মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তনের নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা

31 Oct, 2023   
মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তনের নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা

মোটরসাইকেলের গিয়ার

মোটরসাইকেল রাইডিং-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ হলো মোটরসাইকেলের গিয়ার। মোটরসাইকেলের গতি কম-বেশি করার জন্য থ্রোটলের পাশাপাশি মোটরসাইকেলের গিয়ারের সঠিক ব্যবহারও মুখ্য। মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন-এর পদ্ধতি বাইকভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, কোনো বাইকের নিচে(সামনে গিয়ার), কোনো বাইকের উপরে(পেছনে গিয়ার) এবং কোনো বাইকের আবার দুটি মিলিয়েই থাকে। 

নতুন মোটরসাইকেল চালকের ক্ষেত্রে শুরুতে বেশকিছু সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ, বাইক চালানোর সময় একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। সেই সমস্যাগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন অন্যতম। প্রাথমিক অবস্থায় এই কাজটি বেশ কঠিন মনে হয়। কিন্তু মোটরসাইকেলের গিয়ারের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা ও অনুশীলন করার পর এটি বেশ সহজ মনে হবে। 

মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তনের নিয়মাবলী

বেসিক কিছু ধারণাঃ

মোটরসাইকেলের গিয়ার সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের একটু বেসিক কিছু জিনিস জানতে হবে । সেগুলো জানলে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন আপনার কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে ।

থ্রোটল

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন থ্রোটলের সাহায্যে স্টার্ট করা হয়।

ক্লাচ

ক্লাচ আস্তে আস্তে ছেড়ে দিলে বাইক চলতে শুরু করে এবং এটা ধরে রাখলে বাইকের ইঞ্জিন আর কোনো কাজ করে না।

গিয়ার শিফটার

গিয়ার শিফটার ব্যবহার করে আপনি আপনার চয়েজ অনুযায়ী মোটরসাইকেলের গিয়ার কমাতে বা বাড়াতে পারেন।

মোটরসাইকেল গিয়ার লিভার

প্রধানত ২ ধরনের গিয়ার লিভার আমরা দেখতে পাই। প্রথমটি সামনে এবং পেছনে দুইদিকেই পা দিয়ে চাপ দেয়ার ব্যবস্থা আছে। কমিউটার বাইকে এইধরনের লিভার বেশি ব্যবহার হয়। এর একটি অন্যতম সুবিধা হলো জুতায় কোনো দাগ পড়ে না। অপরটি হলো শুধু সামনে চাপ দেয়া যায় এবং গিয়ার উপরে তুলতে হলে জুতো গিয়ার লিভারের নীচে নিয়ে উপরের দিকে চাপ দিতে হয়। সাধারণত স্পোর্টস বাইকগুলোতে এই গিয়ারের ব্যবহার দেখা যায়। এর একটা অসুবিধা হলো জুতোয় দাগ পড়ে যায়। 

গিয়ার পরিবর্তনের প্যাটার্ন

  • 6’th Gear (যদি থাকে) 
  • 5’th Gear
  • 4’th Gear
  • 3’rd Gear
  • 2’nd Gear 
  • Neutral 
  • 1’st Gear

প্রথম গিয়ার পরিবর্তন করার নিয়ম

  • বাইকের ক্লাচটা নিজের দিকে টেনে ধরুন। যে গিয়ারেই থাকুক না কেনো, মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করুন। থ্রোটল চালু করে ইঞ্জিনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শক্তি দিন। ধীরে ধীরে ক্লাচ ছাড়তে থাকুন। থ্রোটল ও ক্লাচ আস্তে আস্তে ছাড়ুন। দুটি কাজই যেন একইসঙ্গে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাহলে বাইকটি আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
  • বাইকটি যখন চলতে শুরু করবে তখন গতি বাড়াতে থ্রোটল বাড়াতে থাকুন এবং বাইক অতিরিক্ত শব্দ করার সাথে সাথে ২য় গিয়ারটি পরিবর্তন করুন। খুব দ্রুত কিংবা দেরিতে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না।
  • এই কাজে যদি আপনি থ্রোটল বেশি দিয়ে ফেলেন বা ক্লাচ একবারেই ছেড়ে দেন , তাহলে বাইকের ইঞ্জিন একটা বাজে শব্দ হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। থ্রোটল আপ করা ও সাথে সাথেই ক্লাচ রিলিজ করাটা খুবই ভালোভাবে শিখে নেওয়া জরুরি।

