বাংলাদেশের সেরা ৫ টি ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
বাংলাদেশের বাইকের বাজার সব বয়সের গ্রাহকের কথা বিবেচনা করেই গড়ে উঠেছে। বাইকের ফিচারস এবং পারফরম্যান্স নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা করতে দেখা যায় তরুণ রাইডারদের মাঝে। আর এই বাইক প্রেমী রাইডারদের জন্যই বাইকের বাজারে সমৃদ্ধি পাচ্ছে ১৬০ সিসি মোটরসাইকেলগুলো। কমিউটিং সার্ভিসের পাশাপাশি স্পোর্টস বাইকের ফিচারস থাকায় তরুণ বাইক প্রেমী সকলে সহজেই এই ক্যাটাগরির বাইকগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর সেজন্য আজকে আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশের বাইকের বাজার মাতিয়ে বেড়াচ্ছে এমন সেরা ৫ টি ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল সম্পর্কে।
বাংলাদেশের সেরা ৫ টি ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল
Bajaj Pulsar NS160
বাজাজের এই স্পোর্টস বাইকটিতে ৪-স্ট্রোকের সিঙ্গেল সিলিন্ডার এবং অয়েল কুলড ইঞ্জিনের সাথে পাচ্ছেন লিটারে ৪০ কিলোমিটারের বিশাল মাইলেজ। সাধারণত স্পোর্টস বাইকগুলোতে এমন মাইলেজ পাওয়া যায় না। কিন্তু বাজাজের এই নেকেড স্পোর্টস বাইকটিতে এর সাথে পাচ্ছেন টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট এবং মনোশক রেয়ার সাসপেনশন, যা নিশ্চিত করতে উঁচু নিচু রাস্তায় স্মুথ রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স। ৫ স্পিডের ম্যানুয়াল গিয়ার এবং মাল্টিপ্লেট ওয়েট ক্লাচের কারণে বাইকটির গতি বেশ সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর বাইকটিতে আপনি পাবেন ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটারের গতি। বাইকের ফিচারস এর মধ্যে একটি বাজে দিক হলো এতে কোন এবিএস ব্রেকিং নেই। তবে এর সামনের ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক এর তাৎক্ষণিক গতি নিয়ন্ত্রণে বেশ ভালোই সহায়তা করতে পারে। বাইকটির কনসোল প্যানেলের সকল ফিচারই বেশ আধুনিক, যা স্পোর্টস বাইক প্রেমী সকলের জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট। তাই যারা কমিউটিং এবং স্পোর্টস এই দুই সার্ভিস একসাথে পেতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই Bajaj Pulsar NS160 বিবেচনায় রাখতে পারেন।
Yamaha FZ S16
ঘন্টায় ১১৫ কিলোমিটারের সর্বোচ্চ গতি এবং প্রতি লিটারে ৩৫ কিলোমিটারের মাইলেজ নিয়ে Yamaha FZ S16 বাইক প্রেমী সকলের সুনজরে রয়েছে এর আধুনিক সকল ফিচারের জন্য। বাইকের ফিচারস এর মধ্যে রয়েছে টেলিস্কোপিক এবং মনোশক সাসপেনশন, সাথে মানান সই ডিস্ক ও ড্রাম ব্রেক। তবে বাইকটিতে কোন এবিএস ব্রেকিং সিস্টেমের ব্যবহার নেই। তবে বাইকটিতে রয়েছে ৫ স্পিডের ম্যানুয়াল গিয়ার এবং ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচ, যা দিয়ে বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে নিশ্চয়তার সাথেই। বাইকের বাজারে ইয়ামাহার সুনাম রয়েছে এর লুক এবং পারফরম্যান্সের জন্য। সেই বিবেচনায় তরুণ বাইক প্রেমী সকলে এর থেকে যথাযথ সার্ভিস পাবে বলেই আশা করা যায়। তাই যারা বাজেটের ভিতর স্পোর্টস বাইকের স্বাদ নিতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য Yamaha FZ S16 পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে।
Honda CB Hornet 160R CBS
পারফরম্যান্স এবং সার্ভিস বিবেচনায় কোনো দিক থেকেই কম দেয়া হয়নি Honda CB Hornet 160R CBS বাইকটিতে। এয়ার কুল্ড, ৪ স্ট্রোক, এসআই ইঞ্জিন আপনাকে দিবে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারের গতি। আর সেই সাথে প্রতি লিটারে ৪০ কিলোমিটারের মাইলেজ। স্পোর্টস বাইকে এমন মাইলেজ খুব কমই দেখা যায়। তবে বাইকটির কিলার লুক একে এক কথায় অনন্য করে তুলেছে। বাইকের ফিচারস অনুযায়ী এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড বাইক বলা চলে। কারণ এতে স্পোর্টস এবং কমিউটিং দুই ক্যাটাগরির সার্ভিস পাওয়া সম্ভব। এই বাইকটির বিশেষ আকর্ষন হলো এতে ব্যবহার হয়েছে সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম। এর ফলে বাইকটির কন্ট্রোলিং হয়েছে আরও নির্ভরযোগ্য। বাইক প্রেমী হিসেবে এটি সকলেরই পছন্দের জায়গা দখল করে নিয়েছে। বাংলাদেশের বাইকের বাজার বিবেচনায় Honda CB Hornet 160R CBS বাইকটি বিবেচনায় অবশ্যই রাখা উচিৎ।
