৫ টি ফিউশন মোটরবাইক সম্পর্কে আলোচনা
ফিউশন মোটরবাইকগুলো কর্মদক্ষতা, সক্ষমতা এবং ট্রেইলে নির্ভরযোগ্যতার একটা নিখুঁত মিশ্রণ। এই মোটরবাইকগুলোর হ্যান্ডলিং বৈশিষ্ট্য এবং আরামদায়ক সিটিং আপনাকে সুন্দর রাইড উপভোগ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও ফিউশন বাইকের প্রতি ইদানিং তরুণদের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে, যে কারণে বাংলাদেশ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ফিউশন বাইকের উৎপাদন ও ব্যবহার বেড়েছে।
৫ টি ফিউশন মোটরবাইক সম্পর্কে আলোচনা
বাংলাদেশে ফিউশন বাইক নির্মাতাদের মধ্যে জনপ্রিয় কোম্পানি হচ্ছে “ওয়ালটন”। এছাড়াও আরও কিছু ফিউশন বাইক আছে, যা শুধু বাংলাদেশে না, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ দাপটের সাথেই এগিয়ে চলেছে। এসকল বাইকের দাম তুলনামূলক কম, অন্যতম সুবিধা হলো জ্বালানি সাশ্রয়ী। এছাড়াও বাইকগুলোতে আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে। আজ আলোকপাত করা হবে ৫ টি ফিউশন মোটরবাইক-নিয়ে। আশা করি, BikesGuide-এর আজকের ব্লগ পড়ে জেনে নিতে পারবেন ৫ টি ফিউশন মোটরবাইক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
ওয়ালটন ফিউশন ১১০ এক্স
এই বাইকটি তরুণ রাইডারদের পাশাপাশি যারা ফুয়েল খরচ এবং পারফরম্যান্সের মাঝে একটি ব্যালেন্স চান কিংবা শহরে নিয়মিত আরামদায়ক কমিউটিং এক্সপেরিয়েন্স চান, তাদের প্রথম পছন্দ হতে পারে।
বাইকটিতে রয়েছে ৪ স্ট্রোকের সিঙ্গেল সিলিডারে ১১০ সিসির এয়ার কুলড ইঞ্জিন যা ৮০০০ আরপিএমে বাইকটি ৬.৯০ বিএইচপি শক্তি উৎপাদন করতে পারে, সেই সাথে ৬০০০ আরপিএমে বাইকটির সর্বোচ্চ টর্ক ৭.৩০ এনএম। মোটরসাইকেলের সামনের অংশে ২.৭৫-১৭ টায়ার সহ ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ৩.০০-১৭ টায়ার সহ ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সামনে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন, ১০৫ মিমি স্ট্রোক ও পেছনের সাসপেনশন টুইন শক সাসপেনশন। এর ফলে শহুরে রাস্তা উভয় ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় ব্যালেন্ড রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স।
বাংলাদেশে ওয়ালটন ১১০ ফিউশন মোটরবাইক-এর দাম ২৩,৯০০/- টাকা।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ওয়ালটন ফিউশন ১১০ এক্স রিভিউ
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এক্স
ওয়ালটন তাদের বাইকে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে স্টাইল, আউটলুক, ইঞ্জিন এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের বৈচিত্র্য ব্যবহার করে, এর পারফেক্ট উদাহরণ হিসেবে আছে ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এক্স।
এই বাইকটিতে ১২৫ সিসি ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুলড ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে। এর ইগনিশন সিস্টেম হল CDI, ইঞ্জিনটি ১১.৯০ বিএইচপি সর্বোচ্চ শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। বাইকের সামনের চাকায় আছে ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম। অন্যদিকে রিয়ার ব্রেকের ক্ষেত্রে ড্রাম ব্রেক রয়েছে। চাকায় নিদিষ্ট পরিমান হাওয়া দিয়ে বাইক রাইড করলে ব্রেকিং এ অনেক ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়। ফ্রন্ট সাসপেশনে টেলিস্কোপিক ও রিয়ার সাসপেশন টুইন শকস রয়েছে। ভাংগা রাস্তায় বাইকটির পেছনের সাসপেনশন দারুন সাপোর্ট দেয়।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এক্স রিভিউ
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫
সাশ্রয়ী মূল্যে মোটরবাইক কিনতে চাইলে এই বাইক খুব ভালো একটা পছন্দ হতে পারে, তবে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে কিছুটা সমস্যা আছে।
এই বাইকটিতে ১২৫ সিসি ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুলড ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে। ইঞ্জিনটি ১১.৯০ বিএইচপি সর্বোচ্চ শক্তি উৎপন্ন করতে পারে। বাইকটির ফ্রন্ট সাসপেশনে টেলিস্কোপিক ও রিয়ার সাসপেশন টুইন শকস রয়েছে। বাইকটির সামনে ডিস্ক ব্রেক ও পিছনে ড্রাম ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটির টপ স্পিড ১০০ কিমি/ঘন্টা। বাইকটি প্রতি লিটার জ্বালানিতে এটি ৪৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম।
বাংলাদেশে ওয়ালটন ফিউশন মোটরবাইক-এর দাম ২৩,৯০০/- টাকা।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ওয়ালটন ফিউশন ১২৫
ওয়ালটন ফিউশন ১১০
১১০ সিসি-র একটি ফিউশন বাইক, যা ফিউশন ১১০ এক্স-এর মতোই, তবে কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়।
বাইকটি্র একটি শক্তিশালী সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুলড, ৪-স্ট্রোক ১০৭ সিসির CDI (Spark) ইঞ্জিন আছে। এই ইঞ্জিন ৮০০০ আরপিএম-এ ৫.২ বিএইচপি সর্বোচ্চ শক্তি এবং ৬০০০ আরপিএম-এ ৭.৩০ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। বাইকটির ফ্রন্ট সাসপেশনে টেলিস্কোপিক ও রিয়ার সাসপেশন টুইন শকস রয়েছে। এটির সামনের চাকায় ২.৭৫-১৭ সহ হাইড্রোলিক ব্রেক ও পিছনের চাকায় ৩.০-১৭ সাইজের টায়ার সহ ড্রাম ব্রেক সেটআপ দেওয়া আছে।
বাংলাদেশে ওয়ালটন ১১০ ফিউশন মোটরবাইক-এর দাম ৭৬,৯৫০/- টাকা।
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এনএক্স
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এনএক্স পারফরম্যান্স এবং ফিচার্সের মিশ্রণে একটি অসাধারণ বাইক। ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এনএক্স বাইক অভিজ্ঞ রাইডার এবং যারা প্রথমবার রাস্তায় নেভিগেট করছে উভয়ের জন্যই উপযুক্ত।
এই বাইকে রয়েছে একটি ১২৩ সিসির এয়ার কুল্ড ইঞ্জিন, যেটি ৪ স্ট্রোক এবং SOHC বিশিষ্ট যা ৮০০০ আরপিএম এ ৯.০০ কিলোওয়াট ম্যাক্স পাওয়ার উৎপন্ন করতে সক্ষম এবং ৬৫০০ আরপিএম এ ৯.৫ নিউটন মিটার ম্যাক্স টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। বাইকটির সামনের দিকে রয়েছে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং পেছনে রয়েছে সুইং আর্ম সাসপেনশন। ভাঙ্গা রাস্তায় এই সাসপেনশনের ফিডব্যাক বেশ ভালো। এর সামনের চাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের চাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে ড্রাম ব্রেক।
বাংলাদেশে ওয়ালটন ১২৫ এনএক্স ফিউশন মোটরবাইক-এর দাম ১০৫,০০০/- টাকা।
পরিশেষে
আমরা চেষ্টা করেছি ৫ টি ফিউশন মোটরবাইক সম্পর্কে আলোচনা ও বেসিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন তুলে ধরার। জানার জন্য রিভিউ-এর লিংক দেওয়া হয়েছে, আশা করি এতে আপনারা খুব সহজেই বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারবেন। বিভিন্ন রেঞ্জের ফিউশন মোটরবাইকের দাম জানতে ভিজিট করুন – ফিউশন মোটরসাইকেলের দাম। এছাড়াও মার্কেটে অন্যান্য বাইকের দাম জানতে ব্রাউজ করুন Bikroy এ।
Discussion about 5 Fusion Motorbikes
Among the fusion bike manufacturers in Bangladesh, a popular company is “Walton”. There are also some other fusion bikes, which are going strong not only in Bangladesh but also in different countries of the world. The price of these bikes is relatively low, and one of the advantages is fuel efficiency. Also, the bikes have all the modern facilities.
