বাইক পিলিয়ন নিয়ে রাইডিংঃ রাইডার ও পিলিয়ন হিসেবে যা কিছু করণীয়

29 Mar, 2023   
বাইক পিলিয়ন নিয়ে রাইডিংঃ রাইডার ও পিলিয়ন হিসেবে যা কিছু করণীয়

একজন রাইডারের দক্ষতার আসল পরীক্ষা তখনই আসে, যখন তাকে বাইক পিলিয়ন নিয়ে রাস্তায় চলতে হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশে ২০২২ সালে বাইকের দাম বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে দেশে যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেলের চাহিদা বৃদ্ধি। আমাদের দেশে বিগত কয়েক বছরে শুধু রাইড শেয়ারিং বা ডেলিভারি রাইডার হিসেবে কাজ করার জন্যই প্রচুর সংখ্যক মানুষ বাইক কিনেছেন।

বাইকস গাইডে আমাদের আজকের বিষয় পিলিয়ন অর্থাৎ সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং। এখানে আমরা দেখবো পিলিয়ন রাইডিং করার জন্য বেসিক কিছু নিয়ম, পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানোর সময় একজন রাইডার হিসেবে করণীয় এবং বাইক পিলিয়ন হিসেবে রাইড করার আগে আপনাকে যা কিছু জানতে হবে। 

পিলিয়ন রাইডিংঃ বেসিক নিয়মকানুন

পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানোর সময় একজন রাইডারের উপর দায়িত্ব থাকে সবচেয়ে বেশি। বাইক পিলিয়নের নিরাপত্তা ও স্বাছন্দ্যের দিকে শুরু থেকেই খেয়াল রাখতে হয় একজন রাইডারকে। পিলিয়ন রাইডিং-এর জন্য যেসব বেসিক নিয়মকানুন একজন রাইডারকে সব সময় মেনে চলতে হয়, তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • পরিপূর্ণ ও মেয়াদযুক্ত মোটরবাইক লাইসেন্স থাকতে হবে।
  • পিলিয়ন রাইডিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধাজনক সাপোর্ট, যেমন- পা রাখার জন্য ফুট-রেস্ট, সিটের সাথে গ্র্যাবিং রিং, যথাযথ মাপের এবং নিরাপদ সিট, ইত্যাদি থাকতে হবে।
  • বাইক পিলিয়নের জন্য মানসম্মত ও নিরাপদ হেলমেট বাধ্যতামূলক।
  • সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং-এর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে রাইডারের উপর থাকবে এবং পিলিয়নকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়াটা তাকেই নিশ্চিত করতে হবে।
  • বাইক পিলিয়নের কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই; যেকোনো বয়স ও লিঙ্গের পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানোর অনুমতি রয়েছে। কিন্তু একজন রাইডারকে লাইসেন্স ও অনুমোদন পেতে হলে অবশ্যই নির্ধারিত বয়সসীমার মধ্যে থাকতে হবে।

কীভাবে বাইক পিলিয়ন অর্থাৎ সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করবেন?

মোটরসাইকেলটি পিলিয়ন রাইডিং এর জন্য প্রস্তুত করা

বাইক পিলিয়ন অর্থাৎ সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করার জন্য আপনার মোটরবাইকটি উপযুক্ত কি না তা আগে চেক করে দেখতে হবে। যদি আপনার বাইকের লোড সীমা পর্যাপ্ত না থাকে এবং পিলিয়ন বহনের উপযুক্ত না থাকে, তাহলে নিচের কিছু জিনিস সামঞ্জস্য করিয়ে নিতে হবেঃ

