ইয়ামাহা R15 V3 ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল ১৩০০+ কিমি রিভিউ – মোঃ নাজমুল

29 Mar, 2023   
ইয়ামাহা R15 V3 ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল ১৩০০+ কিমি রিভিউ – মোঃ নাজমুল

আমাদের দেশে অ্যাগ্রেসিভ স্টাইলের বাইকারদের জন্য স্পোর্টি ডিজাইন, অধিক মাইলেজ, দুর্দান্ত স্পিড, আর মসৃণ কর্ণারিং করতে পারাটা খুবই জরুরি; আর এই সবকিছু একসাথে যদি কোনো মোটরবাইকে একসাথে পাওয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই! আমি মোঃ নাজমুল, একজন বাইক প্রেমী এবং অ্যাগ্রেসিভ বাইকার। আমার জীবনের ২০ তম বাইক নিয়ে আজ কথা বলবো, যার নাম সবার প্রিয়, ইয়ামাহা R15 V3।

সঙ্গত কারণেই বর্তমানে প্রো বাইকারদের মনে এই R15 V3 মোটরসাইকেলটি বিশেষ একটা জায়গা দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশে R15 এর দাম অত্যন্ত ব্যয়বহুল। স্বপ্নের মত স্পিড, আর দুর্দান্ত স্টাইলিশ এই মোটরবাইকটি গত ২.৫ মাসে আমার মনেও বিশেষ একটি জায়গা করে নিয়েছে। তবে সেজন্য একে শতভাগ পারফেক্ট বাইক বলাটাও ভুল হবে। ১৩০০ কিলোমিটারের বেশি চালানোর পর আমার ব্যক্তিগত কিছু পর্যবেক্ষণ ও বিস্তারিতভাবে ইন্ডিয়ান R15 রিভিউ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।

R15 V3 মোটরবাইকে আমি যা কিছু ভালো পেয়েছি

১। আউটলুক

R15 V3 মোটরসাইকেলটির প্রথম ভালো দিক হচ্ছে এর আউটলুক। যেকোনো পাশ থেকেই দেখুন না কেন, দারুণ স্পোর্টি লুকের এই বাইকটি সকলেরই নজর কাড়বে। বিভিন্ন যায়গায় আমি আমার R15 মোটরসাইকেলটি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছি, বন্ধুমহলেও এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছি।

২। ইঞ্জিন

ইয়ামাহা R15 V3 BS6 ভার্সনের এই বাইকটিতে দেয়া হয়েছে অসামান্য শক্তিশালী একটি ইঞ্জিন। ১৫০ সিসির এই জনপ্রিয় মোটরসাইকেলটি ১৯ বিএইচপি (ব্রেক হর্স পাওয়ার) পর্যন্ত শক্তি দিতে সক্ষম। সারা বাংলাদেশে বর্তমানে এত শক্তিশালী ইঞ্জিন আর এত বেশি বিএইচপি সহ আর একটিও ১৫০ সিসির বাইক আছে কি না সন্দেহ!

৩। কুলিং সিস্টেম

অনেক বেশি হর্সপাওয়ারের এই শক্তিশালী বাইকটি যখন বেশি আরপিএম-এ চালানো হয়, তখন ইঞ্জিন কিছুটা গরম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। আর এই সমস্যাটি দ্রুত ও সুন্দরভাবে সমাধান করার জন্য R15 V3 বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে দারুণ একটি লিকুইড কুলিং সিস্টেম। বাইকটি গরম হওয়া শুরু হলেই রেডিয়েটর ফ্যান চালু হয়ে যায়, এবং লিকুইড কুলিং সিস্টেমের ওয়াটার জ্যাকেটের মাধ্যমে এটি খুব দ্রুত ঠান্ডাও হয়ে যায়। ইঞ্জিন ঠান্ডা থাকার মানে হচ্ছে বাইকটির পারফর্মেন্স ভালো থাকা। আর তাই নিঃসন্দেহে এটি প্রশংসনীয় একটি ফিচার।

৪। ভিভিএ প্রযুক্তি

ইয়ামাহা R15 V3 মোটরসাইকেলটির আরও একটি চমকপ্রদ দিক হচ্ছে এতে ব্যবহার হওয়া ভিভিএ অর্থাৎ ভ্যারিয়েবল ভালভ অ্যাকচুয়েশন প্রযুক্তি। ইঞ্জিনের ভালভ ট্রেইনে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বাইকটি যখন ৭০০০ আরপিএম স্পিডে চালানোর চেষ্টা করি, তখন ইঞ্জিনের চাহিদা অনুযায়ী আরও বেশি শক্তি সরবরাহ করার জন্য জ্বালানীর সাথে বাতাস মিশ্রণের এই বিশেষ প্রযুক্তি অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। এই ভিভিএ প্রযুক্তিটি বাইকের আরপিএম ৭০০০-এ ওঠা মাত্রই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। ফলে আমার R15 মোটরসাইকেলটির শক্তিতে কখনও কোনরকম ঘাটতি হয় না।

