ইঞ্জিন ব্রেক কি? বিস্তারিত আলোচনা

20 Dec, 2023   
ইঞ্জিন ব্রেক কি? বিস্তারিত আলোচনা

বাইক দ্রুত চালানোর মাধ্যমে কোনো ভাবেই আপনার বাইকের উপর নিয়ন্ত্রণ বা আপনার পারদর্শিতা প্রকাশ পায় না। বরং দ্রুত গতির বাইক আপনি কতো দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন বা তা থামিয়ে আনতে পারছেন তার উপরই আপনার পারদর্শিতা প্রকাশ পায়। আবার ব্যস্ত সড়কে বাইক চালানোর সময় এর উপর আপনার সুস্বাস্থ্য’ও নির্ভর করতে পারে। তাই বাইকের গতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের সকলেরই যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করা উচিত। আর এই গতি কমিয়ে আনার কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ইঞ্জিন ব্রেক। আজকের লেখায় আমরা ইঞ্জিন ব্রেক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। 

ইঞ্জিন ব্রেক কী? 

সহজ ভাষায় বললে, বাইকের সামনের ও পেছনের ব্রেক ব্যবহার না করে বরং থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে বাইকের গতি কমিয়ে ফেলা হচ্ছে ইঞ্জিন ব্রেক। আর পদ্ধতিতে বাইককে থামিকে দেয়াকে বলা হয় ইঞ্জিন ব্রেকিং। ইঞ্জিন ব্রেক বলতে বাইকের ইঞ্জিনে কোনো ধরণের ফিজিকাল ব্রেকের উপস্থিতি বোঝায় না। ইঞ্জিন ব্রেক করতে চাইলে আপনাকে শুধু থ্রোটল ছেড়ে দিতে হবে এবং বাইক নিজেই ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে ফেলবে। 

অনেকে এই ধারণা পোষণ করেন যে ইঞ্জিন ব্রেকিং বাইকের ইঞ্জিনের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। তবে বিশেষজ্ঞ এবং বাইক প্রস্তুতকারীগণ ইঞ্জিন ব্রেকিং-এর পদ্ধতি সাজেস্ট করেন। দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর সময় ধ্রোটল ধরে রেখে ব্রেক প্রেস করা অনেক সময় যথেষ্ট না’ও হতে পারে। বিশেষ করে আমরা চিন্তা করার জন্যই পাচ্ছি মাত্র ২-৩ সেকেন্ড বা তার’ও কম। তাই সেই মুহুর্তে যেভাবে সম্ভব এবং যতো দ্রুত সম্ভব বাইকের গতি কমিয়ে আনা’ই আমাদের উদ্দেশ্য। 

সামনের ও পেছনের ব্রেক প্রেস করার পাশাপাশি থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করলে বাইকের গতি আরো দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব। আর না, ইঞ্জিন ব্রেকে বাইকের ইঞ্জিনের কোনো ধরণের ক্ষতি হয় না। বরং, সঠিক উপায়ে ইঞ্জিন ব্রেক করলে তা বাইক ও রাইডারের সেফটি এনশিওর করে। 

ইঞ্জিন ব্রেক কীভাবে কাজ করে?

যখন থ্রোটল ওপেন থাকে, তখন পিস্টন বাতাস ও জ্বালানী সিলিন্ডারের দিকে টেনে আনে। থ্রোটল বন্ধ থাকলেও পিস্টন বাতাস সিলিন্ডারের দিকে টেনে আনে, তবে তখন থ্রোটল প্লেট তা আটকে দেয়। ফলে একটি ভ্যাকুম তৈরি হয়। এতে করে পিস্টনে ঘর্ষণ তৈরি হয় এবং পিস্টনের গতি কমে যায়। আবার এতে করে পেছনের চাকার গতি’ও কমে যায়। আপনি যখন থ্রোটল ছেড়ে দেন, তখন ইঞ্জিন আরপিএম যতো বেশি থাকে, ঘর্ষণ ততো বেশি তৈরি হয়। এতে করে ইঞ্জিন-ব্রেকিং ফোর্স’ও বেড়ে যায়। এই কারণেই ইঞ্জিন ব্রেকিং-এর সময় থ্রোটল ছেড়ে দিতে হয়। 