পরবর্তী গিয়ারগুলো পরিবর্তন করার নিয়ম

  • প্রথম গিয়ারের পর পরবর্তী গিয়ারগুলো পরিবর্তনের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এটি বুঝে বুঝে করতে হবে। ইঞ্জিনের শব্দ যখন অতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে, তখন আস্তে আস্তে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করবেন। প্রতিটি গিয়ারের একটি পয়েন্ট আছে। এরপর বাইকের পিকআপ বাড়ালেও বাইক সেই গিয়ারেই থাকে, তার থেকে বেশি গতি তুলতে পারে না বা ইঞ্জিন আরও বেশি শক্তি কিংবা টর্ক উৎপন্ন করতে পারে না।
  • যদি মোটরসাইকেলের গিয়ার সেই লেভেলে চলে যায়, তাহলে বাইকের মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করে দিতে হবে। তখনও যদি গিয়ার পরিবর্তন না করেন, তবে তা আপনার বাইকের ভেতরের যন্ত্রপাতির ক্ষতির কারণ হবে। এক্ষেত্রে আগেই বুঝতে হবে ইঞ্জিনের এই লেভেলটা আসলে কখন আসে, যখন এক্সেলেরেট করার পরও ইঞ্জিন আর শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না।
  • তবে খুব দ্রুত গিয়ার পরিবর্তন করা ঠিক নয়। এর ফলে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে। যদি ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ লেভেলে যাবার অনেক আগেই মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করেন তাহলে একসময়ে দেখা যাবে ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই সময় বুঝে গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রে বারবার অনুশীলনের প্রয়োজন।

গিয়ার সহজে পরিবর্তন করার কৌশল

প্রায় সব বাইকারই প্রথমবার গিয়ার পরিবর্তন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ক্লাচ দ্রুত ছেড়ে দেবার ফলে বাইকের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। যদি ক্রমাগতভাবে থ্রোটল বাড়াতে থাকেন, মোটরসাইকেলের সামনের চাকা উঁচু হয়ে বাইককে জোরে ঝাঁকি দিতে পারে। তাই মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করার সময় সবসময়ই ক্লাচ ও থ্রোটল একইসাথে ছাড়বেন, এইজন্য আপনাকে যথেষ্ট অনুশীলন করতে হবে, ধীরে ধীরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।

ডাউনশিফট করার নিয়ম

মোটরসাইকেলের গিয়ার ডাউনশিফটের সময় ক্লাচটি প্রথমে চেপে ধরবেন এবং যে গিয়ারে যেতে চাইছেন সেই গিয়ারে শিফট করবেন। এই সময় খেয়াল রাখবেন যেনো থ্রোটল এর পরিমাণও গিয়ার অনুযায়ী কম থাকে, যে গিয়ারে শিফট করছেন সেই গিয়ারে সর্বোচ্চ যতটুকু থ্রোটল প্রয়োজন ততটুকুই ধরবেন, বেশিও না, কমও না। এরপর আস্তে আস্তে ক্লাচ ছাড়বেন। তবে ক্লাচ টেনে ধরে রাখা অবস্থায় ব্রেক করবেন না। কারণ, বাইক যখন লো গিয়ারে চলে যায় তখন খুব স্বাভাবিকভাবে ইঞ্জিনের গতি সেই গিয়ারের লেভেলে চলে আসে, একটা অটোমেটিক ব্রেকিং তৈরি হয়, যাকে ইঞ্জিন ব্রেকিংও বলা হয়ে থাকে।

বাইক পার্কিং-এর  সময় মোটরসাইকেলের গিয়ার-এর  ব্যবহার

 