৫। স্লিপার ক্লাচ

অনেক বেশি স্পিডে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনে বা ভুলবশত গিয়ার পরিবর্তন করে ফেললে মোটরবাইকের স্পিড হুট করেই অনেক কমে যায় এবং ব্রেকিং গিয়ারে ধাক্কা লাগে। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য ইয়ামাহা R15 মোটরসাইকেলে রয়েছে স্লিপার ক্লাচ; যা হুট করে আপনার বাইকের গিয়ার পরিবর্তন বা স্পিড কমানোর ধাক্কা থেকে ব্রেককে সুরক্ষা দেয়, আস্তে আস্তে স্পিড কমাতে সাহায্য করে এবং মসৃণভাবে গিয়ার সমন্বয় করে। ট্র্যাক রেসিং-এর জন্য বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা ইয়ামাহা R15 V3 BS6 ভার্সনের মোটরবাইকটিতে এই প্রিমিয়াম ফিচার থাকায় চালিয়ে সেইরকম আনন্দ পাচ্ছি।

৬। ইউএসডি সাসপেনশন

আপ-সাইড ডাউন বা ইউএসডি সাসপেনশন মূলত দামী বাইকগুলোর অন্যতম দারুন এক ফিচার। মসৃণভাবে কর্ণারিং করার জন্য এই ইউএসডি সাসপেনশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই ফিচারটিও আমি পেয়েছি আমার R15 মোটরসাইকেলে। আর তাই আমার আত্মবিশ্বাস আর বাইকের ব্যালেন্স দু’টোই থাকে আমার নিয়ন্ত্রণে।

৭। স্মার্ট ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম

ফুয়েল ইনজেকশন বা এফআই সিস্টেম যেকোন দামী বাইকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। R15 V3 বাইকটিতে ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম হিসেবে রয়েছে এমন একটি বিচক্ষণ স্মার্ট সেন্সর, যেটি নিজে থেকেই স্পিডের চাহিদা বুঝে সচেতন ভাবে বাইকে জ্বালানী ও বাতাসের পরিমিত মিশ্রণ কম্বাস্টন চেম্বারে পাঠাতে পারে। ফলে আমি পেয়েছি সবচেয়ে ভালো পারফর্মেন্স এবং সেরা মাইলেজ।

৮। ডিজিটাল মিটার

একটা বাইকের ডিজিটাল মিটারে যা কিছু থাকা প্রয়োজন, তার সবই আমি পেয়েছি ইয়ামাহা R15 V3 বাইকটিতে। সত্যি বলতে আজ পর্যন্ত যত বাইক ব্যবহার করেছি, সবচেয়ে সুন্দর এবং উপযুক্ত মিটার এই R15 মোটরসাইকেলেই পেয়েছি। মোট ১৮টি ফাংশনের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে পছন্দের ফিচারগুলো হচ্ছেঃ

  • অভ্যর্থনা বার্তা হিসেবে আমার নাম বা পছন্দমত যেকোনো কথা সেট করার অপশন।
  • ৭০০০ আরপিএম-এ ভিভিএ সক্রিয় হওয়ার সাথে সাথেই মিটারে সেটা দেখা যায়।
  • গিয়ার পজিশন ইনডিকেটর, নিউট্রাল অবস্থাইয় একটি ড্যাশ দেখায়।
  • তাৎক্ষণিক জ্বালানী খরচের হিসাব দেখা যায়।
  • আমার প্রতিটা রাইডের গড় স্পিড দেখতে পারি।
  • গড়ে কতটা জ্বালানী খরচ হচ্ছে সেটাও দেখা যায়।
  • উপরে সাদা একটি লাইট ফ্ল্যাশ করে আমাকে গিয়ার পরিবর্তনের জন্য ইঙ্গিত দেয়। এটা কাস্টমাইজ করা যায়।

এছাড়াও ওডোমিটার, স্পিডোমিটার, ট্রিপ ১, ট্রিপ ২, ফুয়েল গেইজ, ঘড়ি ইত্যাদি গড়পড়তা জিনিস তো আছেই!

