অনেক সময়ই শিশুদের বাইকে চড়াতে হয়। মোটর বাইকে চড়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা না মেনে চললে তা হতে পারে বিপজ্জনক। আবার অনেক সময় শিশুরাই বাইকে চড়তে আগ্রহী হয়, আবার প্রয়োজনের কারণেও শিশুদের বাইকে চড়াতে হয়। শিশুর বয়স ৩/৪ বছর হোক বা ১২/১৩ সতর্ক থাকাটা জরুরি। সতর্ক থাকার ফলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
অনেকেই শিশুদের নিয়ে বাইকে চড়েন। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ছাড়াই অনেকেই শিশুদের বাইকে ওঠান। এটা শিশুর জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অসাবধানতা ও অসতর্কতাবশত বাইক থেকে পড়ে গিয়ে শিশু প্রায়ই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে শিশুদের বাইকে চড়ার সতকর্তামূলক নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। বিভিন্ন দেশে বাইকে শিশুদের চড়া নিয়ে বিভিন্ন নিয়ম জারি করা আছে। ৪ বছর থেকে ১৩ বছরের শিশুই হোক না কেন, বাইকে তাদের চড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক থাকা বাঞ্চনীয়। শিশুদের বাইকে চড়ার সতর্কতামূলক নির্দেশাবলী নিয়ে চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
.শিশুদের বাইকে চড়ার সতর্কতামূলক নির্দেশনাবলী
১। বাইকে যদি শিশু ওঠে অবশ্যই বাইকের স্পিড কমিয়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় আনতে হবে। গতিবেগ ৩৫-৪০ এর বেশি না হওয়াই ভাল।
২. শিশুকে হেলমেট পড়াতে হবে যদি সম্ভব হয়। প্রয়োজনে সিট বেল্ট দিতে হবে। যাতে সাথে থাকা ব্যক্তি বা বাইকের সাথে আটকে থাকতে পারে শিশু।
৩. শিশু বাইকে থাকা অবস্থায় পিচ্ছিল রাস্তা ব্যবহার না করাই উত্তম। আর যদি নিতান্তই সে রাস্তায় যেতে হয় তাহলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, হেলমেট, বেল্ট নিশ্চিত করে যাওয়া উচিত।
৪. বাইক চলাকালীন শিশুর ইচ্ছা অনিচ্ছা প্রাধান্য দেওয়া কাম্য। শিশু যদি থামাতে বলেন, তাহলে না চালিয়ে কিছুক্ষণ বিরতি নেওয়াই ভাল।
৫. রাতের বেলা শিশুকে নিয়ে বাইকে চড়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই বেশি প্রয়োজন না হলে শিশুকে রাতে বাইকে না বসানোই উত্তম।
৬. বৃষ্টির মধ্যে শিশুকে বাইকে না চড়ানোই উত্তম। নাহলে পিচ্ছিল রাস্তায় দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
৭. জোরে রাস্তার বাঁক অতিক্রম না করা। স্বাভাবিক একটা স্পীডে বাইক চালানো।
৮. শিশুর নিরাপদভাবে বসা নিশ্চিত করা। যাতে সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ভালভাবে বসতে পারে।
৯. শিশুকে হেলমেট পড়ানো।
১০. ট্রাফিক আইন মেনে চলা
১১. নিরাপদ রাস্তা ব্যবহার করা উত্তম
১২. বাইক স্টার্ট করার আগে বাইক চেক করা ভাল
১৩. খুব বেশি সময় বাইকে চড়িয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই।
১৪. বাইক স্টার্ট করার আগে পার্টসগুলো চেক করা
১৫. বাইকের টায়ার চেক করা। যাতে রাস্তার খাঁজের সাথে মিলে যায় আর যাত্রাও নিরাপদ হয়।
১৬. পাহাড়ি বা উঁচু নিচু রাস্তায় সঠিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিশুকে বাইকে তোলা উচিত।
উপরিউক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা শিশুকে বাইকে চড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।