Hero Splendor iSmart – রিভিউ, দাম, ফিচার, স্পেক, ও অন্যান্য

What's on this page

Hero (হিরো) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড। বিশ্বব্যাপী এই বাইক ব্র্যান্ডের সুনাম রয়েছে। Hero MotoCorp Limited একটি ভারতীয় মাল্টিন্যাশনাল মোটরসাইকেল এবং স্কুটার নির্মাতা কোম্পানি। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি। ২০২১ সালের আপডেট অনুযায়ী ভারতে এটির প্রায় ৩৫% এর বেশি মার্কেট শেয়ার রয়েছে৷ ইনোভেটিভ আইডিয়ার সাথে উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয় হিরো মোটরসাইকেলকে শীর্ষ কাতারে রেখেছে। বিভিন্ন বাইক সম্পর্কিত রিভিউ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রাহকরা হিরো মোটরসাইকেলের পারফরম্যান্সে খুবই সন্তুষ্ট। এই ব্লগে হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট রিভিউ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশেও হিরো কোম্পানির বিপুল পরিমাণ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। ১০০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে হিরো কোম্পানি Hero Splendor iSmart বাজারে এনেছিল ২০১৪ সালে। বাজারে আনার সাথে সাথে এই বাইকের ইনোভেটিভ ডিজাইন এবং স্টাইল সবার মন জয় করে নিয়েছিল। ১০০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট বাইক দেশের মার্কেটে এখনো গ্রাহক জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
বাংলাদেশে শহরাঞ্চলের যানজট, গণপরিবহন সমস্যার কারণে মানুষ এখন দ্রুত যোগাযোগের জন্য মোটরসাইকেলের দিকে ঝুঁকছে। হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট একটি দুর্দান্ত মানের কমিউটার বাইক। শহরে বা গ্রামাঞ্চলে যেকোন রাস্তায় চলাচলের জন্য এই বাইক খুবই উপযোগী। এই ব্লগে Hero Splendor iSmart – রিভিউ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Hero Splendor iSmart
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট একটি ১০০ সিসি’র কমিউটার বাইক। এটি দেখতে অনেকটা ছোট স্পোর্টস বাইকের মতো। বাইকারদের রিভিউ অনুযায়ী ১০০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে এই বাইকটির ডিজাইন সবচেয়ে সুন্দর। বাইকটিতে ৯৭ সিসি ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট রয়েছে। এই ইঞ্জিন বেশ ভালো শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।
বাইকের ব্রেকিং এবং সাসপেনশন বেশ ভালো। জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং বেশি মাইলেজ বাইকটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। এটি লিটারে ৪৫ কিলোমিটারের বেশি মাইলেজ দেবে। আপনারা যারা স্বল্প বাজেটের মধ্যে স্পোর্টস লুকিং এবং উচ্চ মাইলেজের বাইক কিনতে চান, তাদের জন্য Hero Splendor iSmart একটি ভালো অপশন। বাইকটি বেশ কিছু কালার ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে, যেমন, স্পোর্টস রেড, লিফ গ্রীন, এক্সসিলেন্ট ব্লু, রেড এন্ড ব্ল্যাক, সিলভার এন্ড ব্ল্যাক, এবং হেভি গ্রে। এই ব্লগে হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট দাম, ফিচার, স্পেক, ও অন্যান্য আরো কিছু বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট ফিচার
