১৯৯৫ সাল থেকে এইচ পাওয়ার কাজ করে আসছে। যাত্রার শুরু থেকেই ব্র্যান্ড টি লেটেস্ট প্রযুক্তি এবং সর্বাধিক কর্মদক্ষতার বাইক প্রস্তুত ও আমদানি করার দিকে মনোযোগী হয়ে ওঠে। তুলনামূলক বাজেট বান্ধব দাম, ভালো মাইলেজ, জ্বালানি সাশ্রয়ী রেগুলার ব্যবহারের এই বাইকগুলি বেশ দক্ষতার সাথে বাজার ধরে রেখেছে।
বাংলাদেশের ৫ টি সেরা Zaara মোটরসাইকেল
Zaara মোটরসাইকেল গুলোর স্পেশাল বৈশিষ্ট্য হলো – স্বল্প দাম, গুণগত মান ভালো, রেগুলার ব্যবহারের উপযোগী, ভালো মাইলেজ, ফুয়েল ক্যাপাসিটি বেশ ভালো, স্টাইলিশ লুকিং, জ্বালানি সাশ্রয়ী, ডিজিটাল ইলেকট্রিক্যাল ফিচার, গুড সাসপেনশন, ডিজিটাল কনসোল প্যানেল ইত্যাদি।
দৈনন্দিন ব্যবহারের এই বাইক গুলির লং লাস্টিং এবং স্থায়ী হওয়ার কারণে আপনি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
H Power Zaara 100
H Power Zaara 100 বাইকটি ডিজাইন ও আউটলুক একই সাথে ক্লাসিক ও নান্দনিক। ৯৮ সিসির এই বাইকটি একটি কমিউটার টাইপ বাইক।
বাইকটির স্পেশাল বৈশিষ্ট্য হলো – জ্বালানি ট্যাংকের গঠন মাসকুলার, কম্ফোর্টেবল সিটিং পজিশন, পিলিয়ন সিট, কম উচ্চতা, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ইলেকট্রিক ও কিক উভয় স্টাটিং মেথড ইত্যাদি।
১২ লিটার ধারণক্ষমতার এই বাইকটি থেকে প্রতি লিটারে ৬০ কিমি-এর মতো মাইলেজ পাওয়া যাবে।
(১) ইঞ্জিন – এই বাইকটিতে সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, এয়ার কুলড বিশিষ্ট সিডিআই টাইপের ইঞ্জিন রয়েছে। ইঞ্জিনটি ৭৫০০ আরপিএমে ৫.৯ বিএইচপি সর্বোচ্চ পাওয়ার এবং ৫৫০০ আরপিএমে ৭.৫ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক পাওয়া যাবে। এছাড়াও এটিতে ইলেকট্রিক ও কিক দুই ধরনের স্টার্টিং মেথড রয়েছে।
(২) বডি ডাইমেনশন – বাইকের সামগ্রিক দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ২০০০ মিমি, ৮২৫ মিমি এবং ১২৩৫ মিমি। বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং হুইলবেস যথাক্রমে ১৬৫ মিমি এবং ১২৭০ মিমি।
(৩) ব্রেকিং এবং সাসপেনশন – Zaara ১০০ ফিচার হিসেবে এই বাইকে সাধারণ ব্রেকিং সিস্টেম দেয়া হয়েছে। বাইকের সামনে এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকের সামনের দিকে টেলিস্কোপিক ফোকস সেট-আপ এবং পেছনে স্প্রিং লোডেড মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
(৪) টায়ার এবং হুইল – বাইকটিতে অ্যালয় রিমের চাকা ব্যবহার হয়েছে। সামনের চাকার মাপ হচ্ছে ২.৭৫-১৭ এবং পেছনের চাকা ৩.০০-১৭ সাইজের এবং টায়ার টিউবলেস টাইপ।
Zaara Digital V2
Zaara Digital V2 একটি ডিসেন্ট ডিজাইনের এন্ট্রি-লেভেলর কমিউটার টাইপ মোটরসাইকেল। স্বল্প মূল্য, বেশি মাইলেজ এবং লং লাস্টিং পারফরম্যান্স এর কারণে বাইকটি বেশ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে।
বাইকটির স্পেশাল বৈশিষ্ট্য হল – ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল, পাওয়ারফুল ইঞ্জিন, কমফোর্টেবল সিটিং পজিশন, গুড লাইটিং সিস্টেম, স্টিল ডায়মন্ড ফ্রেম চেসিস, সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেম, ফুয়েল ক্যাপাসিটি ভালো ইত্যাদি।
বাইকটি থেকে আপনি প্রায় ৫০ কিমি/লিটার এভারেজ মাইলেজ এবং প্রায় ৯০ কিমি/আওয়ার টপ স্পিড পেতে পারেন।