  • পেছনের রিয়ার শক অ্যাবসর্বারের প্রি-লোডটি সমন্বয় করে নিতে হবে। ফলে বাইকটি কিছুটা অতিরিক্ত ওজন বহন করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। শকের সাথে যুক্ত একটি কগকে টাইট দেয়ার মাধ্যমে এই সহজ সমন্বয়টি করা যায়।
  • টায়ার প্রেশার সমন্বয় করা এবং পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। বাইক পিলিয়ন বহন করার জন্য টায়ার প্রেশার বাড়ানোর অথবা ক্ষেত্রবিশেষে কমানোর প্রয়োজন হতে পারে। প্রত্যেকটি বাইকের গঠন ভিন্ন, তাই ম্যানুয়াল অনুসরণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
  • পিছনে বাড়তি ওজন যোগ হওয়ায় বাইক পিছনের দিকে কিছুটা নিচু হয়ে যায়। ফলে পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানোর আগে শুরুতেই আপনার বাইকের আয়নাগুলো সমন্বয় করে নিতে হবে।
  • পিলিয়নকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার পর মনে করে বাইক পিলিয়নের পা-দানীটি গুটিয়ে রাখতে হবে।

বাইক পিলিয়নের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা

আপনি যদি নতুন রাইডার হন, তাহলে ধরে নিন আপনার পিলিয়নও পেছনে বসে রাইডিং করায় অনভিজ্ঞ। পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানোর জন্য তার সাথে যোগাযোগের ব্যাপারে নিচের কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ করে নিলে রাইডার ও পিলিয়ন উভয়ই নিশ্চিন্তে রাইড করতে পারেঃ

  • বাইকে চড়া এবং নামার পদ্ধতি
  • কর্ণারিং-এর সময় করণীয়
  • ব্রেকিং-এর সময় করণীয়
  • ট্র্যাফিক সাইন অথবা জাংশনে থামলে কী করতে হবে
  • চলমান অবস্থায় রাইডারের সাথে কীভাবে যোগাযোগ রাহতে হবে সেটাও আলোচনা করে নিতে হবে। অনেকে ইশারায় কিংবা সংকেতের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখেন, আবার অনেকে ব্লুটুথ হেডফোন ও স্পিকার ব্যবহার করে একে অপরের সাথে কথা বলেন।

রাইডিং পোশাক ও হেলমেট

রাইডার হিসেবে আপনাকে যেমন পরিপূর্ণ নিরাপত্তা গিয়ার এবং হেলমেট পরে থাকতে হবে, তেমনি আপনার বাইক পিলিয়নের জন্যও একই ব্যবস্থা রাখা জরুরি। ভালো হেলমেট, হাতের গ্লাভস ইত্যাদি থাকার পাশাপাশি পিলিয়ন যেন জিন্স এবং রাইডিং জ্যাকেট, অথবা সমমানের কোনো সুরক্ষামূলক পোশাক পরে আসেন সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

পিলিয়ন রাইডিং-এর ধরণ

পিলিয়ন নিয়ে রাইড করার সময় আপনাকে আপনার রাইডিং স্টাইলে একটু হলেও পরিবর্তন আনতে হবে। কর্ণারিং বা যেকোন ধরণের স্পিড স্টান্ট পিলিয়ন নিয়ে না করাই ভালো। সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করার সময় যতটা সম্ভব মসৃণভাবে বাইক চালানো উচিত।

তাছাড়া পিছনে বাড়তি ওজন যোগ হওয়ায় বাইকের ব্যালেন্স ও পারফরম্যান্সে বেশ পরিবর্তন আসে, যেটা স্মার্টভাবে সামাল দেয়া একজন ভালো রাইডারের বৈশিষ্ট্য। যাত্রাপথ ও গন্তব্য নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করতে পারলে অযাচিত ব্রেকিং ও গিয়ার পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। বাইক পিলিয়ন যেহেতু রাস্তা পুরোটা দেখতে পারবে না, সেজন্য আপনার কোনো আচমকা পদক্ষেপ যেন তাকে চমকে না দেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। নিচের বিষয়গুলো ভালোভাবে খেয়াল রাখা জরুরিঃ

