ই- বাইকের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা

05 Nov, 2023   
ই- বাইকের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা

সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির উপর থেকে নির্ভরশীলতা  কমাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে। বিভিন্ন উন্নত দেশেও জ্বালানির পরিবর্তে সর্বক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। বৈদুত্যিক চালিত বাহনের ব্যবহার বাড়াতে  বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারবাহিকতায় এসেছে ই- বাইক বা ইলেকট্রিক বাইক। ভবিষ্যতের জ্বালানি সাশ্রয়ে, পরিবেশ ও অর্থনীতির ভারসাম্য রাখতে, ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল আমাদের একটি আদর্শ বাহন হতে পারে।ইলেকট্রিক বাইকের দাম বেশ কম, পরিবেশ বান্ধব, তাই ভবিষ্যতে এই ধরণের বাইকের চাহিদা বাড়তেই থাকবে। চলুন ই -বাইকের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

ইলেকট্রিক বাইক কি?

মোটরসাইকেল এবং ই-বাইকের মধ্যে মূল পার্থক্য হল, মোটরবাইক জ্বালানি তেলে চলে, ই-বাইক বিদ্যুতে চলে। এই বাইকে রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকে, এই ব্যাটারির সাথে ইলেকট্রিক মোটর সেট করা থাকে। ব্যাটারি বিদ্যুতে চার্জ করার পর, মোটর স্টার্ট দিলে, ব্যাটারি মোটরের ভিতরের ইঞ্জিনে শক্তি দেয়। আর মোটর বাইক জ্বালানি বা গ্যাসোলিন পুড়িয়ে ইঞ্জিনে এই শক্তি উৎপন্ন কর।

ই-বাইকে কোনো জ্বালানি লাগে না। আপনি শুধু বাইকটি চার্জ দেবেন, সম্পূর্ণ চার্জ হতে মোটামুটি ৮ ঘন্টার মতো লাগে। এধরণের একটি সাধারণ মোটরসাইকেল এক চার্জে ৭০-৮০ কিমি যায়। ভারী বাইক গুলো সাধারণত ৫০-৬০ কিমি যায়। কাজেই বুঝতে পারছেন, স্বল্প দূরত্বের জন্যে এসব বাইক খুবই সাশ্রয়ী। আমাদের দেশের শহর অঞ্চলের মানুষজন, এবং কর্মজীবীদের স্বল্প দূরত্বে দ্রুত যোগাযোগের প্রয়োজন হয়। তাদের জন্যে এসব বাইক অনেক ভালো হবে। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক বাইকের দামও হাতের নাগালে।

কেন ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল কিনবেন?

যে কোনো পেশার মানুষ  এই বাইক রেগুলার কমিউটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বাইকগুলো সাধারণ প্রতিদিন ৪০-৫০ কিমি রাইডের জন্য ভালো, তাহলে দীর্ঘদিন সার্ভিস দেবে। এগুলো সাধারণত এক চার্জে ৬০-৮০ কিমি পথ অনায়াসে যায়। রক্ষণাবেক্ষণ সহজ।

আমাদের বেশি ভাগ বাইকাররা বাইক চালানোর ক্ষেত্রে জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারটা মাথায় রাখি। যেহেতু ইলেকট্রিক বাইক বেশ কম খরচের, তাই সবাই আমরা দৈনন্দিন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এটিকে বিবেচনায় রাখতে পারি। এই বাইক গুলো স্বাভাবিক রাস্তায় চলার উপযোগী, ভালো রক্ষনাবেক্ষন করলে দীর্ঘদিন সার্ভিস দেবে।

তবে এই বাইকগুলো দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য উপযোগী নয়। হাইওয়ে রাস্তার জন্যেও উপযোগী নয়। স্বল্প দূরত্বের জন্য অনেক লাভজনক। বিশেষ করে যারা অল্প দুরুত্বে, দ্রুত কাজের জন্যে বের হন তাদের জন্য এ বাইকগুলো হতে পারে আদর্শ বাহন।

এখন সব উন্নত দেশ জ্বালানি বিকল্প শক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব জ্বালানি যোগান দেবার চেষ্টা করছে।  ইলেকট্রিক শক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহার এসবের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।  এধরণের মোটরসাইকেল ব্যবহার পরিবেশের জন্য অনেক উপকারী।

ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ব্যবহারের কিছু উপকারী দিক

(১)  ই-বাইকের জ্বালানি খরচ তুলনামূলক নেই বললেই চলে। এই বাইকে আপনাকে বার বার  ফুয়েল নিতে  হবে না। এখানে আপনাকে শুধু বিদ্যুতের চার্জটাই বহন করতে হবে। এই বিদ্যুতের খরচ আপনি কমাতে পারেন যদি, সোলার প্যানেল দিয়ে চার্জ করতে পারেন, তাহলে আপনার গ্রিডের লাইন থেকে বিদ্যুৎ নেবার প্রয়োজন হবে না।

(২) ই-বাইক  পরিবেশ বান্ধব। এই বাইক জ্বালানি পোড়ায় না, তাই কোনো ধোঁয়া উৎপন্ন হয় না, তাই পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি হয় না। এই বাইকের হর্নের ডেসিবেলও অনেক কম, তাই শব্দ দূষণ করে না। কন্ট্রোল করা সুবিধাজনক তাই এই বাইক চালানো খুবই নিরাপদ।