Honda X-Blade 160
এগ্রেসিভ লুকের Honda X-Blade 160 বাইকের বাজারে সকলের মন জয় করে নিয়েছে এর দারুণ সব ফিচারস এবং সার্ভিসের কারণে। স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির এই বাইকটিতে আপনি পাচ্ছেন শক্তিশালী ৪ স্ট্রোকের এসআই, বিএস-ভিআই ইঞ্জিন যা দিবে একটি ১৬০ সিসি বাইকের জন্য সেরা পারফরম্যান্স। এর এয়ার কুলিং সিস্টেম বাইকের পারফরম্যান্স ব্যালেন্স করার জন্য যথেষ্ট। বাইকটির বিশেষ দিক হলো এর মাইলেজ। এতে আছে লিটারে ৪৫ কিলোমিটারের সুবিশাল মাইলেজ, যার জন্য সকল বাইক প্রেমী একে পছন্দের তালিকার উপরের দিকে স্থান দিচ্ছে। সেই সাথে এতে থাকছে ঘন্টায় ১২৫ কিলোমিটারের সর্বোচ্চ গতি। আর এই গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এতে রয়েছে ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম। সেই সাথে টেইস্কোপিক এবং হাইড্রলিক মনোশক সাসপেনশন। সবদিক বিবেচনায় বাংলাদেশের বাইকের বাজার মাতিয়ে বেড়ানোর জন্য Honda X-Blade 160 বাইকটিতে পর্যাপ্ত গুণাবলী রয়েছে।
TVS Apache RTR 160 4V
লিটারে ৩৫ কিলোমিটারের মাইলেজ এবং ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারের সর্বোচ্চ গতি নিয়ে TVS Apache RTR 160 4V বাইকের বাজারে আলোড়ন তৈরি করেছে এর লুক এবং সাশ্রয়ী দামের জন্য। যারা বাজেটের ভিতর ১৬০ সিসির কমিউটিং বাইক চাচ্ছেন এবং সেই সাথে স্পোর্টস বাইকের সকল ফিচারও উপভোগ করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই বাইকটি অবশ্যই বিবেচনা করে দেখা উচিৎ। কার্বুরেটেড ফুয়েল সাপ্লাইয়ের পাশাপাশি এতে পাচ্ছেন টেলিস্কোপিক এবং মনোশক সাসপেনশন। বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে এতে ব্যবহার হয়েছে সিঙ্গেল ডিস্ক এবং ড্রাম ব্রেক যা বাইকের ফিচারস যথেষ্ট বলা যায়। এর সম্পুর্ণ ডিজিটাল কনসোল প্যানেল বাইক প্রেমী সকলকেই আকৃষ্ট করেছে। সেই সাথে এর বিশেষ ফিচার হলো, এতে থাকছে ইঞ্জিন কিল সুইচ, যেটি অবশ্যই একটি প্লাস পয়েন্ট। সবদিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশের বাইকের বাজার হিসেবে TVS Apache RTR 160 4V অবশ্যই একটি ভালো ডিল হতে পারে।
বাংলাদেশের বাইকের বাজার হিসেবে ১৬০ সিসির বাইকগুলো সাশ্রয়ী দামে দিতে পারছে দারুণ সব ফিচারস। সেই সাথে স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির সকল বাইক নজর কাড়ছে বাইক প্রেমী জনগোষ্ঠীর মাঝে। দাম এবং পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে উপরের ৫টি বাইক অবশ্যই পছন্দের প্রথম সারিতে রাখতে পারেন।
১৬০ সিসি বাইকসহ যেকোনো বাইক বা স্কুটার সম্পর্কিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন বাইকস গাইড। এখানে আপনি নানান বাইকের রিভিউ, স্পেসিফিকেশন, ফিচারস এবং আরো বিভিন্ন তথ্য পাবেন। বাংলাদেশে ১৬০ সিসি বাইকসহ অন্যান্য বাইক বা স্কুটার এবং নতুন বা পুরোনো যেকোনো মোটরসাইকেলের দাম জানতে হলে চোখ রাখুন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাইকের বাজার Bikroy-এ।
In the bustling motorcycle market of Bangladesh, the 160cc segment is fiercely competitive, with each model vying for the attention of riders looking for a blend of performance, style, and practicality. Among the contenders, the Bajaj Pulsar NS 160, Yamaha FZs, Honda CB Hornet 160R CBS, Honda X-Blade 160 FI BS6, and TVS Apache RTR 160 4V stand out for their unique offerings.