গিয়ার পরিবর্তন

পিলিয়ন রাইডিং নিয়ে যদি আগে কখনো অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে দুইজনের হেলমেট ঠোকাঠুকি হওয়ার ঘটনা নিশ্চয়ই আপনি আগেও দেখেছেন। মূলত গিয়ার পরিবর্তনের সময় আচমকা স্পিড কমে যাওয়ায় বা ঝাঁকি খাওয়ায় বাইক পিলিয়নের হেলমেট আর রাইডারে হেলমেটের মধ্যে ধাক্কা লাগে।

এই পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য মসৃণভাবে গিয়ার পরিবর্তন করতে শিখা উচিত। গতি না হারিয়ে দ্রুতগতিতে গিয়ার বদল করলেও এই সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করার আগে একা একা এই জিনিসগুলো চর্চা করে নেয়া ভালো।

গতিবেগ বৃদ্ধি

যেকোনো জাংশনে থামা অথবা ওভারটেকিং-এর সময় আপনার মোটরসাইকেল বাড়তি ওজনের জন্য বেশ ধীরে ধীরে গতি বৃদ্ধি করে। আর তাই ট্র্যাফিকের মধ্যে পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানো সময় বেশি করে জায়গা খালি রাখার চেষ্টা করুন।

এই সমস্যা কাটানোর চিন্তায় অতিরিক্ত জোর গতিতে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না যেন, হিতে বিপরীত হয়ে উলটো বাইক অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরন শুরু করে। মসৃণ এবং পরিকল্পিত উপায়ে গতি বৃদ্ধি করতে শিখলে আপনার সাথীর জন্য বাইক রাইডিং বেশ আনন্দায়ক হয়ে উঠবে।

ব্রেকিং

ব্রেকিং-এর কার্যকারিতা আপনার বাইক পিলিয়নের ওজন বাড়ার সাথে কমতে থাকে, তাই থামার ক্ষেত্রে চোখে দেখে থামার দুরত্ব আরেকটু বাড়িয়ে চলা উচিত। পিলিয়ন রাইডিং-এর ক্ষেত্রে সময়ের একটু আগে ব্রেক কষুন এবং যথাসম্ভব ইঞ্জিনের ব্রেক ব্যবহার করুন।

তাছাড়া পিলিয়নের অতিরিক্ত ওজন আপনার পেছনের ব্রেকের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। তাই সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করার সময় এটাও স্বাভাবিকের একটু বেশি ব্যবহার করতে পারেন।

বাইক স্টিয়ারিং

পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানোর সময় স্টিয়ারিং করা কিছুটা ভারী ও কষ্টকর মনে হতে পারে। এমতাবস্থায় আচমকা দিক পরিবর্তন যেন না করতে হয়, সেজন্য রাস্তার দিকে ভালোভাবে নজর দিয়ে পিলিয়ন রাইডিং করতে পারেন।

অল্প গতিতে সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করার ক্ষেত্রে ফিল্টারিং করতেও কিছুটা কষ্ট হবে, তাই যথেষ্ট পরিমান জায়গা খালি রেখে চলার চেষ্টা করুন।

কীভাবে একজন ভাল বাইক পিলিয়ন হবেন?

পুরোপুরি আস্থা রেখে চলতে পারবেন এমন রাইডারের সাথেই পিলিয়ন রাইডিং করতে পারেন। যাত্রা শুরু করার আগেই রাইডারের সাথে সংকেত ও ইশারায় যোগাযোগের ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করে নিন। বাইক পিলিয়ন হিসেবে আপনি যদি আগে থেকেই রাইডারের সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যমগুলো নিশ্চিতকরে নেন, তাহলে পিলিয়ন রাইডিং করতে অনেকটাই আত্মবিশাস পাবেন। নিচে একজন পিলিয়ন হিসেবে আপনার করণীয় কাজগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করছিঃ

সঠিক উপায়ে মোটরসাইকেলে আরোহন করা

পিলিয়ন রাইডিং-এর অন্যতম জরুরি একটা ধাপ হচ্ছে বাইকে ওঠার আগে রাইডারকে একটা সংকেত দেয়া বা জানানো। বাইক পিলিয়নের না জানিয়ে তাড়াহুড়ো করে উঠে যাওয়ার ফলে প্রায়ই অনেক রাইডার রাস্তার মধ্যে ব্যালেন্স হারিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।