এই ঘর্ষণের কারণেই অনেকে মনে করেন যে এতে করে ইঞ্জিনের ক্ষতি হচ্ছে। তবে এই ধারণাটি ভুল। ইঞ্জিন ব্রেক করার কারণে আপনার মোটরবাইকের ইঞ্জিনের অবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসে না। আপনি ইঞ্জিন ব্রেক করলে রেভ বেড়ে যায়, এতে করে মনে হয় ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছে। তবে বাস্তবে এতে করে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না যতক্ষণ আপনি অনেক দ্রুত গিয়ার ডাউনশিফট করছেন না। উদাহরণস্বরুপ, আপনি যদি ৪র্থ গিয়ার থেকে সাথে সাথে ১ম গিয়ারে চলে আসেন, তাহলে ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তখন ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। তাই ইঞ্জিন ব্রেক করার সময় কখনোই গিয়ার ডাউনশিফট করা যাবে না। 

ইঞ্জিন ব্রেকের অসুবিধা

ইঞ্জিন ব্রেকের একমাত্র অসুবিধা হচ্ছে এই যে, ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করার সময় আপনার ব্রেক লাইট জ্বলে উঠে না। তাই আপনার পেছনের বাইক বা গাড়ি জানতে পারে না যে আপনি আসলে ব্রেক করে গতি কমিয়ে আনছেন। তাই খোলা রাস্তায় ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ অথবা যখন আপনি জানেন যে আপনার পেছনে আর কোনো বাইক বা গাড়ি নেই, তখন আপনি ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করতে পারেন। 

আর যদি ব্যস্ত সড়কে কখনো ইঞ্জিন ব্রেক করতেই চান, তাহলে আমরা সাজেস্ট করবো যে আপনার সামনের বা পেছনের ব্রেকে অন্তত হালকা করে হলেও চাপ দিবেন। এতে করে আপনার পেছনের বাইক বা গাড়ি জেনে যাবে যে আপনি আসলে গতি কমিয়ে আনছেন। 

পরিসংহার

দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর সময় আমাদের বাইকের সামনে যেকোনো কিছু চলে আসতে পারে, তখন আমাদের কিছু মিলিসেকেন্ডের মাঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এমতাবস্থায় যতো দ্রুত নিজের বাইকের গতি কমিয়ে আনবেন, ততোই সামনের মানুষ/বাইক বা গাড়ির জন্য এবং আপনার জন্য ভালো। তাই সামনের ও পেছনের ব্রেক প্রেস করার পাশাপাশি থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করার পরামর্শ রইলো।

Engine brakes can come in handy when you’re riding at a high speed and suddenly something or someone comes out in front. But engine brakes aren’t any real part of the bike. It is rather than a concept. 

What is Engine Brake?

Engine braking is the concept of slowing down your bike or eventually completely stopping it by releasing the throttle white not using the front or rear brake. But this doesn’t mean that you should not use the front and rear brakes while the engine brakes. Engine brake is less of an alternative to regular brakes and more of a supplementary thing. Using the engine brake while pressing your front and rear brakes increases the efficiency and forces your bike to slow down fast. 

How Engine Brake Works? 

The piston draws air and fuel towards the cylinder when your throttle is open. This continues to happen even if you release the throttle, but in this case, the throttle plate stops the air from entering the cylinder. Hence, a vacuum is created. This creates friction in the piston, and the piston is forced to slow down, and so does your bike’s speed. The more the engine RPM, the greater the friction it creates and the faster your bike slows down. 

Disadvantages of Engine Brake

To be honest, the only disadvantage of an engine brake is that it doesn’t activate your brake lights. So, the drivers behind you do not know that you’re actually slowing down. So, if you’re applying engine brake in a busy road, press your front or rear brake alongside. Hence, your brake light will turn on, and the drivers behind you will see that. 

Other than that, engine braking has no disadvantages as long as you’re not downshifting from 4th gear to 1st gear in a second. 

Conclusion 

Anything can come up in front of your bike while you’re riding at a high speed. In these cases, we have to make decisions in milliseconds. The faster you can slow down, the better it is for you and the person or thing in front of you. So, remember to use the engine brake alongside your front and rear brakes from now on. 

গ্রাহকদের কিছু নিয়মিত প্রশ্ন

ইঞ্জিন ব্রেকিং ভালো নাকি খারাপ?

ইঞ্জিন ব্রেকিং অবশ্যই ভালো। বিশেষ করে তা দ্রুত আপনার বাইকের গতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ইঞ্জিন ব্রেক কখন অন করতে হয়?

খুব দ্রুত বাইকের গতি কমিয়ে আনার প্রয়োজন হলে তখন থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করা উচিত।

ইঞ্জিন ব্রেক এর কাজ কি?

