই বুঝে উঠতে পারবেন।
  • হেলমেটের গ্লাস পরিষ্কার রাখুন। আপনার দৃষ্টিসীমায় যেন সমস্যা না হয়। 

৪) ব্রীজ পার হওয়ার সময়

ব্রীজ বা সেতু পার হওয়ার সময়ে বাইকে অতিরিক্ত চাপ এবং বাতাস অনুভূত হয়। এরকম জোর ঝাপটার কারণে বাইকের ভারসাম্য হারাতে পারে। অনেক গতিতে পাশ দিয়ে কোনো বড় গাড়ি বা বাস/ট্রাক চলে গেলে সেটির ঝাপটাও ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ব্রীজে লেইন ঠিক রাখুন, বড় বড় গাড়ির থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।

৫) রিয়ারভিউ মিরর

হাইওয়েতে চলার পথে পিছের যানবাহনের অবস্থা বুঝে বাইকের অবস্থান ঠিক রাখা খুবই জরুরী। তাই সবসময় লুকিং গ্লাসের ব্যবহার করুন। লুকিং গ্লাস খুলে ফেলা কিন্তু স্টাইলের কোনো বিষয় নয়। ট্রাফিক আইনেও লুকিং গ্লাস না লাগিয়ে ঘোরাফেরা করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হাইওয়েতেও তাই অবশ্যই লুকিং গ্লাসে খেয়াল রাখুন। তাহলে আপনি একজন সচেতন বাইকার হিসেবে হাইওয়েতে মোটরসাইকেল রাইডিং করতে পারবেন।

৬) ভিসিবিলিটি

হাইওয়েতে নিজেকে ভিসিবল রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রাতে বা মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া হলে সেটির গুরুত্ব আরও বেশি। আপনার অবশ্যই উচিত হবে লাইট কালারের ড্রেস পরে যে কোনো সময়ে বাইক চালানো। আপনি চাইলে রিফ্লেক্টিভ ভেস্টও পরতে পারেন। এতে সহজেই আপনাকে আশেপাশের বড় গাড়িগুলোও দেখে সাইড দিতে পারবে। 

৭) টার্‌নিং ও কর্‌নারিং

টার্‌নিং এবং কর্‌নারিং এর ক্ষেত্রে আলাদা সতর্কতা রাখাটা জরুরী। আশেপাশের বড় গাড়ি কিংবা বাস/ ট্রাক অনেকসময়ই বাইক রাইডারদের খেয়াল করেনা। তাই এসব গাড়ির থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে আপনার বাইক টার্‌নিং বা কর্‌নারিং করবেন। বাঁক নেওয়ার সময় বাইকের স্পিড কম রাখবেন। ব্লাইন্ড টার্‌নিং করতে গেলে ইন্ডিকেটর, পাস লাইট, এবং হর্ন অবশ্যই কাজে লাগাবেন। 

এছাড়া টার্‌নিং ও কর্‌নারিং এর তিনটি বিষয় আলাদাভাবে খেয়াল রাখুন 

১। টার্‌নিং নেওয়ার রাস্তাটি অমসৃণ বা ভাঙাচোরা আছে কিনা

২। কর্‌নারিং করার জন্য রাস্তার বাঁক যথেষ্ট চওড়া কি না

৩। রাস্তাটি কাদা মাখা বা পিচ্ছিল কিনা 

উপরের বিষয়গুলোর উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে কর্‌নারিং বা টার্‌নিং বিপজ্জনক হতে পারে। কাজেই এসবক্ষেত্রে আলাদাভাবে সাবধান থাকতে হবে এবং ধীরে সুস্থে আগাতে হবে।

৮) ওভারটেকিং 

হাইওয়েতে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা এই ওভারটেকিং এর কারণেই হয়ে থাকে। এর একটি বড় কারণ ইন্ডিকেটর, পাস লাইট, হর্ন সঠিকভাবে ব্যবহার না করা। তাই ওভারটেকিঙের প্রয়োজনে ইন্ডিকেটর, পাস লাইট, হর্ন ব্যবহার করুন এবং জোরপূর্বক অন্য যানবাহনের ফাঁকফোকর দিয়ে ওভারটেকিং পরিহার করুন। 