প্রথমে রাইডারকে বাইকে চড়তে দিন, এবং সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করার জন্য চালককে প্রস্তুত হওয়ার সময় দিন। বাইক ভালোভাবে ধরে দাঁড় করিয়ে রাইডার যখন আপনাকে সিগন্যাল দিবেন, তখন আপনি পিলিয়ন হিসেবে সেই বাইকে উঠতে পারবেন।

বাম দিক থেকে ওঠা একটি ভালো পিলিয়ন রাইডিং অভ্যাস। পা-দানীর উপর ভর দিয়ে না উঠে চেষ্টা করুন আগে ডান পা উঠিয়ে বাইকে চড়ে বসতে।

পিলিয়ন রাইডিং-এর সময় কী ধরবো?

বাইক পিলিয়ন হিসেবে রাইডিং করার সময় কীসের সাথে ধরে নিজেকে রক্ষা করবেন, সেই অপশনগুলো নিচে উল্লেখ করছিঃ

  • গ্র্যাবিং রিং

পিলিয়ন রাইডিং করার সময় সিটে বসে ভালোভাবে পেছনের গ্র্যাবিং রিং ধরে রাখুন।

  • রাইডারের শরীর

রাইডারের কোমরের আশে পাশে আলোভাবে ধরে রেখে উঠুন। রাইডারের শরীরের সাথে বাইক পিলিয়নও একই তালে চললে, রাইড অনেক স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়ে ওঠে। কেউ কেউ গ্র্যাবিং রিং এবং রাইডারের বেল্ট, দুটোই ধরে রাইডিং করেন। আসল কথা হচ্ছে পিলিয়নের নিশ্চিন্ত থাকা, তাই দু’টো পদ্ধতিই নিজ নিজ প্রয়োজন বুঝে ব্যবহার করা উচিত।

পিলিয়ন রাইডিং-এর সময় কর্ণারিং

আপনি যদি একজন নতুন পিলিয়ন হন, তাহলে সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং করার সময় রাইডার কর্ণারিং করলে আপনার কাছে একটু অদ্ভুত লাগতে পারে। কর্ণারগুলোতে বাঁক নেয়ার সময় মোটরবাইক বাঁকের দিকে একটু কাঁত হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই বাইক পিলিয়ন হিসেবে চেষ্টা করুন রাইডারের সাথে ব্যালেন্স করে চলতে। কর্ণারিং করার সময় আচমকা আপনার পজিশন বদলাবেন না; রাইডারকে না জানিয়ে কোন অপরিকল্পিত নড়াচড়া করা ঠিক না।

ব্রেকিং এবং গতি বৃদ্ধি

বাইক পিলিয়ন হিসেবে মোটরসাইকেল ব্রেকিং কিংবা গতি বৃদ্ধি করার সময় কিছুটা সামনে ঝুঁকে এসে তার হেলমেট রাইডারের হেলমেটের সাথে ধাক্কা লাগতে পারে। এইটা ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন জাংশনে বা গোলচত্ত্বরের কাছে এসে গ্র্যাবিং রিং ধরে নিজেকে সামলে নেয়া যায়; অথবা রাইডারিকে ধরা থাকলে সামনের জ্বালানী ট্যাংকে হাত রেখেও এটা করা যায়। 

পিলিয়ন রাইডিং-এ গতিবৃদ্ধির সময় উলটো দিকে বল প্রয়োগ হওয়ায় বাইক পিলিয়ন পিছনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এখানেও আগে থেকে রাইডারের সাথে যোগাযোগ করা থাকলে গ্র্যাবিং রিং অথবা রাইডারকে ধরে কিছুটা সামনে ঝুঁকে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়।