(১) ইঞ্জিন – Zaara Digital V2 বাইকটিতে ১০৬.৬৭ সিসি ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক এবং এয়ারকুলড বিশিষ্ট। এছাড়াও ইঞ্জিনটি ২-ভালব এবং সিঙ্গেল ওভারহেড ক্যামস্যাফট বিশিষ্ট। এটি ৫০০০ আরপিএমে ৭.৭০ বিএইচপি সর্বোচ্চ পাওয়ার এবং ৬০০০ আরপিএমে ৭.৫০ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।
(২) বডি ডাইমেনশন – বাইকটির দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা অর্থাৎ পুরো বডি ডাইমেনশন বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬০ মিমি এবং বাইকটির সামগ্রিক ওজন ১০৭ কেজি। বাইকটির ফুয়েল ট্যাংকের ধারণ ক্ষমতা ১২ লিটার।
(৩) ব্রেকিং এবং সাসপেনশন – বাইকের সামনের দিকে সাধারণ হাইড্রোলিক টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনের দিকে সুইংআর্মের সাথে যুক্ত স্প্রিং লোডেড টুইন শক সাসপেনশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। বাইকটির সামনের চাকায় সিঙ্গেল হাইড্রোলিক ডিস্ক এবং পেছনের চাকায়ের ড্রাম্প টাইপ ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
(৪) টায়ার এবং হুইল – বাইকটিতে ৫-স্পোক অ্যালয় টাইপ হুইল এবং টিউবলেস টাইপ টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। সামনের চাকায় ২.৭৫-১৭ সেকশন টায়ার এবং পিছনের চাকায় ৩.০০-১৭ সেকশন টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। উভয় হুইলের রিম সাইজ ১৭” ইঞ্চি। এই হুইল এবং টায়ার দেখতে সাধারণ মানের হলেও খুবই কমিউটিং-ফোকাসড।
Zaara 110 Digital
Zaara 110 Digital মোটরবাইক রিভিউ অনুযায়ী বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মোটরসাইকেল এটি যা ওজনে হালকা ও দেখতে স্টাইলিশ।
বাইকের স্পেশাল বৈশিষ্ট্য হল – ড্রাম ব্রেক, হেডলাইট মাল্টি রিফ্লেকশন টাইপ, স্টাইলিশ লুক, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল, ওডোমিটার রিডিং, এনাফ ফুয়েল ক্যাপাসিটি ইত্যাদি। বাইকটির মাইলেজ প্রায় ৪৫ কিমি/লিটার।
(১) ইঞ্জিন – একটি ১১০ সিসি এয়ার-কুলড ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা সর্বোচ্চ ৭.৭ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৭.৫ এনএম টর্ক প্রদান করে৷ ইঞ্জিনটিকে একটি ৪-স্পিড গিয়ারবক্স এবং একটি ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচের সাথে পেয়ার করা হয়েছে যা স্মুথ গিয়ার শিফট নিশ্চিত করে।
(২) বডি ডাইমেনশন – বাইকটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ১৯৮০ মিমি, ৭৮০ মিমি এবং ১০৫০ মিমি। সিটিং পজিশনের উচ্চতা ৭৮০ মিমি। বাইকটির সম্পূর্ণ বডি ডাইমেনশন চমৎকার।
(৩) ব্রেকিং এবং সাসপেনশন – বাইকটির সামনে একটি সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। এবং বাইকটির সামনের সাসপেনশনটি একটি টেলিস্কোপিক, আর পেছনের সাসপেনশনটি একটি টুইন শক অ্যাবজরবার সেটআপ।
(৪) টায়ার এবং হুইল – বাইকের সামনের টায়ারটি ২.৭৫-১৭ সেকশনের টায়ার এবং পিছনের টায়ারটি এখন ৩.০০-১৭ সেকশনের টায়ার। এই বাইকের চাকাগুলো টিউবলেস টায়ার।
H Power Zaara DD80
৮০ সিসি পাওয়ারফুল ইঞ্জিনের একটি কমিউটার টাইপ বাইক H Power Zaara DD80। এই বাইকটি ৮০ সেগমেন্টের সবচেয়ে এট্রাক্টিভ লুকিং বাইক।
বাইকটির স্পেশাল বৈশিষ্ট্য হল – সিট হাইট বেশি, সাশ্রয়ী মূল্য, স্মার্ট লুকিং, রেগুলার ব্যবহারের উপযোগী, গুড ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন ইত্যাদি।
বাইকটি থেকে আপনি প্রতি ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার টপ স্পিড এবং ৫০ কিলোমিটার এভারেজ মাইলেজ/আওয়ার পেতে পারেন।