  • বাইক পার্কিং করার সময় বাইকটি নিউট্রাল (No Gear) করে ফেলুন। কারণ, বাইকটি কোনো গিয়ারে থাকলে হঠাৎ লাফ দিতে পারে। তাই বাইক নিউট্রাল করে পার্ক করাই ব্যাটার।
  • এরপর, আপনি যেখানে বাইকটি রাখবেন সেখানে সুন্দর করে রেখে দিন। তারপর এটার ১ম গিয়ার শিফট করে রাখুন। তাহলে বাইকের চাকা নড়াচড়া করার কোনো অপশন থাকবে না। বাইক পড়ে যাওয়ার কোনো ভয়ও নেই। 

পরিশেষে

ভিন্ন ভিন্ন বাইকে ভিন্ন ধরনের গিয়ার সিস্টেম দেখা যায়। সকল ধরনের গিয়ার সিস্টেমের সাথেই পরিচিতি ও জানা থাকলে, আপনি নতুন কোনো বাইক কিংবা বন্ধুর কোনো বাইক রাইড করতে গিয়ে ঘাবড়াবেন না, আবার জরুরি কোনো অবস্থায়ও আপনি সাহস করে যেকোনো বাইক চালাতে পারবেন। উপরোক্ত আলোচনা ভালো মতো পড়লে ও জেনে রাখলে আশা করি আপনি খুব সহজেই মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে শুধু জানলেই হবে না, চর্চাও করতে হবে সবসময়। অনুশীলনের মাধ্যমে সহজেই গিয়ার পরিবর্তনে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। ভয়কে জয় করুন, মন খুলে রাইড করুন।

A new motorcycle rider has to face several problems in the beginning. Because, while riding a bike, many things have to be done simultaneously. One of those problems is gear shifting on a motorcycle. At first, this task seems quite difficult. But after having a clear idea and practice about the proper use of motorcycle gears, it will seem quite easy.

Motorcycle gear shifting rules

Some basic concepts:

First, we need to know some basic things.

Throttle

The motorcycle engine is started with the help of the throttle.

clutch 

If you release it slowly, the bike starts moving, and if you hold it, the engine of the bike does not work anymore.

Gear shifter 

By using the gear shifter, you have your choice to reduce or increase gear.

Rules for changing first gear

  • Pull the bike clutch towards you. Do Power the engine by opening the throttle forward. Release the throttle and clutch slowly. Make sure that both tasks are done simultaneously. Then, the bike will slowly move forward.

Rules for changing the next gears

  • When engine noise is excessive, slow down gear. Each gear has a point. After that, even if the pickup of the bike is increased, the bike stays in that gear, cannot pick up more speed, or the engine cannot produce more power or torque.

Easy gear-shifting technique

Always release the clutch and throttle simultaneously when shifting. This will take a lot of practice. It will gradually become a habit.

Rules for downshifting

When downshifting, depress the clutch first and shift into the desired gear. At this time, keep in mind that the amount of throttle is also less according to the gear. In the gear you are shifting, take the maximum amount of throttle required.

Bike parking

  • Put the bike in neutral while parking the bike. Because the bike may suddenly jump if it is in any gear.
  • Next, store the bike neatly where you will keep it. Then shift it to 1st gear. Then, there will be no option to move the wheel of the bike. 

Finally

If you read and understand the above discussion well, I hope you can easily change gears anytime. However, it is not only necessary to know but also to practice. With practice, you will get used to changing gears easily. Conquer the fear, and ride with an open mind.

মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন নিয়ে সচরাচর কিছু প্রশ্ন

গিয়ার পরিবর্তনের প্যাটার্ন গুলো কি কি?

6’th Gear (যদি থাকে), 5’th Gear, 4’th Gear, 3’rd Gear, 2’nd Gear, Neutral, 1’st Gear।

মোটরসাইকেলের থ্রোটল কি?

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন থ্রোটলের সাহায্যে স্টার্ট করা হয়।

বাইক পার্কিং-এর সময় কীভাবে মোটরসাইকেলের গিয়ার ব্যবহার করবো?