তবে ওভারটেকিং এর ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা থাকা। আপনার সামনে ও পিছনে দুই সাইডেই যদি দুটি দ্রুতগতির বড় বাস বা ট্রাক চলমান থাকে, খুবই স্বাভাবিক যে একটি বাস আপনাকে ওভারটেক করে সামনে যেতে চাইতে পারে। আর বাংলাদেশের হাইওয়েগুলো বেশিরভাগই এতোটা চওড়া নয় যে দুটো বাস ও একটি বাইক একই লেইনে চলবে। যেহেতু বড় বাস বা গাড়ি অনেকসময়ই বাইক দৃষ্টিসীমায় না থাকলে উদাসীন থাকে, সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা এড়াতে আপনি পিছের বড় গাড়িটিকে আগে যেতে দিন, অথবা স্পিড বাড়িয়ে এই দুই গাড়ির সামনে চলে যান। তাহলে আপনি নিরাপদে থাকলেন।

৯) ইন্ডিকেটর ব্যবহার 

আলাদাভাবে বলা উচিত, হাইওয়েতে রাইডিং এর সময় অবশ্যই ইন্ডিকেটরের সঠিক ব্যবহার করুন। তাহলেই আপনার টার্‌নিং এবং কর্‌নারিং আরও নিরাপদ হবে। ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে মোড় নিলে পিছের গাড়ি আপনার গতিবিধি বুঝে স্পিড স্লো করবে বা সাইড দিতে পারবে। তা না করলে কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে আপনার বাইকে ধাক্কা লাগতে পারে। তাই ইন্ডিকেটর ঠিকভাবে ব্যবহার করুন।

১০) স্পিডিং

 হাইওয়েতে অতি উত্তেজনায় যত ইচ্ছা স্পিড উঠিয়ে ফেলার মানসিকতা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রথমত মাথায় রাখতে হবে, হাইওয়ে কিন্তু রেস করার জায়গা নয়। তার পাশাপাশি অতিরিক্ত স্পিডে বাইক রাইডিং করলে টানেল ভিশনের কারণে আশেপাশের যানবাহন ঝাপসা দেখা যেতে পারে। তখনই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই হাইওয়ে রাস্তায় অবস্থা এবং প্রয়োজন বুঝে স্পিডিং করতে হবে। এটিই একজন পারফেক্ট বাইকারের লক্ষণ। 

১১) ব্রেকিং 

ব্রেক নেওয়ার সময়েও হাইওয়েতে আপনার স্পিড বুঝে ব্রেকিং করা উচিত। হুট করে ব্রেক করলে কিন্তু অ্যাক্সিডেন্ট হবার সম্ভাবনা বেশি। হয়তো আপনার মোটরবাইক ঠিকভাবে ব্রেক না নিয়ে ব্যালেন্স হারাবে, অথবা পিছের গাড়ি হুটহাট ব্রেক না বুঝতে পেরে ধাক্কা লাগিয়ে দেবে। ক্লাচ না চেপে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করাও এদিক থেকে ভালো।

১২) বৃষ্টিতে বা ভেজা রাস্তায় 

বৃষ্টি হলে বা রাস্তা ভেজা থাকলে কিন্তু রাস্তার পরিস্থিতি পুরোটাই পাল্‌টে যায়। টায়ারে ভালো গ্রিপ পাওয়া যায়না, ব্রেকে সমস্যা হয়, সর্বোপরি বাইকের কন্ট্রোলিং বদলে যায়। সাধারণ টায়ার ভেজা রাস্তায় বেশ কম গ্রিপ করে, তাই ব্রেক করলেও পিছলে যেতে পারে। আর আপনি যেহেতু বৃষ্টির মধ্যে বারবার বাইকের টায়ার চেঞ্জ করতে পারবেন না রেস ট্র্যাকের মতো, তাই অবশ্যই ভালো হয় ভেজা রাস্তায় বাইক না চালানো, বা চালালেও খুব ধীরে সুস্থে সাবধানে চালানো।

