হিরো এইচএফ ডিলাক্স – রাইডিং রিভিউ
হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় একটি কমিউটার বেসড মোটরসাইকেল। এটি বিখ্যাত মোটরসাইকেল কোম্পানি হিরো মটোকর্প এর নির্মিত মোটরসাইকেল। এটি হিরো কোম্পানির কমিউটার সেগমেন্টের মোটরসাইকেল। হিরো কমিউটার সেগমেন্টের বাইকের উপর বেশি গুরুত্ব দেয় তাই তাদের বেশির ভাগ বাইক কমিউটার ক্যাটাগরির। আমাদের দেশে কমিউটার সেগমেন্টের বাইকই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। কোম্পানিটি সুনামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের দেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
হিরো মার্কেটের ডিমান্ড বুঝে, বাজার বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেল বাজারজাত করে। কমিউটার সিগমেন্টে, তাদের মূল লক্ষ্য থাকে কম জ্বালানিতে অধিক মাইলেজ। আমাদের দেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে হিরো, মোটরসাইকেলের দাম, ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন নির্ধারণ করে। কোম্পানিটির স্পোর্টস বাইকগুলোও কমিউটিং টাইপ। নির্দ্বিধায় বলা যায় হিরো বাংলাদেশে সবচেয়ে সেরা কমিউটার সেগমেন্টের বাইক বাজারজাত করে। এই ব্রান্ড আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় আর এই জনপ্রিয়তার কারণ মূলত তাদের দীর্ঘস্থায়ী কমিউটার মোটরসাইকেল। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হিরো এইচএফ ডিলাক্স মডেল। এই মডেলটি জনপ্রিয় কারণ এটি টেকসই এবং লং লাস্টিং, ভালো মাইলেজ, দামে সাশ্রয়ী এবং যেকোনো রাস্তায় চলাচলে উপযোগী।
হিরো বাইকের দাম তুলনামূলক কম, কম জ্বালানিতে বেশি মাইলেজ, এবং আফটার সেলস সার্ভিস ভাল হওয়ায়, এটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকটি একটি কমিউটার ক্যাটাগরির মোটরসাইকেল। এটি মূলত আমাদের দেশের কর্মজীবী, ব্যাবসায়ী, এবং রেগুলার কমিউটার ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে ডিজাইন এবং বাজারজাত করা হয়েছে। এই ব্লগে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে হিরো এইচএফ ডিলাক্স রিভিউ নিয়ে। এছাড়াও আপনি এখানে হিরো এইচএফ ডিলাক্সের দাম, বাইকটির স্পেসিফিকেশন, এবং বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স (Hero HF Deluxe)
আপনি যদি বাজেট সাশ্রয়ী বাইক চান, সাথে ভালো মাইলেজ তাহলে হিরো এইচএফ ডিলাক্স আপনার জন্য দুর্দান্ত একটি মোটরসাইকেল। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতি পূর্ণ দেশে এবং যানজটে ভরা রাস্তায়, দ্রুত চলাচলের জন্য বাইক খুবই জনপ্রিয় একটি যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে, মানুষের জীবন-যাপনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ এখন প্রয়োজনের তাগিদেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে। কর্মজীবী, ব্যাবসায়ী, সকল পেশার মানুষের জন্য বাইক খুবই দরকারি একটি বাহন। তবে এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রায় সবাই বেশি মাইলেজ দেয়, কম জ্বালানি খরচ হয় এমন মোটরসাইকেলই চান।