Hero Splendor iSmart – রিভিউ অনুযায়ী, এই বাইকটি ১০০ সিসি সেগমেন্টের মধ্যে সবচেয়ে গর্জিয়াস মোটরসাইকেল। বাইকটির এরোডাইনামিক ফ্রন্ট সাইড, স্টাইলিশ রিয়ার গ্র্যাব রেল এটিকে একটি গর্জিয়াস লুক দেয়। বাইকটির সিটিং পজিশন কম্ফোর্টেবল, এটিতে ম্যাট ব্ল্যাক এক্সজস্ট সাইলেন্সারও রয়েছে যা এর ডিজাইনকে প্রিমিয়াম লুক দেয়। বাইকটির ইঞ্জিন ৯৭ সিসি’র। এই ইঞ্জিন ৭.৭ বিপিএইচ পাওয়ার উৎপন্ন করতে পারে। এই বাইক পেট্রোলে চলে এবং ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম কার্বুরেটর। ফুয়েল ট্যাঙ্কটি যথেষ্ট বড়, রিসার্ভ সহ ১০ লিটার ধারণ ক্ষমতা। রিভিউ অনুযায়ী গড় মাইলেজ ৪৫-৫০ কিঃমিঃ/লিঃ। সর্বোচ্চ গতি ৮০+ কিঃমিঃ/আওয়ার।
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট ফিচারস বেশ আধুনিক, এর এলইডি টেইল ল্যাম্প, স্ট্যান্ডার্ড চাকা, হেডলাইট যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে। তবে এর ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেলটি অ্যানালগ, কিন্তু এটিতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ফিচারস রয়েছে।
স্পেশাল ফিচারস –
বাইক টাইপ | কমিউটার |
ইঞ্জিন | এয়ার কুল্ড, ৪-স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার |
ইঞ্জিন পাওয়ার | ৭.৭ বিপিএইচ @ ৭৫০০ আরপিএম |
মাইলেজ | ৪৫ কিমি/লি (সিটি), ৬০-৬৫ কিমি/লি (হাইওয়ে) |
সর্বোচ্চ গতি | ৭০ কিঃমিঃ/লিঃ |
জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা | ৮.৭ লিটার (রিসার্ভ ১.৮ লিটার) |
ব্রেকিং সিস্টেম | দুই চাকাতেই ড্রাম ব্রেক |
সাসপেনশন | টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক অবসরবার |
ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল | এনালগ এবং ডিজিটালের সমন্বয় |
টোটাল ওজন | ১১০ কেজি |
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট রিভিউ অনুযায়ী ইঞ্জিন পারফরম্যান্স –
রিভিউ অনুযায়ী Hero Splendor iSmart বাইকে একটি ৯৭ সিসি নিউ জেনারেশন ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট রয়েছে। ইঞ্জিনটি ৪-স্ট্রোক, এয়ার-কুলড এবং সিঙ্গেল সিলিন্ডার। ইঞ্জিনটি ৭.৭ বিপিএইচ @ ৭৫০০ আরপিএম সর্বোচ্চ শক্তি উৎপন্ন করতে পারে এবং ৮.০৫ এনএম @ ৫০০০ আরপিএম সর্বোচ্চ টর্ক প্রদান করতে পারে।
এটি দেখতে কিছুটা স্পোর্টি হলেও ইঞ্জিন ততটা শক্তিশালী নয়। তবে ইঞ্জিনের এক্সেলেরেশন এবং লং লাস্টিং এবিলিটি খুব ভালো। এটিতে ৪ স্পিড ট্রান্সমিশন রয়েছে। বাইকারদের রিভিউ অনুযায়ী ইঞ্জিন পারফরম্যান্স বিবেচনায়, হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট ফিচার বেশ ভালো। এটি সিটি রাইডের জন্য আদর্শ।
(১) ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্ট: ৯৭ সিসি
(২) ইঞ্জিন টাইপ: এয়ার কুল্ড, ৪-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার
(৩) সর্বোচ্চ শক্তি: ৭.৭ বিপিএইচ @ ৭৫০০ আরপিএম
(৪) সর্বোচ্চ টর্ক: ৮.০৪ এনএম @ ৪৫০০ আরপিএম
(৫) বোর-স্ট্রোক: ৫০-৫৭.৮ মিমিঃ
(৬) ইগনিশন: ডিসি-ডিজিটাল সিডিআই
(৭) ক্লাচ: মাল্টিপ্লেট ওয়েট
(৮) গিয়ার: ৪-স্পিড
(৯) ট্রান্সমিশন টাইপ: ম্যানুয়াল
(১০) ফুয়েল টাইপ: পেট্রল
(১১) ফুয়েল সাপ্লাই সিস্টেম: কার্বুরেটর
(১২) স্টার্টিং সিস্টেম: সেলফ
Hero Splendor iSmart – রিভিউ অনুযায়ী বডি ডাইমেনশন –