৯। মাইলেজ

আমার কাছে R15 V3 মোটরবাইকটির সবচেয়ে ভালো দিক মনে হয়েছে এর মাইলেজ। এখন পর্যন্ত বাইকটির তেমন কোন সার্ভিসিং করাই নি, কিন্তু ইতোমধ্যেই এই বাইকটি আমাকে শহরের রাস্তায় ৪১ কিমি প্রতি লিটার মাইলেজ দিচ্ছে। একদিকে ১৯ বিএইচপি শক্তির দুর্দান্ত হাই স্পিড, অন্যদিকে মাইলেজও দেশের বেশিরভাগ বাইকের তুলনায় অনেক বেশি পেয়েছি। হাইওয়েতে এটা দিয়ে ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার পর্যন্ত মাইলেজ তোলা সম্ভব।

১০। পেছনের চাকার গঠন

ইয়ামাহা R15 V3 BS6 ভার্সনের পেছনের চাকা নিয়ে আমার ভালো ও খারাপ দুই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে চাকাটির গঠন ও আকৃতি। ১৪০ মিলিমিটার সেকশনের এই চাকাটি গোল আকৃতির, চ্যাপ্টা নয়। ফলে কর্ণারিং করার ক্ষেত্রে এই চাকা চমৎকার সাপোর্ট দিতে পারে, অনেক বাঁকা মোড় ঘুরতে গেলেও আমার বাইকটি অনেকখানি কাত করে সুন্দরভাবে কর্ণারিং করতে পারি। ফলে স্পোর্টি অনুভবটা আরও জমজমাট হয়ে ওঠে।

R15 V3 মোটরবাইকে আমি যেসব সমস্যা দেখেছি

এইবার আসি বাইকটির অল্প কিছু সমস্যার কথায়। বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ও দামী ইয়ামাহা R15 V3 বাইকটি চালানোর সময় যেসব সমস্যা আমার চোখে পড়েছে সেগুলো তুলে ধরছিঃ

১। দাম

এই বাইকটির সবচেয়ে বড় সমস্যা আমার কাছে মনে হয়েছে এর দাম। যখন বাংলাদেশে ইয়ামাহা R15 V3 মোটরসাইকেলটি প্রথমবারের মত লঞ্চ হয়, তখন এর দাম ছিল আকাশচুম্বী আর অবাস্তব। ইন্ডিয়ায় এই বাইকের দাম যখন ছিল ১,৮০,০০০ টাকা, তখন বাংলাদেশে R15 বাইকের দাম আশ্চর্যজনকভাবে ধরা হয়েছিল ৫,৩০,০০০ টাকা! এত বেশি দাম হওয়ায় এই বাইক অনেকদিন পর্যন্ত আমার মত অনেক বাইকপ্রেমীদের কাছে শুধু স্বপ্নের মত ছিল। আর এই দামের কারণেই বাইকটি কিনতে আমাকে প্রায় ১ বছরের মত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমি আমার R15 V3 বাইকটির এবিএস সহ ইন্ডিয়ান ভার্সন কিনেছি ৪,৮৫,০০০ টাকায়।

২। এবিএস

যখন এই বাইকটি প্রথম বাংলাদেশে আসে, তখন যত মানুষকে এই বাইকটি কিনতে দেখেছি, তাদের সবারই কমবেশি অভিযোগ ছিল মোটরসাইকেলটিতে এবিএস নেই। এটাও একটা বড় কারণ যেজন্য বাইকটি কিনতে আমি ১ বছর অপেক্ষা করেছি। এবিএস সহ ইন্ডিয়ান ভার্সনের দাম যখন একটু কমে আসলো, তখনই তা কিনার আগ্রহ বা সাহস আমি করেছি।

৩। সিট ও বসার পজিশন

R15 মোটরসাইকেলটির অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে এতে সিটগুলো খুব একটা সুবিধার না। পিলিয়ন সিটটি বসার জন্য খুবই অস্বস্তিকর, আবার পেছনে গ্র্যাবিং রিং বা হ্যান্ডেলও নেই। এত দামী একটা মোটরসাইকেল কেনার পর পেছনে কাউকে বসাতে না পারলে আসলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। ইয়ামাহা R15 V3 বাইকটি নিয়ে লং ট্যুর দেয়া বেশ কষ্টকর, আর পেছনে কাউকে নিয়ে তো অসম্ভব।