হিরো-র এইচএফ ডিলাক্স বাইকটি মধ্যম বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড বাইক গুলোর মধ্যে সেরা বিকল্প। কারণ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অনেকেই এখন জ্বালানি সাশ্রয়ী, ভাল মাইলেজ দেয়, দীর্ঘদিন সার্ভিস দেবে এমন মোটরবাইকের খোঁজ করছেন। এখানে হিরো এইচএফ ডিলাক্স রিভিউ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এই বাইকটিতে ৯৭.২ সিসি এয়ার-কুল্ড, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে। এই বাইকের ইঞ্জিন ৮০০০ আরপিএম-এ ৮.৩৬ বিপিএইচ পাওয়ার জেনারেট করে। সাথে ৫০০০ আরপিএম-এ ৮.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটির সামনের অংশে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক সাসপেনশন এবং পিছনের দিকে একটি টু-স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল সাসপেনশন রয়েছে।
হিরো-র ক্লেম অনুযায়ী বাইকটি লিটারে ৮০+ কিমি মাইলেজ দেবে। বাইক ব্যবহারকারীরা ৭০-৭৫ কিমি মাইলেজ পেয়েছেন। যাইহোক ব্যবহারকারীদের রিভিউ অনুযায়ী, রেগুলার ব্যবহারের জন্য, এবং কম-বেশি যেকোনো দূরত্বে যাতায়াতের জন্য এই বাইক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়। হিরো এইচএফ ডিলাক্সের দামও রিভিউ অনুযায়ী কাস্টমারদের নাগালের মধ্যেই আছে।
স্পেশাল বৈশিষ্ট –
স্পেশাল বৈশিষ্ট –
(১) হিরো এইচএফ ডিলাক্স মোটরসাইকেলের ডিজাইন সিম্পল কিন্তু ইঞ্জিন শক্তিশালী।
(২) ইঞ্জিন ৮০০০ আরপিএম-এ ৮.৩৬ বিপিএইচ পাওয়ার জেনারেট করে।
(৩) বাইকটি পুরোপুরি কমিউটিং ফোকসড।
(৪) বাইকটি রাইডিং এবং কন্ট্রোল করা খুবই কম্ফোর্টেবল।
(৫) এটিতে সারি গার্ড, ওয়াইডার গ্রাব রেইল এবং লেগ গার্ডও আছে।
(৬) বাইকটি কিক স্টার্ট এবং ইলেক্ট্রিক স্টার্ট দুই সিস্টেমেই চালু করা যায়।
(৭) এটির ফুয়েল ট্যাংকের নিচে টুল কিট এবং ডকুমেন্ট বক্স আছে।
(৮) এটির ব্যাটারি মেইন্টেন্স ফ্রি।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স রিভিউ (Hero HF Deluxe Review)
হিরো বাংলাদেশের মার্কেটে বেশ জনপ্রিয় একটি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকটির পজিটিভ রিভিউ করেছেন। বাইকাররা মূলত বাইকটির মাইলেজ এবং তেল খরচের ব্যাপারে সন্তুষ্ট। অনেক বাইকার বাইকটির দীর্ঘস্থায়ী সাস্টেইনেবিলিটির জন্য প্রশংসা করেছে। এখানে কিছু হিরো এইচএফ ডিলাক্স রিভিউ (বাইক ব্যবহারকারীদের রিভিউ) সংক্ষিপ্ত আকারে দেয়া হলো –
মামুন হোসেন বলেছেন,
তিনি বাইকটিতে বেশ ভালো মাইলেজ পেয়েছেন। শহরের মধ্যে মাইলেজ পেয়েছেন ৬০+ কিমি প্রতি লিটার, এবং হাইওয়েতে পেয়েছেন ৭০+ কিমি প্রতি লিটার। তিনি রেগুলার কমুনিকেটিং পারপাসে বাইকটি ব্যবহার করেন। তার মতে, কমিউটার সেগমেন্টে এই বাইকটি দুর্দান্ত। ইঞ্জিনের পাওয়ার এবং পারফরমেন্স দুটিই বেশ ভালো পাচ্ছেন। বাইকের গতিতেও তিনি সন্তুষ্ট। বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম তার কাছে মোটামুটি ভাল লেগেছে। তবে বাইকের টায়ার নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। টায়ারের গ্রিপ গুলো খুব একটা উন্নত মানের না, তাই এটি কড়া ব্রেকে স্লিপ করে।
বাইকের সিম্পল ডিজাইন, ইঞ্জিন কোয়ালিটি সব কিছু মিলিয়ে কমিউটার সেগমেন্টের মধ্যে এটি অসাধারণ একটি বাইক। হিরো এইচএফ ডিলাক্সের দাম অনুযায়ী ইঞ্জিন অনেক ভালো। যারা রেগুলার কমুনিকেশনের জন্য, এবং বাজেট সাশ্রয়ী বাইক কিনতে চাচ্ছেন, তাদেরকে তিনি এই বাইক কিনতে উৎসাহিত করেছেন।