ইঞ্জিন ব্রেক মূলত আপনার বাইকের রেগুলার ব্রেক ব্যবহার না করেই বাইকের গতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ইঞ্জিন ব্রেকিং কি অবৈধ?

ইঞ্জিন ব্রেকিং-এর কারণে অনেক জোরে শব্দ হয়, তাই নির্দিষ্ট কিছু এরিয়াতে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়। তবে এটি অবৈধ নয়।

বাইকের ইঞ্জিন ব্রেক কোথায় থাকে?

ইঞ্জিন ব্রেক বলতে বাইকের ভেতরের কোনো পার্টসকে বোঝানো হয় না, বরং ইঞ্জিন ব্রেকিং হচ্ছে একটি কনসেপ্ট, যেখানে আপনার বাইকের থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে বাইকের গতি কমিয়ে আনা হয়।

বাইক দ্রুত চালানোর মাধ্যমে কোনো ভাবেই আপনার বাইকের উপর নিয়ন্ত্রণ বা আপনার পারদর্শিতা প্রকাশ পায় না। বরং দ্রুত গতির বাইক আপনি কতো দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন বা তা থামিয়ে আনতে পারছেন তার উপরই আপনার পারদর্শিতা প্রকাশ পায়। আবার ব্যস্ত সড়কে বাইক চালানোর সময় এর উপর আপনার সুস্বাস্থ্য’ও নির্ভর করতে পারে। তাই বাইকের গতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের সকলেরই যথেষ্ট পারদর্শিতা অর্জন করা উচিত। আর এই গতি কমিয়ে আনার কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ইঞ্জিন ব্রেক। আজকের লেখায় আমরা ইঞ্জিন ব্রেক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। 

ইঞ্জিন ব্রেক কী? 

সহজ ভাষায় বললে, বাইকের সামনের ও পেছনের ব্রেক ব্যবহার না করে বরং থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে বাইকের গতি কমিয়ে ফেলা হচ্ছে ইঞ্জিন ব্রেক। আর পদ্ধতিতে বাইককে থামিকে দেয়াকে বলা হয় ইঞ্জিন ব্রেকিং। ইঞ্জিন ব্রেক বলতে বাইকের ইঞ্জিনে কোনো ধরণের ফিজিকাল ব্রেকের উপস্থিতি বোঝায় না। ইঞ্জিন ব্রেক করতে চাইলে আপনাকে শুধু থ্রোটল ছেড়ে দিতে হবে এবং বাইক নিজেই ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে ফেলবে। 

অনেকে এই ধারণা পোষণ করেন যে ইঞ্জিন ব্রেকিং বাইকের ইঞ্জিনের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। তবে বিশেষজ্ঞ এবং বাইক প্রস্তুতকারীগণ ইঞ্জিন ব্রেকিং-এর পদ্ধতি সাজেস্ট করেন। দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর সময় ধ্রোটল ধরে রেখে ব্রেক প্রেস করা অনেক সময় যথেষ্ট না’ও হতে পারে। বিশেষ করে আমরা চিন্তা করার জন্যই পাচ্ছি মাত্র ২-৩ সেকেন্ড বা তার’ও কম। তাই সেই মুহুর্তে যেভাবে সম্ভব এবং যতো দ্রুত সম্ভব বাইকের গতি কমিয়ে আনা’ই আমাদের উদ্দেশ্য। 

সামনের ও পেছনের ব্রেক প্রেস করার পাশাপাশি থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করলে বাইকের গতি আরো দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব। আর না, ইঞ্জিন ব্রেকে বাইকের ইঞ্জিনের কোনো ধরণের ক্ষতি হয় না। বরং, সঠিক উপায়ে ইঞ্জিন ব্রেক করলে তা বাইক ও রাইডারের সেফটি এনশিওর করে। 

ইঞ্জিন ব্রেক কীভাবে কাজ করে?

যখন থ্রোটল ওপেন থাকে, তখন পিস্টন বাতাস ও জ্বালানী সিলিন্ডারের দিকে টেনে আনে। থ্রোটল বন্ধ থাকলেও পিস্টন বাতাস সিলিন্ডারের দিকে টেনে আনে, তবে তখন থ্রোটল প্লেট তা আটকে দেয়। ফলে একটি ভ্যাকুম তৈরি হয়। এতে করে পিস্টনে ঘর্ষণ তৈরি হয় এবং পিস্টনের গতি কমে যায়। আবার এতে করে পেছনের চাকার গতি’ও কমে যায়। আপনি যখন থ্রোটল ছেড়ে দেন, তখন ইঞ্জিন আরপিএম যতো বেশি থাকে, ঘর্ষণ ততো বেশি তৈরি হয়। এতে করে ইঞ্জিন-ব্রেকিং ফোর্স’ও বেড়ে যায়। এই কারণেই ইঞ্জিন ব্রেকিং-এর সময় থ্রোটল ছেড়ে দিতে হয়। 