  • বাইক পার্কিং করার সময় সর্বপ্রথম বাইকটিকে নিউট্রাল (No Gear) করে রাখতে হবে। কারণ, বাইকটি যদি কোনো গিয়ারে দেওয়া থাকে, তবে হঠাৎ লাফ দিতে পারে। তাই বাইক সবসময় নিউট্রাল করে পার্ক করাই ব্যাটার।
  • বাইকটি যথাস্থানে রেখে এর ১ম গিয়ার শিফট করে রাখুন। তাহলে বাইকের চাকা নড়বে না, স্থির হয়ে থাকবে। বাইক পড়ে যাওয়ার কোনো ভয়ও নেই।

মোটরসাইকেলের গিয়ার

মোটরসাইকেল রাইডিং-এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ হলো মোটরসাইকেলের গিয়ার। মোটরসাইকেলের গতি কম-বেশি করার জন্য থ্রোটলের পাশাপাশি মোটরসাইকেলের গিয়ারের সঠিক ব্যবহারও মুখ্য। মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন-এর পদ্ধতি বাইকভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে, কোনো বাইকের নিচে(সামনে গিয়ার), কোনো বাইকের উপরে(পেছনে গিয়ার) এবং কোনো বাইকের আবার দুটি মিলিয়েই থাকে। 

নতুন মোটরসাইকেল চালকের ক্ষেত্রে শুরুতে বেশকিছু সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ, বাইক চালানোর সময় একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে হয়। সেই সমস্যাগুলোর মধ্যে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন অন্যতম। প্রাথমিক অবস্থায় এই কাজটি বেশ কঠিন মনে হয়। কিন্তু মোটরসাইকেলের গিয়ারের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা ও অনুশীলন করার পর এটি বেশ সহজ মনে হবে। 

মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তনের নিয়মাবলী

বেসিক কিছু ধারণাঃ

মোটরসাইকেলের গিয়ার সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের একটু বেসিক কিছু জিনিস জানতে হবে । সেগুলো জানলে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন আপনার কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে ।

থ্রোটল

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন থ্রোটলের সাহায্যে স্টার্ট করা হয়।

ক্লাচ

ক্লাচ আস্তে আস্তে ছেড়ে দিলে বাইক চলতে শুরু করে এবং এটা ধরে রাখলে বাইকের ইঞ্জিন আর কোনো কাজ করে না।

গিয়ার শিফটার

গিয়ার শিফটার ব্যবহার করে আপনি আপনার চয়েজ অনুযায়ী মোটরসাইকেলের গিয়ার কমাতে বা বাড়াতে পারেন।

মোটরসাইকেল গিয়ার লিভার

প্রধানত ২ ধরনের গিয়ার লিভার আমরা দেখতে পাই। প্রথমটি সামনে এবং পেছনে দুইদিকেই পা দিয়ে চাপ দেয়ার ব্যবস্থা আছে। কমিউটার বাইকে এইধরনের লিভার বেশি ব্যবহার হয়। এর একটি অন্যতম সুবিধা হলো জুতায় কোনো দাগ পড়ে না। অপরটি হলো শুধু সামনে চাপ দেয়া যায় এবং গিয়ার উপরে তুলতে হলে জুতো গিয়ার লিভারের নীচে নিয়ে উপরের দিকে চাপ দিতে হয়। সাধারণত স্পোর্টস বাইকগুলোতে এই গিয়ারের ব্যবহার দেখা যায়। এর একটা অসুবিধা হলো জুতোয় দাগ পড়ে যায়। 

গিয়ার পরিবর্তনের প্যাটার্ন

  • 6’th Gear (যদি থাকে) 
  • 5’th Gear
  • 4’th Gear
  • 3’rd Gear
  • 2’nd Gear 
  • Neutral 
  • 1’st Gear