বাইকটির বডি ডাইমেনশন যথেষ্ট আধুনিক, এবং সিটিং পজিশন বেশ কম্ফোর্টেবল। বাইকারদের রিভিউ অনুযায়ী বাইকের বডি ডাইমেনশন যথেষ্ট ভালো। হ্যান্ডেলবারটি স্পোর্টস বাইকের মতো একটু উঁচু, যা বাইকটিকে একটি স্পোর্টি লুক দেয়। বাইকটির দৈর্ঘ্য ১৯৬৫ মিমি, প্রস্থ ৭৭০ মিমি, এবং উচ্চতা ১০৯৫ মিমি। বাইকের সিটের উচ্চতা ৭৮৫ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬০ মিমি। এই বাইকে স্পোক হুইল ব্যবহার করা হয়েছে এবং হুইলবেস সাইজ ১২৩৫ মিমি। বাইকটির টোটাল ওজন ১১০ কেজি।
(১) দৈর্ঘ্য: ১৯৬৫ মিমি
(২) প্রস্থ: ৭৭০ মিমি
(৩) উচ্চতা: ১০৯৫ মিমি
(৪) সিটের উচ্চতা: ৭৮৫ মিমি
(৫) গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ১৬০ মিমি
(৬) হুইল বেস: ১২৩৫ মিমি
(৭) হ্যান্ডেল টাইপ: পাইপ
(৮) ফুয়েল ক্যাপাসিটি: ৮.৭ লিটার (রিসার্ভ ১.৮ লিটার)
(৯) চেসিস টাইপ: টুবুলার ডাবল ক্রেডল ফ্রেম
(১০) কার্ব ওজন: ১১০ কেজি
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট রিভিউ অনুযায়ী সাসপেনশন এবং ব্রেক:
রিভিউ অনুযায়ী বাইকের সাসপেনশন এবং ব্রেক সিস্টেমে বাইকাররা সন্তুষ্ট। বাইকটির সাসপেনশন যথেষ্ট স্মুথ, ব্রেক কন্ট্রোল করা সহজ। বাইকের সামনে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক অবসরবার ব্যবহার করা হয়েছে, পিছনে সুইং আর্ম সহ এডজাস্টেবল হাইড্রোলিক শক অবসরবার ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাইকে টিউবুলার ডাবল ক্র্যাডল ফ্রেম টাইপ চেসিস ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বাইককে ভালোভাবে ব্যালান্স করতে সাহায্য করে। চাকায় কোনো ডিস্ক বা এবিএস (এন্টি-লক ব্রেকিং) ব্যবহার করা হয়নি। বাইকের উভয় চাকায় ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। সামনের চাকায় ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক এবং পিছনের চাকায় ১১০ মিমি ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
(১) সামনের সাসপেনশন: টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক অবসরবার
(২) পেছনের সাসপেনশন: সুইং আর্ম সহ এডজাস্টেবল হাইড্রোলিক শক অবসরবার
(৩) সামনের ব্রেক: ১৩০ মিমি ড্রাম
(৪) পেছনের ব্রেক: ১১০ মিমি ড্রাম
(৫) চেসিস টাইপ: টিউবুলার ডাবল ক্র্যাডল ফ্রেম
Hero Splendor iSmart – রিভিউ অনুযায়ী ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল এবং ইলেকট্রিক ফিচার :
বাইকারদের রিভিউ অনুযায়ী বাইকের ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল নিয়ে তারা মোটামুটি সন্তুষ্ট। বাইকটির ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল এনালগ-ডিজিটাল সমন্বয়ে গঠিত। প্রয়োজনীয় সব ইন্সটুমেন্ট ফিচার এটিতে রয়েছে। যেমন, ট্যাকোমিটার এবং ফুয়েল গেজ মিটার অ্যানালগ আবার ওডোমিটার, ট্রিপমিটার, লো ফুয়েল ইনডিকেটর ডিজিটাল। কিছু কিছু বাইকার বলেছেন, ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল এবং ইলেকট্রিক ফিচার স্টাইল পুরোনো। তবে প্রায় সবাই ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল এবং ইলেকট্রিক ফিচার যথেষ্ট কার্যকর বলে প্রশংসা করেছেন।
(১) স্পীডোমিটার: অ্যানালগ
(২) ট্যাকোমিটার: অ্যানালগ
(৩) ফুয়েল গেজ: অ্যানালগ
(৪) ওডোমিটার: ডিজিটাল
(৫) ট্রিপমিটার: ডিজিটাল
(৬) লো ফুয়েল ইনডিকেটর: ডিজিটাল
(৭) ক্লক: নেই
(৮) হেডলাইট: ১২ ভোল্ট – ৩৫ ওয়াট (হ্যালোজেন)
(৯) টেইল লাইট: এলইডি
(১০) পাইলট ল্যাম্প: আছে
(১১) টার্ন ল্যাম্প: আছে
(১২) প্যাসেঞ্জার ফুট রেস্ট: আছে
(১৩) ব্যাটারি টাইপ: ১২ ভোল্ট – ৩ এমপিয়ার (এমএফ)
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট রিভিউ অনুযায়ী মাইলেজ:
মাইলেজ এই বাইকের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট। রিভিউ অনুযায়ী বাইকাররা বাইকটির মাইলেজ নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। মূলত জ্বালানি সাশ্রয়ী বলেই বাইকটি এখনও বাজারে জায়গা ধরে রেখেছে। হিরো দাবি করেছে এটির এভারেজ মাইলেজ ৫০ কিলোমিটারের বেশি পার লিটারে। কিন্তু রিভিউ অনুযায়ী বাইকাররা ৪৫ কিলোমিটারের বেশি মাইলেজ পেয়েছেন। এই মাইলেজ বাইকারদের কাছে সন্তোষজনক। হিরো দাবি করেছে এটির সর্বোচ্চ গতি ৯০ কিমি/আওয়ার। বাইকাররা ৮০ কিমি টপ স্পিড পেয়েছেন। হাইওয়েতে ৮৭ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেয়েছেন। এই বাইকে খুব বেশি স্পিড তোলা সম্ভব না এবং বেশি স্পিড ওঠানোও ঠিক না। ওভারঅল সিটি রাইডিংয়ের জন্য এই মাইলেজ এবং স্পিড যথেষ্ট ভালো।
(১) মাইলেজ: ৪৫+ কিমি/লি (বাইকার রিভিউ), ৫০ কিমি/লি (হিরো ক্লেম)
(২) হাইওয়ে মাইলেজ: ৫০ কিমি/লি (বাইকার রিভিউ)
(৩) সর্বোচ্চ গতি: ৮০ কিমি/আওয়ার
Hero Splendor iSmart – রিভিউ অনুযায়ী টায়ার এবং হুইল –
বাইকারদের রিভিউ অনুযায়ী বাইকাররা বাইকটির নিয়ে টায়ার এবং হুইল নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট। বাইকের ওজন এবং বডি ডাইমেনশন অনুযায়ী টায়ার এবং হুইল সঠিক পরিমাপ মতোই আছে। রিভিউ অনুযায়ী মানও বেশ ভালো। বাইকের হুইলে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। টায়ার টিউব এবং স্পোক টাইপ। হুইল সাইজ ১৮ ইঞ্চি।
(১) সামনের টায়ার: ২.৭৫ x ১৮ – ৪পিআর
(২) পিছনের টায়ার: ২.৭৫ x ১৮ – ৬পিআর
(৩) হুইল সাইজ: ১৮ ইঞ্চি
(৪) হুইল টাইপ: স্পোক
(৫) টায়ার টাইপ: টিউব
হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট রিভিউ – (বাইকারদের পার্সোনাল রিভিউ)
আবু হুরায়রা সাকিব,
তিনি এই বাইকে ২৫,০০০ কিলোমিটার পথ রাইড করার পর তার অভিজ্ঞতা নিয়ে রিভিউ করেছেন। তাঁর বাইকটি কেনার মূল কারণ ছিল মাইলেজ। তিনি মাইলেজ নিয়ে সন্তুষ্ট। তিনি ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে মাইলেজ পেয়েছেন। এতে তার জ্বালানি সাশ্রয় হয় বলে রিভিউ করেছেন।
১০০ সিসি সেগমেন্ট হিসেবে ওভারঅল হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট ফিচার তার কাছে ভালো লেগেছে। স্পেশাল ভাবে ভালো লেগেছে আইস্মার্ট প্রযুক্তি। আইস্মার্ট সুইচ অন করা থাকলে বাইক চালু অবস্থায় স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলে বা কোথাও থামিয়ে পার্কিং করলে চাবি একটিভ থাকলে ক্লাস চেপে ধরলেই স্টার্ট হয়ে যায়। বাইক বার বার অন-অফ করলে তেল খরচ হয়। এই প্রযুক্তি তেল সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।
বাইকের ব্রেক-ইন পিরিয়ড পার হবার পর তিনি এক্সপেক্টশন অনুযায়ী মাইলেজ পেয়েছে। হিরোর সার্ভিসিং তার ভালো লেগেছে। তিনি প্রতি সপ্তাহে ১ বার বাইকটি পরিষ্কার করেন এবং প্রতি পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর এয়ার ফিল্টার চেঞ্জ করেন। একবার ইঞ্জিন অয়েল চেঞ্জ করেছেন। তিনি হিরো মটরস এর রিকমেন্ডেড ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড ব্যবহার করেছেন।