(৩) ই-বাইকের মেইনটেন্যান্স খুব সহজ। রক্ষনাবেক্ষন খরচ খুব কম। ২ থেকে ৩ বছর পর পর ব্যাটারি চেঞ্জ করতে হয়। ঠিক মতো চার্জ করলে, নির্দেশিকা অনুযায়ী বাইক চালালে, দীর্ঘদিন পর পর সার্ভিসিং করা লাগে। অন্যান্য পার্টস সহজেই পাওয়া যায়, দামও নাগালের মধ্যেই থাকে।

(৪)  ই-বাইকের সাধারণ সার্ভিসিং আপনি নিজেই করতে পারবেন। বড় কোনো ত্রুটি বা ক্ষতি হলে আপনাকে সার্ভিসিংয়ে যেতে হবে। আপনাকে শুধু খেয়াল রাখতে হবে বাইকের ব্রেক ঠিক মতো কাজ করছে কিনা, প্যাড এবং টায়ার ঠিকঠাক আছে কিনা

(৫) ই-বাইক কন্ট্রোল করা খুব সহজ। এই বাইকে গিয়ার পরিবর্তনের দরকার নেই, ক্লাস ধরে রাখা নিয়ে চিন্তা নেই, তেল-মবিল চেক করার প্রয়োজন নেই, আপনি শুধু ব্রেক দিয়েই বাইক কন্ট্রোল করতে পারবেন। তাই মহিলা, বয়স্ক চালকরা এই বাইক অনায়াসে হ্যান্ডেল করতে পারবেন। এই বাইক চালানো সহজ এবং নিরাপদ।

(৬) একটি স্ট্যান্ডার্ড ই-বাইকের মূল্য, মিড্ রেঞ্জের জ্বালানি চালিত বাইকের চেয়ে কম। তবে এখন বেশ উন্নত মানের বাইক উৎপাদন এবং আমদানি হচ্ছে। তাই কোয়ালিটি বিবেচনায় দামও সামঞ্জস্য পূর্ণ । ই-বাইকের পার্টস কম, তাই রেগুলার বাইকের চেয়ে দাম বেশি হয় না। 

ই-বাইক সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এ বাইক একটু সময় পর পর চার্জ দিতে হয়।বাংলাদেশেও অচিরেই এ বাইকের সম্ভাবনা আরো বৃদ্ধি পাবে।

Advantages of E-Bikes

E-bikes can be a great addition to those who choose bikes as their travel partner. E-bikes in Bangladesh offer several advantages:

  1. Cost-effective Transportation: E-bikes are more affordable to purchase and operate than traditional motorized vehicles, making them a cost-effective mode of transportation.
  2. Environmentally Friendly: They produce zero emissions, reducing air pollution and environmental impact in densely populated areas like Bangladesh.
  3. Reduced Traffic Congestion: E-bikes can navigate traffic more easily, helping alleviate congestion in congested cities like Dhaka.
  4. Improved Health: E-bikes encourage physical activity and reduce sedentary lifestyles, contributing to better health and fitness.
  5. Fuel Efficiency: They are highly fuel-efficient and can be charged using electricity, which can be more accessible and cheaper than conventional fuels.
  6. Low Maintenance: E-bikes generally have fewer moving parts, lowering maintenance costs.
  7. Increased Mobility: E-bikes can cover short to moderate distances quickly, making them a convenient choice for urban commuting.
  8. Reduced Noise Pollution: They are quieter than gas-powered vehicles, contributing to quieter and more peaceful urban environments.
  9. Government Incentives: In some cases, governments may offer incentives or subsidies to promote e-bike usage, further reducing consumer costs.
  10. Sustainable Future: E-bikes align with sustainability goals, reducing greenhouse gas emissions and promoting eco-friendly transportation in Bangladesh.

Overall, e-bikes offer a practical and eco-friendly transportation solution in Bangladesh, where traffic congestion and environmental concerns are significant issues.

Similar Advices



Leave a comment

Please rate

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Motorbikes for Salebikroy logo
Suzuki Gixxer FI Disc 2022 for Sale

Suzuki Gixxer FI Disc 2022

15,000 km
MEMBER
Tk 220,000
2 days ago
Bajaj Pulsar 150 . 2021 for Sale

Bajaj Pulsar 150 . 2021

23,300 km
MEMBER
Tk 155,000
3 days ago
Bajaj Pulsar 150 , 2014 for Sale

Bajaj Pulsar 150 , 2014

65,000 km
MEMBER
Tk 120,000
1 day ago
Yamaha FZS V3 India 2022 for Sale

Yamaha FZS V3 India 2022

10,000 km
MEMBER
Tk 255,000
1 week ago
Hero Pleasure . 2018 for Sale

Hero Pleasure . 2018

14,000 km
MEMBER
Tk 69,000
2 weeks ago
Auto Parts for salebikroy logo
Cycle braks for Sale

Cycle braks

MEMBER
Tk 7,500
36 minutes ago
Bajaj Pulsar 135 Carburetor for Sale

Bajaj Pulsar 135 Carburetor

verified MEMBER
Tk 4,900
23 hours ago
+ Post an ad on Bikroy