প্রথম গিয়ার পরিবর্তন করার নিয়ম

  • বাইকের ক্লাচটা নিজের দিকে টেনে ধরুন। যে গিয়ারেই থাকুক না কেনো, মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করুন। থ্রোটল চালু করে ইঞ্জিনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শক্তি দিন। ধীরে ধীরে ক্লাচ ছাড়তে থাকুন। থ্রোটল ও ক্লাচ আস্তে আস্তে ছাড়ুন। দুটি কাজই যেন একইসঙ্গে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাহলে বাইকটি আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
  • বাইকটি যখন চলতে শুরু করবে তখন গতি বাড়াতে থ্রোটল বাড়াতে থাকুন এবং বাইক অতিরিক্ত শব্দ করার সাথে সাথে ২য় গিয়ারটি পরিবর্তন করুন। খুব দ্রুত কিংবা দেরিতে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না।
  • এই কাজে যদি আপনি থ্রোটল বেশি দিয়ে ফেলেন বা ক্লাচ একবারেই ছেড়ে দেন , তাহলে বাইকের ইঞ্জিন একটা বাজে শব্দ হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। থ্রোটল আপ করা ও সাথে সাথেই ক্লাচ রিলিজ করাটা খুবই ভালোভাবে শিখে নেওয়া জরুরি।

পরবর্তী গিয়ারগুলো পরিবর্তন করার নিয়ম

  • প্রথম গিয়ারের পর পরবর্তী গিয়ারগুলো পরিবর্তনের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। এটি বুঝে বুঝে করতে হবে। ইঞ্জিনের শব্দ যখন অতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে, তখন আস্তে আস্তে মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করবেন। প্রতিটি গিয়ারের একটি পয়েন্ট আছে। এরপর বাইকের পিকআপ বাড়ালেও বাইক সেই গিয়ারেই থাকে, তার থেকে বেশি গতি তুলতে পারে না বা ইঞ্জিন আরও বেশি শক্তি কিংবা টর্ক উৎপন্ন করতে পারে না।
  • যদি মোটরসাইকেলের গিয়ার সেই লেভেলে চলে যায়, তাহলে বাইকের মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করে দিতে হবে। তখনও যদি গিয়ার পরিবর্তন না করেন, তবে তা আপনার বাইকের ভেতরের যন্ত্রপাতির ক্ষতির কারণ হবে। এক্ষেত্রে আগেই বুঝতে হবে ইঞ্জিনের এই লেভেলটা আসলে কখন আসে, যখন এক্সেলেরেট করার পরও ইঞ্জিন আর শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না।
  • তবে খুব দ্রুত গিয়ার পরিবর্তন করা ঠিক নয়। এর ফলে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে। যদি ইঞ্জিনের সর্বোচ্চ লেভেলে যাবার অনেক আগেই মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করেন তাহলে একসময়ে দেখা যাবে ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই সময় বুঝে গিয়ার পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রে বারবার অনুশীলনের প্রয়োজন।

গিয়ার সহজে পরিবর্তন করার কৌশল

প্রায় সব বাইকারই প্রথমবার গিয়ার পরিবর্তন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যান। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, ক্লাচ দ্রুত ছেড়ে দেবার ফলে বাইকের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। যদি ক্রমাগতভাবে থ্রোটল বাড়াতে থাকেন, মোটরসাইকেলের সামনের চাকা উঁচু হয়ে বাইককে জোরে ঝাঁকি দিতে পারে। তাই মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করার সময় সবসময়ই ক্লাচ ও থ্রোটল একইসাথে ছাড়বেন, এইজন্য আপনাকে যথেষ্ট অনুশীলন করতে হবে, ধীরে ধীরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে।

ডাউনশিফট করার নিয়ম

মোটরসাইকেলের গিয়ার ডাউনশিফটের সময় ক্লাচটি প্রথমে চেপে ধরবেন এবং যে গিয়ারে যেতে চাইছেন সেই গিয়ারে শিফট করবেন। এই সময় খেয়াল রাখবেন যেনো থ্রোটল এর পরিমাণও গিয়ার অনুযায়ী কম থাকে, যে গিয়ারে শিফট করছেন সেই গিয়ারে সর্বোচ্চ যতটুকু থ্রোটল প্রয়োজন ততটুকুই ধরবেন, বেশিও না, কমও না। এরপর আস্তে আস্তে ক্লাচ ছাড়বেন। তবে ক্লাচ টেনে ধরে রাখা অবস্থায় ব্রেক করবেন না। কারণ, বাইক যখন লো গিয়ারে চলে যায় তখন খুব স্বাভাবিকভাবে ইঞ্জিনের গতি সেই গিয়ারের লেভেলে চলে আসে, একটা অটোমেটিক ব্রেকিং তৈরি হয়, যাকে ইঞ্জিন ব্রেকিংও বলা হয়ে থাকে।