১৩) রাতে বাইক রাইড করার ক্ষেত্রে 

রাতে বাইক রাইড করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাইকের হেডলাইট অন রাখুন। গ্রুপে রাইড করার ক্ষেত্রেও হেডলাইট অন রাখা খুবই জরুরী। হেডলাইটের রিফ্লেক্টর ও সামনের কভার স্বচ্ছ ও পরিষ্কার আছে কিনা দেখে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। তা নাহলে হেডলাইট বাল্ব ভালো হলেও ভালোভাবে আলো পাওয়া যাবে না। অন্য রাইডার বা ড্রাইভাররা আপনাকে সহজে দেখতে না পারলে সেটা কিন্তু একটি সেফটি ইস্যু। আপনার সামনের ও পিছের বাইকের কাছে আপনি যাতে ইজিলি ডিটেক্টেবল হন, সেজন্যই কিন্তু অটো হেডলাইট অন এবং ডিআরএল সিস্টেম বাইকে ব্যবহার হচ্ছে। তাই হেডলাইট ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। সেই সাথে বাইকের ব্যাকলাইট ঠিক আছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 

১৪) স্পিড ব্রেকার 

হাইওয়ে রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মাঝে মাঝেই স্পিড বাম্প আসতে পারে। এগুলো খেয়াল না করে এগুলো দিয়েও স্পিডিং করে গেলে বাইকের ব্যালেন্স হারানো স্বাভাবিক। সাধারণত স্পিড ব্রেকারগুলোতে লম্বা সাদা রেখা টানা থাকে। তবে এগুলো না থাকলে বা কোনো কারণে ক্ষয়ে গেলে আর বাইক রাইডার দেখতে না পেলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। তাই আগের থেকেই দূরের স্পিড ব্রেকার খেয়াল রেখে সতর্ক হন এবং রেখা না থাকলেও হেডল্যাম্পের আলোয় ভালোভাবে খেয়াল রেখে স্পিড ব্রেকারে স্লো ডাউন করুন।

১৫) ঘুম নিয়ে/ উচ্চ শব্দে গান শুনে বাইক না চালানো 

হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চালানোর নিয়ম যা আছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্লান্তি নিয়ে বা ঘুম নিয়ে বাইক না চালানো। ঘুম না হওয়ার কারণে রাতের বেলা কিংবা দিনে কিংবা একটানা অনেকক্ষণ বাইক রাইডিং করার কারণে ক্লান্তি চলে আসতে পারে। এসময় বাইকের কন্ট্রোল হারালে দুর্ঘটনা ঠেকানো কঠিন হয়ে যায়।

আবার অনেকসময় দেখা যায় অনেকে ইয়ারফোনে জোরে জোরে গান শুনতে শুনতে রাইড করেন, যে কারণে হাইওয়েতে হর্ন বা আশেপাশের আওয়াজ শুনতে পান না। ইয়ারপড বা ইয়ারবাড এমনিতেই আপনার কানে বাইরের শব্দ পৌঁছাতে দেয় না। এমন অবস্থায় হর্ন বা সিগন্যাল শুনতে না পারলে সেটাও অনেক বিপজ্জনক হতে পারে।

পরিশেষে

সব মিলিয়ে একজন বাইক রাইডারের জন্য হাইওয়েতে মূল যে জিনিসগুলো দরকার, তা হল সতর্কতা, সাবধানতা, আর অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা আপনার ধীরে ধীরে চালাতে চালাতে এসে যাবে। কিন্তু তার আগে আপনার নিজের বাইকের অবস্থা, রাস্তার আশেপাশের অবস্থা, টার্‌নিং, ওভারটেকিং, স্পিডিং, ও ব্রেকিং করার টেকনিক, এগুলোর ব্যাপারে অবগত হতেই হবে। নাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কাজেই এ সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। ট্রাফিক আইনগুলো মেনে চলুন। আপনার হাইওয়ে যাত্রা ও বাইক রাইডিং শুভ হোক।

হাইওয়েতে বাইক রাইডিং নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা

১.মানসিক প্রস্তুতি হাইওয়েতে বাইক চালানোর ক্ষেত্রে কতটা জরুরি?

-হাইওয়ে রোডে যাত্রা শুরুর আগে প্রথমেই যেটি মাথায় রাখা প্রয়োজন, শহুরে রাস্তায় বাইক রাইডিং এবং হাইওয়েতে মোটরসাইকেল রাইডিং দুটি সম্পুর্ণ ভিন্ন বিষয়। হাইওয়ে রাস্তার প্রস্তুতি নিয়ে মাথা ঠান্ডা করে বাইক করতে হবে। 

২. বাইক সার্ভিসিং এবং টিউনিং হাইওয়ে তে রাইড করার আগে কতটা জরুরি?