এখন পর্যন্ত বাইকের পারফর্মেন্স খুব স্মুথ এবং দুর্দান্ত। বাইকের পার্টস তেমন পরিবর্তন করেননি। ১৫ হাজার কিলোমিটার চলার পর বাইকের বল রেসার চেঞ্জ করেছিলেন, ক্লাস কেবল আর এক্সিলেটরের কেবল দুবার চেঞ্জ করেছেন, এয়ার ফিল্টার দুইবার চেঞ্জ করেছেন। ২৫ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করার পর চেইন স্প্রোকেট একবার চেঞ্জ করেছেন। বাইকের কোনো মডিফিকেশন তিনি করেননি। ওভারঅল পারফরম্যান্স তিনি সন্তুষ্ট। ফিচার এবং পারফরম্যান্স বিবেচনায় বর্তমান হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট দাম ঠিক আছে বলে তিনি মনে করেন।
স্বজন বলেছেন,
তিনি কর্ম ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এই বাইকটি কিনেছিলেন। বাইকটির স্টাইলিশ লুকের জন্য তিনি বাইকটি পছন্দ করেছিলেন। এছাড়া মাইলেজ, কম দাম এসব ব্যাপারও ছিল। ওভারঅল হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট ফিচার নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
বাইকের সিটিং পজিশন তার কাছে ভালো লেগেছে। দীর্ঘক্ষণ ড্রাইভিংয়ে ব্যাকপেইন হয়নি। বাইকের টেলিস্কোপিক এবং ডুয়েল স্প্রিং সাসপেনশন তার যাতায়াত অনেক কম্ফোর্টেবল করেছে। তবে তার মতে সামনের চাকায় একটা ডিস্ক ব্রেক হলে ভালো হতো। বাইকের এক্সেলেরেশন তার ভালো লেগেছে। রেগুলার চলাচলের বাহন হিসেবে ব্যবহারের জন্য, জ্বালানি, এবং মাইলেজ বিবেচনায় তিনি এই বাইক কিনতে উৎসাহ দিয়েছেন। হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট দাম, ইঞ্জিন পারফরম্যান্স অনুযায়ী ঠিক আছে বলে তিনি মনে করেন।
Hero is one of the best motorcycle brands in South Asia. The combination of advanced technology with innovative ideas has put Hero Motorcycles at the forefront. In the 100 cc segment, Hero Company launched the Hero Splendor iSmart in 2014. The innovative design and style of this bike won everyone’s hearts as soon as it was launched in the market. In the 100 cc segment, the Hero Splendor iSmart bike still retains its popularity in the country’s market.
Hero Splendor iSmart is a great quality commuter bike. This bike is very suitable for traveling on any road in city or countryside. It looks like a small sports bike. According to the reviews of bikers, the design of this bike is the most beautiful in the 100 cc segment. The bike has 97 cc engine displacements. This engine can produce quite good power. The braking and suspension of the bike is quite good. Fuel efficiency and high mileage are the most attractive aspects of the bike. It will give a mileage of more than 70 km per liter.
According to reviews, this bike is the most gorgeous motorcycle in the 100cc segment. Aerodynamic front side of the bike, stylish rear grab rail gives it a gorgeous look. The features of this bike are quite modern, its LED tail lamps, standard wheels, headlights can attract anyone. However, its instrument panel is analog, but it has all the necessary features. The market price of this bike is 100,490/- taka as per the latest update. For those of you who want to buy a sporty looking and high mileage bike in a tight budget, Hero Splendor iSmart is a good option.
Hero Splendor iSmart is available in several color variants such as Sports Red, Leaf Green, Excellent Blue, Red & Black, Silver & Black, and Heavy Grey.