অল্প গতিতে পিলিয়ন রাইডিং-এর সময়

সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং-এর সময় একজন বাইক পিলিয়নের অতিরিক্ত ওজন যোগ হওয়ার কারণে অল্প গতিতে মোটরবাইকটি নিয়ন্ত্রণ করা এবং ব্যালেন্স রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পিলিয়ন রাইডিং-এর এই পরিস্থিতিতে আপনার করণীয় হচ্ছে শুধু স্থির ও শান্ত হয়ে বসে থাকা, অযথা নড়াচড়া করবেন না।

পিলিয়ন রাইডিং-এ বিরতির সময়

বিভিন্ন জাংশন কিংবা গোলচত্ত্বরের মুখে এসে রাইডার অল্প সময়ের জন্য বাইক থামালে দয়া করে আপনার পা মাটিতে নামাবেন না। এখানে রাইডার নিজেই বাইক ব্যালেন্স করে নিয়ন্ত্রণ করবেন। কোনও রকম সংকেত ছাড়া বাইক পিলিয়ন কোনো অবস্থাতেই পা নিচে নামাবেন না।

বাইক থেকে অবতরণ করা

রাইডিং থামিয়ে আপনার নামার প্রয়োজন হলে আগে রাইডারের সাথে এটা নিয়ে পরামর্শ করুন, অথবা তার সিগন্যালের অপেক্ষা করুন। এতে করে হঠাৎ ওজনের তারতম্য হওয়ায় বাইক পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচানো যায়, এবং বাইক পিলিয়ন ও রাইডারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় না। 

শেষকথা

পিলিয়ন নিয়ে বাইক চালানো একজন রাইডার ও বাইক পিলিয়ন উভয়ের জন্যই বেশ আনন্দের একটি অভিজ্ঞত হতে পারে। একজন রাইডারের দায়িত্ব থাকে তার পিলিয়নের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু এতে মন খারাপের কিছু নেই। সঠিক সুরক্ষা সামগ্রী, মসৃণ রাইড এবং পিলিয়নের সাথে বন্ধুর মত মিলে কাজ করলে একা বাইক চালানোর মতই সহযাত্রী নিয়ে রাইডিং-ও আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। নিরাপদ হোক আপনার পরবর্তী পিলিয়ন রাইডিং!

Similar Advices



6 comments

  1. আমি রাইডিং করতে চাই,আমার নতুন মোটরসাইকেল রানার বুলেট ১০০ গাড়ি

Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Buy New Bikesbikroy
Suzuki GSX R DD Fi Abs 2024 for Sale

Suzuki GSX R DD Fi Abs 2024

3,900 km
verified MEMBER
verified
Tk 415,000
14 hours ago
Yamaha R15 V3 DD Fi Abs 2024 for Sale

Yamaha R15 V3 DD Fi Abs 2024

4,200 km
verified MEMBER
verified
Tk 450,000
14 hours ago
Bajaj Pulsar 150 2024 for Sale

Bajaj Pulsar 150 2024

15,000 km
MEMBER
Tk 160,000
14 hours ago
ATV Quad Bike 2024 for Sale

ATV Quad Bike 2024

0 km
verified MEMBER
Tk 330,000
2 days ago
Ebike 2024 for Sale

Ebike 2024

0 km
verified MEMBER
Tk 120,000
4 days ago
Buy Used Bikesbikroy
Hero Ignitor fresh 2020 for Sale

Hero Ignitor fresh 2020

23,000 km
verified MEMBER
verified
Tk 85,000
2 minutes ago
TVS Apache RTR 2V DD ABS Ontest 2023 for Sale

TVS Apache RTR 2V DD ABS Ontest 2023

10,080 km
verified MEMBER
verified
Tk 155,000
11 minutes ago
Dayun Sprout 100cc 2012 for Sale

Dayun Sprout 100cc 2012

0 km
MEMBER
Tk 14,000
18 minutes ago
Bajaj Pulsar 150 . 2013 for Sale

Bajaj Pulsar 150 . 2013

46,000 km
MEMBER
Tk 65,000
35 minutes ago
+ Post an ad on Bikroy