-হাইওয়ে রাস্তার মাঝে যেনো বাইকের কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা না দেয়, সেজন্য আগে থেকেই বাইকটি সার্ভিসিং বা টিউনিং করিয়ে রাস্তায় নামানো সবচেয়ে ভালো অপশন। 

৩. সেফটি গিয়ারস ছাড়া কি হাইওয়েতে রাইড করা যাবে?

– সেফটি গিয়ারস ছাড়া হাইওয়েতে বাইক না রাইড করাটাই উত্তম। তাই নিজের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অবশ্যই যথাযথ সেফটি গিয়ারস পরেই রাইড করা উচিত। 

৪.রিয়ারভিউ মিরর হাইওয়ে রাইড করা জন্য কতটা জরুরি?

-হাইওয়েতে চলার পথে পিছের যানবাহনের অবস্থা বুঝে বাইকের অবস্থান ঠিক রাখা খুবই জরুরী। তাই সবসময় লুকিং গ্লাসের ব্যবহার করুন। লুকিং গ্লাস খুলে ফেলা কিন্তু স্টাইলের কোনো বিষয় নয়। 

৫.ওভারটেকিং করা সময় ইনডিকেটর কি ব্যাবহার করতে হবে?

-হাইওয়েতে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা এই ওভারটেকিং এর কারণেই হয়ে থাকে। এর একটি বড় কারণ ইন্ডিকেটর, পাস লাইট, হর্ন সঠিকভাবে ব্যবহার না করা। তাই ওভারটেকিঙের প্রয়োজনে ইন্ডিকেটর, পাস লাইট, হর্ন ব্যবহার করুন এবং জোরপূর্বক অন্য যানবাহনের ফাঁকফোকর দিয়ে ওভারটেকিং পরিহার করুন।

Similar Advices



3 comments

  1. যার সাইকোলজি যত স্ট্রং, সে তার কাজে ততই দক্ষ হবে। রাইডিং এর ক্ষেত্রেও তাই। সূর্যের আলোর বিপরীত দিকে যে কোন ড্রাইভ খুবই মজাদার। এক্ষেত্রে সান লাইটিং খুবই সহায়ক হয়। অনেক দূর পর্যন্ত আই ক্লিয়ারিং থাকে। ঠিক উল্টো হলে সাবধান হতে হবে। কারন এতে চোখের উপর আলো পড়ায় আই ক্লিয়ারিং কম থাকে। গাড়ীর ব্রেক কন্ট্রোলিং স্পেস এর উপরে অবশ্যই আস্থা থাকতে হবে।

  2. খুব সুন্দর তথ্য, খুব কাজে লাগবে সবারই, ধন্যবাদ

Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Buy New Bikesbikroy
Suzuki Gixxer brand new condition 2022 for Sale

Suzuki Gixxer brand new condition 2022

15,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 168,000
2 hours ago
Yamaha FZS v2 2017 for Sale

Yamaha FZS v2 2017

22,000 km
MEMBER
Tk 132,000
1 day ago
TVS Metro Plus একদম নতুন বাইক 2023 for Sale

TVS Metro Plus একদম নতুন বাইক 2023

6,125 km
verified MEMBER
verified
Tk 103,000
1 day ago
ATV QUad bike. 2023 for Sale

ATV QUad bike. 2023

0 km
verified MEMBER
Tk 330,000
2 days ago
ATV bike 2022 for Sale

ATV bike 2022

0 km
verified MEMBER
Tk 370,000
2 days ago
Buy Used Bikesbikroy
Jialing JH . 2010 for Sale

Jialing JH . 2010

60,000 km
MEMBER
Tk 16,500
8 minutes ago
Suzuki Gixxer SF DD 2018 for Sale

Suzuki Gixxer SF DD 2018

21,000 km
MEMBER
Tk 172,000
13 minutes ago
Hero CBZ Xtrem . 2009 for Sale

Hero CBZ Xtrem . 2009

40,000 km
MEMBER
Tk 45,000
16 minutes ago
Yamaha RX 1990 for Sale

Yamaha RX 1990

2,503 km
MEMBER
Tk 36,500
24 minutes ago
Dayun DY , 2009 for Sale

Dayun DY , 2009

22,000 km
MEMBER
Tk 25,500
25 minutes ago
+ Post an ad on Bikroy