জুয়েল রানা বলেছেন,
তিনি সাধারণ ভাবে ব্যবহার করার জন্য হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকটি কিনেছেন। তিনি প্রায় ৮,০০০+ কিমি পথ চালিয়েছেন। তার বাইকটি কেনার মূল উদ্দেশ্য ছিল তেল খরচ বাঁচানো। বাইকটির ডিজাইন, পারফর্মেন্স, মাইলেজ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। বাইকটির সিটিং পজিশন বেশ বড়, এর সাসপেনশন গুলো মোটামুটি ভাল। সকল পারফর্মেন্স বিবেচনায় এই মোটরসাইকেলটির দাম নিয়েও তিনি সন্তুষ্ট। তবে তিনি বলেছেন বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটি স্ট্রং না এবং ওজনের দিক থেকেও পারফেক্ট না। বাইকটি হাইওয়েতে ৭০ গতির বেশি উঠলে, এটি ভাইব্রেশন করে।
তার মতে বাইকটির ভাল দিক –
(১) ইঞ্জিন পারফর্মেন্স খুব ভাল।
(২) জ্বালানি সাশ্রয়ী।
(৩) বাইকের ডিজাইন দেখতে সুন্দর।
(৪) ব্রেক এবং সাসপেনশন স্মুথ।
(৫) দাম সাধ্যের মধ্যেই।
তার মতে বাইকটির মন্দ দিক –
(১) বেশি গতিতে চালালে বাইকের সামনের অংশ ভাইব্রেশন করে।
(২) বাইকের ওজন কিছুটা কম মনে হয়েছে।
(৩) বাইকটির বিল্ড কোয়ালিটি স্ট্রং না।
(৪) চাকা দুটো চিকন, আরেকটু মোটা চাকা হলে মানানসই হতো।
(৫) হেডলাইট ভালো হলেও, ইনডিকেটর লাইট অন্ধকারে দুর্বল মনে হয়েছে।
মোঃ আবছার উদ্দীন বলেছেন,
তার কাছে বাজেট অনুযায়ী বাইকের ডিজাইন এবং ইঞ্জিন দুর্দান্ত মনে হয়েছে। তিনি বাইকটি যথেষ্ট কম্ফোর্টেবল ভাবে চালিয়েছেন। বাইকের ইঞ্জিন পারফরম্যান্স এবং মাইলেজ নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। বাইকটির সিটিং পজিশন অসাধারণ তাই লং জার্নিতে বেশ কম্ফোর্টেবল ফিল করেছেন। বাইকটির ব্যালেন্স বেশ ভালো। এবং কমিউটার বাইক হিসেবে এর পারফরম্যান্সে তিনি মুগ্ধ।
বাইকটির কিছু কিছু বিষয়ে তার অসন্তুষ্টি আছে, যেমন বাইকের চাকা অনেক চিকন, যার কারণে হার্ড ব্রেক করলে চাকা কিছুটা পিছলে যায়। তাই অন্য বাইকারদের তিনি চাকা টিউবলেস করে নিতে উপদেশ দিয়েছেন। বাইকের হেডলাইট হেলোজেন মেড, তাই সামনে পরিষ্কার দেখা গেলেও, দূরের রাস্তা ঘোলাটে দেখায়। হাইওয়েতে এবং লং ড্রাইভে চালানোর সময় ইন্সট্যান্ট থ্রটল কিছুটা কম মনে হয়েছে। ওভারঅল পারফরম্যান্স, কমিউটার সার্ভিস, ডিউরেবিলিটি বিবেচনায় নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে এটি একটি অসাধারণ বাইক।
Hero HF Deluxe Review (Feature Review)
(১) ডিজাইন
হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকটি হিরো মটোকর্প ডিজাইন করেছে। বাইকটির বেশ সাধারণভাবে কমিউটিং সেগমেন্টে ডিজাইন করা হয়েছে। বাইকটির ডিজাইন ও কালার স্কিম গ্লোসি একটা এট্রাক্টিভ লুক দেয়। বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ব্লউন মেটাল, সামনের দুটি কার্ভ আছে আর দুই পাশে প্ল্যাস্টিক প্যানেল দিয়ে এডজাস্ট করা হিয়েছে। সিটিং পজিশন বেশ বড় এবং কর্ম্ফোটেবল।