(১) ইঞ্জিন – বাইকটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে ৮০ সিসির পাওয়ারফুল ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি ৪ স্ট্রোক, ২ ভাল্ভ ও সিঙ্গেল সিলিন্ডার বিশিষ্ট এবং এয়ার কুলড। বাইকটির ইঞ্জিন ৫.৯ বিএইচপি @৭৫০০ আরপিএম ম্যাক্স পাওয়ার এবং ৭.৫ এনএম @৫৫০০ আরপিএম ম্যাক্স টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।
(২) বডি ডাইমেনশন – বাইকটির সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ১৯৭০ মিমি, প্রস্থ ৭৭০ মিমি, উচ্চতা ১১৯০ মিমি, হুইলবেস ১২৭০ মিমি, এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ২২০ মিমি। বাইকটির সামগ্রিক ওজন ৯৯ কেজি। বাইকটির সিট হাইট ৭৮০ মিমি এবং বাইকটির ফুয়েল ট্যাঙ্কটির ধারণ ক্ষমতা ১২ লিটার।
(৩) ব্রেকিং এবং সাসপেনশন – বাইকটির সামনের এবং পেছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক সংযুক্ত করা হয়েছে। বাইকটির সামনের দিকে রয়েছে টেলিস্কোপির সাসপেনশন এবং পেছনের দিকে রয়েছে টুইনশক সাসপেনশন।
(৪) টায়ার এবং হুইল – বাইকটির সামনের দিকে রয়েছে ২.৫০ -১৭ সাইজের টায়ার এবং পেছনে রয়েছে ২.৭৫ -১৭ সাইজের টায়ার। উভয় টায়ারই টিউবলেস এবং অ্যালয় হুইল সংযুক্ত।
H Power Max Z
H Power Max Z রিভিউ অনুযায়ী এটি এমনই একটি বাইক, যেটা বাইরে থেকে দেখতে সম্পূর্ণ স্পোর্টি মনে হলেও আসলে একটি স্ট্যান্ডার্ড বাইক। এছাড়াও বাইকটির কালার কম্বিনেশন অনেক আকর্ষণীয় আর স্পোর্টি।বাইকটিতে ৫ স্পিডের গিয়ার-শিফট রয়েছে। বাইকটির ৪৫ মাইলেজ কিমি/লিটার। ১৪ লিটার জ্বালানি ধারণক্ষমতার সাথে এই মাইলেজ স্ট্যান্ডার্ড বাইক হিসেবে বেশ ভালো।
(১) ইঞ্জিন – বাইকটির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, এয়ার কুলড ইঞ্জিনটি বেশ শক্তিশালী। ইলেকট্রিক ও কিক স্টার্টসহ এই বাইকটিতে ইগনিশন সিস্টেম হিসেবে দেয়া হয়েছে সিডিআই। এই বাইকের ইঞ্জিন থেকে ৯০০০ আরপিএম-এ ১২.১ এইচপি সর্বোচ্চ শক্তি এবং ৬০০০ আরপিএম-এ ১২ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক পাওয়া যাবে।
(২) বডি ডাইমেনশন – এইচ পাওয়ার ম্যাক্স জি দাম-এর সাপেক্ষে এই বাইকটির সাইজ বেশ বড়সড়, যেখানে উচ্চতা ১০২৫ মিমি, দৈর্ঘ্য ১৯০০ মিমি, এবং প্রস্থ ৭৫০ মিমি। জ্বালানি সহ এই বাইকটির ওজন অনেক বেশি হয়ে যায়, প্রায় ১৫৫ কেজির মতো। হুইলবেইজ ১২৫০ মিমি হওয়ায়, কর্ণারিং করার সময় বাইকটিতে কাত করেও ব্যালেন্স ধরে রাখা সম্ভব।
(৩) ব্রেকিং এবং সাসপেনশন – বাইকের ব্রেক সাধারণ ডিস্ক ব্রেকিং সিস্টেমের। সামনে এবং পেছনে ডিস্ক ব্রেক দেয়া হয়েছে। বাইকটির সামনের দিকে টেলিস্কোপিক, আর পেছনে একটি মনোশক সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে।
(৪) টায়ার এবং হুইল – বাইকটিতে দেয়া হয়েছে অ্যালয় রিমের টিউবলেস চাকা। সামনের চাকার মাপ হচ্ছে ৮০/৯০-১৭ এবং পিছনের চাকার মাপ ১১০/৮০-১৭।
পরিসংহার
স্বল্প মূল্য, স্টাইলিশ লুকিং, দৈনন্দিন ব্যবহারের উপযোগী এবং লং লাস্টিং এর জন্য আপনারা বেছে নিতে পারেন Zaara এই বাইক গুলি। এই বাইক গুলি আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী হিসেবে সার্ভিস দিতে থাকবে। স্বল্পমূল্যে ভালো ইলেকট্রিক্যাল ফিচার এবং সাসপেনশন এ সমৃদ্ধ এই বাইক গুলি আপনারা নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।