এই ঘর্ষণের কারণেই অনেকে মনে করেন যে এতে করে ইঞ্জিনের ক্ষতি হচ্ছে। তবে এই ধারণাটি ভুল। ইঞ্জিন ব্রেক করার কারণে আপনার মোটরবাইকের ইঞ্জিনের অবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসে না। আপনি ইঞ্জিন ব্রেক করলে রেভ বেড়ে যায়, এতে করে মনে হয় ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছে। তবে বাস্তবে এতে করে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না যতক্ষণ আপনি অনেক দ্রুত গিয়ার ডাউনশিফট করছেন না। উদাহরণস্বরুপ, আপনি যদি ৪র্থ গিয়ার থেকে সাথে সাথে ১ম গিয়ারে চলে আসেন, তাহলে ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তখন ইঞ্জিনের ক্ষতি হতে পারে। তাই ইঞ্জিন ব্রেক করার সময় কখনোই গিয়ার ডাউনশিফট করা যাবে না। 

ইঞ্জিন ব্রেকের অসুবিধা

ইঞ্জিন ব্রেকের একমাত্র অসুবিধা হচ্ছে এই যে, ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করার সময় আপনার ব্রেক লাইট জ্বলে উঠে না। তাই আপনার পেছনের বাইক বা গাড়ি জানতে পারে না যে আপনি আসলে ব্রেক করে গতি কমিয়ে আনছেন। তাই খোলা রাস্তায় ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ অথবা যখন আপনি জানেন যে আপনার পেছনে আর কোনো বাইক বা গাড়ি নেই, তখন আপনি ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করতে পারেন। 

আর যদি ব্যস্ত সড়কে কখনো ইঞ্জিন ব্রেক করতেই চান, তাহলে আমরা সাজেস্ট করবো যে আপনার সামনের বা পেছনের ব্রেকে অন্তত হালকা করে হলেও চাপ দিবেন। এতে করে আপনার পেছনের বাইক বা গাড়ি জেনে যাবে যে আপনি আসলে গতি কমিয়ে আনছেন। 

পরিসংহার

দ্রুত গতিতে বাইক চালানোর সময় আমাদের বাইকের সামনে যেকোনো কিছু চলে আসতে পারে, তখন আমাদের কিছু মিলিসেকেন্ডের মাঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এমতাবস্থায় যতো দ্রুত নিজের বাইকের গতি কমিয়ে আনবেন, ততোই সামনের মানুষ/বাইক বা গাড়ির জন্য এবং আপনার জন্য ভালো। তাই সামনের ও পেছনের ব্রেক প্রেস করার পাশাপাশি থ্রোটল ছেড়ে দিয়ে ইঞ্জিন ব্রেক ব্যবহার করার পরামর্শ রইলো।

Similar Advices

Buy New Bikesbikroy
TVS Star Sports 2024 for Sale

TVS Star Sports 2024

13,000 km
MEMBER
Tk 45,000
5 hours ago
Hero Maestro Edge 2023 2024 for Sale

Hero Maestro Edge 2023 2024

3,750 km
verified MEMBER
Tk 163,000
9 hours ago
Suzuki Gixxer SF V4 Fi Abs 2024 for Sale

Suzuki Gixxer SF V4 Fi Abs 2024

3,100 km
verified MEMBER
verified
Tk 323,000
1 day ago
Yamaha FZS . 2022 for Sale

Yamaha FZS . 2022

17,900 km
verified MEMBER
Tk 185,000
1 day ago
Buy Used Bikesbikroy
Runner Bullet 2018 for Sale

Runner Bullet 2018

45 km
MEMBER
Tk 39,000
1 hour ago
Runner KnightRider 2018 for Sale

Runner KnightRider 2018

26,000 km
MEMBER
Tk 62,000
1 hour ago
Bajaj Discover 125 2014 for Sale

Bajaj Discover 125 2014

25,000 km
MEMBER
Tk 68,000
1 hour ago
Dayun Defender 150cc 2016 for Sale

Dayun Defender 150cc 2016

39,000 km
MEMBER
Tk 47,000
1 hour ago
Yamaha RX . 2024 for Sale

Yamaha RX . 2024

56,000 km
MEMBER
Tk 55,000
2 hours ago
+ Post an ad on Bikroy