Walton Fusion 110X
The bike is powered by a 4-stroke, single-cylinder 110-cc air-cooled engine that produces 6.90 bhp of power at 8000 rpm along with a peak torque of 7.30 Nm at 6000 rpm. The motorcycle has disc brakes with 2.75-17 tires at the front and 3.00-17 tires at the rear with a drum brake. The front suspension is telescopic, and the rear suspension is a twin shock suspension.
Walton Fusion 125 EX
This bike uses a 125-cc 4-stroke, single-cylinder, air-cooled engine. Its ignition system is CDI, and the engine can produce a maximum power of 11.90 bhp. The front wheel of the bike has a disc braking system. On the other hand, the rear brake has a drum brake. Riding the bike with a certain amount of air in the wheels gives much better feedback when braking. The front suspension consists of a telescopic, and the rear suspension has twin shocks. The bike’s rear suspension provides great support on bumpy roads.
Walton Fusion 125
This bike uses a 125-cc 4-stroke, single-cylinder, air-cooled engine. The engine can produce a maximum power of 11.90 bhp. The bike has a telescopic front and rear suspension with twin shocks. The bike uses disc brakes in the front and a drum brake system in the rear. The top speed of the motorcycle is 100 km/h. The bike is capable of covering 45 kilometers per litre of fuel.
Walton Fusion 110
The bike has a powerful single-cylinder, air-cooled, 4-stroke 107 cc CDI (Spark) engine. This engine can produce 5.2 bhp of peak power at 8000 rpm and 7.30 Nm of peak torque at 6000 rpm. The bike has telescopic front and rear suspension with twin shocks. It has 2.75-17 tires on the front wheels with hydraulic brakes and 3.0-17 tires on the rear wheels with a drum brake.
Walton Fusion 125 NX
This bike has a 123 cc air-cooled engine, which is 4 stroke and SOHC capable of producing 9.00 KW max power at 8000 rpm and 9.5 Nm max torque at 6500 rpm. The bike has telescopic suspension at the front and swing arm suspension at the rear. The feedback of this suspension on broken roads is quite good. It has single-disc brakes on the front wheels and drum brakes on the rear wheels.
Finally
We tried to discuss 5 Fusion motorcycles and highlight some basic and important information. We hope you will be able to learn about the bike’s detailed information by visiting our links.
৫ টি ফিউশন মোটরবাইক নিয়ে সচরাচর কিছু জিজ্ঞাসা
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এনএক্স-বাইকের মাইলেজ কতো?
প্রতি লিটার জ্বালানিতে গড়ে প্রায় ৫১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম।
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এনএক্স-বাইকটির ওজন কেমন?
১২২ কেজি।
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫ এক্স-এর টায়ার এর সাইজ কেমন?
মোটরসাইকেলের সামনের অংশে ২.৭৫-১৭” এবং পিছনে ৩.০০-১৭” টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে।
ওয়ালটন ফিউশন ১২৫-এর সাসপেনশন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?
বাইকটির ফ্রন্ট সাসপেশনে টেলিস্কোপিক ও রিয়ার সাসপেশন টুইন শকস রয়েছে।
ওয়ালটন ফিউশন ১১০-এ কোন ধরণের কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে?
বাইকটির ইঞ্জিন-এ এয়ার কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।