বাংলাদেশের ৫ টি সেরা ১৫০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
ইয়ামাহা মোটরসাইকেল
ইয়ামাহা বাংলাদেশের বাইকের বাজারে একটি সুপরিচিত ব্র্যান্ড। কারণ, তারা মোটামুটি বাইকের বাজারের সব সেগমেন্টেই রাজত্ব করে আসছে। ইয়ামাহা বিশ্বের অন্যতম বড় মোটরবাইক প্রস্তুতকারকদের মধ্যে একটি। জাপানি রাঘব বোয়াল মোটরবাইক কোম্পানি, যেমন সুজুকি, কাওয়াসাকি, হোন্ডা ইত্যাদির দলে ইয়ামাহাও বেশ প্রাধান্য পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সেরা ১৫০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল
ইয়ামাহা মোটরসাইকেল নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই, বিশেষ করে তরুণ রাইডারদের প্রেম বলা যায় এই ইয়ামাহার মোটরসাইকেল। বাইকগুলোতে আধুনিক সব সুবিধা রাখার চেষ্টা করেছে কোম্পানি। ইয়ামাহা বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু বাইক উপহার দিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ১৫০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল-গুলো, যা তরুণদের কাছে স্বপ্নের মতো। আশা করি, BikesGuide-এর আজকের ব্লগ পড়ে জেনে নিতে পারবেন বাংলাদেশের সেরা ১৫০ সিসি ইয়ামাহা মোটরসাইকেল-গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা।
ইয়ামাহা ভিক্সন আর ১৫৫
ইয়ামাহা ভিক্সন আর ১৫৫, ইয়ামাহা আর১৫ এর নেকেড স্পোর্টস ভার্সন। ইয়ামাহার এই নেকেড স্পোর্টস বাইকটি তার বডি ডিজাইন এবং পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের কারণে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
ইয়ামাহা ভিক্সন আর ১৫৫-এ রয়েছে একটি এসওএইচসি, ৪-স্ট্রোক, ২ ভাল্ভ এবং ১৫৫ সিসির লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন যা ১০০০০ আরপিএম এ ১৮.৭ বিএইচপি ম্যাক্সিমাম পাওয়ার এবং.৮৫০০ আরপিএম এ ১৪.৭ এনএম ম্যাক্সিমাম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। বাইকটির মাইলেজ শহরের রাস্তায় বাইকটির মাইলেজ প্রায় ৪০ কিমি/লিটার এবং টপ স্পিড ১৩০ কিমি/ঘণ্টা। এর সামনের ও পেছনের চাকায় রয়েছে ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম। সামনের চাকায় টেলিস্কোপিক এবং পেছনের চাকায় সুইং আর্ম মোনোশক রিয়ার সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ইয়ামাহা ভিক্সন আর ১৫৫ রিভিউ
ইয়ামাহা এফজেডএস এফআই ডাবল ডিস্ক
ইয়ামাহা এফজেডএস এফআই ডাবল ডিস্ক এই ব্র্যান্ডের একটি দুর্দান্ত মানের স্ট্যান্ডার্ড বাইক। এই বাইকটি, ইয়ামাহা এফজেডএসের একটি আপগ্রেড সংস্করণ। ইয়াং জেনারেশনকে টার্গেট করে বাইকটি বাজারে আনা হলেও এটি সবার কাছে তুমুল প্রশংসিত হয়েছে।
বাইকটিতে ১৪৯.০ সিসি ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন এয়ার-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, ২-ভালভ, এবং ৪-স্ট্রোক ফিচার বিশিষ্ট যা ৮০০০ আরপিএমে ১৩.০ বিএইচপি সর্বোচ্চ পাওয়ার এবং ৬০০০ আরপিএমে ১২.৮ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম ডাবল ডিস্ক টাইপ। সামনের চাকায় ২৮২ মিমি-এর সিঙ্গেল ডিস্ক এবং পিছনের চাকায় ২২০ মিমি এর ডিস্ক ব্রেক ইনস্টল করা হয়েছে। বাইকটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন এবং পিছনের দিকে ৭-স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল মনোক্রস সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ইয়ামাহা এফজেডএস এফআই ডাবল ডিস্ক রিভিউ
ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪ রেসিং ব্লু
১৫৫ সিসি এর ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪ রেসিং ব্লু একটি স্ট্যান্ডার্ড স্পোর্টস বাইক। বাইকটি দেখতে এক কথায় অসাধারণ। বাইকটির বডি ডিজাইন, কালার এবং এবং মেটালিক ফিনিশিং এর কারণে এটিকে বেশ প্রিমিয়াম দেখায়।
বাইকটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে ৪ স্ট্রোক বিশিষ্ট, ৪ ভাল্ভ, এসওএইচসি ইঞ্জিন যা সিঙ্গেল সিলিন্ডার এবং লিকুইড কুল্ড। ইঞ্জিনটি ১৮.৪ পিএস @১০০০০ আরপিএম ম্যাক্স পাওয়ার ও ১৪.২ নিউটন মিটার @৭৫০০ আরপিএম ম্যাক্স টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। সামনের চাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে ২৮২ মিমি সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের চাকায় সংযুক্ত আছে ২২০ মিমি এর ডিস্ক ব্রেক। বাইকটির সামনের দিকে রয়েছে টেলিস্কোপিক আপসাইড ডাউন (ইউএসডি) ফর্ক এবং পেছনের দিকে রয়েছে লিংকড টাইপ মোনোক্রস ফর্ক সাসপেনশন।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪ রেসিং ব্লু রিভিউ
ইয়ামাহা এফজেডএস ভি২
এটি একটি স্পোর্টি লুকিং স্ট্যান্ডার্ড টাইপ বাইক। আকর্ষণীয় কালার কম্বিনেশন, স্মার্ট ফেয়ারিং এবং আপডেটেড বডি স্ট্রাকচারের সমন্বয়ে এটি অসাধারণ একটি বাইক।
বাইকটিতে ১৪৯.০ সিসি ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যা এয়ার-কুল্ড, ৪-স্ট্রোক এবং সিঙ্গেল-সিলিন্ডার। এই ইঞ্জিন ৮০০০ আরপিএমে ১২.৮ বিএইচপি সর্বোচ্চ পাওয়ার এবং ৬০০০ আরপিএমে ১২.৮০ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক জেনারেট করতে পারে। বাইকটির সামনের দিকে বিফি ৪১ মিমি-এর অয়েল ডাম্পড হাইড্রোলিক টেলিস্কোপিক কয়েল স্প্রিং সাসপেনশন এবং পিছনের দিকে সুইং আর্ম অ্যাডজাস্টেবল মনো-ক্রস সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সামনের চাকায় ডুয়েল-পিস্টন ক্যালিপার সহ একটি ২৬৭ মিমি-এর ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনের চাকায় ১৩০ মিমি-এর ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ইয়ামাহা এফজেডএস ভি২ রিভিউ
ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ ভি থ্রি (ইন্দোনেশিয়া)
ইয়ামাহা আর সিরিজের বাইকগুলোর মধ্যে অধিক আলোচিত মডেলের নাম আর ওয়ান ফাইভ ভি থ্রি। বাইকটির এরোডাইনামিক লুক বাইকটিকে রেসিং বাইকের মতো করে তোলে।
বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৯.৩ বিএইচপি @১০০০০ আরপিএম পাওয়ার এবং ১৪.৭ এনএম @৮৫০০ আরপিএম টর্ক সমৃদ্ধ ১৫৫ সিসির একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই বাইকে ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম স্থাপন করেছে। বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে সোনালি রঙের টেলিস্কোপিক আপসাইড ডাউন (USD) সাসপেনশন এবং পেছনে রয়েছে মনো-শক (mono shock) সাসপেনশন।
জানার জন্য আরও পড়ুন – ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ ভি থ্রি (ইন্দোনেশিয়া) রিভিউ
পরিশেষে
ইয়ামাহা বাংলাদেশ রাইডারদের চাহিদা পূরণ করতে সব সময়ই এগিয়ে ছিলো। ইয়াং জেনারেশনকে টার্গেট করে কোম্পানিটি যেসব বাইক তৈরি করে, সেগুলো বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। ইয়ামাহা কোম্পানির সেরা আরও ৫ টি বাইক সম্পর্কে জানতে চাইলে, পড়তে পারেন – সেরা ৫ টি ইয়ামাহা মোটরবাইক নিয়ে আলোচনা। এছাড়াও ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের দাম জানতে ব্রাউজ করুন Bikroy-এ।
The best 150 cc Yamaha motorcycle in Bangladesh
There is no end to the ravings about Yamaha motorcycles, especially the love of young riders. The company has tried to keep all the modern facilities in the bikes. Yamaha has given away some of the popular bikes in Bangladesh, including the 150cc Yamaha motorcycles, which are a dream come true for the youth.