বাইক পার্কিং-এর  সময় মোটরসাইকেলের গিয়ার-এর  ব্যবহার

 

  • বাইক পার্কিং করার সময় বাইকটি নিউট্রাল (No Gear) করে ফেলুন। কারণ, বাইকটি কোনো গিয়ারে থাকলে হঠাৎ লাফ দিতে পারে। তাই বাইক নিউট্রাল করে পার্ক করাই ব্যাটার।
  • এরপর, আপনি যেখানে বাইকটি রাখবেন সেখানে সুন্দর করে রেখে দিন। তারপর এটার ১ম গিয়ার শিফট করে রাখুন। তাহলে বাইকের চাকা নড়াচড়া করার কোনো অপশন থাকবে না। বাইক পড়ে যাওয়ার কোনো ভয়ও নেই। 

পরিশেষে

ভিন্ন ভিন্ন বাইকে ভিন্ন ধরনের গিয়ার সিস্টেম দেখা যায়। সকল ধরনের গিয়ার সিস্টেমের সাথেই পরিচিতি ও জানা থাকলে, আপনি নতুন কোনো বাইক কিংবা বন্ধুর কোনো বাইক রাইড করতে গিয়ে ঘাবড়াবেন না, আবার জরুরি কোনো অবস্থায়ও আপনি সাহস করে যেকোনো বাইক চালাতে পারবেন। উপরোক্ত আলোচনা ভালো মতো পড়লে ও জেনে রাখলে আশা করি আপনি খুব সহজেই মোটরসাইকেলের গিয়ার পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে শুধু জানলেই হবে না, চর্চাও করতে হবে সবসময়। অনুশীলনের মাধ্যমে সহজেই গিয়ার পরিবর্তনে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। ভয়কে জয় করুন, মন খুলে রাইড করুন।

Similar Advices

Buy New Bikesbikroy
TVS Metro Plus 2024 for Sale

TVS Metro Plus 2024

0 km
MEMBER
Tk 115,000
8 hours ago
Bajaj Vespa vaspa t5 2000 for Sale

Bajaj Vespa vaspa t5 2000

5,000 km
MEMBER
Tk 60,000
10 hours ago
Bajaj Boxer bajan 1995 for Sale

Bajaj Boxer bajan 1995

40 km
MEMBER
Tk 14,000
12 hours ago
Bajaj Pulsar 150 DD Abs 2022 for Sale

Bajaj Pulsar 150 DD Abs 2022

3,100 km
verified MEMBER
verified
Tk 185,000
1 day ago
Suzuki Gixxer Fi Dixe 2024 for Sale

Suzuki Gixxer Fi Dixe 2024

2,700 km
verified MEMBER
verified
Tk 225,000
1 day ago
Buy Used Bikesbikroy
Bajaj Byk 2005 for Sale

Bajaj Byk 2005

30,000 km
MEMBER
Tk 35,000
30 seconds ago
Hero Splendor 2004 for Sale

Hero Splendor 2004

80,000 km
MEMBER
Tk 30,000
2 minutes ago
TVS XL 100 2020 for Sale

TVS XL 100 2020

40,000 km
MEMBER
Tk 30,000
8 minutes ago
TVS Raider 125 Red 2019 for Sale

TVS Raider 125 Red 2019

2,000 km
MEMBER
Tk 68,500
11 minutes ago
Hero Passion 2011 for Sale

Hero Passion 2011

60,000 km
MEMBER
Tk 20,000
14 minutes ago
+ Post an ad on Bikroy