বাইকের হেডল্যাম্প পরিষ্কার এবং এরোডাইনামিক। এটির খুব কম এয়ার টানেল আছে। এটিতে কোনো এলইডি লাইট বা ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট নেই। অডো প্যানেল এ্যানালগ, এনালগ টুইন-পড কনসোলে একটি স্পিডোমিটার, একটি ফুয়েল গেজ এবং কয়েকটি সাধারণ ইনডিকেটর রয়েছে। টোটাল হেডল্যাম্প এসেম্ববেলি দেখতে গর্জিয়াস। এটির মেটাল গ্রাব রেইল, সারি গার্ড এবং লেগ গার্ড ডিজাইনকে আরো সুন্দর করেছে। বাইকটি লাল, ধূসর এবং প্লেইন ব্ল্যাক গ্র্যাব রেল সহ কিছুটা কালো রঙের দেখতে। এটিতে ইলেকট্রিক এবং কিক স্টার্ট অ্যাটাচ করা হয়েছে। ওভারঅল Hero HF Deluxe Review অনুযায়ী বাইকটির লুকস এবং ডিজাইন বেশ সুন্দর এবং সিম্পল।
বডি টাইপ | কমিউটার |
গ্রাফিক্স | আছে |
স্পীডোমিটার | এনালগ |
ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল | এনালগ |
অডোমিটার | এনালগ |
ইঞ্জিন কুলিং সিস্টেম | এয়ার কুল্ড |
স্টার্টিং মেথড | কিক & সেল্ফ স্টার্ট |
ফুট রেস্ট | আছে |
এবিএস | নেই |
(২) ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকের ইঞ্জিন ১০০ সিসি’র। এটিতে ৯৭.২ সিসি এয়ার-কুল্ড, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিন পাওয়ারে বাইকটি ভাল ফুয়েল এফেন্সি এবং টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। এই ইঞ্জিন ৮০০০ আরপিএম-এ ৮.৩৬ বিপিএইচ পাওয়ার জেনারেট করে। সাথে ৫০০০ আরপিএম-এ ৮.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। এটি মানুয়্যাল কিক এবং ইলেক্ট্রিক সিস্টেম দুই ভাবেই স্টার্ট করা যায়। ব্যবহারকারীদের Hero HF Deluxe Review অনুযায়ী বাইকটির ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন দুর্দান্ত।
ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট | ৯৭.২ সিসি |
ইঞ্জিন সিস্টেম | সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক এয়ার কুল্ড, ওএইচসি ২-ভালভ |
ম্যাক্সিমাম পাওয়ার | ৬.১৫ কিলোওয়াট (৮.৩৬ পিএস) @ ৮০০০ আরপিএম |
ম্যাক্সিমাম টর্ক | ৮.৫ এনএম @ ৫০০০ আরপিএম |
বোর x স্ট্রোক | ৫০.০ মিমি x ৪৯.৫ মিমি |
ফুয়েল সাপ্লাই | কার্বুরেটর |
স্টার্টিং মেথড | ইলেকট্রিক এন্ড কিক স্টার্ট |
ক্লাচ টাইপ | ওয়েট এন্ড মাল্টিপল ডিস্ক |
ট্রান্সমিশন | ৪-স্পিড |
কম্প্রেশন | ৯:৯:১ |
(৩) ব্রেক এন্ড সাস্পেনশন
হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকের সিটিং এবং রাইডিং পজিশন স্ট্রেট এবং হ্যান্ডেল বার সলিড পাইপ। এই বাইকের চাকায় এ্যালয় রিম সাথে আছে টিউব টাইপ টায়ার রয়েছে। দুই চাকাতেই ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সামনের পেছনের উভয় চাকাতেই ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক দেওয়া হয়েছে। বাইকটির সাসপেনশন বেশ ভালো, অনেক ওজন নিতে পারে। সামনের সাসপেনশন হাইড্রোলিক টেলিস্কোপ টাইপ, পিছনের সাসপেনশনে ডাবল ভাবে কয়েল স্প্রিং করা সাথে সুইং আর্মস লাগানো আছে। ব্যবহারকারীদের হিরো এইচএফ ডিলাক্স রিভিউ অনুযায়ী বাইকটির ব্রেক এন্ড সাস্পেনশন স্মুথ।
সাসপেনশন | সামনে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক অবসরবার, পেছনে সুইং আর্ম উইথ ২ স্টেপ এডজাস্টেবল হাইড্রোলিক শক অবসরবার |
ব্রেক সিস্টেম | সামনের চাকায় ১৩০ মিমি ড্রাম, পেছনে ১১০ মিমি ড্রাম |
ব্রেকিং টাইপ | ইন্টিগ্রেটেড ব্রেকিং সিস্টেম |
ব্যাটারি | ১২ ভি – ৩ এম্পেয়ার |
হেড ল্যাম্প | ১২ ভি – ৩৫ / ৩৫ ওয়াট (হ্যালোজেন বাল্ব) |