Hero Splendor iSmart Price in Bangladesh
The official price of Hero Splendor iSmart in Bangladesh is ৳100,490. However, you should check the final price of the bike with the dealer.
সুবিধা
- আইস্মার্ট প্রযুক্তি, এতে ক্লাচ চেপে ধরেই বাইক স্টার্ট করা যায়।
- সাসপেনশন স্মুথ এবং ব্রেকিং করা সহজ।
- টায়ারের গ্রিপ ভালো।
- সেলফ এন্ড কিক দুভাবেই স্টার্ট করা যায়।
অসুবিধা
- চেইন আরো উন্নত করা উচিৎ, চেইন স্প্রোকেট থেকে শব্দ হয়।
- হেডলাইট হ্যালোজেন হওয়ায় আলো স্প্রেড করে না।
- চাবি দিয়ে সিট খোলা যায় না। তাই প্রয়োজনীয় কিছু হুটহাট সিটের নিচে রাখতে পারবেন না।
- দুচাকাতেই ড্রাম ব্রেক, অন্তত সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক হলে ভালো হতো।
- হর্ণ এর কোয়ালিটি খুব একটা ভালো নয়।
Hero Splendor iSmart Images
Hero Splendor iSmart Video Review

Hero Splendor iSmart সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
Hero Splendor iSmart কেমন ধরণের বাইক?
Hero Splendor iSmart একটি চমৎকার কমিউটার বাইক।
Hero Splendor iSmart এর টপ স্পিড কত?
Hero Splendor iSmart এর টপ স্পিড 70 কিমি/ঘন্টার কাছাকাছি।
Hero Splendor iSmart এর মাইলেজ কত?
Hero Splendor iSmart শহুরে রাস্তায় অনায়াসে 40 কিমি/লিটার এবং হাইওয়েতে 45 কিমি/লিটারের কাছাকাছি মাইলেজ দিতে পারে।
What is the Engine Capacity of Hero Splendor iSmart?
100 cc engine has which has Maximum Power 7.7 Bhp @ 7500 RPM and Maximum Torque 8.04 NM @ 4500 RPM.
Hero Splendor iSmart - কি কি রঙে পাওয়া যাচ্ছে?
Hero Splendor iSmart Sports Red, Leaf Green, Excellent Blue, Heavy Grey ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে।
Hero Splendor iSmart স্পেসিফিকেশন
বাইকের নাম
Hero Splendor iSmart
বাইকের ধরন
Standard
ইঞ্জিনের ধরন
No Info
ইঞ্জিন ক্ষমতা (সিসি)
97.2
ইঞ্জিন কুলিং
Air Cooled
সর্বোচ্চ শক্তি (হর্স পাওয়ার)
7.7 Bhp @ 7500 RPM
সর্বোচ্চ টর্ক
8.04 NM @ 4500 RPM
স্টার্ট
Electric
গিয়ারের সংখ্যা
4
মাইলেজ
45 Kmpl (Approx)
টপ স্পিড
70 Kmph (Approx)
সামনের সাসপেনশন
Telescopic hydraulic
পেছনের সাসপেনশন
Swing Arm with Adjustable Hydraulic Shock Absorber
সামনের ব্রেক টাইপ
Drum Brake
ফ্রন্ট ব্রেক ডায়ামিটার
130 mm
পেছনের ব্রেক টাইপ
Drum Brake
পেছনের ব্রেক ডায়ামিটার
No Info
ব্রেকিং সিস্টেম
No Info
সামনের টায়ারের সাইজ
2.75 x 18 ‚ 4 P
পিছনের টায়ারের সাইজ
2.75 x 18 ‚ 6 P
টায়ারের ধরন
Tubeless
সামগ্রিক দৈর্ঘ্য
1965 mm
উচ্চতা
1095 mm
ওজন
110 Kg
হুইলবেস
1235 mm
সামগ্রিক প্রস্থ
770 mm
গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স
160 mm
জ্বালানী ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা
8.7 Liters
আসন উচ্চতা
No Info
হেড লাইট
Halogen
ইন্ডিকেটরস
Halogen
পেছনের লাইট
Halogen
স্পিডোমিটার
analog
আরপিএম মিটার
Digital
ওডোমিটার
Analog
আসনের ধরন
singleseat
ইঞ্জিন কিল সুইচ
no
শরীরের রঙ
No Info
পরিবেশক/বিক্রেতা
No Info