লং ট্যুর দিতে সমস্যা কোথায় সেটা আমি বাইকের সিটে বসার পরই বুঝতে পেরেছি। R15 মোটরসাইকেলের সিট এবং সামনের ট্যাংক ও হ্যান্ডেলবার এমনভাবে ডিজাইন করা, যে এতে বসে ছবি তোলা বা স্টান্ট করার সময় বেশ আকর্ষণীয় দেখায়, পুরাই স্পোর্টি আর অ্যাগ্রেসিভ লুক পেয়েছি। কিন্তু শরীরের সমস্ত ভর হ্যান্ডেলবার ও আমার কবজিতে এসে পড়ায় আধা ঘন্টা চালানোর পরই হাত ব্যথা করতে শুরু করে। হাইওয়েতে মনের মত স্পিড তুলে বাইক চালানোর সময় পেছনের কেউ থাকলে, সেও ঝুঁকে আমার উপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। এইসব অস্বস্তির সাথে অভ্যস্ত হতে আমার বেশ কিছুদিন সময় লেগেছে। তবে আজ পর্যন্ত এই বাইক নিয়ে লং ট্যুর দিতে গেলে কীভাবে হাত আর কোমরের ব্যথা সামলাবো, এই চিন্তাতেই বেশি কাতর হয়েছি।

৪। পেছনের চাকা উন্মুক্ত

R15 V3 মোটরসাইকেলটির পেছনের চাকার গঠন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ উন্মুক্ত, এতে ভালো কোন মাডগার্ড দেয়া হয়নি। ফলে বৃষ্টিতে বাইক চালানোর সময় পেছনের চাকায় অনেক কাদা ও ময়লা জমে, একই সাথে চাকার সামনে থাকা বাইকের বডিও অনেক নোংরা হয়ে যায়। এইরকম পরিস্থিতিতে আমাকে প্রায় প্রতি রাইডের পরই বাইক পরিষ্কার করতে অনেক সময় নষ্ট হয়। এত দামি বাইক কেনার পরও কাস্টমাইজ করতে হলে এটা অনেকের জন্যই কষ্টসাধ্য।

৫। হর্ণ

এই সমস্যাটি হয়তো সাধারণ কেউ শুনলে হাসবেন, সেজন্য এটাকে সবার শেষে রেখেছি। কিন্তু, ইয়ামাহা R15 V3 BS6 ভার্সনের দারুন সুন্দর ও দামী এই বাইকটির হর্ণ বেশ সস্তা লেগেছে আমার কাছে। এর শব্দ বেশ স্পষ্ট, কিন্তু অন্য কোন যানবাহনের পেছনে থেকে চালানোর সময় হর্ণ দিলে অনেকেই মনে করেন পেছনে হয়ত কোন মিশুক বা সিএনজি অটোরিকশা হর্ণ বাজাচ্ছে, ফলে তারা সাইড দিতে অনাগ্রহী হন। এরকম প্রিমিয়াম একটা অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইনের হর্ণ আমার মত আরও উন্নত হওয়া দরকার ছিল।

মোটকথা আমার R15 V3 বাইকটিতে সমস্যার তুলনায় সুবিধাই বেশি পেয়েছি। তাই প্রিমিয়াম ও স্পোর্টি লুকের এই মোটরসাইকেলটি আমার অন্যতম পছন্দের বাইকগুলোর মধ্যে একটি।

 

Similar Advices



Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Yamaha R15 for SaleBikroy
Yamaha R15 V3 INDONESIA 2019 for Sale

Yamaha R15 V3 INDONESIA 2019

10,000 km
verified MEMBER
Tk 385,000
3 hours ago
Yamaha R15 . 2021 for Sale

Yamaha R15 . 2021

51,500 km
MEMBER
Tk 440,000
5 hours ago
Yamaha R15 v2 Fi Engine 2012 for Sale

Yamaha R15 v2 Fi Engine 2012

56,000 km
MEMBER
Tk 195,000
6 hours ago
Yamaha R15 . 2021 for Sale

Yamaha R15 . 2021

12,000 km
MEMBER
Tk 410,000
7 hours ago
Yamaha R15 , 2022 for Sale

Yamaha R15 , 2022

12,000 km
MEMBER
Tk 429,990
8 hours ago
Explore More BikesBikroy
Honda Hornet . 2019 for Sale

Honda Hornet . 2019

26,000 km
verified MEMBER
Tk 133,000
2 minutes ago
Yamaha Fazer v2 2018 for Sale

Yamaha Fazer v2 2018

50,000 km
MEMBER
Tk 185,000
6 minutes ago
TVS Apache RTR ডাবল ডিক্স 2020 for Sale

TVS Apache RTR ডাবল ডিক্স 2020

17,000 km
verified MEMBER
Tk 119,000
7 minutes ago
Bajaj Pulsar . 2019 for Sale

Bajaj Pulsar . 2019

14,000 km
MEMBER
Tk 145,500
9 minutes ago
Bajaj Pulsar . 2022 for Sale

Bajaj Pulsar . 2022

9,888 km
verified MEMBER
Tk 175,000
10 minutes ago
+ Post an ad on Bikroy