Yamaha Vixion R155
The Yamaha Vixion R155 is powered by a SOHC, 4-stroke, 2 valve and 155 cc liquid-cooled engine that is capable of producing 18.7 bhp of maximum power at 10000 rpm and 14.7 Nm of maximum torque at 8500 rpm. The mileage of the bike on city roads is around 40 km/l, and the top speed is 130 km/h. It has a double-disc braking system on the front and rear wheels. A telescopic front wheel and swing arm mono-shock rear suspension is used at the rear wheel.
Yamaha FZS FI Double Disc
The bike uses a 149.0 cc displacement engine. The bike uses a 149.0 cc displacement engine. This engine features an air-cooled, single-cylinder, 2-valve, and 4-stroke engine that produces 13.0 bhp of peak power at 8000 rpm and 12.8 Nm of peak torque at 6000 rpm. The brake system of the bike is a double-disc type. A 282 mm single disc brake is installed at the front wheel, and a 220 mm disc brake at the rear wheel.
Yamaha R15 V4 Racing Blue
The bike is liquid-cooled and has a 4-stroke engine with 4 valves, a SOHC engine, and a single cylinder. The engine can produce 18.4 PS @10000 rpm of max power and 14.2 Nm @7500 rpm of max torque. A 282 mm single disc brake is attached to the front wheel, and a 220 mm disc brake is attached to the rear wheel. The bike has telescopic upside-down (USD) forks at the front and linked-type monocross fork suspension at the rear.
Yamaha FZS V2
The bike uses a 149.0 cc air-cooled displacement engine, 4-stroke and single-cylinder. This engine can generate 12.8 bhp of maximum power at 8000 rpm and 12.80 Nm of maximum torque at 6000 rpm. The bike uses beefy 41mm oil-damped hydraulic telescopic coil spring suspension at the front and swing arm adjustable mono-cross suspension at the rear.
Yamaha R One Five V Three (Indonesia)
The bike is powered by a powerful 155 cc engine that produces 19.3 bhp @ 10000 rpm power and 14.7 Nm @ 8500 rpm torque. This bike has a double-disc braking system. The bike uses gold-colored telescopic upside-down (USD) suspension at the front and mono-shock suspension at the rear.
We have highlighted the basic and vital information about Bangladesh’s best 150 cc Yamaha motorcycles. Beyond 150 cc, the youth’s interest in 160 cc bikes is increasing day by day, so the top five popular bikes of 150 cc are also highlighted. The link to the review has been given to know, and I hope you can easily know the detailed information.
বাংলাদেশের সেরা ১৫০ সিসি ইমাহা মোটরসাইকেল নিয়ে সচরাচর কিছু জিজ্ঞাসা
ইয়ামাহা ভিক্সন আর ১৫৫-বাইকের মাইলেজ কতো?
বাইকটির মাইলেজ প্রায় ৪০ কিমি/লিটার।
ইয়ামাহা এফজেডএস এফআই ডাবল ডিস্ক-বাইকটির স্টার্টিং মেথড কি?
এটি শুধু মাত্র ইলেকট্রিক মেথডে স্টার্ট করা যায়।
ইয়ামাহা আর১৫ ভি৪ রেসিং ব্লু-এর বডি ডাইমেনশন কেমন?
বাইকটির ওভারঅল বডির দৈর্ঘ্য ১৯৯০ মিমি, প্রস্থ ৭২৫ মিমি, উচ্চতা ১১৩৫ মিমি। বাইকটিকে সামনে থেকে অনেকটা অ্যাংরি সাইক্লোপসের মতো দেখায়।
ইয়ামাহা এফজেডএস ভি২-এর টায়ার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?
বাইকটিতে স্পোক ব্ল্যাক ফিনিশড অ্যালয় টাইপ হুইল এবং টিউবলেস টাইপ টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সামনের চাকায় ১০০/৮০-১৭এম/সি (৫২পি) নিলোগ্রিপ জাপার সেকশন টায়ার এবং পিছনের চাকায় ১৪০/৬০-আর১৭ এম/সি (৬৩পি) রেভজ-ওয়াই সেকশন টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে।
আর ওয়ান ফাইভ ভি থ্রি-এর ক্লাচ সিস্টেম কোনটি?
বেসিক ওয়েট অ্যাসিস্ট এবং স্লিপার(assist & slipper clutch) ক্লাচসিস্টেম যা দ্রুত গিয়ার শিফটের জন্য অত্যন্ত কার্যকরি।