The Bajaj Pulsar NS 160 is a robust entry with its aggressive naked sports bike aesthetics and a 160cc engine that churns out 15.3 bhp. It’s designed to deliver a punchy performance with a top speed of 135 km/h, and its perimeter frame ensures a stable ride. The Pulsar NS 160 is tailored for riders who crave a sporty look and feel without compromising the comfort needed for daily commutes.
Yamaha’s FZs series, inspired by the larger FZ1, brings a street-naked charm to the segment. The FZs is powered by a 153cc engine, producing 13.80 Bhp of power with 115 Kmph top speed. Its muscular stance, wide rear tire, and substantial front shocks enhance its road presence and handling dynamics. The digital instrument console adds a modern touch to the bike’s overall design.
The Honda CB Hornet 160R CBS is another strong contender, boasting a 160cc engine with 15.09 BHP and 14.76 NM of torque. It’s equipped with Combined Braking System (CBS) for improved safety and offers a respectable mileage of 40 kmpl. The Hornet is a blend of aggressive design and practical features like tubeless tires and a digital instrument cluster, making it a well-rounded option.
The Honda X-Blade 160 FI BS6 is an upcoming model that promises cutting-edge design and technology. It’s expected to cater to riders who prioritize futuristic styling and fuel efficiency, with the added benefits of Honda’s reliability and service network.
Lastly, the TVS Apache RTR 160 4V draws from its racing lineage, offering a high-performance engine and oil cooling, a rarity in this segment. Despite its racing credentials, it remains practical for everyday use with features like TVS Smart Connect.
Each of these motorcycles has its own set of pros and cons. Still, they all share the goal of providing an exhilarating riding experience while being suitable for the daily demands of Bangladeshi riders. Whether it’s for the daily commute, weekend rides, or occasional long journeys, these bikes offer a compelling mix of features that cater to a wide range of preferences and riding styles.
সাধারণ প্রশ্ন উত্তর
১৬০ সিসির মোটরবাইকে কেমন মাইলেজ পাওয়া যায়?
১৬০ সিসির মোটরবাইকগুলোতে সচরাচর লিটারে ৪০-৪৫ কিলোমিটারের মাইলেজ পাওয়া যায়।
১৬০ সিসির বাইকে কি ইলেকট্রিক এবং কিক স্টার্ট থাকে?
১৬০ সিসির বাইকগুলোতে সাধারণত ইলেকট্রিক এবং কিক স্টার্ট উভয়ই দেখা যায়।
১৬০ সিসির মোটরবাইকে প্রধান ব্রেকিং ফিচার কী?
সাধারণত ১৬০ সিসির বাইকে সিবিএস ব্রেকিং বেশি দেখা যায়। ক্ষেত্র বিশেষে এবিএস ব্রেকিং সিস্টেমের ব্যবহারও আছে।
১৬০ সিসির মোটরবাইকে কোন ধরণের টায়ারের ব্যবহার হয়?
বর্তমানে ১৬০ সিসির বাইকগুলোতে সচরাচর টিউবলেস টায়ারের ব্যবহার দেখা যায়।
ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড নাকি কার্বুরেটেড, কোন ধরণের ইঞ্জিনে সুবিধা বেশি?
ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড ইঞ্জিনে ফুয়েল এফিশিয়েন্সি এবং রেসপন্স ভালো পাওয়া যায়। অপরদিকে কার্বুরেটেড ইঞ্জিনের দাম কম হলেও, এর মেরামতে তুলনামূলক বেশি খরচ হয়।