(৪) হুইল, মাইলেজ এন্ড ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল
হিরো এইচএফ ডিলাক্স ১০০ সিসি সেগমেন্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা জ্বালানি সাশ্রয়ী বাইক। বাইক ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন শহরের রাস্তায় এটি প্রায় ৬৫ কিলোমিটার মাইলেজ দিতে পারে, এবং হাইওয়ে রোডে ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ দিতে পারে। এটির হুইল সাইজ সামনে ২.৭৫x১৮ – ৪পিআর/৪২ পি, এবং পেছনে ২.৭৫x১৮ – ৬ পিআর ৪৮ পি। বাইকের স্পিডোমিটার এবং টেকোমিটার এনালগ সিস্টেমের। ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেলে জ্বালানী নির্দেশক, টার্ন ল্যাম্প এবং টেল ল্যাম্পও রয়েছে। ওভারঅল হিরো এইচএফ ডিলাক্স রিভিউ অনুযায়ী ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল গর্জিয়াস না হলেও ব্যবহারকারীরা সন্তুষ্ট।
ফ্রেম টাইপ | টুবুলার ডাবল ক্রেডল |
ডাইমেনশন | লেংথ-১৯৬৫ মিমি; ওয়াইড-৭২০ মিমি; হাইট: ১০৪৫ মিমি |
গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স | ১৬৫ মিমি |
ওজন | ১০৭ কেজি (কিক বাইক); ১১০ কেজি (সেলফ স্টার্ট বাইক) |
ফুয়েল ক্যাপাসিটি | ৯.৬ লিটার্স |
ব্রেক ডায়ামিটার | সামনে ১৩০ মিমি; পেছনে ১৩০মিমি |
টায়ার সাইজ | সামনে ২.৭৫x১৮ – ৪পিআর/৪২ পি, পেছনে ২.৭৫x১৮ – ৬ পিআর ৪৮ পি |
হিরো এইচএফ ডিলাক্সের দাম
হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকটি বাংলাদেশে নতুন বাইক নয়। সময়ের সাথে সাথে বাইকটির কিছু এডিশন আপগ্রেড করা হয়েছে। তাই দাম সামান্য কিছু বেড়েছে। আমাদের দেশে বাইকের দাম শোরুম ভেদে সামান্য কম-বেশি হয়। যেহেতু বাইকটি ইন্ডিয়া থেকে সরাসরি আমদানি করা হয়। তাই ট্যাক্স-ভ্যাট সংযুক্ত করার পর দামে কিছুটা পরিবর্তন হয়।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসের শেষ আপডেট অনুযায়ী হিরো এইচএফ ডিলাক্সের দাম ১০১,৪৯০ /= টাকা।
এই বাইকের কিক স্টার্ট ভার্সনটি এখন খুব একটা পাওয়া যায় না। বাইকটির বিএস৪ (সেল্ফ স্টার্ট) এডিশনটির দাম ১০৫,৯৯০/- টাকা।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকের সকল ফিচারস এবং তথ্য হিরো ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে। আরো বিভিন্ন কিছু তথ্য ব্যবহারকারী রিভিউ থেকে নেয়া হয়েছে। আশা করি হিরো এইচএফ ডিলাক্স রিভিউ ব্লগ আপনাদের এই বাইক সম্পর্কে ভালো ধারণা দেবে। ব্যবহারকারী রিভিউ অনুযায়ী যারা প্রপার কমিউটার বাইক কিনতে চান, তাদের জন্য এই বাইকটি পারফেক্ট। Hero HF Deluxe Review অনুযায়ী বাংলাদেশে যেকোনো হিরো বাইকের সেলস সার্ভিস খুবই সন্তোষজনক।
বাইক সম্পর্কে আরো বিভিন্ন তথ্য পেতে ভিজিট করুন বাইকস গাইডে। এখানে আপনি নতুন-পুরোনো বিভিন্ন বাইকের স্পেসিফিকেশন, বাইক রক্ষণাবেক্ষণ, বাইক বেচা-কেনা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাবেন। এছাড়াও এখানে বাইক সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস, পরামর্শ, ট্রাফিক নিয়ম, সহ অনেক আপডেটেড নিউজ পাবেন।
Hopeful with the brand.
Best of all.
Hf dilakx
How much money
Hi
Hopeful with the brand.
TV’S
Hopeful with the brand.